ভগ্নিপতি
৩ কেজি চাল নিয়ে দ্বন্দ্ব, ভগ্নিপতি হাতে শ্যালক খুন!
কক্সবাজারের টেকনাফে তিন কেজি পাওনা চাল নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে ভগ্নিপতির ছুরিকাঘাতে শ্যালক নিহতের অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় টেকনাফ সাবারাং প্যান্ডেল পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পর ভগ্নিপতি পালিয়ে যায়।
নিহত শাহ আলম শ্রমিক।
আরও পড়ুন: ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুনের অভিযোগ
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনী জানান, ভগ্নিপতি জাফর আলমের কাছ থেকে ধার নেওয়া তিন কেজি চাল নিয়ে বিবাদে জড়ায় শাহ আলম।
ওসি আরও জানান, এক পর্যায়ে শাহ আলমকে ছুরিকাঘাত করেন জাফর। এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে কক্সবাজার যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। জাফর আলমকে আটকের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: কম দামে মাংস বিক্রির জেরে কসাইকে খুনের অভিযোগ
আপন ভাতিজার হাতে খুন হন বিউটিশিয়ান রিক্তা
৯ মাস আগে
র্যাব হেফাজতে মৃত্যু: জেসমিনের ছেলে ও ভগ্নিপতিকে জিজ্ঞাসাবাদ
র্যাবের হেফাজতে নিহত নওগাঁ ভূমি অফিসের কর্মচারী সুলতানা জেসমিনের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে র্যাবের তদন্ত দল।
সোমবার দুপুরে জেসমিনের ছেলে শহীদ হোসেন সৈকত ও তার ভগ্নিপতি আমিনুল ইসলামকে নওগাঁ সার্কিট হাউসে নিয়ে গিয়ে বিকাল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত দল।
জেসমিনের ভগ্নিপতি আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: জেসমিনের মৃত্যু মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে, র্যাব হেফাজতে নির্যাতনে নয়: চিকিৎসক
আমিনুল ইসলাম জানান, র্যাব সদস্যদের হাতে আটকের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে ২২ মার্চ জেসমিনকে প্রথমে নওগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ওই দিনই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ মার্চ তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু আমি এবং জেসমিনের ছেলে সৈকত জেসমিনের সঙ্গে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ছিলাম, তাই র্যাব কর্মকর্তারা এই সময়ের মধ্যে যা ঘটেছে তা জানতে চেয়েছিলেন। এছাড়া তদন্ত দল আমাদের কাছ থেকে লিখিত বক্তব্য নিয়েছে।
তবে মায়ের মৃত্যুর বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে কিছু বলেননি জেসমিনের ছেলে।
এর আগে জেসমিনের মৃত্যুর পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পায় রাজশাহী পুলিশ।
এর আগে গত রবিবার বিকালে সুলতানা জেসমিনের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন রামেক হাসপাতালের ফরসেনিক বিভাগ।
রামেক হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. কফিল উদ্দিন জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী সুলতানা জেসমিন মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে মারা গেছেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, ‘ব্রেন হেমারেজের কারণে জেসমিনের মৃত্যু হয়েছে। র্যাব হেফাজতে নির্যাতনের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে এমন কোনো লক্ষণ নেই।’
এছাড়া আদালতে প্রতিবেদন পৌঁছানোর আগে ‘স্পর্শকাতর’ এই বিষয় নিয়ে কেউ কথা বলবেন না বলে জানিয়েছিলেন।
এদিকে তিন সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড ২৫ মার্চ জেসমিনের মৃত্যুর পর আরএমসিএইচ মর্গে ময়নাতদন্ত করে।
এছাড়া ২৭ মার্চ পুলিশ রিপোর্ট ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তলব করেন হাইকোর্ট।
এদিকে সুলতানাকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা র্যাব সদস্যদের বিষয়েও বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন আদালত।
এ বিষয়ে সংবাদপত্রের প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মচারী সুলতানাকে ২২ মার্চ সকালে নওগাঁ শহরের মুক্তিমোড় এলাকা থেকে র্যাব সদস্যরা আটক করে এবং ২৪ মার্চ রামেক হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
তবে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে এলিট ফোর্স।
তারা দাবি করেছে যে ভিকটিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কারণ তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় হাইকোর্টে জামিন পাননি হলমার্কের জেসমিন
র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না: মোমেন
১ বছর আগে
ময়মনসিংহে শ্যালকের ছুরিকাঘাতে ভগ্নিপতি নিহত
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে শ্যালকের ছুরিকাঘাতে ভগ্নিপতি খুনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার সিধলা ইউনিয়নের আৎকাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুস ছাত্তার (৬০) উপজেলার বিশকা ইউনিয়নের হাঁসুয়াকান্দা গ্রামের মৃত সামির উদ্দিনের ছেলে এবং সিধলা ইউনিয়নের আৎকাপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ের জামাই। তিনি স্ত্রী সন্তান নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে ঘরজামাই থাকতেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আল আমিন (৩৫)। তিনি পেশায় একজন দর্জি।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবকের ছুরিকাঘাতে এসআই আহত
নিহতের পরিবার জানায়, ছাত্তার বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী, দুই ছেলে ও তিন মেয়েকে নিয়ে ঘরজামাই থাকতেন। এখানে থেকেই ছেলেমেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। বছর পাঁচেক আগে শ্যালক আল আমিন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেললে বোন জামাই ছাত্তার চিকিৎসা করিয়ে তাকে সুস্থ করে তোলেন। ইদানীং আল আমিন তার ভগ্নিপতির সঙ্গে কারণে ও অকারণে ঝগড়া করতেন। আব্দুস ছাত্তার মঙ্গলবার সকালে ঘরের বারান্দায় বসে ভাত খাচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ শ্যালক আল আমিন একটি কিরিচ নিয়ে এসে ভগ্নিপতির পেটে একের পর এক ঘা দিতে থাকেন। ছাত্তারের আত্মচিৎকারে লোকজন আসলে আলামিন পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এঘটনায় এখনও মামলা হয়নি বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ২ ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকের সহকারী নিহত, আহত ৩
১ বছর আগে
রাজধানীতে শ্যালকের গুলিতে ভগ্নিপতি নিহত
রাজধানীর মিরপুরের দারুস সালাম এলাকায় অশ্রু নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তার ভগ্নিপতিকে গুলি করে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।
নিহত ফারুক মোল্লা (৪৮) দারুস সালাম থানার অন্তর্গত কোটবাড়ি এলাকার বাসিন্দা।
শনিবার মিরপুর অপরাধ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এএসএম মাহতাব উদ্দিন জানান, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ফারুকের শ্যালক অশ্রু তার বাবার লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে তার ভগ্নিপতিকে গুলি করেন।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী পারিবারিক কলহের জের ধরে ওই ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
পরিবারের লোকজন আহত ফারুককে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর অশ্রু পালিয়ে যান বলে মাহতাব উদ্দিন জানান।
আরও পড়ুন: যশোরে ছুরিকাঘাতে তাঁতী লীগের সাবেক নেতা খুন
নির্বাচনী সহিংসতায় মেহেরপুরে সহোদর ‘খুন’
নির্বাচনী খিচুড়ি নিয়ে স্ত্রীর বড় ভাইয়ের হাতে ভগ্নিপতি খুন
৩ বছর আগে
পাবনায় ভগ্নিপতিকে কুপিয়ে ‘হত্যা’
পারিবারিক বিরোধের জের ধরে পাবনা শহরের অনন্ত বাজার এলাকায় ভগ্নিপতিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সম্বন্ধীর বিরুদ্ধে। শনিবার সকাল ৭টার দিকে ওই এলাকার সুইপার কলোনিতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বিশাল রায় (২২) পাবনা পৌর শহরের অনন্ত বাজার দক্ষিণ রামপুর মহল্লার উত্তম রায়ের ছেলে।
আরও পড়ুন: জমি নিয়ে বিরোধে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
স্থানীয়রা জানান, নিহত বিশাল ও তার সম্বন্ধীর নামও বিশাল। পেশায় তারা দুইজনই সুইপার। পারিবারিক বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ ছিল। এরই জেরে শনিবার সকালে ভগ্নিপতি বিশাল বাড়ি থেকে বের হয়ে যাবার পথে সুইপার কলোনীর সামনে তার সম্বন্ধী বিশালের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ভগ্নিপতি বিশালকে কুপিয়ে ফেলে পালিয়ে যায় তার সম্বন্ধী। স্থানীয় লোকজন আহত বিশালকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: তিস্তা ব্যারাজ দোয়ানীতে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে রেখেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করা হয়েছে। ভগ্নিপতি ও সম্বন্ধী দু’জনের নামই বিশাল। তাদের মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে কলহ ছিল বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: শাহরাস্তিতে নারীকে কুপিয়ে হত্যা
৩ বছর আগে