দেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদ জানিয়েছেন ২০০ এর বেশি কবি, লেখক, শিল্পী ও সাংবাদিক।
মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক প্রতিবাদ কর্মসূচির মাধ্যমে রংপুর ও কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তারা। এছাড়া সাম্প্রদায়িক হামলা প্রতিরোধ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানান তারা।
আবৃত্তি শিল্পী শাহাদাত হোসাইন নিপু এ প্রতিবাদ কর্মসূচি সঞ্চালনা করেন। লেখক আনিসুল হক, চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা, কবি চঞ্চল আশরাফ, সাংবাদিক আহমেদ মোস্তফা কামাল, লেখক ঝরনা রহমান, চলচ্চিত্র নির্মাতা মাসুদ পথিক, অভিনেত্রী মৌটুসী বিশ্বাস, কবি তপন ঠাকুর ও লেখক-সাংবাদিক হুমায়ুন কবির ডালি উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা দাবি করেন, সাম্প্রতিক হামলাগুলো ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই না। কুমিল্লার পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন অবমাননার গুজব ছড়িয়ে এ হামলাগুলো করা হয়েছে।
পড়ুন: পীরগঞ্জে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে: স্পিকার
তারা বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। ১৯৭১ সালে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান একসঙ্গে লড়াই করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে। কিন্তু গত ৫০ বছরে সব সরকার ক্ষমতায় যেতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বর্জন করে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সঙ্গে আঁতাত করেছে।’
এ সময় সংগঠকদের পক্ষে বিশিষ্ট লেখক স্বকৃত নোমান আট দফা দাবি উত্থাপন করেন।
তাঁদের দাবির মধ্যে রয়েছে, দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক হামলার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা এবং এবং তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা, রামু, নাসিরনগর, শাল্লা, কুমিল্লা, হাজীগঞ্জ, নোয়াখালী ও রংপুরের সাম্প্রদায়িক হামলার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন, সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধে এবং ফেসবুক, ইউটিউব ও ওয়াজ-মাহফিলে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার বন্ধ করা এবং সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম বাতিল করা।
পড়ুন: সাম্প্রদায়িক হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর