ডিজেল
চট্টগ্রামে ট্রেনের বগি লাইনচ্যূত হয়ে ৪০ হাজার লিটার তেল খালে
চট্টগ্রামে তেলবাহী ট্রেনের তিনটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়ে প্রায় ৪০ হাজার লিটার তেল (ডিজেল) খালে পড়ে গেছে।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মহানগরীর হালিশহর এলাকায় রেলওয়ের গুডস পোর্ট ইয়ার্ডে (সিজিপিওয়াই) ডিপো থেকে তেল লোড করে ইয়ার্ডে ঢোকার সময় ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গুডস পোর্ট ইয়ার্ড মাস্টার আবদুল মালেক বলেন, ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল। তেল লোড করার পর এটি লাইনচ্যূত হয়েছে। ট্রেনটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তিনি আরও জানান, পদ্মা-মেঘনা ও যমুনা থেকে তেল ভর্তি করে সিজিপিওয়াইতে প্রবেশ করছিল ট্রেনটি।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ট্রেনের ধাক্কায় ট্রাক্টর চূর্ণবিচূর্ণ
সিজিপিওয়া ‘র নিরাপত্তা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, তেল লোড করে প্রবেশের ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মাথায় ট্রেনটির তিনটি লাইনচ্যুত হয়ে উল্টে যায়। একেকটি ওয়াগনে প্রায় ৩৮ থেকে ৪০ হাজার তেল থাকে। এর মধ্যে একটি বগি উল্টে পড়ে ড্রেন হয়ে আশপাশের খালে ছড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন উপায়ে তেল যেন ছড়িয়ে না পড়ে সেই ব্যবস্থার চেষ্টা করা হয়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিপিডি
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ভর্তুকি হিসাবে ৫৬ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা বরাদ্দের জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উত্থাপিত প্রস্তাবের ভিত্তিতে বিদ্যুতের শুল্ক বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছে।
বৃহস্পতিবার সিপিডি অফিসে ‘খসড়া সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা (আইইপিএমপি): পরিচ্ছন্ন জ্বালানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবে কি?’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি না কেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এত বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি চাওয়ার সময় খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে চায়।
তিনি বলেন, মোট প্রস্তাবিত অর্থের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) কাছে ৩২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, পেট্রোলিয়াম আমদানির জন্য বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) কাছে ১৯ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা এবং পেট্রোবাংলার কাছে এলএনজি আমদানির জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাজেটে নিম্ন-মধ্যম আয়ের জনগণের জন্য কোনো সুখবর নেই: সিপিডি
তিনি বলেন, ‘বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে ভর্তুকি কমানোর প্রস্তাবে আমরা একমত নই’।
তিনি আরও বলেন, বরং সরকারের উচিত বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কমাতে বেশি ভাড়া এবং কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ করতে একটি পরিকল্পনা নেয়া উচিত।
সিপিডি গবেষণা পরিচালক বলেন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিপিসি এখন জ্বালানির দাম বৃদ্ধির পরে পেট্রোলিয়াম ব্যবসায় লোকসানের পরিবর্তে প্রচুর মুনাফা করছে, কারণ বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম ক্রমেই নিম্নমুখী হচ্ছে।
তিনি দাবি করেন, বিপিসি এখন প্রতি লিটার ডিজেল বিক্রি করে ৩০ টাকার ওপরে লাভ করছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হতে পারে মূল্যস্ফীতির কারণে মন্ত্রণালয় এত বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি চেয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
খসড়া সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা (আইইপিএমপি)গ্রহণের জন্য সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করে ডা. গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, এর কিছু ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক রয়েছে।
তিনি বলেন,‘কিন্তু তা সত্ত্বেও আমরা এই পদক্ষেপের প্রশংসা করি, কারণ এটি নবায়ণযোগ্য জ্বালানি উন্নয়নে আগের তুলনায় তারা (সরকার) অনেক বেশি মনোযোগ দিয়েছে।’
তিনি বলেন, তবে সরকার এখন ২০৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের মূল লক্ষ্য থেকে সরে আসছে।
তিনি আরও বলেছেন, ‘আমরা বিবৃতিতে একটি বড় পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি। কারণ তারা এখন লক্ষ্যমাত্রা ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি’র পরিবর্তে, ‘ক্লিন এনার্জি’ ‘৪০শতাংশ পর্যন্ত’ শব্দটি ব্যবহার করেছে।’
তিনি আরও বলেছেন, সরকার ‘কার্বন ক্যাপচার টেকনোলজি’ চালু করে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের ফেজ আউট পরিকল্পনা থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, উন্নত বিশ্ব এখন এই প্রযুক্তি থেকে সরে আসছে। কারণ এই পদ্ধতিটি পরিবেশ বান্ধব নয়। কারণ এই ধরনের প্রযুক্তি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে কার্বন ক্যাপচার করতে ব্যবহৃত হয়।
আরও পড়ুন:বিপিসির দুর্নীতি-অব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করা গেলে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির দরকার হতো না: সিপিডি
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী সৌর ও অন্যান্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির খরচ কমছে এবং মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার ৪০ শতাংশ বা ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের উৎপাদন সহজে বাস্তবায়নযোগ্য। কেননা অনেক দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রযুক্তি দিন দিন সস্তা হচ্ছে। সরকারের উচিত অপ্রমাণিত প্রযুক্তির পরিবর্তে এই বিষয়ে প্রমাণিত প্রযুক্তির দিকে যাওয়া।’
তিনি আরও লক্ষ্য করেছেন যে সরকার শেষ পর্যন্ত প্রস্তাবিত মহাপরিকল্পনার মাধ্যমে এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানির উৎসাহিত করতে চায়, অন্যদিকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি যথাযথ মনোযোগ পায়না।
তিনি বলেন,‘প্রস্তাবিত মহাপরিকল্পনায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাদ দেয়া হয়নি, তবে এটিকে উপেক্ষা করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:ব্যাংকগুলোতে আমানতকারীদের আস্থা ও সুশাসন নিশ্চিত করুন: সিপিডি আলোচনায় অর্থনীতিবিদরা
বাস ভাড়া কমল ৫ পয়সা!
সরকার আন্তজেলা ও দূরপাল্লার বাস ভাড়ায় প্রতি কিলোমিটারে কমিয়েছে পাঁচ পয়সা। এর আগে মঙ্গলবার ম্যধরাত থেকে সকল প্রকার জ্বালানিতে প্রতি লিটারে ৫ টাকা কমিয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী বলেন, বুধবার রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) প্রধান কার্যালয়ে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, নতুন এই ভাড়ার হার বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হবে।
সিদ্ধান্তানুযায়ী আন্তজেলা ও দূরপাল্লার বাসভাড়া প্রতি কিলোমিটার পূর্বের ২ টাকা ২০ পয়সার পরিবর্তে ২ টাকা ১৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া ঢাকা মহানগরে চলাচলকারী বাসগুলোর ভাড়া প্রতি কিলোমিটার ২ টাকা ৫০ পয়সার পরিবর্তে ২ টাকা ৪৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।
একইভাবে বাস ও মিনিবাসের সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা ও ৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এর আগে সোমবার সকল প্রকার জ্বালানির মূল্য ৫১ দশমিক ৬৮ শতাংশ বৃদ্ধির ২৩ দিন পর প্রতি লিটারে কমালো মাত্র পাঁচ টাকা।
এর আগে জ্বালানি মূল্য কমানো হবে বলে জানিয়েছিলেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ইউএনবিকে তিনি বলেছিলেন, এখন ডিজেল ও কেরোসিন প্রতি লিটার ১০৯ টাকা, পেট্রোল ১২৫ টাকা এবং অকটেন ১৩০ টাকা।
পড়ুন:বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম কমলে সরকার হ্রাস করবে: নসরুল হামিদ
বিশ্ববাজারে রেকর্ড পরিমাণ জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে গত ৬ আগস্ট স্বল্প ও দূর পাল্লার আন্তজেলার বাসভাড়া ২২ শতাংশ আর ঢাকার অভ্যন্তরে বৃদ্ধি করে ১৬ দশমিক ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি করে সরকার।
এর আগে গত ৬ আগস্ট সরকার রেকর্ড পরিমাণ সকল প্রকার জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি করে। ডিজেল ও কেরোসিনের খুচরা মূল্য প্রতি লিটার ১১৪ টাকা, পেট্রোল ১৩০ টাকা এবং প্রতি লিটার অকটেন ১৩৫ টাকা।
আরও পড়ুন: ৫ টাকা কমল জ্বালানির মূল্য, বুধবার মধ্যরাত থেকে কার্যকর
৫ টাকা কমল জ্বালানির মূল্য, বুধবার মধ্যরাত থেকে কার্যকর
সরকার সকল প্রকার জ্বালানির মূল্য ৫১ দশমিক ৬৮ শতাংশ বৃদ্ধির ২৩ দিন পর প্রতি লিটারে কমালো মাত্র পাঁচ টাকা।
এর আগে জ্বালানি মূল্য কমানোর হবে বলে জানিয়েছিলেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ইউএনবিকে তিনি বলেছিলেন, এখন ডিজেল ও কেরোসিন প্রতি লিটার ১০৯ টাকা, পেট্রোল ১২৫ টাকা এবং অকটেন ১৩০ টাকা।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো প্রকার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি।
মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে জ্বালানির নির্ধারিত মূল্য কার্যকর হবে।
দুই এক দিনের মধ্যে জ্বালানির মূল্য নতুন করে নির্ধারণ করবে সরকার বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের এমন মন্তব্যের পর এই ঘোষণা আসল।
এর আগে গত ৬ আগস্ট সরকার রেকর্ড পরিমাণ সকল প্রকার জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি করে। ডিজেল ও কেরোসিনের খুচরা মূল্য প্রতি লিটার ১১৪ টাকা, পেট্রোল ১৩০ টাকা এবং প্রতি লিটার অকটেন ১৩৫ টাকা।
আরও পড়ুন: সরকার জ্বালানি খাতকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে জনগণের টাকা লুটপাট করছে: বিএনপি
জ্বালানি সংকট কাটিয়ে উঠার আশা তৌফিক-ই-ইলাহীর
লঞ্চ ভাড়া ৩০ শতাংশ বাড়ল
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে লঞ্চ ভাড়া ৩০ শতাংশ বাড়িয়ে সমন্বয় করা হয়েছে।
মঙ্গলবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় গঠিত ওয়ার্কিং কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে প্রতি কিলোমিটারে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করেছে।
এতে বলা হয়, প্রথম ১০০ কিলোমিটার দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটারে জনপ্রতি যাত্রী ভাড়া ২ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৭০ পয়সা বাড়িয়ে ৩ টাকা করা হয়েছে।
দূরত্ব ১০০ কিলোমিটারের বেশি হলে প্রতি কিলোমিটারে জনপ্রতি ভাড়া ২ টাকা থেকে ৬০ পয়সা বাড়িয়ে ২ টাকা ৬০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া সর্বনিম্ন ভাড়া ২৫ টাকা থেকে ৮ টাকা বাড়িয়ে ৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) থেকে নতুন ভাড়া আদায় কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
ভাড়া বৃদ্ধির জন্য লঞ্চ মালিকদের প্রস্তাবের পর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সমস্ত অংশীজনদের জন্য সম্ভাব্য প্রভাব বিবেচনা করে নতুন ভাড়ার সুপারিশ করার জন্য একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করে।
ডিজেলের দাম ২৩ শতাংশ বাড়ানোর পর গত বছরের নভেম্বরেই লঞ্চের ভাড়া ৩৫ শতাংশের বেশি বাড়ানো হয়েছিল। নভেম্বরের আগে লঞ্চে ১০০ কিলোমিটার মধ্যে দূরত্বে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া ছিল এক টাকা ৭০ পয়সা। তখন তা থেকে বাড়িয়ে দুই টাকা ৩০ পয়সা করা হয়েছিল।
১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া নভেম্বরের আগে ছিল এক টাকা ৪০ পয়সা। তা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছিল দুই টাকা। আর লঞ্চের সর্বনিম্ন ভাড়া ১৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ টাকা করা হয়েছিল নভেম্বরে।
পড়ুন: লঞ্চের ভাড়া বাড়াতে ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হয়েছে: সচিব
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি: বাড়ছে গণপরিবহন ও লঞ্চের ভাড়া
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল
বিশ্ব বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়িয়েছে সরকার। শনিবার (৬ আগস্ট) রাত ১২টা থেকে পরিবর্তিত মূল্য কার্যকর হবে।
শুক্রবার রাত ১০টার দিকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের খুচরা দাম হবে প্রতি লিটার ১১৪ টাকা, অকটেনের দাম হবে প্রতি লিটার ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোলের দাম হবে ১৩০ টাকা।
পড়ুন: সোলার প্যানেল ব্যবহার করে ২০ শতাংশের বেশি বিদ্যুৎ বিল বাঁচানো সম্ভব: নসরুল হামিদ
কয়লার প্রথম চালান রামপালে, অক্টোবরে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু
দেশে পেট্রোলিয়াম জ্বালানির পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে: জ্বালানি বিভাগ
দেশে পর্যাপ্ত পেট্রোলিয়াম জ্বালানির মজুত রয়েছে বলে জানিয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
বুধবার জ্বালানি বিভাগের এক ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, দেশে ৩২ দিন ব্যবহারের জন্য চার লাখ ৩১ হাজার ৮৩৫ মেট্রিক টন ডিজেল, ৪৪ দিন ব্যবহারের জন্য জেট-এ১ জ্বালানি ও ৩২ দিন ব্যবহারের জন্য ফার্নেস তেলের মজুত রয়েছে।
জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে এটি বলছে, একটি স্বার্থান্বেষী মহল জ্বালানি তেলের মজুত নিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য ছড়াচ্ছে, যা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকগুলোকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খরচ কমানোর নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
পুরো পেট্রোল স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয় এবং ৪০ শতাংশ অকটেনও দেশে উৎপাদিত হয়, যোগ করে জ্বালানি বিভাগ।
ছয় মাসের পেট্রোলিয়াম জ্বালানি আমদানির প্রক্রিয়া পাইপলাইনে রয়েছে।
‘আমরা দৃঢ়ভাবে বলছি বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের অধীনে থাকা কোম্পানিগুলোর কাছে পর্যাপ্ত জ্বালানি তেলের মজুত রয়েছে। বর্তমানে দেশে পেট্রোলিয়াম জ্বালানির কোনো ঘাটতি বা সংকট নেই। সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই।’
আগামী মাসে পেট্রোলিয়ামের দাম বাড়তে পারে: নসরুল হামিদ
সরকার আগামী মাস থেকে পেট্রোলিয়ামের দাম বাড়ানোর কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
শুক্রবার তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘তবে পরিবহন ব্যবসা পরিচালকসহ সকল অংশীজনের সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত আসবে।’
তিনি বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) প্রতিদিন ৯০ কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। ডিজেল ও অকটেনের দামে সমন্বয় আসতে পারে।
তিনি বলেন, ‘এই ক্ষতি পূরণ করতে আমাদের জ্বালানির দামের সমন্বয় বিবেচনা করতে হবে। প্রতিবেশী ভারত ইতিমধ্যে প্রতি লিটারে ৫০ রূপি বাড়িয়ে দাম সমন্বয় করেছে।
আরও পড়ুন: পেট্রোলিয়ামের দাম বাড়ানোর বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত আসবে: অর্থমন্ত্রী
গত ৭ বছরে বিপিসির প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার বিপুল মুনাফা সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী দাবি করেন, ইতিমধ্যে সেই লাভ লোকসানের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে।
সরকার সর্বশেষ ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করে এবং এটি ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়।
এদিকে বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, পেট্রোলিয়ামের দাম বাড়ানোর বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত আসবে।
তিনি বলেন, ‘যখনই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তখনই আপনাদের জানানো হবে।’
আরও পড়ুন: ব্যবসায়িক গ্রুপ থেকে সয়াবিন তেল, ডাল ও চিনি কিনবে টিসিবি
বুধবার অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিইএ) ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) পরপর দুটি বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে ভার্চুয়ালি ব্রিফিং করার সময় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে কোনো পণ্যের দাম বাড়লে সরকার সব সময় ভার বহন করার চেষ্টা করে।
কামাল বলেন, ‘কিন্তু যখন দাম অতিরিক্ত বেড়ে যায় তখন সরকার জনগণের সঙ্গে ভার ভাগ করে নেয়।’
তবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) ২০১৫ সাল থেকে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করেছে এমন তথ্যের জবাব দেননি তিনি।
মুস্তফা কামাল বলেন, সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি মানুষকে কষ্ট কম দেয়া।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার তেলের ক্রমবর্ধমান বাজার হয়ে উঠছে ভারত, চীন
ডিজেল, জেট ফুয়েল, এলএনজি ও সার আমদানির অনুমোদন
অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে সরকার তিন লাখ মেট্রিক টন ডিজেল, ৭৫ হাজার মেট্রিক টন জেট-এ-১ জ্বালানি, ৩৩ দশমিক ৬০ লাখ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) এবং ৬০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানি করবে।
বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রস্তাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) পিটি থেকে তিন লাখ মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করবে। ইন্দোনেশিয়ার বুমি সিয়াক পুসাকু জাপিন থেকে তিন হাজার ২৭৪ দশমিক ৩২ কোটি টাকা এবং ইউনিপেক সিঙ্গাপুর পিটিই লিমিটেড থেকে ৭৮০ দশমিক ছয় কোটি টাকায় ৭৫ হাজার মেট্রিক টন জেট-এ-১ জ্বালানি আমদানি করবে।
আরও পড়ুন: নেপালে বিদ্যুৎ রপ্তানির পাশাপাশি আমদানির প্রস্তাব বাংলাদেশের
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলা সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া পিটিই লিমিটেড থেকে ৯৯১ দশমিক ৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৩ দশমিক ৬০ লাখ এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানি করবে। প্রতিটি এমএমবিটিইউর দাম পড়বে ২৯ দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) ওসিপি,এস.এ মরক্কো থেকে ২৫৯ দশমিক ৩৯ কোটি টাকায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার আমদানি করবে এবং বাংলাদেশ কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) কাতারের মুনতাজাত থেকে ২৪০ দশমিক ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক দানাদার ইউরিয়া সার আমদানি করবে।
কমিটি ভেরিডোস জিএমবিএইচ থেকে প্রচলিত বুকলেটের পরিবর্তে ৩০ লাখ ই-পাসপোর্ট বুকলেট আমদানি করতে ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের ব্যয় ৩৯ দশমিক ৯৩ কোটি টাকা বাড়ানোর জন্য ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তি ও জ্বালানি খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধির আশ্বাস ডেনমার্কের
নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের আহ্বান বিজিএমইএর
পশুর নদী থেকে ৪ হাজার লিটার অবৈধ ডিজেল জব্দ: আটক ২
বাগেরহাটের মোংলায় পশুর নদী থেকে চার হাজার লিটার অবৈধ ডিজেল জব্দ করা হয়েছে। এসময় দুইজনকে আটক করেছে কোস্টগার্ড সদস্যরা।
রবিবার ভোরে পশুর নদীর ওমেরা গ্যাস জেটি সংলগ্ন এলাকায় এ অভিযান চালায় কোস্টগার্ড মোংলা পশ্চিম জোনের সদস্যরা।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার কুসুডাংগা গ্রামের বিল্লাল সরদার (৩১) এবং নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ থানার গাংচিল গ্রামের নূর আলম (৫৩)।
আরও পড়ুন: নাটোরে রুপা ও ভারতীয় রুপি উদ্ধার, আটক ২
কোস্টগার্ড মোংলা পশ্চিম জোনের গোয়েন্দা কর্মকর্তা এম মামুনুর রহমান জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কোস্টগার্ড সদস্যরা পশুর নদীতে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালে কোস্টগার্ড সদস্যরা দু’টি নৌকা জব্দ করে। ওই দু’টি নৌকা তল্লাশি করে ব্যারেল ভর্তি চার হাজার লিটার অবৈধ ডিজেল জব্দ করা হয়। এসময় চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের দুই সদস্যকে আটক করা হয়।
ওই সিন্ডিকেটের কয়েকজন সদস্য নৌকা থেকে নদীতে ঝাপ দিয়ে পালিয়ে যায়। আইনগত ব্যবস্থা নিতে ডিজেলসহ আটক দুইজনকে মোংলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: সাবেক স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা, স্ত্রী ও তার বর্তমান স্বামী আটক