রেল খাত
টেকসই উন্নয়নের জন্য রেল খাতের উন্নয়ন জরুরি: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, একটি দেশের ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য রেল খাতের উন্নয়ন জরুরি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আলাদা মন্ত্রণালয় করে দেয়ার পরে আমরা সেই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
মঙ্গলবার রেলভবনে পাঁচটি কোম্পানির সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের অপটিক্যাল ফাইবার লিজ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-ভাঙ্গা রেল চলাচল শুরু জুনে: রেলমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিদেশিরা যেভাবে রেল থেকে আয় করে থাকে, বাংলাদেশ রেলওয়েও বহুমুখী আয়ের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। রেলের অপটিক্যাল ফাইবার লিজ প্রদান রেলের আয় বৃদ্ধি কার্যক্রমের একটি অংশ।
মন্ত্রী বলেন, রেল জনগণের বাহন। জনগণকে জানানোর উদ্দেশ্যে, স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য আমরা প্রকাশ্যে চুক্তি করছি। তিনি বলেন, রেলওয়ে একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এটি ভর্তুকি দিয়ে চলছে। রেলের অনেক সম্পদ আছে। আমরা সেখান থেকে আয় বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার সময় রেলখাত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু রেলকে পুনর্গঠন করেন। ৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো রেলের কোন উন্নয়ন করেনি। ১০ হাজার রেলের কর্মকর্তা কর্মচারীকে হ্যান্ডসেকের মাধ্যমে বিদায় করেছে। আমরা ভবিষ্যতে রেলের জমিসহ পণ্য পরিবহনের ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে রাজস্ব আয় বাড়ানোর বহুমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করছি।
আরও পড়ুন: টিটিই বরখাস্ত: স্ত্রীর কর্মকাণ্ডে বিব্রত রেলমন্ত্রী
পর্যায়ক্রমে সকল রেল ব্যবস্থাকে ব্রডগেজে রূপান্তর করছি: রেলমন্ত্রী
২ বছর আগে
দেশের রেল খাতে রাশিয়াকে বিনিয়োগের আহ্বান
বাংলাদেশে রেলখাতে রাশিয়ার বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
সোমবার রেলভবনে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মানটিটস্কি সাথে সাক্ষাতকালে মন্ত্রী এই আহ্বান জানান।
বৈঠকে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের রেলপথ যমুনা নদী দ্বারা দুই ভাগে বিভক্ত। পশ্চিমে ব্রডগেজ আর পূর্বে মিটারগেজ। আমরা পর্যায়ক্রমে সকল লাইনকে ব্রডগেজে রূপান্তরের উদ্যোগ নিয়েছি। এছাড়া আমাদের বেশির ভাগই সিঙ্গেল লাইন। আমরা পর্যায়ক্রমে সকল সিঙ্গেল লাইনকে ডাবল লাইনে উন্নিত করারও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চালু হবে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস: রেলমন্ত্রী
তিনি উল্লেখ করেন যে জনগণের চাহিদার কথা বিবেচনা করে ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করেছেন। তখন থেকেই সরকার রেলখাতে বিনিয়োগ শুরু করে।
রেলপথ মন্ত্রী এ সময় তার বক্তব্যে বলেন, রেলখাতে আমরা বিদেশি বিনিয়োগ খুঁজছি। বর্তমানে রেলওয়েতে অনেক প্রকল্প চলমান আছে এবং আগামীতে আরও অনেক প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া রেলখাতের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমরা বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিচ্ছি।
এ সময় তিনি রেল খাতে উন্নয়ন প্রকল্পে রাশিয়ার বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, রেলওয়েতে আমরা নতুন কোচ, ইঞ্জিন সংগ্রহ করছি। নতুন নতুন লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। ব্রিজ নির্মাণ ও সংস্কার করা হচ্ছে। সিগনালিং ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সাথে যৌথভাবে ট্রেনিং ইনস্টিটিউট স্থাপনসহ এ সকল ক্ষেত্রে রাশিয়া বিনিয়োগ করতে পারে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর সড়ক ও রেলপথ একসাথে উদ্বোধনে ‘সংশয়’ রেলমন্ত্রীর
পরে রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত রেলপথ মন্ত্রীকে রাশিয়া ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানালে মন্ত্রী রাশিয়ার রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা, প্রযুক্তিসহ সেখানকার রেলওয়ে কোচ ও ইঞ্জিন তৈরির কারখানা সরেজমিনে দেখার জন্য প্রস্তাব গ্রহণ করে আগামী মাসে উপযুক্ত সময়ে রাশিয়া ভ্রমণের সম্মতি জানান।
সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, রাশিয়া দূতাবাসের তৃতীয় সচিব অ্যান্টন ভেরেসচাগিন।
৩ বছর আগে