সুদান
সুদানে চলমান সংঘাতে ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতা যুদ্ধাপরাধের শামিল হতে পারে: জাতিসংঘের প্রতিবেদন
সুদানে চলমান সংঘাতে শিশুসহ অসংখ্য লোক ধর্ষণ এবং বিভিন্নভাবে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে, যা যুদ্ধাপরাধের সমান হতে পারে বলে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের নতুন এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে সুদানের রাজধানী খার্তুমে জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ বুরহানের নেতৃত্বাধীন দেশটির সামরিক বাহিনী এবং জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালোর নেতৃত্বে র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস নামে পরিচিত আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য সময়টা ভালো নয়: জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফ্রিকার দেশটিতে বিশেষত শহরাঞ্চল এবং গোলযোগপূর্ণ পশ্চিমাঞ্চলীয় দারফুর অঞ্চলেও এই লড়াই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এতে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১২ হাজার মানুষ নিহত এবং ৮০ লাখেরও বেশি লোক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
লড়াইয়ের শুরু থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের ঘটনাগুলো ওই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। সম্প্রতি সাহায্যদাতা গোষ্ঠী ও অধিকার পর্যবেক্ষকরা অনেকাংশে ঢুকতে পারছেন না, এমন কিছু স্থানের নির্যাতনের নথিতুলে ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে গাজা ও ইউক্রেনের মতো জায়গায় যুদ্ধের কারণে এ সংঘাতের প্রভাব অনেকটা ঢাকা পড়ে গেছে বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তত ১১৮ জন ধর্ষণসহ যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন – যার বেশিরভাগই বাড়িতে ও রাস্তায় আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যদের মাধ্যমে সংঘটিত হয়েছে।
জাতিসংঘ বলছে, এক নারীকে একটি ভবনে আটকে রাখা হয় এবং ৩৫ দিন ধরে তাকে বারবার সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়।
উভয় পক্ষের মধ্যেই শিশু সৈনিক নিয়োগ করা হয়েছে বলেও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে ওই প্রতিবিদেনে।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের দ্রুত, পুঙ্খানুপুঙ্খ ও স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান ভোলকার টার্ক বলেন, ‘এসব লঙ্ঘনের কিছু ঘটনা যুদ্ধাপরাধের শামিল।’
এই প্রতিবেদন ৩০০ জনেরও বেশি ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষাৎকারের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ইথিওপিয়া ও চাদে অনেক সুদানি পালিয়ে গেছে। সেখান থেকেও কিছুটা সংগ্রহ করা হয়েছে। পাশাপাশি সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলগুলোর ফটোগ্রাফ, ভিডিও ও উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করার লক্ষ্য রয়েছে বাংলাদেশের: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
গত সপ্তাহে দেশটির উত্তর কোরদোফান রাজ্য থেকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর বরাত দিয়ে জাতিসংঘ জানিয়েছে, সুদানের সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম পরা ব্যক্তিরা প্রতিদ্বন্দ্বী আধাসামরিক গোষ্ঠীর সদস্যদের বিচ্ছিন্ন মাথা বহন করছে।
টার্ক বলেন, ‘প্রায় এক বছর ধরে সুদান থেকে মৃত্যু, দুর্ভোগ ও হতাশার বিবরণ বেরিয়ে আসছিল। অর্থহীন সংঘাত, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে যার কোনো শেষ নেই।’
তিনি বলেন, ‘বন্দুক বন্ধ করতে হবে এবং বেসামরিক নাগরিকদের অবশ্যই রক্ষা করতে হবে।’
শুক্রবার জেনেভায় জাতিসংঘের ব্রিফিংয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কেনিয়ার নাইরোবি থেকে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের আঞ্চলিক মুখপাত্র সাইফ মাগানগো বলেন, '(সুদানে) বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা এখন ৮০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে, যা সবার জন্য উদ্বেগের বিষয় হওয়া উচিত।’
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সাংবাদিকদের বলেন, সুদানের সংঘাতের কোনো সামরিক সমাধান নেই। তিনি জোর দিয়ে বলেন, অব্যাহত লড়াই কোনো সমাধান বয়ে আনবে না, ‘তাই আমাদের অবশ্যই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি বন্ধ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি ভূমি দখলের বিষয়ে ইসরাইলের শুনানি শুরু জাতিসংঘের শীর্ষ আদালতে
সুদানের খার্তুমের বাজারে ড্রোন হামলায় ৪০ জন নিহত
সুদানের রাজধানী খার্তুমের একটি বাজারে সেনাবাহিনীর ড্রোন অভিযানে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৪০ জন। রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) ওই হামলায় আরও ৭০ জন গুরুতর আহত হয়েছে।
সুদানের নিয়ন্ত্রণের জন্য দেশটির সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) যুদ্ধের মধ্যে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
ভারতের গণমাধ্যম এএনআইয়ের এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার বরাতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্ববাসীর মূল্যায়ন: অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন ইস্যুতে ফোকাস করতে জি২০’র প্রতি আহ্বান
বাশাইর ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের প্রতিরোধ কমিটি ও দুই স্বাস্থ্যকর্মী জানিয়েছেন, খার্তুমের মায়ো এলাকায় অন্তত ৭০ জন আহত হয়েছেন।
আল জাজিরা জানিয়েছে, ড্রোন হামলাটি সুদানের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে চালানো হয়েছে। তবে নিহতদের সবাই বেসামরিক নাগরিক কি না তা স্পষ্ট না। আহতদের জন্য চিকিৎসা সহায়তার জরুরি প্রয়োজন।
প্রতিরোধ কমিটি ও বাশাইর ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের দুই স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের মতে, আহতদের অনেকের অঙ্গচ্ছেদের প্রয়োজন হবে।
এ বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফুটেজ পোস্ট করেছে প্রতিরোধ কমিটি। এতে দেখা যাচ্ছে যে হাসপাতালের একটি খোলা উঠানে সাদা চাদরে লাশগুলো মোড়ানো।
আল জাজিরা জানিয়েছে, সুদানের যুদ্ধে উভয় পক্ষের নির্বিচারে গোলাবর্ষণ এবং বিমান হামলা সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছে। যা বৃহত্তর খার্তুম এলাকাকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করেছে।
আল জাজিরার মতে, সংঘাতের পাঁচ মাস পরও আরএসএফ ও সুদানের সেনাবাহিনীর মধ্যে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি।
এদিকে সুদানের সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান জোর দিয়ে বলেন, সেনাবাহিনী জেদ্দা ফোরামসহ বিভিন্ন উদ্যোগকে স্বাগত জানায় কিন্তু কোনো অগ্রহণযোগ্য হস্তক্ষেপের অনুমতি দেবে না।
আল জাজিরা জানিয়েছে, আল-বুরহানের নেতৃত্বে সুদানের সামরিক বাহিনী এবং জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালোর নেতৃত্বে আরএসএফ- এর মধ্যকার উত্তেজনা প্রকাশ্য লড়াইয়ে পরিণত হওয়ায় সুদান এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে সহিংস হামলার সাক্ষী হয়ে আসছে।
সিএনএন অনুযায়ী গত মাসে জাতিসংঘ সুদানে গৃহযুদ্ধ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে যে এটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। কারণ এপ্রিল থেকে প্রতিবেশী দেশগুলোতে এক মিলিয়নেরও বেশি মানুষ দেশ ছেড়ে চলে গেছে। দুই দলের লড়াই দেশটিকে একটি যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করেছে।
এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে, সুদানের সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই শুরু হয়। এর ফলে পূর্ব আফ্রিকার দেশটি থেকে বিপুল সংখ্যক শরণার্থী পালিয়ে যায়। এদিকে মিলিশিয়া জোটের বিরুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা, বাড়িঘর লুটপাট এবং জাতিগত নির্মূলের অভিযোগে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সিএনএন জানিয়েছে, যুদ্ধের চার মাস ধরে যৌন নিপীড়নসহ লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার ঘটনাগুলো ৫০ শতাংশ বেড়েছে।
জাতিসংঘের মতে অপর্যাপ্ত সাহায্য, বিদ্যুৎ ঘাটতি ও যুদ্ধের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হাসপাতালগুলোর কারণে ইতোমধ্যেই ভঙ্গুর স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উপর চাপ তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মরক্কোয় শক্তিশালী ভূমিকম্পে ২ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত, মারাকেচে ঐতিহাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত
আফ্রিকান ইউনিয়ন জি২০-তে যোগ দিচ্ছে
যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদান থেকে দেশে ফিরছেন আরও বাংলাদেশি
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, সরকারের উদ্ধার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আগামী সপ্তাহের শুরুতে যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদান থেকে আরও ১০০ বা তার বেশি বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরে আসবেন।
মঙ্গলবার প্রতিমন্ত্রী একটি ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, প্রথম ধাপে সুদানে আটকে থাকা ৮০ জন বাংলাদেশিকে ৩০ জুন সুদানের বদর এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে দোহায় নিয়ে যাওয়া হবে। কারণ এই মুহূর্তে সুদান থেকে জেদ্দা যাওয়ার কোনো ফ্লাইট নেই।
পরে তারা ১ জুলাই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশে ফিরবেন বলেও জানান তিনি।
পোস্টটিতে বলা হয়, বাকি 'নিবন্ধিত' – অর্থাৎ যারা দেশে ফিরে যাওয়ার অভিপ্রায়ে নিবন্ধন করেছেন তারা ২ জুলাই বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে দেশে ফিরতে পারবেন।
নতুন করে উদ্ধার প্রচেষ্টার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন: ‘আমরা উদ্ধার অভিযান শুরু করার সময়ই কয়েক দফা তারিখ পরিবর্তন করে একমাসের বেশি সময় আগে নতুন কেউ আগ্রহী না থাকার কারণে তা বন্ধ ঘোষণা করি। কিন্তু আমাদের উদ্ধার ক্যাম্প বন্ধ করার পর পোর্ট সুদানে অনেক বাংলাদেশি জড়ো হতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ সুদানে অপহৃত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী উদ্ধার
খার্তুমের পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতি হওয়ায় কয়েক দিনের মধ্যে সংখ্যাটি ১০০ ছাড়িয়েছে। তাদের থাকার উপযুক্ত জায়গা না থাকায় তারা অনেক কষ্টের মুখোমুখি হয়েছেন।
খোলা আকাশের নিচে লোহিত সাগরের তীরে তাদের রাত কাটে। আমরা তাদের ব্যবহারের জন্য শুধুমাত্র ফ্লোর ম্যাট এবং কিছু জলের ট্যাঙ্ক সরবরাহ করতে পেরেছিলাম গত কয়েকদিনে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমরা চিকিৎসা সহায়তার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করেছি।
আমাদের কনসুলেট মন্ত্রণালয়কে বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করেন এবং আমরা তাদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুমোদন দেই। এখন জেদ্দার কোনো ফ্লাইট না থাকায় বদর এয়ারলাইনসে দোহা যাওয়ার নতুন রুট খুলেছে।
আমরা আবার উদ্ধার ক্যাম্প খুলে রেজিস্ট্রেশন শুরু করেছি। গত পরশু পর্যন্ত ১০৪ জন নাগরিক তাদের ফিরে যাওয়ার অভিপ্রায় নিবন্ধন করেছেন। আমরা নিবন্ধনের শেষ তারিখ হিসাবে ২৭ জুন ঘোষণা করেছি। আমরা আশা করছি যে ১৫০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি নিবন্ধন করবেন।
যদি আমাদের ১৬০ জনের বেশি যাত্রী থাকে, তারা ২ জুলাই ফ্লাইট নেবেন।
আশাকরি এই পরিবারগুলোর জন্য ঈদের আগে এই সংবাদ কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে।’
আরও পড়ুন: সংঘাতপূর্ণ সুদান থেকে দেশে ফিরেছেন ৭২১ জন বাংলাদেশি: সেহেলী সাবরীন
সুদানফেরতদের পুনর্বাসনে সহযোগিতার সিদ্ধান্ত প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের
দক্ষিণ সুদানে অপহৃত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী উদ্ধার
দক্ষিণ সুদানে মঙ্গলবার অপহৃত এক বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পুলিশের একজন উপ-পরিদর্শক মো. আশেকুর রহমান, দক্ষিণ সুদানে জাতিসংঘ মিশনে (ইউএনএমআইএসএস) ব্যক্তিগত পুলিশ কর্মকর্তা (আইপিও) হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বুধবার পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক(মিডিয়া) মো. মঞ্জুর রহমানের সই করা একটি পুলিশ মিডিয়া বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আশেকুরকে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিয়ে টহল দেওয়ার সময় একটি স্থানীয় অপহরণকারী দল তাকে অপহরণ করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পরে তাকে উদ্ধার করা হয় এবং এখন অন্যান্য বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের সঙ্গে সুস্থ ও নিরাপদে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: মালিতে ৩ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর ওপর হামলার ঘটনায় মার্কিন দূতাবাসের দুঃখ প্রকাশ
মালিতে আইইডি বিস্ফোরণে ৩ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী আহত
সংঘাতপূর্ণ সুদান থেকে দেশে ফিরেছেন ৭২১ জন বাংলাদেশি: সেহেলী সাবরীন
সুদানের সেনাবাহিনী ও আধা-সামরিক বাহিনীর চলমান গৃহযুদ্ধের প্রেক্ষিতে সুদান থেকে এ পর্যন্ত ৭২১ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সুদানে বিগত ১৫ এপ্রিল থেকে সংঘর্ষ চলমান। গত একমাসে এই সংঘর্ষ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এ পর্যন্ত প্রায় চারশ’র অধিক মানুষ নিহত হয়েছে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে সরকারি খরচে সুদানে অবস্থানরত ৭২১ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত এনেছে।
সুদানে প্রায় ১৫০০ বাংলাদেশি রয়েছেন। এদের মধ্যে প্রথমপর্বে প্রায় ৮০০ বাংলাদেশি দেশে ফেরত আসার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল জেদ্দা থেকে একজন কাউন্সেলর সুদানস্থ বাংলাদেশ এম্বাসিকে সহায়তা দেয়ার জন্য পোর্ট সুদানে গিয়ে বাংলাদেশিদের প্রত্যাবাসনের জন্য নিরলসভাবে কাজ করেছেন।
আরও পড়ুন: সুদান থেকে ৫৭০ জনের বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে
তিনি আরও বলেন, সুদানে অবস্থানরত বাকী বাংলাদেশিদেরকে বদর এয়ারলাইন্সে সরকারি খরচে সুদান থেকে জেদ্দা পরিবহন করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রত্যাবাসিত বাংলাদেশিদের সংখ্যা ৭২১ জন।
আরও ১৬০ জন বাংলাদেশিকে দেশে প্রত্যাবর্তনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, পোর্ট সুদান বা জেদ্দা কোন স্থানেই যেন প্রবাসীদের অসুবিধা না হয় সেজন্য উভয় স্থানেই তাদের জন্য খাদ্য, পানীয়, চিকিৎসা এবং সাময়িক বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুদানফেরতদের পুনর্বাসনে সহযোগিতার সিদ্ধান্ত প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের
সুদানফেরতদের পুনর্বাসনে সহযোগিতার সিদ্ধান্ত প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের
সুদানে সাম্প্রতিক গৃহযুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার সুদান থেকে ৭ শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশিকে নিরাপদে ফেরত আনার ব্যবস্থা করেছে।
সোমবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ রবিবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রত্যাবর্তনকারী বাংলাদেশি কর্মীদের আর্থ-সামাজিক পুনর্বাসনের বিষয়ে আলোচনার জন্য এক সভায় সভাপতিত্ব করেন।
এতে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সুদান থেকে জেদ্দা হয়ে দেশে ফিরেছেন ৫১ প্রবাসী বাংলাদেশি
সভায় নিম্নলিখিত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়:
ক) যেসকল কর্মী দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে আগ্রহী তাদেরকে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিধান প্রতিপালন সাপেক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে বিনা জামানতে তিন লাখ টাকা, সহ-জামানতে পাঁচ লাখ টাকা এবং জামানতসহ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ ঋণ দেওয়া হবে।
খ) সুদানফেরত যেসব কর্মী পুনরায় বিদেশ যেতে চান, প্রয়োজনীয় যোগ্যতাসাপেক্ষে তাদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের পছন্দের দেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা হবে।
বিশেষ করে সরকারি রিক্রুটিং এজেন্সি বোয়েসেল জর্ডান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং অন্য যেসব দেশে কর্মী পাঠায়, সেখানে অগ্রাধিকারভিত্তিতে তাদের নেওয়া হবে।
গ) আগ্রহী কর্মীদের বিনামূল্যে দক্ষতা উন্নয়ন/উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ/কাউন্সেলিং সেবা দেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, পুনর্বাসনের লক্ষ্যে গৃহীত উদ্যোগসমূহ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্য সুদানফেরত কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে একটি ডাটাবেস তৈরি করা হবে।
এ বিষয়ে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড/সংশ্লিষ্ট জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের (ডিএমও) দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ প্রত্যাগত কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।
এ ব্যাপারে সুদানফেরত সকলকে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন মন্ত্রী।
উল্লেখ্য, বিস্তারিত তথ্যের জন্য প্রত্যাগত কর্মীদের সংশ্লিষ্ট জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসে (ডিএমও) যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
ডিএমও-এর ঠিকানা www.bmet.gov.bd-তে পাওয়া যাবে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. খায়রুল আলম, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো’র মহাপরিচালক মো. শহিদুল আলম এনডিসি, বোয়েসেল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন, মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. সাজ্জাদ হোসেন ভূঞা, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সুদান থেকে ৫৭০ জনের বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে
সুদান থেকে দেশে ফিরলেন আরও ২৬২ বাংলাদেশি
সুদান থেকে ৫৭০ জনের বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে
চলমান সংঘাতের কারণে সুদানে আটকে পড়া ৫৭০ জনেরও বেশি বাংলাদেশিকে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার এবং ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) সহায়তায় তাদের প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
৮ মে থেকে প্রত্যাবাসন শুরু হয়ে শুক্রবার (১২ মে) পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। এদিন সৌদি আরব থেকে দুটি পৃথক ফ্লাইটে ২৬২ জন অভিবাসী ঢাকায় অবতরণ করেছেন।
শুক্রবার আইওএম জানিয়েছে, আরও ফ্লাইট আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সুদান ও জেদ্দায় তার মিশনের মাধ্যমে, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আইওএম ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রত্যাবাসনের জন্য একসঙ্গে কাজ করেছে।
সুদান থেকে প্রত্যাবর্তনকারী কবির বলেন, ‘আমি একজন অভিবাসী কর্মী হিসেবে সুদানে গিয়েছিলাম এবং আমি বেশ ভালো কাজ করছিলাম। হঠাৎ করেই সংকট দেখা দেয়, আমার জীবন মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলে দেয়। এমনকি সবচেয়ে মৌলিক চাহিদা মেটাতেও আমি সংগ্রাম করেছি।’
আরও পড়ুন: সুদান থেকে দেশে ফিরলেন আরও ২৬২ বাংলাদেশি
তিনি আরও বলেন, ‘আমি কৃতজ্ঞ এবং স্বস্তিবোধ করছি, বাংলাদেশ সরকার ও আইওএম আমাদের দেশে প্রত্যাবর্তন সহজতর করেছে।’
শুক্রবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা ২৬২ বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তনের সুবিধার্থে খাবার ও পরিবহন ভাতা দেওয়া হয়েছে।
বিমানবন্দরে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুস সালেহীন বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো এই কঠিন সময়ে আপনারা যে কোনও অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারেন তা দূর করা। সরকার সম্ভাব্য সব ধরনের আর্থিক সহায়তা দেবে এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাও (আইওএম) সহায়তাও দেবে।’
রিয়ার এডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) বলেন, ‘আমাদের সরকার প্রত্যেক বাংলাদেশির মঙ্গল নিশ্চিত করতে নিবেদিত, তারা বিশ্বের যে প্রান্তেই থাকুক না কেন। এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে সুদান থেকে আমাদের নাগরিকদের নিরাপদে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে আইওএম-এর মূল্যবান সহায়তা ও দক্ষতা আমাদের সাহায্য করেছে।’
বিমানবন্দরে ফেরত আসাদের স্বাগত জানাতে আইওএম বাংলাদেশের মিশন প্রধান আবদুসাত্তর এসোয়েভ বলেন, ‘সুদান থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে মিলে একটি দুর্দান্ত সহযোগিতা কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আমাদের প্রধান উদ্বেগ এই ব্যক্তিদের সুরক্ষা ও কল্যাণ। সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করা এবং একটি নির্বিঘ্ন ও কার্যকর প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার গ্যারান্টি দেওয়ার প্রচেষ্টার ব্যাপারে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’
এছাড়াও বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন আইওএম এর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক সারাহ লু ইসমাইল আরিওলা এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, বেসামরিক বিমান চলাচল এবং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সুদানের অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির কোনো শেষ নেই, বাংলাদেশ সরকার ও আইওএম সতর্ক রয়েছে, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজনে আরও সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
আরও পড়ুন: সুদান থেকে জেদ্দা হয়ে দেশে ফিরেছেন ৫১ প্রবাসী বাংলাদেশি
যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদান থেকে জেদ্দায় পৌঁছেছেন আরও ১৭৬ বাংলাদেশি
সুদান থেকে দেশে ফিরলেন আরও ২৬২ বাংলাদেশি
সংঘাত কবলিত সুদান থেকে সৌদি আরবে আশ্রয় নেওয়া ২৬২ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে আজ (শুক্রবার) মাতৃভূমিতে ফিরিয়ে এনেছে জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
শুক্রবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে বিমানের ফ্লাইট বিজি৩৩৮ এর মাধ্যমে মদিনা থেকে ২৩৯ জন এবং দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে বিজি১৩৬ এর মাধ্যমে জেদ্দা থেকে ২৩ জন দেশে পৌঁছেছেন।
দেশে ফেরার পর প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বিমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর পক্ষ থেকে তাদেরকে স্বাগত জানানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, বিমান পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. খুরশেদ আলম (অব.), বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স-এর পরিচালক প্রশাসন ও মানবসম্পদ যুগ্মসচিব মো. ছিদ্দিকুর রহমানসহ আইওএম এর প্রতিনিধিরা।
গত ৮ মে থেকে এ পর্যন্ত মোট ৪৪৯ জনকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে বিমান। ৮ মে ১৩৬ জন এবং ১১ মে ৫১ জন সুদান প্রবাসীকে দেশে ফিরিয়ে আনে এয়ারলাইন্সটি।
আরও পড়ুন: সুদান থেকে জেদ্দা হয়ে দেশে ফিরেছেন ৫১ প্রবাসী বাংলাদেশি
যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদান থেকে জেদ্দায় পৌঁছেছেন আরও ১৭৬ বাংলাদেশি
যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদান থেকে জেদ্দায় পৌঁছেছেন আরও ১৭৬ বাংলাদেশি
যুদ্ধকবলিত সুদান থেকে আরও ১৭৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক সুদানের বদর এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইটে বুধবার বিকালে জেদ্দা বিমানবন্দরে পৌঁছেছে।
এ সময় তাদের স্বাগত জানান সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হকও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার রাতে বদর এয়ারলাইন্সের আরও দুটি ফ্লাইটে ৩০২ জন এবং বৃহস্পতিবার রাতে আরও ৭৪ জন যাত্রী জেদ্দা পৌঁছাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
সুদান থেকে প্রত্যাগত বাংলাদেশি এ সকল নাগরিকদের মধ্যে ৫২ জন বুধবার দিবাগত রাত ১টার ফ্লাইটে জেদ্দা এয়ারপোর্ট থেকে বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সুদান থেকে ফেরত আসাদের সম্ভাব্য সব ধরনের আর্থিক সহায়তা দেবে সরকার: প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার কাতার এয়ারলাইন্সে ১৩০ জন ও মদিনা হতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে ২৩৮ জন দেশে ফিরে যাবেন। অন্যদের বিভিন্ন ফ্লাইটে যত দ্রুত সম্ভব দেশে পাঠানো হবে।
এ সকল বাংলাদেশিদের জন্য জেদ্দা বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ইংরেজি সেকশনে বিশ্রাম, খাবার ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ৮ মে সুদান থেকে জেদ্দা হয়ে ১৩৬ জন যাত্রী বাংলাদেশে পৌঁছে। সুদানে প্রায় এক হাজার পাঁচশত বাংলাদেশি নাগরিক বসবাস করেন। এর মধ্যে যারা দেশে আসার জন্য নিবন্ধন করেছেন পর্যায়ক্রমে সবাইকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।
সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস ও জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট এ ব্যপারে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: সুদান থেকে বাকি বাংলাদেশিদের জেদ্দায় ফিরিয়ে আনতে ৪টি চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনা করছে সরকার: শাহরিয়ার আলম
সুদান থেকে বাকি বাংলাদেশিদের জেদ্দায় ফিরিয়ে আনতে ৪টি চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনা করছে সরকার: শাহরিয়ার আলম
অবশিষ্ট বাংলাদেশি নাগরিকদের সৌদি আরবের জেদ্দায় ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ নিজস্ব খরচে সুদান থেকে চারটি চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের জানান, চার্টার্ড ফ্লাইটগুলোর মধ্যে তিনটি আজ (১০ মে) এবং চতুর্থটি আগামীকাল পরিচালিত হবে।
তিনি বলেন, সুদানে অপেক্ষারত বাংলাদেশিদের খাবার সরবরাহের জন্য সরকার প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা পাঠিয়েছে।
জেদ্দায় পৌঁছানোর পর যত দ্রুত সম্ভব তারা ঢাকায় ফিরে আসবেন।
মঙ্গলবার ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন ১৩৬ জন বাংলাদেশি।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সমন্বিত সহায়তায় সৌদি আরবের জেদ্দা থেকে বাংলাদেশের ঢাকা ভ্রমণের জন্য আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) তাদের অভ্যন্তরীণ জরুরি সহায়তা তহবিল ব্যবস্থার মাধ্যমে বিমানের টিকিট দিয়ে সহায়তা করেছে।
দেশে ফেরার পর ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ড (তিন হাজার টাকা) ও আইওএম (দুই হাজার টাকা) থেকে তাদের খাবার ও পরবর্তী পরিবহন ভাতা প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: সুদান থেকে ফেরত আসাদের সম্ভাব্য সব ধরনের আর্থিক সহায়তা দেবে সরকার: প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী
সুদান থেকে জেদ্দা হয়ে ঢাকায় পৌঁছাল ১৩৫ বাংলাদেশি