জিয়া
বন্ধ হলো চট্টগ্রামের জিয়া শিশু পার্ক
চট্টগ্রাম সদরের কাজীর দেউড়ি সংলগ্ন জিয়া স্মৃতি শিশু পার্ক বন্ধ করে দিয়েছেন জেলা প্রশাসন।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নু এমং মারমা মং ও রাকিবুল ইসলাম পার্কটি সিলগালা করেন।
সিলগালা শেষে চট্টগ্রাম সেনানিবাসের নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া তাহেরকে জিয়া স্মৃতি শিশু পার্কের জায়গা বুঝিয়ে দিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তীর থেকে লাশ উদ্ধার
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নু এমং মারমা মং বলেন, শিশু পার্কের জায়গাটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্পত্তি। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে (চসিক) যেসব শর্তে জমিটি ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছিল তার ব্যত্যয় ঘটায় শিশু পার্ক সিলগালা করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ ও জিয়া স্মৃতি জাদুঘর সংলগ্ন জিয়া শিশু পার্কটি সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে পরিচালনা করে আসছিল একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
তবে, দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পার্কটি বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছিল।
এছাড়া এটি বন্ধের দাবিতে বিভিন্ন সময় কয়েকটি সংগঠন মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছিল।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
১ বছর আগে
বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন
বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দলটির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জিয়ার মাজারে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর তারা জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া মাহফিলে অংশ নেন।
পড়ুন: নেত্রকোণায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে আহত ৩০, আটক ১৩
এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।
সারাদেশে বিএনপি ও অংঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন কর্সূচির মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে।
দিনটি উদযাপনে বৃহস্পতিবার সকালে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে দলীয় পতাকা উত্তোলন করে দলটি।
এরপর দলটির নেতাকর্মীরা বিকাল ৩টায় নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে। এছাড়া শুক্রবার এই উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
পড়ুন: ক্ষমতায় গেলে জিয়া হত্যার বিচারে কমিশন গঠন করবে বিএনপি: ফখরুল
আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়তে ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর ১৯ দফার ভিত্তিতে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এরপর ১৯৮০ সালে জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর তার স্ত্রী দলের নেতৃত্বে আসেন।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে দলটি চারবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যায় ও দুইবার বিরোধী দল হিসেবে ভূমিকা পালন করে। ২০০৭ সালে ১/১১ পরবর্তী রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকে প্রায় ১৫ বছরের কাছাকাছি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে রয়েছে দলটি।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২৫
২ বছর আগে
জিয়া দেশকে পাকিস্তানের ধারায় ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিল: কৃষিমন্ত্রী
জিয়া এ দেশে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে সমাজের সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত করেছিল এবং দেশকে পাকিস্তানের ধারায় ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিল বলে উল্লেখ করেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
সোমবার বিকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে সেচ ভবন মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জাতিকে বিভক্ত করে গিয়েছেন। সে না থাকলে এটি কখনোই সম্ভব হতো না। এছাড়া জিয়া ছিলেন ক্ষমতালোভী। তার কোন আদর্শ ছিল না। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করলেও তার চিন্তা-চেতনার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ প্রবেশ করে নি।
তিনি বলেন, তিনি আরও বলেন, দেশকে ধ্বংস করার জন্য নানা রকম ষড়যন্ত্র চলছে। বিএনপি জামায়াত, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ও কিছু বুদ্ধিজীবী সারা দিন কামনা করছে দেশ যেন দেউলিয়া হয়ে যায়। দেউলিয়া হলে অরাজকতা সৃষ্টি করে তারা আবার ক্ষমতায় আসবে এই তাদের কামনা। কিন্তু তাদের এ স্বপ্ন পূরণ হবে না।
ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের আহ্বায়ক সেলিম হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মিন্টু খানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি, সংসদ সদস্য শাহাদারা মান্নান এবং কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম।
এছাড়া, বিএডিসির চেয়ারম্যান এএফএম হায়াতুল্লাহ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, বিসিএস (কৃষি) এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল ইসলাম, বর্তমান সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সারা দেশ থেকে আগত ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: তেলের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী
দেশে চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত সার মজুদ আছে: কৃষিমন্ত্রী
বিএনপি সরকারকে সরাতে পারবে না: কৃষিমন্ত্রী
২ বছর আগে
জিয়া মারা না গেলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি হতেন: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, জিয়াউর রহমান যে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তা প্রমাণের জন্য রকেট সায়েন্স লাগে না। তার কর্মকাণ্ডই প্রমাণ করে তিনি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মারা না গেলে জিয়াউর রহমান এই মামলার আসামি হতেন বলেও জানান তিনি।
বুধবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে যারা ষড়যন্ত্র করেছেন, তাদেরকে চিহ্নিত করতে একটি কমিশন গঠনের বিষয়ে অনেকেই এখন সোচ্চার। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, সময়মত এ কমিশন অবশ্যই গঠন করা হবে এবং এর মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করা হবে। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা কমবেশি চিহ্নিত। তাদের কর্মকাণ্ডকে দলিল হিসেবে সংরক্ষণের জন্য কমিশন প্রয়োজন।
আরও পড়ুন:সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ছাড় দেয়া হবে না: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘উইচ হান্টিং’ বা প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই কমিশন গঠন করা হবে না। ১৯৭৫ সালের বাংলাদেশের ভবিষ্যতকে বদলে দেয়ার জন্য যে কলঙ্কিত প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছিল, যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিলে তার সঙ্গে কারা কারা জড়িত ছিল, নতুন ও ভবিষ্যত প্রজন্মকে সেটা জানানোর জন্যই এই কমিশন গঠন করা হবে। এছাড়া কাদের ব্যাপারে তাদের সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার সেটা জানানোও এই কমিশনের উদ্দেশ্য।
বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এমপি, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউর রহমান, আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, এডভোকেট আব্দুল্লাহ আবু প্রমুখ বঙ্গবন্ধুর জীবন-আদর্শ নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
আরও পড়ুন:আ.লীগ জনগণের দল, আমাদের শক্তি জনগণের শক্তি: আইনমন্ত্রী
সুষ্ঠু ভূমি ব্যবস্থাপনার অভাবেই মামলাজট: আইনমন্ত্রী
২ বছর আগে
ঈদে জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে বিএনপি
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মঙ্গলবার দলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে বিএনপি।
বিএনপির জ্যৈষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জ্যৈষ্ঠ নেতারা বেলা ১১টায় জিয়ার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
তিনি বলেন, তারা সেখানে জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা ও বিশেষ মোনাজাত করবেন।
এছাড়া সন্ধ্যায় গুলশানের বাসায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের সংকটের জন্য সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে দুষছে বিএনপি
২০১৮ সালে কারাগারে পাঠানোর আগ পর্যন্ত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া প্রতি বছর ঈদ উপলক্ষে জিয়ার কবরে ফাতেহা পাঠ করতেন। কিন্তু এরপর থেকে তার অনুপস্থিতিতে ঈদের দিন কর্মসূচি পালন করে আসছেন বিএনপির জ্যৈষ্ঠ নেতারা।
এদিকে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশ ও বিশ্বের অন্যান্য স্থানের সকল মুসলমানকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ও ‘ঈদ মোবারক’ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এক বার্তায় তিনি আশা প্রকাশ করেন, ঈদ দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহর জন্য সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও মঙ্গল বয়ে আনবে।
ফখরুল দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, জাতি এমন এক সময়ে ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে যাচ্ছে যখন তাদের প্রিয় নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে গৃহবন্দি।
তিনি দেশের জনগণকে সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করার আহ্বান জানান যাতে তিনি আবারও জেল থেকে মুক্তি পেয়ে এবং অসুস্থতা থেকে সুস্থ হয়ে জাতিকে নেতৃত্ব দিতে পারেন।
২ বছর আগে
সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে পঞ্চগড়ে মামলা
জিয়া পরিবার ও তারেক রহমানের মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সর্ম্পকে কুরুচিপূর্ণ, নারী বিদ্বেষী এবং মর্যাদা হানিকর ভাষা ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের অভিযোগে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে পঞ্চগড়ে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় চট্টগ্রামের হালিশহরের মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলাল নামের একজনকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে।
রবিবার পঞ্চগড়ের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে পঞ্চগড় জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও পঞ্চগড় আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মির্জা নাজমুল ইসলাম কাজল বাদি হয়ে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ১৫৩ এর ক, ৫০৫ এর ক ও ৫০৯ ধারায় মামলাটি করেন।
আরও পড়ুন: এবার মুরাদের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জে মামলার আবেদন
বিচারক হুমায়ূন কবির সরকার এই মামলার শুনানি করেছেন। আদালতে বাদী তার আবেদনের পক্ষে বক্তব্য দিয়েছেন। এসময় জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের অর্ধশত আইনজীবী শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বাদী পঞ্চগড় জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও পঞ্চগড় আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মির্জা নাজমুল ইসলাম কাজল বলেন, আদালতে বাদী হিসেবে মামলার পক্ষে জবানবন্দি দিয়েছি। আদালত জবানবন্দি রেকর্ড করেছে। মামলার পক্ষে অর্ধশত আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলার সাক্ষী আছে, এছাড়া এ সংক্রান্ত ভিডিও ও স্থির চিত্র আদালতে পেশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে মুরাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ
এবার বরিশালে মুরাদের বিরুদ্ধে মামলা
২ বছর আগে
সরকারের সাথে আলোচনার কোন সম্ভাবনা নেই: বিএনপি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের সাথে কোনও ধরনের আলোচনায় বসবে না বিএনপি। এছাড়া এই সরকারের অধীনে কোনও নির্বাচনে অংশ নেবে না দলটি।
মঙ্গলবার (০২ নভেম্বর) প্রেসক্লাবের সামনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ‘অন্তরে মম শহীদ জিয়া’ নামক সংগঠনের আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
এসময় আমির খসরু আরও বলেন, ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে বিএনপি যেমন কোনও নির্বাচনে অংশ নেবে না, তেমনি নির্বাচনের আগে কোনও আলোচনায়ও বসবে না। কারণ এর আগেও আমরা তাদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। দেশের জনগণ দেখেছে তার কি ফল পেয়েছি আমরা।
আরও পড়ুন: ঢাকা এখন বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে: বিএনপি
নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়কের অধীনে ছাড়া বিএনপি কোনও আলোচনায় বা নির্বাচনে অংশ নেবে না মন্তব্য করে বিএনপির জেষ্ঠ্য এই নেতা বলেন, নিরপেক্ষ সরকার গঠনের আগে আলোচনায় বসার কোনও সম্ভাবনা নেই।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে জনগণের কোনও সরকার নেই। যে দল এখন দেশ শাসন করছে, তাদের কাছে জনগণের কোনও মূল্য নেই।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটের অধিকার, আইনের শাসন ও গণমাধ্যমের স্বাধীণতার সাথে এখন জনগণের ধর্ম পালনের অধিকার পর্যন্ত ‘ছিনিয়ে নিয়েছে’।
আরও পড়ুন:সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সাথে আ’লীগ জড়িত: বিএনপি
তিনি বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) যা বলে, ঠিক তার উল্টো কাজ করে। মুখে মুখে তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলে, অথচ তারা নিজেরাই গুজব ও সন্দেহ ছড়িয়ে হিন্দুদের দুর্গোৎসব নষ্ট করেছে। তাদের এসব কাজকর্মে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে এবং বর্হিবিশ্বের সামনে আমাদের মাথা নত হয়ে গেছে।
বিএনপির নেতা বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী দেশের প্রতিটি নাগরিকের নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার রয়েছে। আমরা সাম্প্রদায়িক শক্তিকে আমাদের দেশ ধ্বংস করতে দিতে পারি না। সরকার সাম্প্রদায়িক হামলাকারীদের শাস্তি দিতে চান না। বরং এর বদলে এইসব ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন চালোতে চায় তারা।
আমির খসরু আরও বলেন, গত ৯ বছরে সাম্প্রদায়িক হামলায় কমপক্ষে তিন হাজার হিন্দু জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অথচ একটা ঘটনারও কোনও বিচার হয়নি, এমনকি এখনও পর্যন্ত একজন অপরাধীও শাস্তির আওতায় আসেনি।
আরও পড়ুন:পরিবেশ তৈরি হলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে: ফখরুল
৩ বছর আগে