মূল্যবৃদ্ধি
রমজানে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে পিএমওর নির্দেশ
রমজান মাসে মূল্যবৃদ্ধি রোধে পণ্য মজুদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বাজার মনিটরিং জোরদার করার জন্য সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও)।
এছাড়া ইফতার ও সেহরির সময় গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি রোজার মাসে যাতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি না হয় তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রমজানের আগে পিএমওতে অনুষ্ঠিত একটি সভা থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের স্টক, সরবরাহ ও মূল্য, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং আসন্ন ঈদুল ফিতরে মানুষের বাড়ি ফেরা নির্বিঘ্ন করতে এই নির্দেশনা এসেছে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মুসলিম দেশগুলো অভিন্ন মুদ্রা চালুর পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর
মুখ্য সচিব বলেন, বিগত বছরের তুলনায় এবারের রমজানে খাদ্যশস্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ বেশি।
তিনি বলেন, ‘বাজারে পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস রয়েছে। রোজার মাস সামনে রেখে আমরা যথাযথ প্রস্তুতি নিয়েছি। জনগণ তাদের চাহিদামতো পণ্য কিনতে কোনো সমস্যা হবে না। আমরা রমজান ও ঈদ খুব ভালোভাবে উদযাপন করতে পারব।’
তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, প্রতি বছর এই সময়ে ১২ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ থাকলে আমরা সন্তুষ্ট। কিন্তু এ বছর এখন আমাদের কাছে প্রায় ১৭ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে।
এছাড়াও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিশেষ করে চিনি, পেঁয়াজ এবং ভোজ্য তেলের স্টক আছে কি না পর্যালোচনা করা হয়েছে। ‘বাজারে পর্যাপ্ত চিনি পাওয়া যাচ্ছে এবং আরও চিনি আমদানি করা হচ্ছে, তাই আমরা সম্ভাব্য চিনি সংকট নিয়ে চিন্তিত নই। বাজারে ভোজ্য তেলের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। সুতরাং, ভোজ্য তেল নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না,’ যোগ করেন তিনি।
রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যাতে মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে সেজন্য পণ্যের সাপ্লাই চেইন স্বাভাবিক রাখতে সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান মুখ্য সচিব।
সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অংশ হিসেবে রমজানে কিস্তিতে ওএমএস ও টিসিবির মাধ্যমে দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা রোজার মাসে এক কোটি মানুষকে দ্বিগুণ ভোজ্যতেল, চিনি, ডাল, ছোলা, পেঁয়াজ ও খেজুর দেব।’
পর্যালোচনা সভায় পরিবহন টিকিট ব্যবস্থা সহজীকরণ, ঈদের সময় মহাসড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখা, ঈদের আগে সড়ক ও সেতু সংস্কার, ফেরির সংখ্যা বৃদ্ধি, অতিরিক্ত যাত্রী বহন রোধ, আকাশপথে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বৃদ্ধি এবং যথাযথ অর্থ বিতরণের বিষয়ে আলোচনা হয়। ঈদকে সামনে রেখে গার্মেন্টস ও জুটমিল শ্রমিকদের মধ্যে বেতন নিয়ে আলোচনা ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, রেলপথ মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, শিল্প মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ (সমন্বয় ও সংস্কার), সেতু বিভাগ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
৭ মাস আগে
ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়: সামন্ত লাল সেন
ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি এবং এটি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ওষুধ কোম্পানির মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করার নির্দেশনা দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।
মঙ্গলবার(২৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুন: খতনা করতে গিয়ে দুই শিশুর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নির্দেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমকে ওষুধের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনার নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি বলেন, 'সংবাদপত্রে প্রায়ই ওষুধের মূল্য নিয়ে লেখালেখি হয়। হঠাৎ করে ওষুধের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে পারে না। কেন বাড়ছে, কতটা বাড়ছে, যৌক্তিক কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে।’
আরও পড়ুন: প্রাক্তন স্বামীর আগুনে দগ্ধ চিকিৎসকের খোঁজ নিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৮ মাস আগে
নির্মাণ সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির কারণে অনেক কাজ বন্ধ হয়ে গেছে: এলজিআরডি মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, নির্মাণ সামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে ঠিকাদাররা সারাদেশে বিভিন্ন প্রকল্প বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন।
জাতীয় সংসদে পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদারের একটি সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশ্বকে চমকে দিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সরকারি দলের এই সংসদ সদস্য বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে স্কুল-প্রতিষ্ঠানসহ অনেক নির্মাণকাজ অর্ধেক শেষ হয়ে আছে।
তিনি বলেন, ‘এখন অবস্থা এমন, কাজ শুরু না হলে ভালো হতো। কাজ বন্ধ থাকায় জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীকে বারবার অনুরোধ করেও কাজ করা হচ্ছে না।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, নির্বাচনের সময় ভোট চাইতে গিয়ে দেওয়া প্রতিশ্রুতির জন্য সংসদ সদস্যরা অনেক বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন।
জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতার কারণে নির্মাণ সামগ্রীর দাম কয়েকগুণ বেড়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আগে যে রড প্রতি মেট্রিক টন ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হতো, তা এখন প্রতি মেট্রিক টন রড এক লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে যে সিমেন্ট প্রতি বস্তা ২০০-৩০০ টাকায় বিক্রি হতো তা হয়ে গেছে ৫০০ টাকা।
তিনি আরও বলেন, ‘যেসব কাজে ঠিকাদাররা অংশ নিয়েছেন, সবগুলোতেই দাম বাড়ার কারণে ঠিকাদাররা কাজে অনীহা প্রকাশ করেছেন।’
তিনি উল্লেখ করেন, সরকার বাস্তবতা অনুধাবন করে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে এসব সামগ্রীর দাম বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যার বিচার হারিয়ে যাবে না: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘কিন্তু যে ঠিকাদাররা আগে কাজ করেছিলেন তারা সত্যিকারের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ায় তাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কারণ আমাদের যে কাজগুলো করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে সেগুলো বাদ দিয়ে নতুন করে দরপত্র জারি করা ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই।’
এই প্রক্রিয়া অনুসরণের জন্য সময় ফুরিয়ে আসছে বলে উল্লেখ করেন তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘আমার নির্বাচনি এলাকাসহ অনেক এলাকায় ঠিকাদাররা কাজ পেলেও বাস্তবায়ন করতে পারেনি, তাদের সব কাজ বাতিল করে তা বাস্তবায়নের জন্য নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: জলাভূমি সংরক্ষণের জন্য ম্যাপ তৈরি করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
৮ মাস আগে
মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিলেও আগস্টে খাদ্যমূল্যস্ফীতি বেড়েছে ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ: বিবিএস
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারেরে উদ্যোগ সত্ত্বেও চলতি বছরের আগস্টে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশে। আর আগস্টে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ মূল্যস্ফীতির তথ্য অনুযায়ী- গত দুই মাসে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত উভয় মূল্যস্ফীতি আগস্টে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে বেকার সংখ্যা ২.৭০ লাখ বেড়েছে: বিবিএস
গত দুই মাসে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমার পর আগস্টে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। চলতি মাসে সামগ্রিকভাবে খাদ্যমূল্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ। জুলাইয়ে তা ছিল ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
তবে জুলাই মাসে সামগ্রিক খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ হলেও আগস্টে তা ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
এ ছাড়াও গ্রামীণ অঞ্চলে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি আগস্টে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশে। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
আগস্টে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ মানে- একজন ব্যক্তি যিনি ২০২২ সালের আগস্ট মাসে ১০০ টাকায় পণ্য ও পরিষেবা কিনতেন। যা চলতি বছরের আগস্টে একই পণ্য কিনতে খরচ হয়েছে ১০৯ দশমিক ৯২ টাকা।
বিশ্লেষকরা বলেন, এক বছরের ব্যবধানে খরচ বেড়েছে ৯ দশমিক ৯২ টাকা। অর্থাৎ মুদ্রাস্ফীতি একটি করের মতো যা ধনী-গরিব সবার কাছেই সমান বোঝা হয়ে দাঁড়ায়।
বিবিএসের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, গ্রামীণ অঞ্চলে খাদ্যমূল্যের মূল্যস্ফীতি আগস্টে ছিল ১২ দশমিক ৭১ শতাংশ। আর শহরাঞ্চলে খাদ্যমূল্যের মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ১১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। উভয় ক্ষেত্রেই জুলাই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ শতাংশের নিচে।
আরও পড়ুন: জুন মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯.৭৪ শতাংশে নেমে এসেছে: বিবিএস
বিবিএসের জিডিপি ও মুদ্রাস্ফীতির তথ্য নতুন পদ্ধতিতে হালনাগাদে সন্তুষ্ট আইএমএফ
১ বছর আগে
বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহার করুন নতুবা রাজপথে নামবে জনগণ: সরকারকে বিএনপি
সরকার বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে নামবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলু।
তিনি বলেন, ‘বিদ্যুতের দাম আবার বাড়ানো হয়েছে। এটা সরকারের গণবিরোধী সিদ্ধান্ত। আমরা এর বিরুদ্ধে ১৬ জানুয়ারি সারাদেশের মহানগরী ও উপজেলায় বিক্ষোভ করব।’
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপি নেতা বলেন, অবিলম্বে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। ‘অন্যথায় আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করব। আমরা আগামী দিনে বিদ্যুৎ বিল দেব না এবং মানুষ বিদ্যুৎ বিল দেয়া বন্ধ করে দেবে।’
দুর্নীতির মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আদালতের আদেশের প্রতিবাদে শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে বিরোধীদলীয় মঞ্চ ডেমোক্রেসি ফোরাম।
আরও পড়ুন: ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে আরও জেগে ওঠুন: জনগণের প্রতি ফখরুল
জানুয়ারি থেকে কার্যকর বিদ্যুতের খুচরা মূল্য পাঁচ শতাংশ বাড়িয়েছে সরকার।
এর আগে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছিল।
জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে সরাতে সরকারের নির্দেশে আদালত তারেক ও তার স্ত্রীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন বুলু। এই সরকার তারেক রহমানের ভয়ে ভুগছে।
তিনি বলেন, দুঃশাসনের কারণে জনগণ আর আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল যুগপৎ আন্দোলন শুরু করেছে।
কুইক রেন্টাল অ্যান্ড রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট ও মেগা প্রজেক্টের নামে যারা ব্যাংক থেকে লাখ লাখ টাকা লুট করেছে এবং বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করেছে তাদের আগামী দিনে জনআদালতে বিচার করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন বুলু।
আরও পড়ুন: সরকার বিরোধী দলকে দমন করতে মরিয়া: ফখরুল
১ বছর আগে
৫ টাকা কমল জ্বালানির মূল্য, বুধবার মধ্যরাত থেকে কার্যকর
সরকার সকল প্রকার জ্বালানির মূল্য ৫১ দশমিক ৬৮ শতাংশ বৃদ্ধির ২৩ দিন পর প্রতি লিটারে কমালো মাত্র পাঁচ টাকা।
এর আগে জ্বালানি মূল্য কমানোর হবে বলে জানিয়েছিলেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ইউএনবিকে তিনি বলেছিলেন, এখন ডিজেল ও কেরোসিন প্রতি লিটার ১০৯ টাকা, পেট্রোল ১২৫ টাকা এবং অকটেন ১৩০ টাকা।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো প্রকার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি।
মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে জ্বালানির নির্ধারিত মূল্য কার্যকর হবে।
দুই এক দিনের মধ্যে জ্বালানির মূল্য নতুন করে নির্ধারণ করবে সরকার বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের এমন মন্তব্যের পর এই ঘোষণা আসল।
এর আগে গত ৬ আগস্ট সরকার রেকর্ড পরিমাণ সকল প্রকার জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি করে। ডিজেল ও কেরোসিনের খুচরা মূল্য প্রতি লিটার ১১৪ টাকা, পেট্রোল ১৩০ টাকা এবং প্রতি লিটার অকটেন ১৩৫ টাকা।
আরও পড়ুন: সরকার জ্বালানি খাতকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে জনগণের টাকা লুটপাট করছে: বিএনপি
জ্বালানি সংকট কাটিয়ে উঠার আশা তৌফিক-ই-ইলাহীর
২ বছর আগে
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ব্যাখ্যা দিতে জনগণের কাছে যান, জ্বালানি বিভাগকে মন্ত্রিসভা
জ্বালানির বিশাল মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কারণ জনগণের কাছে পুনর্ব্যক্ত করতে জ্বালানি বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে এই নির্দেশনা দেয়া হয়। বৈঠকে তিনি গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে যোগ দেন।
মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরা বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে যুক্ত ছিলেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয় বা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) জ্বালানি মূল্য সম্পর্কে বিস্তারিত গণমাধ্যমকে কী জানিয়েছে সে বিষয়ে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে।
বিপিসি চেয়ারম্যান ইতিমধ্যে সাম্প্রতিক এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত কথা বলেছেন উল্লেখ করে তিনি জানান, ‘জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে এটি নিয়ে আবার (মিডিয়ায়) ব্রিফ করতে বলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি: নয়াপল্টনে চলছে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ
সরকার বৃদ্ধি সংশোধন করবে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘তারা (মন্ত্রণালয় বা বিপিসি) সব কিছু স্পষ্ট করবে।’
গত সপ্তাহে বৈশ্বিক উচ্চ আমদানি ব্যয়ের জন্য রাষ্ট্র পরিচালিত পেট্রোলিয়াম সংস্থার লোকসানের কারণ দেখিয়ে সরকার জ্বালানি মূল্য ৫১ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে।
বিতর্কিত এই পদক্ষেপ সারাদেশে জনগণের মাঝে ক্ষোভ ও প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছে।
২ বছর আগে
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি: নয়াপল্টনে চলছে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও বিদ্যুৎ সংকটের প্রতিবাদে রাজধানীর নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির বিশাল সমাবেশ চলছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ৫০ মিনিটে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখার আয়োজনে সমাবেশ শুরু হয়।
সকাল থেকেই দল ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী জড়ো হয়ে সড়কের একপাশ অবরোধ করে।
বিজয়নগর ক্রসিং থেকে ফকিরাপুল পর্যন্ত রাস্তার অপর পাশ দিয়ে যানবাহন চলাচল করে। এতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির বিভিন্ন সিনিয়র নেতা সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন।
এর আগে গত সোমবার জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে পরিবহন ভাড়া এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সমাবেশসহ দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
চলমান লোডশেডিং এবং ভোলায় পুলিশের হাতে দলটির সহযোগী সংগঠনের দুই নেতা মৃত্যুর প্রতিবাদ করাও এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য।
এছাড়া আগামীকাল শুক্রবার সারাদেশে দলের সকল মহানগর ও জেলা ইউনিট প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করবে।
সরকার গত শুক্রবার রাতে ডিজেল, অকটেন এবং পেট্রোলের দাম যথাক্রমে ৪২.৫ শতাংশ, ৫১.৭ শতাংশ এবং ৫১ শতাংশ বাড়িয়েছে। বর্তমানে প্রতি লিটার ডিজেল ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা ও পেট্রোল ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নজিরবিহীন বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিরুদ্ধে বিএনপি নেতাকর্মীরা দুই সপ্তাহ ধরে সারাদেশে বিক্ষোভ করছে এবং বিভিন্ন স্থানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়েছে।
গত ৩১ মে ভোলায় লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে করা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনসমূহের এক মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়, এতে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং আরও অনেকে গুরুতর আহত হন।
পরে আহতদের মধ্যে একজন ভোলা জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলম রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
২ বছর আগে
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিপিসি কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
সাম্প্রতিক জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বুধবার বিকালে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) কার্যালয়ে বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের একদল শিক্ষার্থী।
বিক্ষোভের একপর্যায়ে তারা বিপিসির বোর্ড রুমে প্রবেশ করে। যেখানে সংগঠনটির চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে ব্রিফ করার কথা ছিল।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা যখন প্রেস ব্রিফিংয়ের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তখন এই নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে।
তবে বোর্ড সভায় উপস্থিত ছিলেন না বিপিসির চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ। তিনি তার কক্ষে বৈঠক করছিলেন।
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
আরও পড়ুন: জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে নীলক্ষেতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
শিক্ষার্থীরা বলেন, অযৌক্তিকভাবে জ্বালানির দাম বাড়ানো একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।
পরে শিক্ষার্থীরা বিপিসি চেয়ারম্যান এবিএম আজাদের কাছে মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে স্মারকলিপি দেয়।
এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শুক্রবার জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে সরকার।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিজেলের দাম প্রতি লিটার ৩৪ টাকা বেড়ে ১১৪ টাকা, অকটেনের দাম ৪৬ টাকা বেড়ে ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ৪৪ টাকা বেড়ে ১৩০ টাকা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের নভেম্বরে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ১৫ থেকে ৮০ টাকা বাড়িয়ে দেয় সরকার।
এর ফলে, বাসের ভাড়া অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রায় ২৭ শতাংশ এবং লঞ্চের ভাড়া ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা জাপার
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
২ বছর আগে
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পরিবহন ভাড়া এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
সোমবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক জনসভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘোষণা দেন।
নজিরবিহীন জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং পুলিশের গুলিতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভোলা জেলা শাখার সভাপতি নূরে আলম ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবুর রহিম নিহত হওয়ার প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী যুবদল।
সমাবেশে ফখরুল বলেন, চলমান লোডশেডিং এবং ভোলায় পুলিশের গুলিতে সহযোগী সংগঠনের দুই নেতাকে হত্যার বিরুদ্ধে দলের প্রতিবাদ করাও তাদের কর্মসূচির উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুন: আর কান্না নয়, জেগে উঠুন: কর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল
ফখরুল বলেন, কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে দলটি।
এছাড়া, শুক্রবার দলের সকল মহানগর ও জেলা ইউনিট সারাদেশে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করবে বলেও জানান তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর পতন নিশ্চিত করতে তাদের দল আগামী দিনে আরও বৃহত্তর কর্মসূচি নিয়ে আসবে।
ফখরুল রাজধানীর শাহবাগে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রবিবার কয়েকটি বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের ওপর পুলিশের হামলার জন্য সরকারের তীব্র নিন্দা করেন।
তিনি বলেন, জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় ক্ষমতায় টিকে থাকতে আওয়ামী লীগের কাছে এখন দমনমূলক কর্মকাণ্ড ও হত্যার বিকল্প নেই। ‘কিন্তু তাদের দিন গণনা শুরু হয়ে গেছে। তুমুল আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতাচ্যুত করা হবে।’
উল্লেখ্য, সরকার শুক্রবার রাতে ডিজেল, অকটেন ও পেট্রোলের দাম যথাক্রমে ৪২.৫ শতাংশ, ৫১.৭ শতাংশ এবং ৫১ শতাংশ বাড়িয়েছে। বর্তমানে প্রতি লিটার ডিজেল ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা ও পেট্রোল ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেয়া যাবে না: ফখরুল
সরকারের জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা: বিএনপি
২ বছর আগে