অব্যাহতি
দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
‘বৈষম্যহীনভাবে’ এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের দাবিতে একদল শিক্ষার্থীর বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার।
সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর আবেদনপত্র দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে কটূক্তির মামলায় রাশেদ খানকে অব্যাহতি
তপন কুমার সরকার আবেদনপত্র জমার দেওয়ার বিষয়টি ইউএনবিকে নিশ্চিত করেছেন।
ফলাফল প্রকাশের পর পরীক্ষার সব বিষয়ের ফলাফল বিবেচনায় (বিষয় ম্যাপিং) নিয়ে ‘বৈষম্যহীনভাবে’ এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের দাবিতে রবিবার একদল শিক্ষার্থী ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে বিক্ষোভ–অবরোধ করে।
দিনভর অবরোধের মুখে রাতে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন তপন কুমার সরকার।
আরও পড়ুন: চাঁবিপ্রবির উপাচার্য পদ থেকে নাছিম আখতারকে অব্যাহতি
ডিএসসিসির ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি
৪ সপ্তাহ আগে
শেখ হাসিনাকে কটূক্তির মামলায় রাশেদ খানকে অব্যাহতি
ফেসবুক লাইভে এসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খানকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলম এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ২০০ কেজি ইলিশ জব্দসহ ২২ জেলে আটক
এদিন এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য তারিখ ধার্য ছিল। তবে কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির হননি। পরে রাশেদের আইনজীবী জাহেদুর রহমান তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল তাকে মামলায় দায় থেকে অব্যাহতি দেন। এর আগে ২০২১ সালের ২২ নভেম্বর আদালত আসামির অব্যাহতির আবেদন করে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৭ জুন রাশেদ খান ‘কোটা সংস্কার চাই’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপ থেকে ভিডিও লাইভে এসে বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে মানহানিকর বক্তব্য ও মিথ্যা তথ্য দেন। এসব মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়িয়ে পড়লে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে- এমন অভিযোগে ওই বছরের ১ জুলাই রাজধানীর শাহবাগ থানায় রাশেদ খানের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। ওই দিনই রাশেদ খানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে দুই দফায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় তাকে। এরপর তদন্ত শেষে রাশেদকে অভিযুক্ত করে ২০২০ সালের ১৩ অক্টোবর অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন
৪ সপ্তাহ আগে
চাঁবিপ্রবির উপাচার্য পদ থেকে নাছিম আখতারকে অব্যাহতি
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চাঁবিপ্রবি) উপাচার্য পদ থেকে অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম যথাযথভাবে পরিচালনা করতে তাকে অব্যাহতি দিয়ে মূল পদে যোগ দিতে অনুমতি দিয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা তাদের ওয়েবসাইটে উপসচিব মো. শাহীনুর ইসলামের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানায়।
জনস্বার্থে জারি করা এই আদেশের অনুলিপি জ্যেষ্ঠতার ক্রমানুসারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির নতুন উপউপাচার্য অধ্যাপক এনামুল হক
গত জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচি চাঁদপুরে পালনকালে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতার স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে বাধা দেন। একই সঙ্গে তিনি শিক্ষার্থীদের হুমকি-ধামকিও দেন।
এছাড়া ডিবি পুলিশের কাছে অনেক শিক্ষার্থীর নাম-ঠিকানাও দিয়ে অভিযোগ করেন। আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে তিনি চাঁদপুরে বিশ্ববিদ্যালয়টির অস্থায়ী ক্যাম্পাস থেকে চলে যান। পরে ঢাকায় অবস্থান করে সেখান থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিয়ে আসছিলেন বলে শিক্ষকরা জানান।
আরও পড়ুন: পবিপ্রবির নতুন উপাচার্য বাকৃবির অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম
১ মাস আগে
ডিএসসিসির ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
শনিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভিসা অব্যাহতি ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়ে বাংলাদেশ-মিশরের আলোচনা
এতে বলা হয়েছে, তার সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে অভিযোগের দায় থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
এর আগে ১৫ আগস্ট এক প্রজ্ঞাপন জারি করে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: খুনের মামলা থেকে সাংবাদিকদের অব্যাহতি দিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি ডিইউজের অনুরোধ
২ মাস আগে
ডিএসএর একটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন জবি শিক্ষার্থী খাদিজা
রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা একটি মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরাকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
অন্যদিকে নিউমার্কেট থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় চার্জ শুনানির জন্য ২৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রবিবার এ দুই মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন দুই মামলায় খাদিজার অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী।
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষার্থী খাদিজার জামিন ৪ মাসের জন্য স্থগিত
শুনানি শেষে কলাবাগান থানার মামলায় অভিযোগ গঠন করার মতো তথ্যপ্রমাণ না থাকায় তাকে অব্যাহতি দেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত।
অন্যদিকে নিউমার্কেট থানার মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ২৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।
খাদিজা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচারসহ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়।
একটি মামলা হয় রাজধানীর কলাবাগান থানায় অন্যটি নিউমার্কেট থানায়। দুটি মামলার বাদী পুলিশ।
২০২২ সালের মে মাসে দুই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
এ অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট মিরপুরের বাসা থেকে খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে নিউমার্কেট থানা-পুলিশ।
দীর্ঘ প্রায় ১৫ মাস কারাভোগের পর গত ২০ নভেম্বর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান খাদিজা।
আরও পড়ুন: ১৪ মাস পর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন জবি ছাত্রী খাদিজা
ডিজিটাল আইনে গ্রেপ্তার জবি শিক্ষার্থী খাদিজার জামিন
৯ মাস আগে
ফিরোজ রশিদ ও সুনীল শুভরায়কে জাতীয় পার্টি থেকে অব্যাহতি
জাতীয় পার্টির (জাপা) কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ ও প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায়কে সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দলের যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের দলীয় গঠনতন্ত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে দুই জ্যেষ্ঠ নেতাকে দলীয় সকল পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করেছেন।
তবে দলের এই দুই হেভিওয়েট নেতাকে কেন অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সিদ্ধান্তটি ইতোমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সংসদে বিরোধী দলে থাকতে চায় জাতীয় পার্টি: জিএম কাদের
সরকার যেখানে যাকে জেতাতে চেয়েছে সে জিতেছে: জিএম কাদের
১০ মাস আগে
স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় গোয়ালন্দ জাপার সভাপতিসহ ২ নেতাকে অব্যাহতি
স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অভিযোগে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা জাতীয় পার্টির (জাপা) সভাপতি হামিদুল হক বাবলু ও জেলা কমিটির যুগ্ম-প্রচার সম্পাদক মো. মনির হোসেনকে দলের সকল পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজবাড়ী সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলা নিয়ে রাজবাড়ী-১ সংসদীয় আসন গঠিত। এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা জাপা সভাপতি আইনজীবী খন্দকার হাবিবুর রহমান বাচ্চু।
দলীয় কার্যালয়ে জরুরি সভায় দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে সর্ব সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত ২৬ ডিসেম্বর হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে সোমবার (১ জানুয়ারি) রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা-১ আসন: সরে দাঁড়ালেন জাপা প্রার্থী
সভাপতি খন্দকার হাবিবুর রহমান বাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক মোকছেদুর রহমান মোমিন ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সই করেছেন।
এতে বলা হয়, রাজবাড়ী-১ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন খন্দকার হাবিবুর রহমান বাচ্চু। দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে তিনি নিয়মিত প্রচার-প্রচারণা চালালেও হামিদুল হক বাবলু ও মো. মনির হোসেনকে পাওয়া যাচ্ছে না। বরং স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী আইনজীবী ইমদাদুল হক বিশ্বাসের পক্ষে তারা নিয়মিত প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন।
যা সম্পূর্ণভাবে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অন্যতম কারণ। তাই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে ২৬ ডিসেম্বর এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে গোয়ালন্দ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হামিদুল হক বাবলু ও জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম-প্রচার সম্পাদক, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেনকে দলের সকল পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একই সঙ্গে গোয়ালন্দ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. লিয়াকত হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। তাদেরকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতির জন্য জাতীয় পার্টির সুপারিশ কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জ-৪ আসন: ব্যারিস্টার সুমনকে আবারও শোকজ
রাজশাহী-৪ আসন: নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৪ নারী কর্মীর হামলার অভিযোগ
১০ মাস আগে
সাঈদীর মৃত্যুতে ফেসবুকে পোস্ট: নওগাঁয় ছাত্রলীগের ১৪ নেতাকে অব্যাহতি
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু করাদণ্ড পাওয়া দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় ১৪ নেতাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে নওগাঁ জেলা ছাত্রলীগ।
সোমবার (২১ আগস্ট) রাত ৯টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির রহমান রেজভী।
আরও পড়ুন: রাঙ্গাকে বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ থেকে অব্যাহতি
এর আগে সন্ধ্যায় নওগাঁ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির রহমান রেজভী ও সাধারণ সম্পাদক আমানুজ্জামান সিউলের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, সংগঠনের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
অব্যাহতি দেওয়া ছাত্রলীগ নেতারা হলেন- নওগাঁর আত্রাই উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফাইজুল ইসলাম ও মাহথির মোহাম্মদ তুফান, সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ ফারুক (বাচ্চু), রায়হান সোবহান (রাসেল), শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, ত্রাণ ও দূযোর্গ বিষয়ক সম্পাদক আইজাক শামীম, সদস্য মিজানুর রহমান এবং শাহাগোলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাব্বির সরদার।
এছাড়াও নওগাঁ সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুমিনুল ইসলাম সাগর, মহাদেবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক রাজিব মণ্ডল, ধামইরহাট উপজেলা ছাত্রলীগের পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক সাজু আহম্মেদ, রাণীনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক হাবিব হাসান, নওগাঁ সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সদস্য রামিম রেজা আকাশ এবং নওগাঁ সদর উপজেলা বর্ষাইল ইউনিয়ন এর ৬নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি আপন হোসেন।
এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির রহমান রেজভী বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে ফেসবুকে পোস্ট করেন তারা।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগের ওই নেতারা সংগঠনের নীতি ও আদর্শের পরিপন্থী কাজ করেছেন। সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুনিয়াকে ধর্ষণ-হত্যা: আনভীরসহ ৮ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ
পেটে গজ রেখে সেলাই: শেবাচিমের চিকিৎসককে 'অব্যাহতি'
১ বছর আগে
নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে অব্যাহতি পেলেন কক্সবাজারের দায়রা জজ
মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে জামিন নামঞ্জুর হওয়া আসামিদের আইনভঙ্গ করে আদেশে মিথ্যা তথ্য লিখে একইদিনে জামিন দেওয়ার ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করায় কক্সবাজারের জেলা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈলকে অব্যাহতি দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে আইন লঙ্ঘন করো জামিন দেওয়া ৯ আসামির জামিন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) এ আদেশ দেন।
আদেশের আগে কক্সবাজারের দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের উদ্দেশে হাইকোর্ট বলেন, ‘বিচারে কেন তাড়াহুড়া করবেন? বিচার তাড়াহুড়া করার বিষয় নয়। যা হয়ে গেল, তা কারও জন্যই কাম্য নয়।’
আরও পড়ুন: আপনি ভুল করেননি, ক্রাইম করেছেন: জেলা জজকে হাইকোর্ট
আজও হাইকোর্টে হাজির হন জেলা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল। তার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ। আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন; সঙ্গে ছিলেন মো. আবুল কাশেম ও আরিফ চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
জমি দখল নিয়ে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগে কক্সবাজারের মিঠাছড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ ভুট্টোসহ নয়জনের বিরুদ্ধে একই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান খোদেস্তা বেগম রিনা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত-১ ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী দ্রুত বিচার আদালতে নালিশি মামলা করেন।
এ মামলায় আসামিরা হাইকোর্টে আগাম জামিন চাইলে হাইকোর্ট ১১ এপ্রিল তাদের ৬ সপ্তাহের জামিন দিয়ে কক্সবাজারের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন।
হাইকোর্টের সেই আদেশ মোতাবেক গত ২১ মে আসামিরা আত্মসমর্পণ করে হাকিম আদালতে জামিন চান। আদালত ৯ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
কিন্তু একই দিন আসামিরা কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। তখন জেলা ও দায়রা জজ তাদের জামিন দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন রিনা।
এই আবেদনের শুনানিকালে গত ২১ জুন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ ব্যাখ্যা জানাতে কক্সবাজারের দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ার আলোচিত সেই জজের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত
আইনজীবী বলেন, ২১ মে দুপুর ১২টার দিকে ৯ আসামি মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন। এর আগেই মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত আদেশের কপি পাননি উল্লেখ করে সকাল ১০টার দিকে আদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা জামিনের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হলফনামাসহ আবেদন করেন।
এক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জামিন নামঞ্জুরের আদেশসহ অন্য কাগজপত্রের প্রত্যায়িত অনুলিপি বা প্রত্যায়িত অনুলিপির ফটোকপি দাখিল করা হয়নি। আসামির হাজতবাসের মেয়াদসহ সার্বিক বিবেচনায় তাদের জামিন মঞ্জুর করা হয়- আদেশে উল্লেখ করেছেন জেলা জজ।
অথচ ৯ আসামি এক মুহূর্তও হাজতে ছিলেন না। শুনানিতে বিষয়গুলো তুলে ধরা হলে জেলা ও দায়রা জজ আসামিদের কীভাবে জামিন দিলেন- এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। মামলার যাবতীয় নথি নিয়ে আসতে বলেন আদালত।
পরে গত ২০ জুলাই আদালতে হাজির হয়ে নিঃর্শত ক্ষমা প্রার্থনা করেন কক্সবাজারের দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল। শুনানি নিয়ে আদালত আজ আদেশের জন্য দিন রাখেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ তাকে ক্ষমা করে জামিন বাতিল প্রশ্নে রুল জারির এ আদেশ হয়।
আদেশের পর আইনজীবী আলতাফ হোসেন বলেন, নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার পর কক্সবাজারের দায়রা জজকে অব্যাহতি দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই মামলায় দায়রা জজের দেওয়া জামিন আদেশ কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন। প্রতিপক্ষকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
শুনানির বিষয়ে জ্যেষ্ঠ এই আইনজীবী বলেন, দায়রা জজ মন থেকে ক্ষমা চেয়েছেন কি না, তা জানতে চান আদালত। তখন দায়রা জজ বলেন, তিনি মন থেকেই ক্ষমা চেয়েছেন। যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা সবার জন্য লজ্জার বলে শুনানিতে মন্তব্য করেন আদালত।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরের জেলা জজকে স্ট্যান্ড রিলিজ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
১ বছর আগে
বনজ কুমারের মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন সাবেক এসপি বাবুল ও তার বাবা
মিতু হত্যা মামলায় মিথ্যা ও অসত্য তথ্য সরবরাহ করা এবং তা প্রচারের অভিযোগে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা মামলায় সাবেক এসপি বাবুল আক্তার ও তার বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়াকে অব্যাহতির আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সকালে শুনানি শেষে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ট্রাইব্যুনাল থেকে ব্যারিস্টার সুমনের পদত্যাগ
এছাড়া মামলার শুরু থেকে পলাতক থাকায় সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন এবং বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবুর বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত।
আগামী ৩১ আগস্ট দুই আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম শামীম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত ৯ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. রবিউল ইসলাম বাবুল আকতার, ইলিয়াস হোসাইনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আসামিদের মধ্যে ইলিয়াস হোসেন পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
১১ মে ঢাকার মহানগর হাকিম আদালত থেকে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেওয়া হয়।
গত বছর ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বাদী বনজ কুমার মজুমদারের পক্ষে ধানমন্ডি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তরের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম।
মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাবুলসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে করা ডিএসএ মামলা সাইবার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের নির্দেশ আদালতের
এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: মামলা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে বদলির নির্দেশ
১ বছর আগে