মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণির দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুর বিষয়ে ঢাকার দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাদের ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য আবারও এক সপ্তাহ সময় পেয়েছেন। তাদের সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের বেঞ্চ রবিবার এ আদেশ দেন। তবে পরীমণির মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাজী গোলাম মোস্তাফা ইতোমধ্যে আদালতে লিখিত ব্যাখ্যা জমা দিয়েছেন।
লিখিত ব্যাখ্যা জমা দেয়ার জন্য দুই বিচারকের পক্ষে আদালতে সময় চেয়ে আবেদন জানান আইনজীবী আবদুল আলীম মিয়া জুয়েল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান।
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট পরীমণির দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুর বিষয়ে ঢাকার দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে আবারও ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেন।
যে দুই বিচারককে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয় তারা হলেন-ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম। এ ছাড়াও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাজী গোলাম মোস্তাফাকে ধার্য তারিখের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: পরীমণি চারদিনের রিমান্ডে
গত ৪ আগস্ট পরীমণিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. মজিবর রহমান। গত ৫ আগস্ট পরীমণি ও তার সহকর্মী আশরাফুল ইসলাম দীপুর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ। পরে দ্বিতীয় দফায় গত ১০ আগস্ট পরীমণি ও দীপুর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস। এরপর তৃতীয় দফায় গত ১৯ আগস্ট পরীমণির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম।
পরে গত ২৯ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের রায় না মেনে মাদক মামলায় আটক চিত্রনায়িকা পরীমণিকে বারবার রিমান্ডে নেওয়ার বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের স্বতঃপ্রণোদিত আদেশ প্রার্থনা করে একটি আবেদন করা হয়। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও শালিস কেন্দ্রের (আসক) পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন এ আবেদন জানান। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর পরীমণিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ড মঞ্জুরকারী বিচারকদের ব্যাখ্যা দাখিল করতে নির্দেশ দিয়ে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট।
এরপর পরীমণির দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুরের কারণ উল্লেখ করে এর আগে দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলামের দেয়া ব্যাখ্যা গত ১৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু তাঁদের দেয়া ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হননি হাইকোর্ট। সেদিন শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ২৯ সেপ্টেম্বর পরবর্তী আদেশের জন্য তারিখ দেন। পরে হাইকোর্ট ২৯ সেপ্টেম্বর দুই বিচারককে ২৪ অক্টোবরের মধ্যে যথাযথভাবে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলেন।
আরও পড়ুন: পরীমণি জেলে, জামিন নাকচ
পরীমণির রিমান্ড নিয়ে দুই বিচারককে আবার ব্যাখ্যা দিতে হবে