অব্যাহতি
কুয়েটের উপাচার্যের অব্যাহতি, অনশন ভেঙে শিক্ষার্থীদের আনন্দ মিছিল
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্যের অব্যাহতির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এই ঘোষণা পেয়ে ৫৭ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙে আনন্দ মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাতে কুয়েট জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এরপর বুধবার দিবাগত রাত ১ টার পরে শিক্ষার্থীরা অনশন ভাঙেন।
অব্যাহতির খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ সময় অনশনরত শিক্ষার্থীদের জুস পান করিয়ে অনশন ভাঙান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
আরও পড়ুন: কুয়েট উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে অপসারণ প্রক্রিয়া শুরু
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। আমাদের বিজয় হয়েছে। সত্য কখনো হারে না !ইনকিলাব জিন্দাবাদ। ভিসির পদত্যাগ নয়, পতন হয়েছে।’
পরে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে একটি আনন্দ মিছিল বের করেন।
প্রসঙ্গত, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ হয়। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: কুয়েট শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা: ইউসিজিসি
তবে ১৩ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। পরবর্তীতে ১৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।
এ পরিস্থিতিতে কুয়েটের ৩২ জন শিক্ষার্থী উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে ২২ এপ্রিল থেকে আমরণ অনশনে বসেন।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল পৌনে ১০টার দিকে কুয়েট ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে যান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সি আর আবরার। তবে তার সঙ্গে আলোচনার পরও আমরণ অনশন অব্যাহত রাখেন শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও ভিসির পদত্যাগের দাবি জানান।
তবে চলমান আন্দোলন ও শিক্ষার্থীদের অনশন সত্ত্বেও অধ্যাপক মাছুদ নিজে থেকে পদ ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, ‘ সরকার চাইলে পদ ছাড়ব, নিজে থেকে নয়।’
পরে সরকারের পক্ষ থেকেই তাকে এবং উপ-উপাচার্যকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
আরও পড়ুন: খুলে দেওয়া হলো কুয়েটের আবাসিক হল
বুধবার রাতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কুয়েটের সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনতিবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে।
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে।
২২৫ দিন আগে
শিবির সন্দেহে আটক, তিন বছর পর অব্যাহতি জবির ১১ শিক্ষার্থীর
শিবির সন্দেহে আটকের তিন বছর পরে অব্যাহতি পেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ১১ শিক্ষার্থী। ২০২২ সালে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা এক গায়েবি মামলা থেকে অব্যাহতি পান তারা। এছাড়াও মামলার বাকি ৬৪ জন অভিযুক্তকেও অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) আসামিদের অব্যাহতির এই আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. জাকির হোসেন গালিব।
এর আগে ২০২৪ সালের ২১ অক্টোবর তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালতে আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। পুলিশের দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে অব্যাহতির আদেশ দেন আদালত। আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুর রাজ্জাক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এটি ২০২২ সালের ২৪ শে মার্চ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় গায়েবি মিথ্যা মামলা। কুরআনের তাফসীর পাওয়ায় ছাত্রশিবির সন্দেহে সদ্য ভর্তি হওয়া ১১ শিক্ষার্থী সে সময় গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে শিবিরের সাবেক নেতার উপর দুর্বৃত্তের হামলা
অব্যাহতিপ্রাপ্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হলেন, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের রউসন-উল দেরদৌস ও শাহিন ইসলাম, বাংলা বিভাগের শ্রাবণ ইসলাম রাহাত, ব্যবস্থাপনা বিভাগের ফাহাদ হোসেন, মনোবিজ্ঞান বিভাগের আব্দুর রহমান অলি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ইব্রাহিম আলী, মেহেদী হাসান ও ওবায়দুল, ইতিহাস বিভাগের ইসরাফিল, লোকপ্রশাসন বিভাগের মেহেদী হাসান ও সংগীত বিভাগের আল মামুন রিপন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধের দাবিতে হওয়া মিছিলে অংশগ্রহণ করার অভিযোগে ছাত্রশিবির সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয় এই ১১ জনকে। গেন্ডারিয়ার একটি মেস থেকে ১১ জনকে সে বছরের ২৪ মার্চ দিবাগত রাতে আটক করা হয়। পরে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ (৩) ধারায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষার্থী রউশন উল ফেরদৌস বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ঢাকায় আসার পরপরই আমি গ্রেপ্তার হই। আমার জীবন থেকে একটা বছর শেষ হয়ে গেছে এই মিথ্যা মামলায়। আমার গ্রেপ্তারের খবর শুনে আমার বাবা হার্ট অ্যাটাক করেন। আমি পড়াশোনাসহ বন্ধু-বান্ধব সবই হারিয়েছি।’
আরেক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শাহীন ইসলাম বলেন, ‘আমি ঢাকায় এসেছি ২০২২ এর পহেলা মার্চ। আমাকে গ্রেপ্তার করা হয় ২৪ মার্চ। মাত্র ২৪ দিনের মাথায় আমাকে গ্রেপ্তার করা হয় কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়া। বিশ্ববিদ্যালয় আমাদেরকে সাময়িক বহিষ্কার করে। ঢাকায় আসার একমাস পূর্ণ না হয়েও এক বছর আগের মামলায় আমাদের আসামি হিসেবে দেখানো হয়। মামলা সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং মিথ্যা আমাদের পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছিল।’
২২৬ দিন আগে
পরীক্ষার্থীদের অসদুপায় অবলম্বনে সহযোগিতা, কেন্দ্র সচিবসহ ২১ শিক্ষককে অব্যাহতি
চলমান দাখিল পরীক্ষায় দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও পরীক্ষার্থীদের অসদুপায় অবলম্বনে সহযোগিতার অভিযোগে গাইবান্ধায় একটি পরীক্ষাকেন্দ্রের সচিব ও ২১ শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহমুদ আল হাসান সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) গাইবান্ধা সিদ্দিকিয়া কামিল মাদরাসা কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষার গণিত বিষয়ের পরীক্ষা চলছিল। কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, ১৪টি কক্ষে একই সেট কোডে পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি বসিয়ে এমসিকিউ (বহু নির্বাচনি) পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ ও কেন্দ্রসচিব শরীফ মো. আবু ইউসুফসহ পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা ২১ জন শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া উত্তরপত্র যাচাই করে ৪৭ জন পরীক্ষার্থীর বহু নির্বাচনি পরীক্ষার উত্তরপত্র পুনরায় তাদের নির্ধারিত সেট কোডে পূরণ করানো হয়েছে।’এ বিষয়ে কেন্দ্রসচিব শরীফ মো. আবু ইউসুফ বলেন, ‘কেন্দ্রসচিব হিসেবে সব কক্ষে খবর রাখা সম্ভব হয় না। শিক্ষকদের গাফিলাতির কারণে এমনটি হয়েছে। তারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন।’
২৩০ দিন আগে
ছাত্রলীগ নেতার মামলা থেকে ২ সাংবাদিককে অব্যাহতি
সাভারের আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগ সভাপতির সাজানো মামলা থেকে দুই সাংবাদিককে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২ মার্চ) ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক বেগম ইসরাত জাহান মুন্নি এই আদেশ দেন।
এদিন সাংবাদিকদের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আল মামুন রাসেল।
মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়া দুই সাংবাদিক হলেন— তৃতীয় মাত্রা পত্রিকার সাভার প্রতিনিধি সোহেল রানা ও দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের জাহিন রিয়াজ।
আরও পড়ুন: চাঁদা না পেয়ে হকারকে ‘অপহরণ’, যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
আইনজীবী আল মামুন রাসে বলেন, ‘সোহেল ও রিয়াজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনো তথ্য ও প্রমাণ উপস্থিত না করতে পারায় আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সামিউল আলম শামীমের করা সাজানো মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।’
তিনি বলেন, ‘কোনো ধরনের দালিলিক প্রমাণ ছাড়াই শুধু অনুমানের ওপর ভিত্তি করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা একতরফা রিপোর্ট প্রদান করেছিলেন। প্রকৃত সত্য হলো, সংবাদ প্রকাশের কারণেই দুই সাংবাদিককে জড়িয়ে মামলা দেওয়া হয়েছিল।’
২৭৭ দিন আগে
অবিলম্বে ভ্যাট অব্যাহতি পুনর্বহালের দাবি প্লাস্টিক জুতা তৈরি সমিতির
প্লাস্টিক ও রাবারের তৈরি হাওয়াই চপ্পল ও প্লাস্টিক পাদুকা (১৫০ টাকা মূল্য সীমা পর্যন্ত) উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি পুনর্বহালের জন্য সরকারের কাছে আবারও দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পাদুকা প্রস্তুতকারক সমিতি।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে সমিতির নেতারা এ দাবি জানান। একই দাবিতে সমিতির নেতারা আজ অর্থ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপিও দিয়েছেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল কুদ্দুস (রানা), সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. রেজাউল করিম, সহ-সভাপতি আশরাফ উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান রহমান (সাজু), সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন পাদুকা প্রতিষ্ঠানের মালিক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা।
সমিতির নেতারা বলেন, আগের ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা বাতিল করে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি পাদুকা শিল্প মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। দাবি পূরণ না হলে শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট ও চূড়ান্তভাবে কারখানা বন্ধের মতো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
তারা বলেন, ইতোমধ্যে সরকারের কাছে তারা অতিসত্ত্বর ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। এ দাবি পূরণ হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি চলতে থাকবে।
আরও পড়ুন: জুলাই অভ্যুত্থান: আহতদের চিকিৎসায় আগত বিদেশি চিকিৎসকদের ভ্যাট অব্যাহতি
মানববন্ধনে সংগঠনের নেতারা বলেন, আমরা ভ্যাট আইন মানি, তবে তা অবশ্যই দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বার্থ বিবেচনা করে বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাই, এই ধরনের সিদ্ধান্ত দ্রুত প্রত্যাহার করে দেশের পাদুকা শিল্প ও সাধারণ জনগণের স্বার্থ রক্ষা করুন।
তারা আরও বলেন, জুলাই-আগষ্ট অভ্যুত্থানের বা বিল্পবের ফসল কি তাহলে দরিদ্র শ্রেণির ওপর ভ্যাট আরোপ? আইএমএফের চাপে যে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে, তা গরীবদের উপর কেনো?
২৯৮ দিন আগে
ফের সচিবালয়ের সামনে অব্যাহতি পাওয়া এসআইদের অবস্থান
চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে ফের সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন পুলিশের ৪০তম ব্যাচের অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষানবিস উপ-পরিদর্শকরা (এসআই)। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টার পর থেকে আব্দুল গনি রোডে সচিবালয়ের এক ও দুই নম্বর গেটের বিপরীতে অবস্থান নেন তারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে তারা দাঁড়িয়ে আছেন। দাবি পূরণে কোনো আশ্বাস না পেলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করবেন বলে তারা জানিয়েছেন।
এর আগে প্রশিক্ষণ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রতিবাদ ও চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে গত ৫ ও ৬ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন তারা।
অব্যাহতি পাওয়া এসআইরা বলেন, ‘তখন স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে দেখা করতে যান আমাদের একটি প্রতিনিধি দল। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন সচিব। এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। যে কারণে আমরা সবাই (৩২১ জন) আজ আবার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অব্যাহতি পাওয়া একজন এসআই বলেন, ‘২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর ট্রেনিংয়ে অংশ নিই। আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হয় ২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর। আমাকে বলা হচ্ছে ক্লাসে অমনোযোগী এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী। কিন্তু আমি অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষায় ৮০৪ জনে ১০০ জনের মধ্যে ছিলাম। অমনোযোগী থাকলে তো এমন ফল হওয়ার কথা না।’
আরেকজন বলেন, ‘আমরা এক বছর অনেক ত্যাগ স্বীকার করে প্রায় বিনা বেতনে ট্রেনিং করেছি। যখন চাকরিতে নিয়মিত হওয়ার কথা, তখনই আমাদের বাদ দেওয়া হলো। তুচ্ছ অভিযোগে আমাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পুলিশ একাডেমি সারদার ইতিহাসে একসঙ্গে এত মানুষের অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন।’
পুলিশের ৪০তম ক্যাডেট এসআই ব্যাচে ৮৫৭ জন সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ সূত্র। এর মধ্যে ৮২৩ জন এসআই সদস্য চাকরিতে যোগদান করেন।
আরও পড়ুন: সচিবালয় গেটে পুলিশ-শিক্ষার্থী পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়। প্রশিক্ষণ অবস্থায় ১৯ জন বিভিন্ন কারণে ট্রেনিং থেকে চলে যান। গত বছরের ৪ নভেম্বর এ এসআই ব্যাচের প্রশিক্ষণ শেষ করে পাসিং আউট নিয়ে বিভিন্ন ইউনিটে যোগদানের কথা ছিল। কিন্তু শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে কয়েক দফায় ৩২১ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
যদিও কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলায় জড়িত ছিলেন না বলে দাবি করেন তারা। তবে পুলিশ অ্যাকাডেমি থেকে যদি শৃঙ্খলাজনিত কারণে কাউকে বের করে দেওয়া হয়, তাকে আর নেওয়া হয় না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
গেল ৬ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এটা শুধু আমাদের পুলিশ অ্যাকাডেমি বলে নয়, পৃথিবীর সব জায়গায় একই নিয়ম। আমাদের রাজশাহী সারদা পুলিশ অ্যাকাডেমি পুরো এশিয়ার মধ্যে খুবই নাম করা। তাদের শৃঙ্খলাজনিত কারণে বের করা হয়েছে। এটা যে সত্য তার বড় প্রমাণ হচ্ছে তারা সচিবালয় এসে বিশৃঙ্খলা করছেন।’
৩২৬ দিন আগে
হেরোইনকাণ্ডে শেরপুরে ছাত্রদল নেতাকে অব্যাহতি
হেরোইনসহ গ্রেপ্তারের পর শেরপুরের নালিতাবাড়ী শহর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফরিদ আলমকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) নালিতাবাড়ী পৌরশহরের কালিনগর থেকে হেরোইনসহ যৌথবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন ফরিদ আলম।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে হেরোইনের মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বিষয়টি নিশ্চিত করে শেরপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নিয়ামুল হাসান আনন্দ বলেন, ‘আমরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছি এবং কোনো নেশাখোরের জায়গা ছাত্রদলে হবে না।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার পরিত্যক্ত একটি ঘরে মাদক বেচাকেনা চলছে- এমন খবর পেয়ে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি দল। অভিযানে আটক হন ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফরিদ আলমসহ চারজন। তাদের দেহ তল্লাশি করে পাঁচ পুরিয়া হেরোইন জব্দ করা হয়। পরে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
এ ঘটনা জানার পর শনিবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিনের নির্দেশে ফরিদ আলমকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় হেরোইন বিক্রির অপরাধে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন
৩৬১ দিন আগে
চাঁদাবাজির মামলা থেকে তারেকসহ ৮ জনকে অব্যাহতি
চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলা থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৮ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্লাহ পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলার দায় থেকে আসামিদের অব্যাহতি দেন।
অপর আসামিরা হলেন- তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ওবায়দুল্লা খন্দকার, কামরুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম শোয়েব বাশুরী ওরফে হাবলু, আজিজুল করিম তারেক ও মনিজুর রহমান ওরফে মানিক।
এর আগে, গত ৫ নভেম্বর তারেক রহমানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি মর্মে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ঢাকা কোতোয়ালি জোনাল টিমের পরিদর্শক মো. সাজ্জাদ হোসেন। ওই প্রতিবেদনের ওপর বুধবার শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল।
চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাদী ২০০৭ সালের ৩০ জুন দরখাস্ত মারফত মামলার এজাহারে বর্ণিত চাঁদার টাকার পরিমাণ ভুল উল্লেখ করে তা সংশোধনের জন্য আবেদন করেন। সর্বশেষ ২০০৯ সালের ৭ মে বাদী নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য একটি হলফনামা সম্পাদন করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, তিনি বিশেষ মহলের চাপে বাধ্য হয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। এজাহারভুক্তদের বিরুদ্ধে তার কোনো অভিযোগ নেই এবং তিনি মামলা পরিচালনা করতে ইচ্ছুক নন।
তদন্তকালে তদন্ত কর্মকর্তা বাদীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বাদী তার হলফনামায় বর্ণিত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, তখনকার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাপে পড়ে তিনি ওই মামলা করেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনসহ অন্যদের তিনি চিনতেন না। এজাহারে বর্ণিত চাঁদাবাজির কোনো ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুন: বিএনপি শহীদদের নামে প্রতিষ্ঠান-স্থাপনার নামকরণ করবে: তারেক
প্রতিবেদনে বলা হয়, এজাহারনামীয় অন্য আসামিরা সবাই নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। তখন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে তারেক রহমানের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে বাদী খায়রুল বাশারকে চাপ প্রয়োগ করে এই মামলা করতে বাধ্য করা হয় মর্মে তদন্তে জানা যায়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৯৯৭ সালে মামলার বাদীর কোম্পানি আব্দুল মোনেম লিমিটেড যমুনা সেতু সংযোগ সড়ক প্রকল্পের আওতায় ২৬৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকার কাজ পায়। কাজটি দুই ভাগে সম্পন্ন করা হয়। ২০০১ সালে ওই কাজের কার্যাদেশ পাওয়ার জন্য চেষ্টাকালে তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনসহ অন্যরা তাদের ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। অন্যথায় কার্যাদেশ পাওয়া যাবে না। বাদীর কোম্পানিকে বাংলাদেশের কোথাও কোনো কাজ করতে দেবে না বলে হত্যার হুমকি দেয়।
পরে বাদী জীবন রক্ষার্থে চাঁদার টাকা কয়েক কিস্তিতে পরিশোধ করতে রাজি হন। ওই বছরের ৩০ অক্টোবর থেকে ২০০২ সালের ১৫ জুন পর্যন্ত কয়েক দফায় মোট ৫ কোটি টাকা চাঁদা বাবদ গিয়াস উদ্দিন আল মামুন বাদীর কোম্পানির প্রধান কার্যালয় থেকে নিয়ে যান। সেতুর দ্বিতীয় দফার কাজের সময় আসামি গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও তার সঙ্গীরা ফের কয়েক দফায় মোট ৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা জোরপূর্বক আদায় করেন।
পরে বাদীর কোম্পানি মৌলভীবাজার জেলায় ফেঞ্চুগঞ্জে সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের কাজ পায়। কার্যাদেশ পাওয়ার পর ২০০৪ সালের ৫ নভেম্বর আসামি গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও তার সহযোগীরা কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে আসেন এবং ভয় দেখিয়ে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) কাছ থেকে কয়েক দফায় ২ কোটি টাকা নিয়ে যান। সব মিলিয়ে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও তার সহযোগীরা নগদ টাকা ও চেকের মাধ্যমে ১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা আব্দুল মোনেম লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় থেকে বলপূর্বক আদায় করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
এ অভিযোগের ভিত্তিতে ২০০৭ সালের ৯ এপ্রিল তারেক রহমানসহ আটজনকে আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলাটি করা হয়।
আরও পড়ুন: দেশ পরিচালনায় সরকারের অযোগ্যতাকে বরদাশত করবে না জনগণ: তারেক
৩৭২ দিন আগে
দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
‘বৈষম্যহীনভাবে’ এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের দাবিতে একদল শিক্ষার্থীর বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার।
সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর আবেদনপত্র দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে কটূক্তির মামলায় রাশেদ খানকে অব্যাহতি
তপন কুমার সরকার আবেদনপত্র জমার দেওয়ার বিষয়টি ইউএনবিকে নিশ্চিত করেছেন।
ফলাফল প্রকাশের পর পরীক্ষার সব বিষয়ের ফলাফল বিবেচনায় (বিষয় ম্যাপিং) নিয়ে ‘বৈষম্যহীনভাবে’ এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের দাবিতে রবিবার একদল শিক্ষার্থী ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে বিক্ষোভ–অবরোধ করে।
দিনভর অবরোধের মুখে রাতে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন তপন কুমার সরকার।
আরও পড়ুন: চাঁবিপ্রবির উপাচার্য পদ থেকে নাছিম আখতারকে অব্যাহতি
ডিএসসিসির ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি
৪০৯ দিন আগে
শেখ হাসিনাকে কটূক্তির মামলায় রাশেদ খানকে অব্যাহতি
ফেসবুক লাইভে এসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খানকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলম এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ২০০ কেজি ইলিশ জব্দসহ ২২ জেলে আটক
এদিন এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য তারিখ ধার্য ছিল। তবে কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির হননি। পরে রাশেদের আইনজীবী জাহেদুর রহমান তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল তাকে মামলায় দায় থেকে অব্যাহতি দেন। এর আগে ২০২১ সালের ২২ নভেম্বর আদালত আসামির অব্যাহতির আবেদন করে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৭ জুন রাশেদ খান ‘কোটা সংস্কার চাই’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপ থেকে ভিডিও লাইভে এসে বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে মানহানিকর বক্তব্য ও মিথ্যা তথ্য দেন। এসব মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়িয়ে পড়লে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে- এমন অভিযোগে ওই বছরের ১ জুলাই রাজধানীর শাহবাগ থানায় রাশেদ খানের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। ওই দিনই রাশেদ খানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে দুই দফায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় তাকে। এরপর তদন্ত শেষে রাশেদকে অভিযুক্ত করে ২০২০ সালের ১৩ অক্টোবর অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন
৪১০ দিন আগে