আসামি
সিরাজগঞ্জে ইজিবাইক চালক হত্যা: ৩ আসামি গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে চালক ইসলামকে হত্যার পর ইজিবাইক ছিনতাই মামলার তিন আসামিকে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন পিবিআই-এর পুলিশ সুপার মো.রেজাউল করিম।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন-সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার বাগলপুর কয়রা গ্রামের মৃত খোকা সরকারের ছেলে ইছা সরকার, মো. শরিফুল ইসলামের ছেলে মো. ইব্রাহিম হোসেন টুটুল ও মৃত খোকা সরকারের ছেলে মো. ছুরুত আলী সরকার।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর চাঁদাবাজির অভিযোগে ৩ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
পুলিশ সুপার জানান,প্রতিদিনের মতো ২৫ মে ভোরে ইজিবাইক চালক ইসলাম কাজের উদ্দেশ্যে তাড়াশ উপজেলার বারুহাস বাজারে যান। ওইদিন রাত ৯টা পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার খোঁজ পায়নি। পরদিন সকালে বারুহাস সড়কের জোড়া পুকুরের মধ্যে থেকে ইসলামের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ব্যাপারে তাড়াশ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলা তদন্তকালে বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিরাজগঞ্জকে তদন্তের আদেশ দেন।
তিনি আরও জানান, পিবিআই মামলার তদন্তের শুরুতেই বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে এবং তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে তদন্ত করে ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে সিরাজগঞ্জের পিবিআই কর্মকর্তারা জানতে পারে অভিযুক্তরা টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। এরপর টাঙ্গাইল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে সিরাজগঞ্জে নিয়ে আসা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে পাঠানোর পর ১৬৪ ধারায় ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
তিনি আরও বলেন, তাদের চার জনের একটি সংঘবদ্ধ দল রয়েছে। যারা বিভিন্ন স্থান থেকে ইজিবাইক চুরি ও ছিনতাই করে থাকে। এদের মধ্যে একজন নারীও রয়েছে। তারা চারজন বিকাল বা সন্ধ্যার দিকে ইজিবাইক ভাড়া করতো এবং ইজিবাইক চালানো শুরুর পর ওই নারী নানানভাবে ওই চালককে আকৃষ্ট করতেন। চালক আকৃষ্ট হলেই তাকে প্রলোভনে নির্জন স্থানে নিয়ে যেতেন এবং সেখানে তাকে হাত-পা বেঁধে রেখে ইজিবাইক ছিনতাই করতো সংঘবদ্ধ দলটি।
সংবাদ সম্মেলনে সিরাজগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই এর ইন্সপেক্টর গোলাম কিবরিয়া, মো. নুরুল ইসলাম, মো. সোহেল রানা, মাহবুব মোর্শেদ খান, তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আব্দুল খালেক অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি: রাজবাড়ী জেলা মহিলা দলের সদস্য গ্রেপ্তার
২ বছর আগে
খুলনায় হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
খুলনার রুপসা উপজেলার রামনগর এলাকার আলোচিত রাজ খা হত্যা মামলায় এক আসামিকে যাবজ্জীবন ও অপর এক ধারায় আরও সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ মামলার অপর আসামি মিজানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাকে খালাস দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচার মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মডেল তিন্নি হত্যা মামলার রায় ১৫ নভেম্বর
সাজাপ্রাপ্ত আসামি জামসেদ ওরফে জাবেদ মল্লিক রহিমনগর এলাকার মান্নান ওরফে মুরাদ মল্লিকের ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এনামুল হক রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর সাথে সহযোগিতা করেন এপিপি ইলিয়াস খান ও এপিপি মোসা. শাম্মী আক্তার।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ১ জুন সকালে এসআই মো. আব্দুল খালেক নন্দনপুর এলাকায় দায়িত্ব পালনের সময় জানতে পারে ওই এলাকার আঠারো বাকী নদীর পশ্চিম পাড়ে বস্তা বন্দী লাশ পড়ে আছে। সেখানে গিয়ে দেখেন লাশটি মস্তকবিহীন। সুরাতহাল রিপোর্ট তৈরি করে মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান । এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলা: আসল আসামির বদলে নকল আসামির আত্মসমর্পণ!
এর আগে নিহতের পিতা আমীর আলী খা ছেলে নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে রূপসা থানায় একটি জিডি করেন। অজ্ঞাতনামা এক ব্যাক্তির লাশ পাওয়া গেছে বলে পুলিশ মারফত তিনি জানতে পারেন। এ খবর জেনে তিনি থানায় যোগাযোগ করে তার ছেলের পোশাক দেখে মরদেহ চিহ্নিত করেন।
৩ বছর আগে