প্রতিভা
‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগ প্রসঙ্গে চীনের বাংলাভাষী প্রতিভা প্রশিক্ষণের কৌশল সম্পর্কিত গবেষণা
সারসংক্ষেপ
‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগ চীনের শিক্ষার ক্ষেত্রে ‘নন-কমন ল্যাঙ্গুয়েজ’র প্রতিভা প্রশিক্ষণের জন্য নতুন প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এই নিবন্ধে চীনের বাংলাভাষী প্রতিভার (চীনের বাংলা ভাষার শিক্ষার্থী) বর্তমান পরিস্থিতি আলোচনা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাংলাভাষী প্রতিভা প্রশিক্ষণের কৌশলগত তাৎপর্য তুলে ধরে চীনে বাংলাভাষী প্রতিভা প্রশিক্ষণের কৌশল সম্পর্কে কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কোন দেশে বেশি স্মার্টফোন ব্যবহার, বেশি মানসিক রোগ?
মূল শব্দ: ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’, বাংলাভাষী প্রতিভা
ভূমিকা
প্রাচীনকাল থেকেই চীন ও বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ছিল। নিউ তাং রাজবংশের দ্বিতীয় খণ্ডের ২২১(পর্ব) প্রাচীন ভারতীয় মগধ রেকর্ড করেছে। মিং ইতিহাসের ৩২৬ খণ্ডেও ‘বাংলা’র কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ১৯৭৫ সালে চীন ও বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর উভয়পক্ষ রাজনীতি, অর্থনীতি, সামরিক ও সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কার্যকর সহযোগিতা করেছে। দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা দুই দেশ সফর করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় বাড়ছে এবং সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারিত হচ্ছে।
(১) নন-কমন ল্যাঙ্গুয়েজ নির্মাণের কৌশলগত তাৎপর্য
নেলসন ম্যান্ডেলা বলেছিলেন, "আপনি যদি কোনো লোকের সঙ্গে এমন ভাষায় কথা বলেন যা তিনি বোঝেন, এটি তার মনে থাকবে। আপনি যদি তার নিজের ভাষায় তার সঙ্গে কথা বলেন, তিনি স্মরণ করবেন।” ভাষা ও চিন্তার সম্পর্ক নিয়ে অনুমানকে সামনে রেখেছিলেন আমেরিকান সাপির ও তার শিষ্য ওল্ফ। তারা বিশ্বাস করেন, সমস্ত উচ্চ পর্যায়ের চিন্তাভাবনা ভাষার উপর নির্ভর করে। (সাপির, ১৯২১), ভাষার কাঠামো একটি নির্দিষ্ট সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সদস্যদের আচরণ ও চিন্তাভাবনা নির্ধারণ করে অনুমানটি স্পষ্ট করেন সাপির-ওল্ফ। সুতরাং, অন্যান্য দেশের সংস্কৃতি ও চিন্তাভাবনা বোঝার জন্য, আরও ভালো আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ও মিডিয়া বিষয়ক যোগাযোগ বাড়াতে নন-কমন ল্যাঙ্গুয়েজের নির্মাণ গুরুত্বপূর্ণ।
বৈশ্বিক কৌশলগত বিন্যাস ও সম্প্রসারণে, অনেক দেশ নন-কমন ল্যাঙ্গুয়েজ নির্মাণকে জাতীয় কৌশলের উচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করেছে। চীনের নন-কমন ল্যাঙ্গুয়েজ কৌশল নির্মাণকাজ একবিংশ শতাব্দীতে একটি নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘জাতীয় নন-কমন ল্যাঙ্গুয়েজ আন্ডারগ্রাজুয়েট ট্যালেন্ট ট্রেনিং বেস’ ও ‘স্পেশালিটি কনস্ট্রাকশন সাইটস’ সহায়তা পরিকল্পনা তৈরি করেছে। চীন তার নিজ দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কযুক্ত দেশগুলোর সরকারি ভাষা (৮৮টি নন-কমন ল্যাঙ্গুয়েজ) পড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়কে সহায়তা দেবে।
‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগ নির্মাণের মূল চাবিকাঠি হলো আন্তঃসংযোগ। আর ভাষার আন্তঃযোগিতা হলো আন্তঃসংযোগ অর্জনের ভিত্তি। ভাষা পরিকল্পনার কৌশলগুলো প্রচারের ফলে নন-কমন ল্যাঙ্গুয়েজের প্রতিভা প্রশিক্ষণের পরিমাণ, গুণমান ও কার্যকারিতা বৃদ্ধির উচ্চতর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
(২) চীনের বাংলাভাষী প্রতিভা প্রশিক্ষণের কৌশলগত তাৎপর্য
বাংলা ভাষা বাঙালি জাতির মাতৃভাষা, জাতিগত সংস্কৃতি, ধারণার বাহক ও জাতীয় আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। নোবেল পুরস্কার বিজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার সাহিত্য সৃষ্টির জন্য বাংলা ভাষা ব্যবহার করেন। ১৯৫২ সালে পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমানে বাংলাদেশ) মাতৃভাষার অধিকার রক্ষার জন্য ‘ভাষা আন্দোলন’ হয়। এই আন্দোলন বাংলাদেশের জনগণের জাতিগত ভাবনা জাগিয়ে তোলে এবং শেষ পর্যন্ত স্বাধীনতা যুদ্ধে রূপান্তরিত হয়। বাংলাদেশিদের কাছে বাংলা ভাষা হয়ে উঠেছে সাংস্কৃতিক প্রতীক, জাতীয় গর্ব ও জাতীয় পরিচয়ের প্রতীক। ‘বাংলাদেশি সংস্কৃতি একটি সম্মিলিত সংস্থান; যা শ্রেণি, অঞ্চল ও ধর্মীয় সীমানা জুড়ে বাংলাদেশিদের ঘনিষ্ঠ ইউনিটে আলোকিত করতে পারে।’ (উইলিয়াম ভন শ্যান্ডেল, ২০১১)
‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’র অন্তর্ভুক্ত একটি দেশ হিসাবে, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে এবং মূলত কয়েকটি বড় আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ইস্যুতে চীনের সঙ্গে একমত হয়। আন্তর্জাতিক বিষয়ে চীন ও বাংলাদেশের নেতারা নিবিড়ভাবে সহযোগিতা করেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা জোরালোভাবে বিকাশ লাভ করেছে। চীন বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হয়ে উঠেছে। চীনের দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার বাংলাদেশ এবং তৃতীয় বৃহত্তম ইঞ্জিনিয়ারিং চুক্তি বাজার। বাংলাভাষী প্রতিভা প্রশিক্ষণ চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান এবং পারস্পরিক বিশ্বাসের সঙ্গে সম্পর্কিত। এটি ভালো প্রতিবেশী ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়তে এবং আন্তঃসংযোগ বাড়ানোর নিশ্চয়তা দিতে পারে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ এশিয়ার জ্বালানি বিকাশে নবদিগন্তের হাতছানি
২. ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ প্রসঙ্গে চীনের বাংলাভাষী প্রতিভা প্রশিক্ষণের বর্তমান পরিস্থিতি
(১) পেশাদার প্রতিষ্ঠানের তালিকাভুক্তির পরিমাণ কম
চীনের মূল ভূখণ্ডে বর্তমানে শুধু পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা বিষয়ে চার বছর মেয়াদি স্নাতক পর্যায়ের কোর্স চালু রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো চীন যোগাযোগ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনান ন্যাশনালিটিস বিশ্ববিদ্যালয়, গুয়াংডং ইউনিভার্সিটি অব ফরেন স্টাডিজ, বেইজিং ফরেন স্টাডিজ ও ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়। এ ছাড়াও, পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইনর কোর্স হিসেবে বাংলা ভাষা চালু রয়েছে।
নিবন্ধনের বছর অনুযায়ী, চীন যোগাযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এখানে বাংলা বিভাগ ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এ পর্যন্ত মাত্র সাতটি ব্যাচ এখান থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা মেজর ২০১৬ সালের পরে নামভুক্ত হয়। ইউনান ন্যাশনালিটিস ইউনিভার্সিটি ২০১৬ সালে, গুয়াংডং ইউনিভার্সিটি অব ফরেন স্টাডিজ ২০১৭ সালে, বেইজিং ফরেন স্টাডিজ ২০১৮ সালে এবং ইউনান বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০ সালে।
তালিকাভুক্তির পরিমাণের ক্ষেত্রে, চীন যোগাযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২০ জন, গুয়াংডং ইউনিভার্সিটি অব ফরেন স্টাডিজে প্রায় ১২ জন, ইউনান ন্যাশনালিটিস ইউনিভার্সিটিতে প্রায় ১৫ জন, বেইজিং ফরেন স্টাডিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১০ জন এবং ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। সামগ্রিক অর্থে শিক্ষার্থী ভর্তির পরিসর ছোট এবং প্রতি বছর শিক্ষার্থী ভর্তির পরিকল্পনাও নেই। ২-৪ বছরের মধ্যে শুধু একবার শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়।
তবে গুয়াংডং ইউনিভার্সিটি অব ফরেন স্টাডিজ প্রতি বছর বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ভর্তি করে। চীনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এত ঘন ঘন শিক্ষার্থী ভর্তির স্কুল আর নেই। বর্তমানে গুয়াংডং ইউনিভার্সিটি অব ফরেন স্টাডিজের প্রথম বাংলা ভাষা স্নাতক কোর্সের দুটি ব্যাচ রয়েছে।
(২) শিক্ষকদের দক্ষতা অপর্যাপ্ত
শিক্ষকদের দৃষ্টিকোণ থেকে, চীনের বাংলা ভাষা বিষয়ে চীনা শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্বল্প, পেশাগত ডিগ্রি কম এবং শিক্ষণ অভিজ্ঞতাও অপর্যাপ্ত। যে কয়েকজন অভিজ্ঞ প্রবীণ শিক্ষক ছিলেন তারা অবসর নিয়েছেন, কেবলমাত্র একজন শিক্ষক আছেন যিনি ১০ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলা ভাষা পড়াচ্ছেন। এ ছাড়া বর্তমানে যেসব শিক্ষক আছেন তাদের বেশিরভাগই সবেমাত্র স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
চীন যোগাযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে দুজন চীনা শিক্ষক আছেন। ইউনান ন্যাশনালিটিস ইউনিভার্সিটির বাংলা বিভাগে তিনজন চীনা শিক্ষক আছেন। বেইজিং ফরেন স্টাডিজের বাংলা বিভাগে শুধু একজন চীনা শিক্ষক আছেন এবং ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে তিনজন চীনা শিক্ষক আছেন। গুয়াংডং ইউনিভার্সিটি অব ফরেন স্টাডিজের বাংলা ভাষা বিভাগে মোট ৬ জন শিক্ষক রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪ জন চীনা শিক্ষক ও ২ জন বাংলাদেশি শিক্ষক। মোট শিক্ষকের সংখ্যায় এখানে চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলা ভাষা বিষয়ে সর্বাধিক। তবে শিক্ষকদের একাডেমিক স্তর ও পাঠদানের অভিজ্ঞতাও উন্নত করা দরকার।
(৩) উচ্চ পর্যায়ের বাংলাভাষী প্রতিভার ঘাটতি
চীনে বাংলাভাষী প্রতিভার কাঠামোগত ঘাটতি রয়েছে। প্রশিক্ষণ এখনও স্নাতক ডিগ্রি পর্যায়ে রয়েছে। চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলা ভাষা বিষয়ে এখনও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের কোনো কোর্স চালু হয়নি। অনেক শিক্ষার্থী অন্যান্য বিষয়ে স্নাতকোত্তর পড়েন বা সরাসরি চাকরি করেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের চাকরির সঙ্গে বাংলা ভাষার কোনো সম্পর্ক নেই।
‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের প্রেক্ষাপটে, বাজারে এমন উচ্চ-পেশাদার প্রতিভার প্রয়োজন আছে; যারা দেশের ভাষা, সংস্কৃতি ও জাতীয় পরিস্থিতি জানে এবং অর্থায়নে পেশাদার জ্ঞান অর্জন করে, যেমন- আইন, অর্থনীতি, বাণিজ্য ইত্যাদি। যে দেশে বিনিয়োগ করছেন, সে দেশের জাতীয় পরিস্থিতি ও সংস্কৃতি না বোঝার কারণে ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকল্পের ব্যর্থতা ও বিনিয়োগের ক্ষতির অনেক ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: বেদনায় ভরা দিন: শেখ হাসিনা
১ বছর আগে
তারুণ্যের প্রতিভা বিকাশে খেলাধুলার বিকল্প নেই: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তারুণ্যের প্রতিভা বিকাশে খেলাধুলার বিকল্প নেই। খেলাধুলা যেমন শরীরকে সুস্থ-সবল রাখে, তেমনি মনকেও প্রফুল্ল রাখে, প্রশস্ত করে।
রবিবার বিকেলে রাজধানীর কুড়িলে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এআইইউবি মাঠে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আয়োজিত বঙ্গবন্ধু আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপের কাবাডি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ: তথ্যমন্ত্রী
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এআইইউবি'র ট্রাস্টি বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হাসানুল এ. হাসান, প্রকৌশল বিভাগের ডিন ড. সিদ্দিক হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ড. হাছান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সোনার মানুষ প্রয়োজন। আর দেশাত্মবোধ, মমত্ববোধ, গুরুজনদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, মেধা-মনন-শিল্প-ক্রীড়াচর্চা সোনার মানুষ গড়ার হাতিয়ার। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি এই মানবিক মূল্যবোধের চর্চাতেও অগ্রণী হতে হবে।
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী রাসেল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পর্যন্ত আমরা রাষ্ট্রীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আওতায় এনেছি। এবছর বঙ্গবন্ধু আন্তবিশ্ববিদ্যালয় চ্যাম্পিয়নশিপের বিভিন্ন খেলাধুলায় দেশের ১২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সাত হাজার প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছে।
এ দিন সমাপ্ত আন্তবিশ্ববিদ্যালয় কাবাডি প্রতিযোগিতায় ছাত্র বিভাগে চ্যাম্পিয়ন গণবিশ্ববিদ্যালয় ও রানার আপ ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি এবং ছাত্রী বিভাগে চ্যাম্পিয়ন ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি ও রানার আপ গণবিশ্ববিদ্যালয় দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।
আরও পড়ুন: ফখরুল সাহেবদের হৃদয়ে যে পাকিস্তান সেটিই বেরিয়ে এসেছে: তথ্যমন্ত্রী
ভারতের সঙ্গে মৈত্রী রক্তের বন্ধন: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
ওয়ার্ল্ড স্কিল সাংহাই ২০২২ এর জন্য বাংলাদেশ প্রতিভা খুঁজছে
২০২২ সালের অক্টোবরে চীনের সাংহাইতে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ার্ল্ড স্কিল প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে প্রতিভা খুঁজে বের করতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় দক্ষতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ) আটটি বিভাগীয় সদর দপ্তরে বিভাগীয় স্তরের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এই প্রতিযোগিতার বিজয়ী ও রানার-আপরা ঢাকায় ১০ ও ১১ নভেম্বর নির্ধারিত জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন।
স্থানীয় শিল্পের চাহিদা মেটাতে এবং সেইসাথে প্রবাসীদের বিশ্বব্যাপী উচ্চ পারিশ্রমিকের চাকরির বাজার দখলের জন্য বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ২ লাখ বিশ্বমানের দক্ষ জনবলের প্রয়োজন হয়। সেই লক্ষ্য সামনে রেখে বাংলাদেশ দক্ষ জনবল তৈরিতে কাজ করছে।
২০২২ সালের ১২ থেকে ১৭ অক্টোবরে চীনের সাংহাইতে ‘মাস্টার স্কিল চেঞ্জ দ্য ওয়ার্ল্ড,’ থিম নিয়ে ওয়ার্ল্ড স্কিল সাংহাই ২০২২ অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে বাংলাদেশ ১৩টি ট্রেডে প্রতিযোগী পাঠাবে।
আরও পড়ুন: ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স এবং পশ্চাদগামী বাংলাদেশ
ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট, রংপুর ও বরিশাল-এ আটটি বিভাগে ১৩টি ট্রেডে মোট এক হাজার ৭০৭ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে।
ট্রেডের মধ্যে রয়েছে পেইন্টিং এবং ডেকোরেশন, প্লাস্টারিং এবং ড্রাইওয়াল সিস্টেমস, ফ্যাশন টেকনোলজি, প্রিন্ট মিডিয়া টেকনোলজি, আইটি নেটওয়ার্ক সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ওয়েব টেকনোলজিস, ক্লাউড কম্পিউটিং, সাইবার সিকিউরিটি, ওয়েল্ডিং, রান্না, রেস্তোরাঁ পরিষেবা, প্যাটিসারি এবং মিষ্টান্ন ও বেকারি।
প্রতিযোগিতায় মোট ১১৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে পেইন্টিং এবং ডেকোরেশন, যেখানে প্লাস্টারিং এবং ড্রাইওয়াল সিস্টেমে ২২ জন, ফ্যাশন টেকনোলজিতে ১৩৭, প্রিন্ট মিডিয়া টেকনোলজিতে ৭৫, আইটি নেটওয়ার্ক সিস্টেম প্রশাসনে ৩৭৯, ওয়েব টেকনোলজিতে ২২৩, ক্লাউড কম্পিউটিং এ ৫৯, সাইবার সিকিউরিটিতে ১০৮, ওয়েল্ডিং ১০১, রান্নায় ১৮১, রেস্টুরেন্ট সার্ভিসে ১৩৯, প্যাটিসেরিতে এবং কনফেকশনারিতে ৩১ এবং বেকারিতে ১৩৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ।
আরও পড়ুন: ‘হিল দ্য ওয়ার্ল্ড’ গানে কণ্ঠ দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকায় প্রতিযোগীর সংখ্যা ৬৭৩, চট্টগ্রামে ২৫৬, খুলনায় ১৫৪, রাজশাহীতে ১৮৫, ময়মনসিংহে ১০৫, সিলেটে ৯৯, রংপুরে ১৫১ ও বরিশালে ৮৪ জন।
জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতাটি ১৮-২২ বছরের মধ্যে অংশগ্রহণকারীদের জন্য। এই প্রতিযোগিতা থেকে নির্বাচিত চ্যাম্পিয়নদের ওয়ার্ল্ড স্কিল সাংহাই ২০২২-এ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য প্রস্তুত করা হবে।
৩ বছর আগে