আইডিএ
ঢাকা ও ময়মনসিংহে গ্রিড আধুনিকীকরণে ৫০০ মিলিয়নের বেশি ডলার ঋণ দিলো বিশ্বব্যাংক
বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংক বুধবার ৫১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি অর্থায়ন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চুক্তি বাস্বায়ন হলে প্রায় ৯ মিলিয়ন মানুষ নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ পেতে পারে।
বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের পক্ষে যথাক্রমে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং বাংলাদেশ ও ভুটানের জন্য বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ডান্ডান চেন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেমকে (বিইএসএস) সহায়তার জন্য এই চুক্তিতে ক্লিন টেকনোলজি ফান্ড থেকে ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তায় ২৫৫ কোটি টাকা অনুদান দেবে বিশ্বব্যাংক
বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) থেকে নেয়া এ ঋণের মেয়াদ পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৫ বছর।
এটি ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিদ্যুৎ বিতরণ আধুনিকীকরণ কর্মসূচির আওতায় ২৫টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিটালাইজেশন ও আধুনিকীকরণে সহায়তা করবে এবং সিস্টেম লস দুই শতাংশের বেশি কমিয়ে দেবে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই প্রোগ্রামটি বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) বিদ্যুৎ সরবরাহকে ছয় হাজার ৭৯০ গিগাওয়াট বাড়িয়ে দেবে এবং সিস্টেমের জলবায়ু সহনশীলতা উন্নত করবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন বলেন, প্রোগ্রামটি সরকারের ইন্টিগ্রেটেড এনার্জি ও পাওয়ার সেক্টর মাস্টার প্ল্যানের সঙ্গে সম্পৃক্ত যা বর্তমানে প্রস্তুত হচ্ছে। এটি কম কার্বন শক্তি ব্যবস্থা স্থাপনে সহায়তা করবে।
বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ডান্ডান চেন বলেন, বাংলাদেশ সরকার গত এক দশকে শতভাগ বিদ্যুৎ সরবারহকে অগ্রাধিকার দিয়েছে এবং এখন পুরো দেশের মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে। একই সময়ে ইনস্টল করা উৎপাদন ক্ষমতা পাঁচ গুণ বেড়ে ২৫ গিগাওয়াট হয়েছে।
আরও পড়ুন: চলতি বছরে তেলের দাম ৪২ শতাংশ বাড়তে পারে: বিশ্বব্যাংক
২ বছর আগে
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খাতে ২০ কোটি ডলার ঋণ দিবে আইডিএ
দেশে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) থেকে রেয়াতিমূলক ঋণ হিসেবে ২০ কোটি ডলার সাহায্য পাবে বাংলাদেশ।
বুধবার আইডিএর সাথে বাংলাদেশের স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির আওতায় ফান্ডটি আসবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন এই ঋণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন: ঋণের ফাঁদে পড়বে না বাংলাদেশ: পরিকল্পমন্ত্রী
রিকভারি অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অফ ইনফরমাল সেক্টর এমপ্লয়মেন্ট (আরএআইএসই) শীর্ষক প্রকল্পটি পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসপি) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এবং প্রবাসী কল্যাণ ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়ন করবে।
প্রকল্পটির লক্ষ্য করোনা মহামারিজনিত কারণে বিদেশ থেকে ফিরে আসা অভিবাসী শ্রমিক ও শহরাঞ্চলে নিম্ন আয়ের যুব সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক সুযোগ বাড়ানো।
আরও পড়ুন: দেশে মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণ ২৪,৮৯০ টাকা
প্রকল্পের আওতায় নিম্ন আয়ের শহুরে যুবক ও মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত যুব ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ, তথ্য আদান-প্রদান ও ঋণ প্রদানের মাধ্যমে অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি কর্মসূচির আওতায় আনা হবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য পিকেএসপি ১৫০ মিলিয়ন এবং ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ড ৫০ মিলিয়ন খরচ করবে।
প্রস্তাবিত ঋণটি ৩০ বছরের মধ্যে পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ পরিশোধযোগ্য।
আরও পড়ুন: জীবিকার উন্নয়নে বাংলাদেশকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
৩ বছর আগে