অব্যাহতি
ছাত্রলীগ নেতার মামলা থেকে ২ সাংবাদিককে অব্যাহতি
সাভারের আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগ সভাপতির সাজানো মামলা থেকে দুই সাংবাদিককে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২ মার্চ) ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক বেগম ইসরাত জাহান মুন্নি এই আদেশ দেন।
এদিন সাংবাদিকদের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আল মামুন রাসেল।
মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়া দুই সাংবাদিক হলেন— তৃতীয় মাত্রা পত্রিকার সাভার প্রতিনিধি সোহেল রানা ও দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের জাহিন রিয়াজ।
আরও পড়ুন: চাঁদা না পেয়ে হকারকে ‘অপহরণ’, যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
আইনজীবী আল মামুন রাসে বলেন, ‘সোহেল ও রিয়াজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনো তথ্য ও প্রমাণ উপস্থিত না করতে পারায় আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সামিউল আলম শামীমের করা সাজানো মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।’
তিনি বলেন, ‘কোনো ধরনের দালিলিক প্রমাণ ছাড়াই শুধু অনুমানের ওপর ভিত্তি করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা একতরফা রিপোর্ট প্রদান করেছিলেন। প্রকৃত সত্য হলো, সংবাদ প্রকাশের কারণেই দুই সাংবাদিককে জড়িয়ে মামলা দেওয়া হয়েছিল।’
৪৫ দিন আগে
অবিলম্বে ভ্যাট অব্যাহতি পুনর্বহালের দাবি প্লাস্টিক জুতা তৈরি সমিতির
প্লাস্টিক ও রাবারের তৈরি হাওয়াই চপ্পল ও প্লাস্টিক পাদুকা (১৫০ টাকা মূল্য সীমা পর্যন্ত) উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি পুনর্বহালের জন্য সরকারের কাছে আবারও দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পাদুকা প্রস্তুতকারক সমিতি।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে সমিতির নেতারা এ দাবি জানান। একই দাবিতে সমিতির নেতারা আজ অর্থ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপিও দিয়েছেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল কুদ্দুস (রানা), সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. রেজাউল করিম, সহ-সভাপতি আশরাফ উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান রহমান (সাজু), সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন পাদুকা প্রতিষ্ঠানের মালিক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা।
সমিতির নেতারা বলেন, আগের ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা বাতিল করে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি পাদুকা শিল্প মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। দাবি পূরণ না হলে শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট ও চূড়ান্তভাবে কারখানা বন্ধের মতো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
তারা বলেন, ইতোমধ্যে সরকারের কাছে তারা অতিসত্ত্বর ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। এ দাবি পূরণ হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি চলতে থাকবে।
আরও পড়ুন: জুলাই অভ্যুত্থান: আহতদের চিকিৎসায় আগত বিদেশি চিকিৎসকদের ভ্যাট অব্যাহতি
মানববন্ধনে সংগঠনের নেতারা বলেন, আমরা ভ্যাট আইন মানি, তবে তা অবশ্যই দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বার্থ বিবেচনা করে বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাই, এই ধরনের সিদ্ধান্ত দ্রুত প্রত্যাহার করে দেশের পাদুকা শিল্প ও সাধারণ জনগণের স্বার্থ রক্ষা করুন।
তারা আরও বলেন, জুলাই-আগষ্ট অভ্যুত্থানের বা বিল্পবের ফসল কি তাহলে দরিদ্র শ্রেণির ওপর ভ্যাট আরোপ? আইএমএফের চাপে যে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে, তা গরীবদের উপর কেনো?
৬৬ দিন আগে
ফের সচিবালয়ের সামনে অব্যাহতি পাওয়া এসআইদের অবস্থান
চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে ফের সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন পুলিশের ৪০তম ব্যাচের অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষানবিস উপ-পরিদর্শকরা (এসআই)। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টার পর থেকে আব্দুল গনি রোডে সচিবালয়ের এক ও দুই নম্বর গেটের বিপরীতে অবস্থান নেন তারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে তারা দাঁড়িয়ে আছেন। দাবি পূরণে কোনো আশ্বাস না পেলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করবেন বলে তারা জানিয়েছেন।
এর আগে প্রশিক্ষণ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রতিবাদ ও চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে গত ৫ ও ৬ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন তারা।
অব্যাহতি পাওয়া এসআইরা বলেন, ‘তখন স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে দেখা করতে যান আমাদের একটি প্রতিনিধি দল। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন সচিব। এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। যে কারণে আমরা সবাই (৩২১ জন) আজ আবার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অব্যাহতি পাওয়া একজন এসআই বলেন, ‘২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর ট্রেনিংয়ে অংশ নিই। আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হয় ২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর। আমাকে বলা হচ্ছে ক্লাসে অমনোযোগী এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী। কিন্তু আমি অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষায় ৮০৪ জনে ১০০ জনের মধ্যে ছিলাম। অমনোযোগী থাকলে তো এমন ফল হওয়ার কথা না।’
আরেকজন বলেন, ‘আমরা এক বছর অনেক ত্যাগ স্বীকার করে প্রায় বিনা বেতনে ট্রেনিং করেছি। যখন চাকরিতে নিয়মিত হওয়ার কথা, তখনই আমাদের বাদ দেওয়া হলো। তুচ্ছ অভিযোগে আমাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পুলিশ একাডেমি সারদার ইতিহাসে একসঙ্গে এত মানুষের অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন।’
পুলিশের ৪০তম ক্যাডেট এসআই ব্যাচে ৮৫৭ জন সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ সূত্র। এর মধ্যে ৮২৩ জন এসআই সদস্য চাকরিতে যোগদান করেন।
আরও পড়ুন: সচিবালয় গেটে পুলিশ-শিক্ষার্থী পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়। প্রশিক্ষণ অবস্থায় ১৯ জন বিভিন্ন কারণে ট্রেনিং থেকে চলে যান। গত বছরের ৪ নভেম্বর এ এসআই ব্যাচের প্রশিক্ষণ শেষ করে পাসিং আউট নিয়ে বিভিন্ন ইউনিটে যোগদানের কথা ছিল। কিন্তু শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে কয়েক দফায় ৩২১ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
যদিও কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলায় জড়িত ছিলেন না বলে দাবি করেন তারা। তবে পুলিশ অ্যাকাডেমি থেকে যদি শৃঙ্খলাজনিত কারণে কাউকে বের করে দেওয়া হয়, তাকে আর নেওয়া হয় না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
গেল ৬ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এটা শুধু আমাদের পুলিশ অ্যাকাডেমি বলে নয়, পৃথিবীর সব জায়গায় একই নিয়ম। আমাদের রাজশাহী সারদা পুলিশ অ্যাকাডেমি পুরো এশিয়ার মধ্যে খুবই নাম করা। তাদের শৃঙ্খলাজনিত কারণে বের করা হয়েছে। এটা যে সত্য তার বড় প্রমাণ হচ্ছে তারা সচিবালয় এসে বিশৃঙ্খলা করছেন।’
৯৪ দিন আগে
হেরোইনকাণ্ডে শেরপুরে ছাত্রদল নেতাকে অব্যাহতি
হেরোইনসহ গ্রেপ্তারের পর শেরপুরের নালিতাবাড়ী শহর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফরিদ আলমকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) নালিতাবাড়ী পৌরশহরের কালিনগর থেকে হেরোইনসহ যৌথবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন ফরিদ আলম।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে হেরোইনের মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বিষয়টি নিশ্চিত করে শেরপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নিয়ামুল হাসান আনন্দ বলেন, ‘আমরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছি এবং কোনো নেশাখোরের জায়গা ছাত্রদলে হবে না।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার পরিত্যক্ত একটি ঘরে মাদক বেচাকেনা চলছে- এমন খবর পেয়ে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি দল। অভিযানে আটক হন ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফরিদ আলমসহ চারজন। তাদের দেহ তল্লাশি করে পাঁচ পুরিয়া হেরোইন জব্দ করা হয়। পরে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
এ ঘটনা জানার পর শনিবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিনের নির্দেশে ফরিদ আলমকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় হেরোইন বিক্রির অপরাধে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন
১২৯ দিন আগে
চাঁদাবাজির মামলা থেকে তারেকসহ ৮ জনকে অব্যাহতি
চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলা থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৮ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্লাহ পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলার দায় থেকে আসামিদের অব্যাহতি দেন।
অপর আসামিরা হলেন- তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ওবায়দুল্লা খন্দকার, কামরুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম শোয়েব বাশুরী ওরফে হাবলু, আজিজুল করিম তারেক ও মনিজুর রহমান ওরফে মানিক।
এর আগে, গত ৫ নভেম্বর তারেক রহমানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি মর্মে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ঢাকা কোতোয়ালি জোনাল টিমের পরিদর্শক মো. সাজ্জাদ হোসেন। ওই প্রতিবেদনের ওপর বুধবার শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল।
চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাদী ২০০৭ সালের ৩০ জুন দরখাস্ত মারফত মামলার এজাহারে বর্ণিত চাঁদার টাকার পরিমাণ ভুল উল্লেখ করে তা সংশোধনের জন্য আবেদন করেন। সর্বশেষ ২০০৯ সালের ৭ মে বাদী নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য একটি হলফনামা সম্পাদন করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, তিনি বিশেষ মহলের চাপে বাধ্য হয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। এজাহারভুক্তদের বিরুদ্ধে তার কোনো অভিযোগ নেই এবং তিনি মামলা পরিচালনা করতে ইচ্ছুক নন।
তদন্তকালে তদন্ত কর্মকর্তা বাদীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বাদী তার হলফনামায় বর্ণিত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, তখনকার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাপে পড়ে তিনি ওই মামলা করেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনসহ অন্যদের তিনি চিনতেন না। এজাহারে বর্ণিত চাঁদাবাজির কোনো ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুন: বিএনপি শহীদদের নামে প্রতিষ্ঠান-স্থাপনার নামকরণ করবে: তারেক
প্রতিবেদনে বলা হয়, এজাহারনামীয় অন্য আসামিরা সবাই নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। তখন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে তারেক রহমানের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে বাদী খায়রুল বাশারকে চাপ প্রয়োগ করে এই মামলা করতে বাধ্য করা হয় মর্মে তদন্তে জানা যায়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৯৯৭ সালে মামলার বাদীর কোম্পানি আব্দুল মোনেম লিমিটেড যমুনা সেতু সংযোগ সড়ক প্রকল্পের আওতায় ২৬৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকার কাজ পায়। কাজটি দুই ভাগে সম্পন্ন করা হয়। ২০০১ সালে ওই কাজের কার্যাদেশ পাওয়ার জন্য চেষ্টাকালে তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনসহ অন্যরা তাদের ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। অন্যথায় কার্যাদেশ পাওয়া যাবে না। বাদীর কোম্পানিকে বাংলাদেশের কোথাও কোনো কাজ করতে দেবে না বলে হত্যার হুমকি দেয়।
পরে বাদী জীবন রক্ষার্থে চাঁদার টাকা কয়েক কিস্তিতে পরিশোধ করতে রাজি হন। ওই বছরের ৩০ অক্টোবর থেকে ২০০২ সালের ১৫ জুন পর্যন্ত কয়েক দফায় মোট ৫ কোটি টাকা চাঁদা বাবদ গিয়াস উদ্দিন আল মামুন বাদীর কোম্পানির প্রধান কার্যালয় থেকে নিয়ে যান। সেতুর দ্বিতীয় দফার কাজের সময় আসামি গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও তার সঙ্গীরা ফের কয়েক দফায় মোট ৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা জোরপূর্বক আদায় করেন।
পরে বাদীর কোম্পানি মৌলভীবাজার জেলায় ফেঞ্চুগঞ্জে সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের কাজ পায়। কার্যাদেশ পাওয়ার পর ২০০৪ সালের ৫ নভেম্বর আসামি গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও তার সহযোগীরা কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে আসেন এবং ভয় দেখিয়ে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) কাছ থেকে কয়েক দফায় ২ কোটি টাকা নিয়ে যান। সব মিলিয়ে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও তার সহযোগীরা নগদ টাকা ও চেকের মাধ্যমে ১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা আব্দুল মোনেম লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় থেকে বলপূর্বক আদায় করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
এ অভিযোগের ভিত্তিতে ২০০৭ সালের ৯ এপ্রিল তারেক রহমানসহ আটজনকে আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলাটি করা হয়।
আরও পড়ুন: দেশ পরিচালনায় সরকারের অযোগ্যতাকে বরদাশত করবে না জনগণ: তারেক
১৪০ দিন আগে
দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
‘বৈষম্যহীনভাবে’ এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের দাবিতে একদল শিক্ষার্থীর বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার।
সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর আবেদনপত্র দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে কটূক্তির মামলায় রাশেদ খানকে অব্যাহতি
তপন কুমার সরকার আবেদনপত্র জমার দেওয়ার বিষয়টি ইউএনবিকে নিশ্চিত করেছেন।
ফলাফল প্রকাশের পর পরীক্ষার সব বিষয়ের ফলাফল বিবেচনায় (বিষয় ম্যাপিং) নিয়ে ‘বৈষম্যহীনভাবে’ এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের দাবিতে রবিবার একদল শিক্ষার্থী ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে বিক্ষোভ–অবরোধ করে।
দিনভর অবরোধের মুখে রাতে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন তপন কুমার সরকার।
আরও পড়ুন: চাঁবিপ্রবির উপাচার্য পদ থেকে নাছিম আখতারকে অব্যাহতি
ডিএসসিসির ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি
১৭৮ দিন আগে
শেখ হাসিনাকে কটূক্তির মামলায় রাশেদ খানকে অব্যাহতি
ফেসবুক লাইভে এসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খানকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলম এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ২০০ কেজি ইলিশ জব্দসহ ২২ জেলে আটক
এদিন এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য তারিখ ধার্য ছিল। তবে কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির হননি। পরে রাশেদের আইনজীবী জাহেদুর রহমান তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল তাকে মামলায় দায় থেকে অব্যাহতি দেন। এর আগে ২০২১ সালের ২২ নভেম্বর আদালত আসামির অব্যাহতির আবেদন করে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৭ জুন রাশেদ খান ‘কোটা সংস্কার চাই’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপ থেকে ভিডিও লাইভে এসে বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে মানহানিকর বক্তব্য ও মিথ্যা তথ্য দেন। এসব মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়িয়ে পড়লে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে- এমন অভিযোগে ওই বছরের ১ জুলাই রাজধানীর শাহবাগ থানায় রাশেদ খানের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। ওই দিনই রাশেদ খানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে দুই দফায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় তাকে। এরপর তদন্ত শেষে রাশেদকে অভিযুক্ত করে ২০২০ সালের ১৩ অক্টোবর অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন
১৭৮ দিন আগে
চাঁবিপ্রবির উপাচার্য পদ থেকে নাছিম আখতারকে অব্যাহতি
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চাঁবিপ্রবি) উপাচার্য পদ থেকে অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম যথাযথভাবে পরিচালনা করতে তাকে অব্যাহতি দিয়ে মূল পদে যোগ দিতে অনুমতি দিয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা তাদের ওয়েবসাইটে উপসচিব মো. শাহীনুর ইসলামের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানায়।
জনস্বার্থে জারি করা এই আদেশের অনুলিপি জ্যেষ্ঠতার ক্রমানুসারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির নতুন উপউপাচার্য অধ্যাপক এনামুল হক
গত জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচি চাঁদপুরে পালনকালে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতার স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে বাধা দেন। একই সঙ্গে তিনি শিক্ষার্থীদের হুমকি-ধামকিও দেন।
এছাড়া ডিবি পুলিশের কাছে অনেক শিক্ষার্থীর নাম-ঠিকানাও দিয়ে অভিযোগ করেন। আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে তিনি চাঁদপুরে বিশ্ববিদ্যালয়টির অস্থায়ী ক্যাম্পাস থেকে চলে যান। পরে ঢাকায় অবস্থান করে সেখান থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিয়ে আসছিলেন বলে শিক্ষকরা জানান।
আরও পড়ুন: পবিপ্রবির নতুন উপাচার্য বাকৃবির অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম
১৯০ দিন আগে
ডিএসসিসির ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
শনিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভিসা অব্যাহতি ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়ে বাংলাদেশ-মিশরের আলোচনা
এতে বলা হয়েছে, তার সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে অভিযোগের দায় থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
এর আগে ১৫ আগস্ট এক প্রজ্ঞাপন জারি করে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: খুনের মামলা থেকে সাংবাদিকদের অব্যাহতি দিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি ডিইউজের অনুরোধ
২২১ দিন আগে
ডিএসএর একটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন জবি শিক্ষার্থী খাদিজা
রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা একটি মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরাকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
অন্যদিকে নিউমার্কেট থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় চার্জ শুনানির জন্য ২৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রবিবার এ দুই মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন দুই মামলায় খাদিজার অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী।
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষার্থী খাদিজার জামিন ৪ মাসের জন্য স্থগিত
শুনানি শেষে কলাবাগান থানার মামলায় অভিযোগ গঠন করার মতো তথ্যপ্রমাণ না থাকায় তাকে অব্যাহতি দেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত।
অন্যদিকে নিউমার্কেট থানার মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ২৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।
খাদিজা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচারসহ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়।
একটি মামলা হয় রাজধানীর কলাবাগান থানায় অন্যটি নিউমার্কেট থানায়। দুটি মামলার বাদী পুলিশ।
২০২২ সালের মে মাসে দুই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
এ অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট মিরপুরের বাসা থেকে খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে নিউমার্কেট থানা-পুলিশ।
দীর্ঘ প্রায় ১৫ মাস কারাভোগের পর গত ২০ নভেম্বর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান খাদিজা।
আরও পড়ুন: ১৪ মাস পর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন জবি ছাত্রী খাদিজা
ডিজিটাল আইনে গ্রেপ্তার জবি শিক্ষার্থী খাদিজার জামিন
৪৪৪ দিন আগে