মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট
পরীমণির রিমান্ড: নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন দুই বিচারক
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণির দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়ে ঢাকার দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। ভবিষ্যতে রিমান্ড মঞ্জুরের ক্ষেত্রে তাঁরা সতর্ক থাকবেন বলে আদালতের কাছে অঙ্গীকার করেছেন।
রবিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে দুই ম্যাজিস্ট্রেটের আইনজীবী ইতিপূর্বে দেয়া লিখিত ব্যাখ্যা পড়ে শোনান। আদালত শুনানি নিয়ে আগামী ২৫ নভেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন। পাশাপাশি মাদক মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তাফাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
দুই বিচারকের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল আলীম মিয়া জুয়েল, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে জেড আই খান পান্না, পরীমণির পক্ষে মজিবুর রহমান ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এ এম আমিন উদ্দিন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান।
ক্ষমা প্রার্থনাকারী দুই বিচারক হলেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম। দেবব্রত বিশ্বাস দ্বিতীয় দফায় পরীমণির দুই দিন এবং আতিকুল ইসলাম তৃতীয় দফায় এক দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।
আরও পড়ুন: পরীমণি চারদিনের রিমান্ডে
গত ৪ আগস্ট পরীমণিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. মজিবর রহমান। গত ৫ আগস্ট পরীমণি ও তার সহকর্মী আশরাফুল ইসলাম দীপুর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ। পরে দ্বিতীয় দফায় গত ১০ আগস্ট পরীমণি ও দীপুর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস। এরপর তৃতীয় দফায় গত ১৯ আগস্ট পরীমণির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম।
এ মামলায় জামিন আবেদনের শুনানির দিন দেরিতে নির্ধারণ করা নিয়ে জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে গত ২১ আগস্ট হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন পরীমণি। এই আবেদনের শুনানি করে গত ২৬ আগস্ট হাইকোর্ট পরীমণির জামিন আবেদন আদেশ পাওয়ার দুই দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে রুল জারি করেন। এছাড়া পরীমণির জামিন আবেদন শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করেন। হাইকোর্টের এই রুল জারির পর গত ৩১ আগস্ট পরীমণিকে জামিন দেন বিচারিক আদালত।
অন্যদিকে হাইকোর্টে পরীমণির আবেদনের শুনানিতে তাঁকে দফায় দফায় রিমান্ডে নেয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। গত ২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ড মঞ্জুরের ব্যাপারে দুই বিচারকের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা চান। দুই বিচারক ব্যাখ্যা দেন, যা ১৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হয়। তবে প্রথম দফায় তাঁদের দেয়া ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হয়ে আবারও লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলেন হাইকোর্ট। পরে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে ও ভবিষ্যতে সতর্ক থাকার অঙ্গীকার করে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করেন দুই ম্যাজিস্ট্রেট।
আরও পড়ুন: পরীমণি জেলে, জামিন নাকচ
নায়িকা পরীমণি আটক, মাদক উদ্ধার
পরীমনি: নাসির উদ্দিন সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মাদক মামলা
৩ বছর আগে
পরীমণির রিমান্ড: ব্যাখ্যা দিতে এক সপ্তাহ সময় পেলেন ২ বিচারক
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণির দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুর বিষয়ে ঢাকার দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাদের ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য আবারও এক সপ্তাহ সময় পেয়েছেন। তাদের সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের বেঞ্চ রবিবার এ আদেশ দেন। তবে পরীমণির মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাজী গোলাম মোস্তাফা ইতোমধ্যে আদালতে লিখিত ব্যাখ্যা জমা দিয়েছেন।
লিখিত ব্যাখ্যা জমা দেয়ার জন্য দুই বিচারকের পক্ষে আদালতে সময় চেয়ে আবেদন জানান আইনজীবী আবদুল আলীম মিয়া জুয়েল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান।
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট পরীমণির দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুর বিষয়ে ঢাকার দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে আবারও ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেন।
যে দুই বিচারককে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয় তারা হলেন-ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম। এ ছাড়াও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাজী গোলাম মোস্তাফাকে ধার্য তারিখের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: পরীমণি চারদিনের রিমান্ডে
গত ৪ আগস্ট পরীমণিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. মজিবর রহমান। গত ৫ আগস্ট পরীমণি ও তার সহকর্মী আশরাফুল ইসলাম দীপুর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ। পরে দ্বিতীয় দফায় গত ১০ আগস্ট পরীমণি ও দীপুর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস। এরপর তৃতীয় দফায় গত ১৯ আগস্ট পরীমণির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম।
পরে গত ২৯ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের রায় না মেনে মাদক মামলায় আটক চিত্রনায়িকা পরীমণিকে বারবার রিমান্ডে নেওয়ার বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের স্বতঃপ্রণোদিত আদেশ প্রার্থনা করে একটি আবেদন করা হয়। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও শালিস কেন্দ্রের (আসক) পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন এ আবেদন জানান। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর পরীমণিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ড মঞ্জুরকারী বিচারকদের ব্যাখ্যা দাখিল করতে নির্দেশ দিয়ে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট।
এরপর পরীমণির দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুরের কারণ উল্লেখ করে এর আগে দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলামের দেয়া ব্যাখ্যা গত ১৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু তাঁদের দেয়া ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হননি হাইকোর্ট। সেদিন শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ২৯ সেপ্টেম্বর পরবর্তী আদেশের জন্য তারিখ দেন। পরে হাইকোর্ট ২৯ সেপ্টেম্বর দুই বিচারককে ২৪ অক্টোবরের মধ্যে যথাযথভাবে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলেন।
আরও পড়ুন: পরীমণি জেলে, জামিন নাকচ
পরীমণির রিমান্ড নিয়ে দুই বিচারককে আবার ব্যাখ্যা দিতে হবে
৩ বছর আগে