ঈদের পর খুব একটা সুবিধা করতে পারছে না দেশের পুঁজিবাজার। দ্বিতীয় কার্যদিবসে উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু হলেও শেষমেশ পতন ঠেকাতে পারলো না ঢাকার বাজার। চট্টগ্রামে সূচকের উত্থান হয়েছে যৎসামান্য।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সোমবার (৭ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৮ পয়েন্ট। শরীয়া ভিত্তিক সূচক ডিএসইএস কমেছে ১ পয়েন্ট।
অন্যদিকে বাছাইকৃত ভালো কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩৯৮ কোম্পানি, যার মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৯১ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই বেশিরভাগ কোম্পানির দাম ছিল নিম্নমুখী।
প্রথম কার্যদিবসে মিউচুয়াল ফান্ডে ভালো অবস্থানে থাকলেও দ্বিতীয়দিনে এসে মুখ থুবড়ে পড়েছে এ খাত। লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৫ কোম্পানির দাম বাড়লেও কমেছে ২২ কোম্পানির শেয়ারের দাম। অপরিবর্তিত আছে ৯ কোম্পানির দাম।
ব্লক মার্কেটে মোট ২৩ কোম্পানির ১৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে রেনেটা পিএলসি সর্বোচ্চ ৭ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচক হারালেও গতদিনের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ডিএসইতে; মোট ৪৬৯ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, যা রোববার (৬ এপ্রিল) ছিল ৪১৫ কোটি টাকা।
ডিএসইতে ৮.১৬ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষ তালিকায় উঠে এসেছে মিডাস ফাইন্যান্সিং পিএলসি। অন্যদিকে ৭.৫১ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলস লিমিটেড।
আরও পড়ুন: উত্থান দিয়ে শুরু ঢাকা-চট্টগ্রাম পুঁজিবাজারের লেনদেন
চট্টগ্রামে সামান্য উত্থান
ঢাকার বাজারে সূচকের পতন হলেও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ২ পয়েন্ট। সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ২১০ কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের।
৮৭ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দরপতন হয়েছে ৯৭ কোম্পানির এবং দাম অপরিবর্তিত আছে ২৬ কোম্পানির শেয়ারের।
গত দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে চট্টগ্রামের বিপরীতে। সারাদিনে মোট ১০ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে যা রোববার ছিল ১০ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ কোম্পানির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে শমরিতা হাসপাতাল লিমিটেড। অন্যদিকে ১০ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস লিমিটেড।