আয়ারল্যান্ড
আয়ারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদনের পদ্ধতি, খরচ, স্কলারশিপ ও যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
ক্যারিয়ার গঠনে সুষ্ঠু শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি যুগপৎভাবে কাজ করে চাকরি বা ব্যবসায়িক পরিমণ্ডলের সামঞ্জস্যপূর্ণতা। সেখানে মেধা বিকাশের সাথে সম্মেলন ঘটে জাতীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থায়িত্বের। এই সমন্বয়ের মাঝে নিহিত থাকে শিক্ষা ও পেশাগত দিক থেকে বেড়ে ওঠার সহায়ক পরিবেশ। আর এই পরিবেশ পেতেই শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার ব্রত নিয়ে পাড়ি জমান উন্নত দেশগুলোতে। কাঙ্ক্ষিত ক্যারিয়ারের পাশাপাশি উন্নত জীবনধারণের প্রস্তাবনা নিয়ে এই গন্তব্যগুলোর সঙ্গে একই সারিতে রয়েছে ইউরোপের দেশ আয়ারল্যান্ড। বৈচিত্র্যপূর্ণ কোর্সে বিশ্ব মানের পাঠদানের অভিজ্ঞতা নিতে দেশটি প্রতি বছর স্বাগত জানায় হাজার হাজার বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের। চলুন, আয়ারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া, পড়াশোনা ও জীবনধারণের আর্থিক ব্যবস্থাপনার নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
আয়ারল্যান্ড কেন উচ্চশিক্ষার অন্যতম গন্তব্য
ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই সদস্য রাষ্ট্রটির ক্রাইম ইনডেক্স ৪৬ দশমিক ৮। অন্যদিকে ১ দশমিক ৩০৩ গ্লোবাল পিস ইনডেক্স নিয়ে শীর্ষ শান্তিপূর্ণ দেশগুলোর তালিকায় দেশটি দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
এই সূচকগুলোর পাশাপাশি ওয়ার্ল্ড কিউএস র্যাংকিং-এও আছে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। তার মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে ট্রিনিটি কলেজ ডাবলিন, যার র্যাংক ৮১। ইউনিভার্সিটি কলেজ ডাবলিন রয়েছে ১৭১-এ, গালওয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ২৮৯-এ ও ইউনিভার্সিটি কলেজ কর্ক-এর অবস্থান ২৯২-এ। স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লিমেরিক বিশ্ববিদ্যালয় ও ডাবলিন সিটি ইউনিভার্সিটি রয়েছে যথাক্রমে ৪২৬ ও ৪৩৬-এ।
আইরিশ শিক্ষার প্রসিদ্ধির কারণে এটি অভাবনীয় সাড়া ফেলেছে বৈশ্বিক কর্মক্ষেত্রে। অনেক বহুজাতিক কোম্পানি আয়ারল্যান্ডে তাদের ইউরোপীয় সদর দপ্তর স্থাপনের মাধ্যমে উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তার পরিবেশ গড়ে তুলেছে। এর ফলে ছাত্রছাত্রীরা ইন্টার্নশিপ, কো-অপারেশন প্রোগ্রাম এবং নেটওয়ার্কিং ইভেন্টগুলোর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ইন্ডাস্ট্রিগুলোর সান্নিধ্যে যেতে পারে।
সবচেয়ে সুবিধাজনক বিষয়টি হচ্ছে দেশটির ইংরেজি ভাষাভাষী যোগাযোগ ব্যবস্থা। শুধুমাত্র এই একটি ভাষা দক্ষতা নিয়ে আয়ারল্যান্ড পড়াশোনা, স্কলারশিপ ও চাকরির সুবিধাগুলো পাওয়া যায়। এই সুবিধার প্রভাব শ্রেণীকক্ষের বাইরেও বিস্তৃত। যেমন আবাসনের ক্ষেত্রে আইরিশ পরিবারগুলোর সঙ্গে শেয়ার করে থাকলে ভাড়া অনেকটাই বাঁচানো যায়।
তাছাড়া আন্তর্জাতিক ভাষা হওয়াতে ইংরেজিকে পুঁজি করে এই আয়ারল্যান্ড থেকেই বৈশ্বিক নেটওয়ার্কগুলোতে প্রবেশাধিকার লাভ করা যায়। এতে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি ভ্রমণের সুযোগও সৃষ্টি হয়, যা ক্যারিয়ারকে সমৃদ্ধ করার এক অভাবনীয় প্রয়াস।
আরও পড়ুন: চেক প্রজাতন্ত্রে উচ্চশিক্ষা: পড়াশোনার খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
আয়ারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষার জন্য যে যোগ্যতাগুলো থাকা দরকার
আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামগুলোর জন্য ক্লাস ১২ তথা উচ্চ মাধ্যমিক সনদ পরীক্ষায় সাধারণত কমপক্ষে ৭৫ শতাংশ থাকা প্রয়োজন। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের ক্ষেত্রে সাধারণ শর্ত হচ্ছে একই বিষয়ে ন্যূনতম ৬০ শতাংশ বা তার বেশি স্কোরের স্নাতক ডিগ্রি। মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্যও একই বা প্রাসঙ্গিক বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি প্রয়োজন। পিএইচডির জন্য প্রকাশনা এবং এমবিএর ক্ষেত্রে পেশাগত অভিজ্ঞতা দেখাতে হবে।
ইংরেজি ভাষা দক্ষতার জন্য আইইএলটিএস, টিওইএফএল বা পিটিই-এর মতো ভাষা যাচাই পরীক্ষার স্কোরগুলো দেখা হয়।
আয়ারল্যান্ডের সেরা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাহিদাসম্পন্ন কোর্স
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য আয়ারল্যান্ডের প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-
· আমেরিকান কলেজ ডাবলিন
· ইউনিভার্সিটি কলেজ ডাবলিন
· ট্রিনিটি কলেজ ডাবলিন
· ডাবলিন সিটি ইউনিভার্সিটি
· লিমেরিক বিশ্ববিদ্যালয়
· ইউনিভার্সিটি কলেজ কর্ক
· মায়নুথ বিশ্ববিদ্যালয়
· কুইন্স ইউনিভার্সিটি বেলফাস্ট
· আয়ারল্যান্ডের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, গালওয়ে
· গালওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়
আরো পড়ুন: মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষা: উপায়, খরচ ও সুযোগ-সুবিধা
৪ মাস আগে
ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় দেড় লাখ ইউরো দিচ্ছে আইরিশ এইড
বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় ১ লাখ ৪৮ হাজার ১৭০ ইউরো বরাদ্দের অনুমোদন দিয়েছে আইরিশ এইড। আয়ারল্যান্ডের সিভিল সোসাইটি পার্টনারশিপের (আইসিএসপি) অ্যাকিউট ক্রাইসিস স্ট্রিমের (এসিএস) আওতায় প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে এই তহবিল সরবরাহ করা হবে।
গত ২৬ মে বাংলাদেশে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে উপকূলীয় জেলাগুলোর প্রায় ৪৬ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে ৩৩ লাখ মানুষ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ১ লাখ ৭৩ হাজার ৮৬৬টি ঘরবাড়ি আংশিক বা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। তীব্র পানি সংকট, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও বিপর্যস্ত যোগাযোগ সেবার সঙ্গে লড়াই করছে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীগুলো।
আরও পড়ুন: ‘রিমালের’ তাণ্ডবে বাগেরহাটে ৫ লাখ মানুষ আক্রান্ত
আইরিশ এইডের অর্থায়নে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের বাস্তবায়নে ১ জুলাই থেকে ১ নভেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত ভোলা ও বরগুনা জেলার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ৮০০ পরিবারের প্রায় ৩ হাজার ৪৪০ জনকে প্রয়োজনীয় পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) সেবা দেওয়া হবে। নিরাপদ পানীয় জলের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা, স্যানিটেশন সুবিধা পুনরুদ্ধার করা এবং স্বাস্থ্যবিধি সামগ্রী বিতরণ করা এই হস্তক্ষেপের লক্ষ্য।
বৈশ্বিক সংকটে আইরিশ সহায়তার প্রতিশ্রুতি
আয়ারল্যান্ডের সিভিল সোসাইটি পার্টনারশিপ ফর এ বেটার ওয়ার্ল্ড (আইসিএসপি) বিশ্বব্যাপী দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা সরবরাহে আইরিশ নাগরিক সমাজ সংস্থাগুলোর একটি ৫ বছরের তহবিল উদ্যোগ (২০২৩-২০২৭)। আইসিএসপি ৪টি তহবিল প্রবাহকে অন্তর্ভুক্ত করে- দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন, দীর্ঘস্থায়ী মানবিক সংকট, তীব্র মানবিক সংকট ও বৈশ্বিক নাগরিকত্ব শিক্ষা। ২০২৪ সালে, জলবায়ু অর্থায়নে ৯.৯ মিলিয়ন ইউরোসহ ১০টি আইরিশ এনজিওকে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ইউরো দিয়েছে আইসিএসপি।
বাংলাদেশের জন্য অব্যাহত সমর্থন
রোহিঙ্গা শরণার্থী অনুপ্রবেশসহ একাধিক মানবিক সংকট মোকাবিলা করেছে বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ড ২০১৯ সাল থেকে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ইউএনএইচসিআরকে ৬.৫ মিলিয়ন ইউরো দিয়েছে, যা শরণার্থী ও স্থানীয় সম্প্রদায় উভয়কেই উপকৃত করেছে।
২০২৩ সালে, কক্সবাজারে রেজিলেন্স-বিল্ডিং কর্মসূচিতে পুষ্টি ও দুর্যোগ ঝুঁকি কমানোর উদ্যোগে ১৫ লাখ ৬১ হাজার ৫০৮ ইউরো দেয় কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড। যা ২০২৪ সালে বেড়ে ১৭ লাখ ৪ হাজার ইউরোতে দাঁড়ায়।
২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে আয়ারল্যান্ডের বৈদেশিক নীতির অগ্রাধিকারগুলোর পাশাপাশি লিঙ্গ সমতা প্রচার, মানবিক চাহিদা হ্রাস এবং সুশাসনকে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে কাজ করে আসছে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল আয়ারল্যান্ড।
আরও পড়ুন: ঢাকায় প্রথম অনারারি কনস্যুলেট উদ্বোধন করলেন আইরিশ মন্ত্রী সাইমন কোভেনি
৫ মাস আগে
বৃষ্টিতে ডুবল পাকিস্তানের স্বপ্ন, শেষ আটে যুক্তরাষ্ট্র
বিশ্বকাপে প্রথমবার অংশ নিয়েই সুপার এইটে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল স্বাগতিক দেশ যুক্তরাষ্ট্র। এই স্বপপূরণে নিজেদের শেষ ম্যাচে আইরিশদের বধ করতে হতো তাদের। তবে বৃষ্টি এসে বিনা কষ্টেই যুক্তরাষ্ট্রের স্বপ্নপূরণ করে দিয়েছে।
এতে কপাল পুড়েছে পাকিস্তানের। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচ হেরে তাদের সুপার এইটে ওঠার সম্ভাবনা জটিল সমীকরণের মধ্যে পড়ে যায়।
শুক্রবার আয়ারল্যান্ড জিতলেই কেবল শেষ আটের স্বপ্ন বেঁচে থাকত পাকিস্তানের। এরপর গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে ভাগ্য নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তা পরিবর্তনের চেষ্টা করতে হতো বাবর আজমের দলের। তবে বৃষ্টিতে ম্যাচটি ভেসে যাওয়ায় তাদের সেই স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। চার ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে সুপার এইটে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বৃষ্টির কারণে এ ম্যাচে টস হতে দেরি হয়। প্রাথমিকভাবে রাত আটটার পরিবর্তে সাড়ে ৮টায় টস হওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও ভেজা মাঠের কারণে কয়েক ঘণ্টায় বেশ কয়েকবার মাঠের অবস্থা পরীক্ষা করেন দুই আম্পায়ার। তবে শেষ পর্যন্ত খেলার সম্মতি দিতে ব্যর্থ হন তারা।
এর ফলে পাকিস্তানের পাশাপাশি কানাডা ও আয়ারল্যান্ডেরও সব সমীকরণ শেষ হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: সুপার এইটের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে যুক্তরাষ্ট্র
৬ মাস আগে
ভারতের বোলিং বিষে নীল আয়ারল্যান্ড
টসের সময় ব্যাটারদের যে ফর্ম ও লড়াই করার প্রত্যয় জানিয়েছিলেন পল স্টার্লিং, মাঠের খেলায় তা যেন হাওয়ায় মিলিয়ে গেল। ভারতীয় বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারল না দলটি।
টস হেরে আগে ব্যাট করে ১৫.৫ ওভারে মাত্র ৯৬ রানেই গুটিয়ে গেছে তাদের ইনিংস।
দলের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর ২৬। দুটি করে ছক্কা ও চারের মারে এ রান করেন তিনি। এর পরবর্তী স্কোর ১৫ যা এসেছে অতিরিক্ত থেকে।
ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন হার্দিক পান্ডিয়া। এছাড়া আর্শদীপ সিং ও জসপ্রীত বুমরাহ নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। এদিন তিন ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে সবচেয়ে কিপটে ছিলেন বুমরাহ।
আরও পড়ুন: টস জিতে আয়ারল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে ভারত
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারেই দুই ওপেনারকে হারায় আয়ারল্যান্ড। আর্শদীপ সিং ও মোহাম্মদ সিরাজের প্রথম দুই ওভার দেখেশুনে খেলে তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় অধিনায়ক পল স্টার্লিংকে।
ইনিংসের তৃতীয় ও আর্শদীপের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম ডেলিভারিটি ছিল লেগ স্ট্যাম্পে। বল কিছুটা লাফিয়ে উঠলে তা স্লগ করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে উপরে উঠে যায়। উইকেটের পেছন থেকে তা গ্লাভসবন্দি করেন ঋষভ। এরপর ওই ওভারেই আর্শদীপের মিডল উইকেটে রাখা শেষ ডেলিভারিটি থামাতে ব্যর্থ হয়ে বোল্ড হয়ে যান অ্যান্ডু বালবির্নিও।
মাত্র ৯ রানে দুই উইকেটে হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় আয়ারল্যান্ড। এরপর তৃতীয় ও চতুর্থ ব্যাটার লোরকান টাকার ও হ্যারি টেক্টর বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে বুমরাহ, সিরাজ, আর্শদীপদের বোলিং আক্রমণের সামনে খুব বেশি সুবিধা করতে পারছিলেন না তারা। এর প্রভাব পড়ে স্কোরবোর্ডেও। প্রথম পাওয়ার প্লেতে আর উইকেট না হারালেও মাত্র ২৬ রান তোলে আয়ারল্যান্ড।
তবে পাওয়ার প্লের পরেই ফের আসে ধাক্কা। ব্রেকথ্রুর আশায় সপ্তম ওভারে হার্দিককে বোলিং করতে পাঠান রোহিত । ওই ওভারের পঞ্চম বলেই টাকারকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান হার্দিক। ফেরার আগে ১৩ বল মোকাবিলা করে দুই চারের সাহায্যে মাত্র ১০ রান করেন তিনি। এরপর শুরু হয় উইকেটে রক্তক্ষরণ।
আরও পড়ুন: বাবরের অধিনায়কত্ব নিয়ে পাকিস্তানের দুই ক্রিকেটারের লড়াই
পরের ওভারে বুমরাহর শেষ ডেলিভারিতে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে যান হ্যারি টেক্টর। ফেরার আগে ১৬ বলে মাত্র চার রান করেন তিনি। পরের ওভারটি ছক্কা হাঁকিয়ে শুরু করলেও হার্দিকের শেষ বলে আউট হন ৮ বলে ১২ রান করা কার্টিস ক্যাম্ফার। এর পরের ওভারের চতুর্থ বলে ফের উইকেট। এবার সিরাজের শিকার হন জর্জ ডকরেল। ফলে ১০ ওভার খেলার আগেই ৬ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড।
একাদশ ওভারের প্রথম বলেই মার্ক অ্যাডায়ারকে ফিরিয়ে ওই ওভার মেইডেন নেন হার্দিক। পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে উইকেট নেন অক্ষর প্যাটেল। তিনি ব্যারি ম্যাকার্থিকে ফেরালে ৫০ রানে ৮ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড।
এর পর দুটি ২০ ছাড়ানো জুটি গড়ে স্কোরবোর্ড শতরানের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন শেষের ব্যাটাররা। তবে ৭০ রানের মাথায় বুমরাহ বলে জশুয়া লিটল ও ৯৬ রানে ডিলানি রান আউট হলে সেখানেই গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ডের ইনিংস।
৬ মাস আগে
টস জিতে আয়ারল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে ভারত
যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামছে ভারত। এদিন টস জিতে শুরুতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
টসের পর রোহিত বলেন, ‘আমরা যে ধরনের পিচে খেলে অভ্যস্ত, সেরকম পিচেই আজ খেলব। তবে নতুন কন্ডিশনে কী হবে তা অজানা। তাই সামনে একটি লক্ষ্য রেখে খেলাটা ভালো হবে বলে মনে হয়েছে।’
অন্যদিকে, জয়ের প্রত্যয় ঝরেছে আইরিশ অধিনায়ক পল স্টার্লিংয়ের কণ্ঠে।
‘বিশ্বকাপের আগে নেদারল্যান্ডসে একটি (ত্রিদেশীয়) সিরিজ খেলেছি। সেখানে আমাদের যথেষ্ট ম্যাচ উইনার ছিল। তাদের আজকে জ্বলে উঠতে হবে। কন্ডিশন বুঝে খুব দ্রুত মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব।’
ভারত একাদশ:
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, ঋষভ পন্ত, সূর্যকুমার যাদব, শিবম দুবে, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, জাসপ্রিত বুমরাহ, আরশদীপ সিং, মোহাম্মদ সিরাজ।
আয়ারল্যান্ড একাদশ:
পল স্টার্লিং (অধিনায়ক), অ্যান্ড্রু বালবির্নি, লোরকান টাকার (ডব্লিউ), হ্যারি টেক্টর, কার্টিস ক্যাম্ফার, জর্জ ডকরেল, গ্যারেথ ডিলানি, মার্ক অ্যাডায়ার, ব্যারি ম্যাকার্থি, জশুয়া লিটল, বেঞ্জামিন হোয়াইট।
৬ মাস আগে
বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে লন্ডন হাই কমিশনের বিশেষ উদ্যোগ
যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে বাংলাদেশ হাই কমিশন, লন্ডন বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
এ লক্ষ্যে শুক্রবার(২৭ জানুয়ারি) মিশনের ‘বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জে’বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রেরণের সঙ্গে সম্পৃক্ত যুক্তরাজ্যের মানি এক্সচেঞ্জ হাউজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ‘যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে বেশি রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানোর সুযোগ’শীর্ষক এক আলোচনা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশন।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে ১৫৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ
এতে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম।
হাইকমিশনার তাসনীম বৈদেশিক আয় বৈধ পথে বাংলাদেশে প্রেরণে উৎসাহ প্রদানের জন্য বর্তমান সরকার ঘোষিত আড়াই শতাংশ প্রণোদনাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের সবসময় বৈধ পথে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানান।
তিনি মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোকেও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানোর জন্য বিশেষ ভূমিকা নেয়ার পরামর্শ দেন।
হাইকমিশনার বলেন, ‘বৈধ্য পথে রেমিট্যান্স প্রেরণ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য হাই কমিশন এবছর পূর্ব লন্ডনে একটি রেমিট্যান্স মেলা করবে।
এছাড়া পূর্ব লন্ডনে হাই কমিশনের কন্সুলার সার্জারি সেবা প্রদানের পাশাপাশি বিশেষ ব্যবস্থায় মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর প্রতিনিধিরা বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে কীভাবে সহজে ও কম খরচে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানো যায় সে বিষয়ে সবাইকে অবহিত করবেন।
কমিউনিটি টেলিভিশন, সংবাদপত্র ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা হবে।
সভায় মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্যে বিভিন্ন সমস্যা ও এসব সমাধানের জন্য কতিপয় প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
হাইকমিশনার তাদের সমস্যাগুলো ও প্রস্তাবসমূহ মনোযোগ দিয়ে শুনেন এবং এ ব্যাপারে হাই কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান।
অনুষ্ঠানে মিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দেশে জুলাই-ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছে ১০.৪৯ বিলিয়ন ডলার
সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরকদের পুরস্কৃত করলো রোমে বাংলাদেশ দূতাবাস
১ বছর আগে
টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত আয়ারল্যান্ড-আফগানিস্তান ম্যাচ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ-১ এর আফগানিস্তান বনাম আয়ারল্যান্ডের ম্যাচটিকে শুক্রবার অবিরাম বৃষ্টির কারণে বাতিল ঘোষণা করা হয়। এদিন একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। এতে তিন ম্যাচের দুই ম্যাচ খেলতে পারেনি আফগানরা।
২০২১ সালে ফাইনাল খেলা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আফগানিস্তানের সুপার ১২ ম্যাচটিও বুধবার বৃষ্টির কারণে বাতিল হয়। ফলে দলটি তিন ম্যাচ থেকে পেয়েছে দুই পয়েন্ট।
পয়েন্ট ভাগাভাগিতে গ্রুপ-১ এ আয়ারল্যান্ড বর্তমানে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে।
শুক্রবার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দ্বিতীয় খেলায় ইংল্যান্ডের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলার কথা আছে। উভয় দলই সুপার ১২ পর্বে প্রথম দিকে হেরেছে এবং আরেকটি পরাজয় যেকোনো একটি দলকে সেমিফাইনাল থেকে বাদ দিতে পারে।
সোমবার আয়ারল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ার এবং মঙ্গলবার আফগানিস্তান শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে।
আরও পড়ুন: টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, দলে মিরাজ
টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: রুশোর সেঞ্চুরিতে দ. আফ্রিকার বিশাল সংগ্রহ
টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: বাংলাদেশকে বড় ব্যবধানে হারাল দ. আফ্রিকা
২ বছর আগে
টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে ইংল্যান্ড
আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে মেলবোর্নে বুধবার ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড মুখোমুখি হয়েছে।
টস জিতে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সুপার টুয়েলভে আগের ম্যাচে আফগানিস্তানকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা করে ইংল্যান্ড। অপরদিকে শ্রীলঙ্কার কাছে বড় ব্যবধানে হেরে সুপার টুয়েলভ মিশন শুরু করেছে আইরিশরা।
ইংল্যান্ড একাদশ: জস বাটলার (উইকেটরক্ষক ও অধিনায়ক), অ্যালেক্স হেলস, ডেভিড মালান, বেন স্টোকস, লিয়াম লিভিংস্টোন, হ্যারি ব্রুক, মঈন আলী, স্যাম কারেন, ক্রিস ওকস, আদিল রশিদ, মার্ক উড
আয়ার্যলান্ড একাদশ: পল স্টার্লিং, অ্যান্ড্রু বালবির্নি (অধিনায়ক), লোরকান টাকার (উইকেটরক্ষক), হ্যারি টেক্টর, ক্যাম্ফার, জর্জ ডকরেল, গ্যারেথ ডেলানি, মার্ক অ্যাডায়ার, ফিওন হ্যান্ড, ব্যারি ম্যাকার্থি, জশুয়া লিটল
২ বছর আগে
যোগ্য পাকিস্তানের কাছে চূর্ণ হলো বাংলাদেশি নারীদের অতি আত্মবিশ্বাস!
নারী এশিয়া কাপে পাকিস্তানের কাছে ৯ উইকেটে পরাজিত হওয়ার পর বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটকে ঘিরে যে ধরনের উচ্ছ্বসিত প্রচারণা ছিল তা অনেকটাই ম্লান হয়েছে। পাকিস্তান খেলেছে জায়গা মতো আর বাংলাদেশ পড়েছে বেকায়দায়।
বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ড ও থাইল্যান্ডকে পরাজিত করে এই কাপে এবং তাদের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের কাপ জয়ের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের প্রত্যাশা করেছিল সবার। কিন্তু পুরাই ব্যর্থ হয়েছে। সত্যিকার অর্থে পাকিস্তান একটি শক্তিশালী দল। কিন্তু কাপের ডিফেন্ডার হিসেবে বাংলাদেশে কাছ থেকে অনেক ভালো করার প্রত্যাশা ছিল। তা হয়নি।
যেমন ক্রিকেট সাইট ক্রিকবাজ তাদের লাইভ ধারাভাষ্যে অকপটে বলেছে, ‘বাংলাদেশের ব্যাটিং ও বোলিংয়ের অবস্থা ভয়ঙ্কর বাজে ছিল’। অর্জনের পর বাজে খেলা, স্পষ্টতই একটি ব্যাধি- যা আমরা ভালো ভাবেই জানি যখন বাংলাদেশের ক্রিকেটের কথা আসে।
আরও পড়ুন: হিরো আলম: আসল ঝামেলাটা কি গান না শ্রেণি?
জঘন্য ব্যাটিং
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ৮ উইকেট হারিয়ে ৭০ রান করে। সালমা খাতুন সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন এবং মাত্র অন্য দুইজন খেলোয়াড় দুই অঙ্কে পৌঁছেতে পারেন। আমাদের ‘ভয়ঙ্কর’ ব্যাটিং সম্পর্কে ভালো জানান দেয়। যারা ম্যাচটি দেখেছেন তারা প্রায় সবাই বলেছেন একটি কথা। খেলাটা জেতার ইচ্ছাটা অভাব ছিল যেন। হয় তারা ম্যাচটিকে হালকাভাবে নিয়েছে বা কীভাবে এটিকে সিরিয়াসলি নিতে হবে তা জানে না।
বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা যথারীতি অজুহাত দিলেও সেগুলো অন্তঃসারশূন্য শোনায়। ‘টপ অর্ডার ভেঙে পড়েছে এবং উইকেট স্লো হওয়ায় আমরা আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। আমরা ভেবেছিলাম এটা ব্যাটিং করার জন্য ভালো পিচ। কিন্তু পিচটি ছিল স্যাঁতসেঁতে। বোলাররা সঠিক জায়গায় বল করতে পারেনি। আমি মনে করি আমাদের কিছু বিষয়ে কাজ করতে হবে এবং আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসতে হবে।’
অবশ্যই পিচটি স্যাঁতসেঁতে ছিল, এটি ক্রিকেট জীবনের অংশ। কিন্তু কীভাবে একজন আঠালো পিচে ব্যাট করেন তা বেড়ে ওঠার প্রক্রিয়ার অংশ। দুর্ভাগ্যবশত, এই ম্যাচে বাংলাদেশ সেই প্রবণতা বা অভিপ্রায় দেখিয়েছে বলে মনে হয় না।
আরও পড়ুন: ভারতে এতো ঝামেলা হচ্ছে কেন?
পাকিস্তান ছিল বিধ্বংসী
পাকিস্তান একই পিচে খেলেছে এবং তাদের স্পিনাররা খুব বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাটার দের মাথা নত করিয়ে দেয়। তারা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছিল যে আমাদের মেয়েদের অযোগ্য দেখায়। পাকিস্তান যখন ব্যাট করতে শুরু করে তখন উইকেটের কিছুটা উন্নতি হয়েছিল কিন্তু দলটি স্পষ্টতই আরও আত্মবিশ্বাসী এবং জয়ের অভিপ্রায় নিয়ে খেলে এবং মাত্র ১২ ওভারে তা করেছিল। পুরো ম্যাচে বাংলাদেশ কখনোই চ্যাম্পিয়নদের মতো দেখতে মনে হয়নি।
পাকিস্তান দলের পারফরম্যান্স নিয়ে এমনটাই বলেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বিসমাহ মারুফ। ‘বোলারদের কাছ থেকে খুবই ক্লিনিক্যাল সাফল্য পেয়েছি। প্রথম দিকের উইকেট হারাবার পর তাদের চাপে ফেলে দেয় আমাদের বোলাররা I আমরা আমাদের স্পিন নিয়ে কাজ করছি। আমরা আমাদের পরিকল্পনা ভালোভাবে বাস্তবায়ন করেছি। তারা একটি ভাল টিম। আমাদের বিরোধী দলকে সম্মান দিতে হবে। তবে আমাদের আজকের পারফরম্যান্স ভালো ছিল।’ এটি এমন একটি দলের কাছ থেকে একটি অত্যন্ত নম্র প্রতিক্রিয়া ছিল যারা মূলত ‘চূর্ণ’- বিডি মিডিয়ার পরাজয় বর্ণনা করার জন্য প্রিয় শব্দ - করেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের এবং টেবিলের শীর্ষে চলে গেছে।
বিসিবি প্রধান পাপন তাদের জিততে দেখে এবং তাদের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করার পর দলটি কুফা লেগেছে বলে যে গুজব চলছে, সেটা গুজব , সত্য নয় তা আমরা তা নিশ্চিত করতে পারি।
(প্রকাশিত মতামতের দায় লেখকের, ইউএনবির নয়)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিরোধী দলের বন্ধ্যাত্ব
২ বছর আগে
আয়ারল্যান্ডে ওয়ালটন স্মার্ট টিভিতে ব্যাপক সাড়া
চলতি বছরের এপ্রিলে বাংলাদেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন আয়ারল্যান্ডে নিজস্ব ব্র্যান্ড লোগোতে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্ট টিভি রপ্তানি শুরু করে।
আরও পড়ুন: জাপানি স্ট্যান্ডার্ডে ব্যাটারি উৎপাদন করছে ওয়ালটন
এছাড়া উত্তর-পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে ইতোমধ্যে ওয়ালটন টিভি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এদিকে আয়ারল্যান্ডের অন্যতম বৃহৎ রিটেইল স্টোর ‘ডিড ইলেকট্রিক্যাল’ এ প্রদর্শন ও বিক্রি করা হচ্ছে ওয়ালটনের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্ট টিভি। যা ইউরোপের বাজারে নিজস্ব ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণের ক্ষেত্রেই শুধু নয়; বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ গ্লোবাল কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড হওয়ার লক্ষ্যে ওয়ালটন তথা বাংলাদেশের জন্য আরেকটি বিশাল মাইলফলক।
ইউরোপে দায়িত্বপ্রাপ্ত ওয়ালটন গ্লোবাল বিজনেস ডিভিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাঈদ আল ইমরান জানান, ইউরোপের উন্নত দেশগুলোতে ওয়ালটন টিভির ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরে উত্তর-পূর্ব ইউরোপের দেশ আয়ারল্যান্ডে ওয়ালটন ব্র্যান্ড লোগোতে টেলিভিশন রপ্তানি কার্যক্রম শুরু করা হয়।
এছাড়া এপ্রিলে ওয়ালটনের ৩২, ৪৩ ও ৫৫ ইঞ্চি অ্যান্ড্রয়েড টিভির প্রথম শিপমেন্ট পাঠানো হয়।
এদিকে আয়ারল্যন্ডের খ্যাতনামা কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স অ্যাপ্লায়েন্সে বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান ‘সোমার লিমিটেড’ ওয়ালটন টিভির পরিবেশক হিসেবে বাজারজাত কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
আরও পড়ুন: ওয়ালটনের নতুন ফোনের অনলাইন প্রি-বুকে ১০০০ টাকা ছাড়
ওয়ালটন টিভির চিফ বিজনেস অফিসার প্রকৌশলী মোস্তফা নাহিদ হোসেন বলেন, আয়ারল্যান্ডে টিভি রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ নিঃসন্দেহে ওয়ালটনের ভিশন ‘গো গ্লোবাল ২০৩০’ অর্জনের পথে এক বিশাল মাইলফলক।
ভৌগোলিক দিক থেকে আয়ারল্যান্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক বাজার। দেশটির প্রতিবেশি হচ্ছে গ্রেট বিটেন। তাই আয়ারল্যান্ডে রপ্তানি কার্যক্রম শুরুর ফলে গ্রেট ব্রিটেনে ওয়ালটন টিভির ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ টেলিভিশন প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠার মিশন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন। এই মিশন বাস্তবায়নের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৩ সালের মধ্যে ৫টি মহাদেশীয় অঞ্চলের সবগুলো দেশে ওয়ালটন টিভি রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে কাজ করছেন তারা।
সূত্রমতে, ৩৫টিরও বেশি দেশে শতাধিক বিজনেস পার্টনারের মাধ্যমে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেবেলযুক্ত টিভি রপ্তানি করছে ওয়ালটন। এছাড়া ওয়ালটন টিভির মোট রপ্তানির প্রায় ৯৫ শতাংশই যাচ্ছে ইউরোপের উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে।
আরও পড়ুন: ওয়ালটনের নতুন অল-ইন-ওয়ান পিসি বাজারে
২ বছর আগে