জলবায়ু অভিবাসী
জলবায়ু অভিবাসীদের সাহায্য বৃদ্ধিতে আইওএমের ভূমিকা বৃদ্ধির আহ্বান ঢাকার
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. কে. আব্দুল মোমেন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাকে (আইওএম) জলবায়ু-অভিবাসন সম্পর্ক নিয়ে ভূমিকা জোরালো করার আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পরিচয়পত্র পেশ করতে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত আইওএম চিফ অব মিশন আবদুসাত্তর এসয়েভ তার সঙ্গে দেখা করলে তিনি এ পরামর্শ দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মানুষের অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক উভয় আন্দোলনকে মোকাবিলা করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উপযুক্ত উপায় খুঁজে বের করা উচিত।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আগাম বৃষ্টিপাত হচ্ছে: পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী
ড. মোমেন আইওএম কান্ট্রি চিফকে স্বাগত জানান এবং তার দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে মানবিক প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে আইওএম-এর সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন এবং বিশ্বের অন্যান্য অংশে জরুরি পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সমর্থন অব্যাহত রাখার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
এসোয়েভ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ভাষানচরে আইওএম-এর আসন্ন কাজ এবং অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের অগ্রাধিকারের কথা স্বীকার করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আইওএমকে প্রত্যাবর্তিত অভিবাসীদের পুনঃএকত্রীকরণে সহায়তাকারী প্রকল্পগুলোর যথাযথ প্রভাব মূল্যায়ন করতে বলেছেন।
আইওএম কান্ট্রি চিফ পুনঃএকত্রীকরণ নীতি তৈরিতে সরকারকে সমর্থন করার আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় কার্যকর পরিকল্পনা প্রণয়ন করছে সরকার’
এসয়েভ নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও নিয়মিত অভিবাসন সংক্রান্ত গ্লোবাল কমপ্যাক্ট বাস্তবায়নসহ আন্তর্জাতিক অভিবাসন ইস্যুতে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
জাতিসংঘের সংস্থা হিসাবে আইওএমকে আরও শক্তিশালী করার সমর্থনে তিনি বাংলাদেশের সমর্থন সমুন্নত রাখার অনুরোধ করেন।
এসময় সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক সংঘাতের পরিস্থিতি থেকে পালিয়ে আসা বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রত্যাবাসনে আইওএম-এর সমর্থনকে ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী।
২ বছর আগে
বিশ্বকে জলবায়ু অভিবাসীদের দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বকে জলবায়ু অভিবাসীদের দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘উচ্চাভিলাষী প্রভাব প্রশমন প্রচেষ্টা ছাড়া শুধুমাত্র অভিযোজন ব্যবস্থা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাবগুলোকে ধীর, থামনো এবং পাল্টানোর জন্য যথেষ্ট নয়।’
মঙ্গলবার স্কটিশ পার্লামেন্টে ‘কল ফর ক্লাইমেট প্রসপারিটি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এর আগে স্কটিশ পার্লামেন্টে পৌঁছলে স্পিকার অ্যালিসন জনস্টোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাগত জানান। এ সময় বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা এবং সিভিএফ দূত সায়মা ওয়াজেদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, উন্নত দেশগুলোকে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর ওপর বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এই পরিমাণ অর্থায়ন হবে বিদ্যমান ওডিএ (অফিশিয়াল উন্নয়ন সহায়তা) এর অতিরিক্ত এবং বিভিন্ন জলবায়ু তহবিলের মধ্যে সমন্বয় থাকা দরকার। জলবায়ু তহবিলের বিতরণে অভিযোজন এবং প্রশমনের মধ্যে ৫০:৫০ অনুপাত থাকা উচিত।’
প্রধানমন্ত্রী সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে সবুজ প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেয়ার ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী নারীরা: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, গ্লাসগোতে বিশ্ব নেতারা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাবের অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকি মোকাবিলায় সাড়া দেয়ার জন্য তাদের বৈশ্বিক সম্মিলিত প্রচেষ্টার সমন্বয়ে জলবায়ু কর্মের বিষয়ে সংকল্প ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রদর্শন করতে সমবেত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে কোনো দেশই মুক্ত নয়।
শেখ হাসিনা সম্প্রতি প্রকাশিত আইপিসিসি (জলবায়ু সংক্রান্ত আন্ত:সরকার প্যানেল) ৬ মূল্যায়ন প্রতিবেদনটিকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং জলবায়ু বিপর্যয় থেকে পৃথিবকেকে বাঁচাতে এখনই সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বিশ্বের জন্য আরেকটি জাগরণের আহ্বান হিসাবে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, আমরা মানবজাতির সবচেয়ে গুরুতর বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এটি বাংলাদেশের মতো জলবায়ু- ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলির জন্য একটি বড় হুমকি। যদিও আমরা বিশ্বব্যাপী নির্গমনের ০.৪৭ শতাংশেরও কম অবদান রাখি।’
পড়ুন: প্রবাসীদের আরও বেশি বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
শক্তিশালী রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে জলবায়ু কর্মকাণ্ড কার্যকর হচ্ছে না: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে