কুতুবদিয়া
কুতুবদিয়ায় এলপিজি বহনকারী লাইটারেজ জাহাজে আগুন, ৩১ জন উদ্ধার
বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া পয়েন্টে বসুন্ধরার এলপিজি বহনকারী একটি লাইটারেজ জাহাজে শনিবার মধ্যরাতে বিস্ফোরণ হয়ে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। রবিবার ভোর পর্যন্ত উদ্ধারকার্য চালিয়ে ওই জাহাজে থাকা ৩১ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী।
শনিবার (১২ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
কুতুবদিয়া কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট শাকিব মেহবুব জানান, কুতুবদিয়ার কৈয়ারবিল পয়েন্টে নোঙর করা সুফিয়া নামে এলপিজি বহনকারী একটি লাইটারেজ জাহাজে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। খবর পেয়ে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
জাহাজে আগুন লাগলে নাবিকরা সাগরে লাফ দেয়। পরে নাবিকদের উদ্ধার করা হয়।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
এর আগে কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। এছাড়া নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএসসির জাহাজে আগুন: ১ জনের লাশ উদ্ধার
খবর পেয়ে রাতেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে উল্লেখ করে নৌবাহিনী কর্তৃপক্ষ জানায়, আগুন নিয়ন্ত্রণে এবং জাহাজে থাকা ক্রুদের উদ্ধারে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনীর জাহাজ। পাশাপাশি চট্টগ্রাম থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে যুক্ত হয়েছে কোস্ট গার্ড ও বন্দরের জাহাজ।
স্থানীয়রা জানায়, ‘বি-এলপিজি সুফিয়া’ নামের জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহিনোঙরে অবস্থান করছিল। রাত ১টার দিকে জাহাজটি বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়।
আরও পড়ুন: পতেঙ্গায় জাহাজে বিস্ফোরণ; ৩ জনের লাশ উদ্ধার
১ মাস আগে
কুতুবদিয়ায় বজ্রপাতে নিহত ২
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপকূলে বজ্রপাতে মো. করিম ও মো. ইয়াছিন নামের দুই জেলে নিহত হয়েছে। রবিবার সকাল ১১টায় উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের চুল্লার পাড়া গ্রামে এ সময় আরও দুই জন আহত হয়েছে।
নিহতরা হলেন- ইমতিয়াজ (২৫) ও মো. করিম (৩৫)।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকালে ওই গ্রামের জাকের উল্লাহ’র তিন ছেলে রমিজ উদ্দিন(৩৬), ইমতিয়াজ, আক্কাস (২২) এবং দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের ধুরুং কাঁচার ছাবের আহমদের ছেলে মো. করিম মাছ ধরার নৌকায় কাজ করারত অবস্থায় বজ্রপাতের আঘাতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। প্রতিবেশীরা খবর পেয়ে আহত অবস্থায় চারজনকে উদ্ধার করে কুতুবদিয়া সরকারি হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ভর্তি করে। হাসপাতালের চিকিৎসক নেছার আহমদ আহতদের পরীক্ষা নিরীক্ষার পর মো. ইমতিয়াজ ও মো. করিমকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে আহত সহোদর দুই ভাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে উত্তর ধুরুং ইউপির চেয়ারম্যান আবদুল হালিম নিশ্চিত করেন।
নিহত মো. করিম রবিবার সকালে উত্তর ধুরুং চুল্লার পাড়া এলাকায় ভগ্নিপতির মাছ ধরার নৌকায় জালের কাজ করতে যায়। সেখানে বজ্রপাতের আঘাতে নিহত হয়েছে বলে দক্ষিণ ধুরুং ইউপির চেয়ারম্যান আলা উদ্দিন আল আজাদ জানিয়েছেন।
কুতুবদিয়ায় বজ্রপাতের আঘাতে দুই জেলে শ্রমিকের মৃত্যুর খবর ইউএনও দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর হায়দার নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: বজ্রপাতে ১২ জনের মৃত্যু, চলতি বছরে সর্বোচ্চ
ময়মনসিংহে পৃথক বজ্রপাতে ৬ জনের মৃত্যু
২ বছর আগে
ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া: ৮০০ যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ মাঝ সাগরে নোঙর
সেন্টমার্টিনে চলাচলাকারী বিলাসবহুল জাহাজ এমভি বে ওয়ান ক্রুজের ইঞ্জিন রুম থেকে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ায় কুতুবদিয়ার কাছে সাগরে নোঙ্গর করা হয়েছে। জাহাজটিতে ৮০০ যাত্রী আছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম পতেঙ্গা থেকে ছেড়ে যাওয়ার প্রায় দুই ঘণ্টার মাথায় রাত ১২টার দিকে ইঞ্জিন রুম থেকে আগুন লাগে। এতে পুরো জাহাজে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে।
বে ওয়ান ক্রুজ জাহাজটি কুতুবদিয়ার কাছে সাগরে নোঙ্গর করা অবস্থায় রয়েছে বলে জানান জাহাজের যাত্রী মানবাধিকার নেতা আমিনুল হক বাবু।
আরও পড়ুন: জাহাজ চলাচল বন্ধ, সেন্টমার্টিনে আটকা ৪ হাজার পর্যটক
তিনি জানান, যাত্রীদের সবাইকে লাইফ জ্যাকেট পরানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোন সংস্থা এগিয়ে আসেনি। তবে যাত্রীদের উদ্ধারের জন্য একটি জাহাজ যাত্রা শুরু করেছে বলে শুনেছি।
সী ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হোসেন ইসলাম বাহাদুর জানান, ইঞ্জিন থেকে অত্যধিক মোবাইল অয়েল লিক হওয়ার ফলে ইঞ্জিন রুমে প্রচণ্ড ধোঁয়া দেখা দিলে জাহাজ কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে ইঞ্জিন বন্ধ করে দেয়। ফলে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, জাহাজের যাত্রীদের মধ্যে সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিবও রয়েছেন।
ফোনে যোগাযোগ করা হলেও সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা সাড়া দেননি।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বাংলাদেশের প্রশংসা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও’র
২ বছর আগে
কুতুবদিয়ায় মাছ ধরার নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: ১৪ জেলে দগ্ধ
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপকূলে মাছ ধরার একটি নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ১৪ জেলে দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে আট জেলে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। দগ্ধ হওয়া জেলেদের প্রথমে কুতুবদিয়া হাসপাতালে এবং পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রেজাউল হাসান জানিয়েছেন, দ্বীপের একমাত্র স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১৪ জেলেকে চিকিৎসার জন্য আনার পর ছয়জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। অপর আটজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় চট্টগ্রাম মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে।
গুরুতর আহতরা হলেন, সাইফুল ইসলাম (২৪), ফরিদুল আলম (৪৩), নৌকার মাঝি মামুন (২৪), জিসাদ (২৪), মিনহাজ (১৭), সাদ্দাম (২০), নুরুল হোছাইন (৩৫), দিলশাদ (১৭)।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. জয়নুল আবেদীন জানান, দগ্ধদের মধ্যে সাইফুলের শরীরের ৮১ শতাংশ, ফরিদের ৬৪ শতাংশ, নুরুল হোসাইনের ৫৫ শতাংশ, মিনহাজের ৪৮ শতাংশ, দিলশাদের ৪৭ শতাংশ, জিশাদের ৪৭ শতাংশ, মামুনের ১৪ শতাংশ ও সাদ্দামের শরীরের ১১ ঝলসে গেছে।
আরও পড়ুন: লঞ্চের ছাদে ডিজে পার্টি: একজনের মৃত্যু, দগ্ধ ১৫
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত দশটার দিকে উপজেলার দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নস্থ অলি পাড়ার আনছার মিস্ত্রির মালিকানাধীন এফ,বি মায়ের দোয়া নামের নৌকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নৌকাটি বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ ধরে তীরে ফিরছিল। ইঞ্জিন থেকে সৃষ্ট আগুনের ফুলকি নৌকায় মজুদ থাকা জ্বালানি তেলের ড্রামে লাগলে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ সময় জেলেরা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। ততক্ষণে আগুন ছড়িয়ে পড়লে আগুনের তাপে নৌকায় থাকা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে দগ্ধ হন ১৪ জন জেলে। বাকিরা সাগরে লাফ দিলে অন্য একটি ট্রলার তাদের উদ্ধার করে।
তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা নৌকার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন এবং স্থানীয় প্রশাসনকে জানান। স্থানীয়রা দগ্ধদের উদ্ধার করে কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালে চিকিৎসক দগ্ধ আট জেলের অবস্থা আশংকাজনক হলে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রেফার করেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ৪৩ দস্যুর আত্মসমর্পণ
স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন দগ্ধদের খোঁজখবর নিয়েছেন এবং তাদের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ নূরের জামান চৌধুরী ও কুতুবদিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ ওমর হায়দার জানান, দগ্ধদের উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রশাসনের উদ্যোগে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা পাঠানোর জন্য স্হানীয় চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ২
৩ বছর আগে