ওয়ার্কশপ
গাইবান্ধায় গাড়ির ওয়ার্কশপ থেকে ‘মানসিক প্রতিবন্ধী’ যুবকের লাশ উদ্ধার
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে একটি গাড়ির ওয়ার্কশপের চৌবাচ্চা থেকে অনাথ শীল (৪০) নামে মানসিক প্রতিবন্ধী এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) উপজেলার পান্থপাড়া এলাকার ‘সোহেল ড্রাইভিং’ নামের একটি গাড়ির ওয়ার্কশপ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্কুল শিক্ষিকা, গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার নিয়ে রহস্য!
নিহত অনাথ শীল রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার সাধবী গ্রামের রাজেন্দ্রনাথ শীলের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, অনাথ শীল মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন। বেশ কয়েক ধরে গোবিন্দগঞ্জ শহরে তাকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। সোমবার সকালে সোহেল ড্রাইভিংয়ের চৌবাচ্চায় তার লাশ ভাসতে দেখা গেছে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ বলেন, খবর পেয়ে চৌবাচ্চা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে। মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার করল পিবিআই
তুরস্কে আরও ৪ জনের লাশ উদ্ধার করল বাংলাদেশ সম্মিলিত দল
১ বছর আগে
রাজবাড়ীতে রেলওয়ে ওয়ার্কশপ স্থাপনে চুক্তি সই
রাজবাড়ীতে কোচ ও ওয়াগন মেরামত বিষয়ক একটি ওয়ার্কশপ নির্মাণের বিষয়ে কনসালটেন্ট নিয়োগের চুক্তি সই হয়েছে।
বুধবার রেলভবনেবাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ কুদরাত ই খুদা এবং কনসালটেন্ট এর পক্ষে সই করেন সিস্ট্রা’র সাউথ এশিয়া বিষয়ক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারি সোমাল রাজু।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, বাংলাদেশের রেলওয়েতে দুই ধরনের গেজ ব্যবস্থা বিদ্যমান। মিটার গেজ এবং ব্রডগেজ।
মিটারগেজকে পর্যায়ক্রমে আমরা ব্রডগেজে রূপান্তরের উদ্যোগ নিয়েছি। উন্নত বিশ্বে সাশ্রয়ী ও পরিবেশ বান্ধব হিসেবে রেলওয়ে যেভাবে উন্নয়ন হয়েছে আমারা রেল ব্যবস্থাকে এখনও সেভাবে গড়ে তুলতে পারিনি। আমাদের দেশে রেল ব্যবস্থা এখনও ডিজেল চালিত অথচ পার্শ্ববর্তী ভারতে প্রায় পুরোটা বিদ্যুৎ চালিত ট্রেন।
আরও পড়ুন: ১৫ নভেম্বরে বাংলাদেশ রেলওয়ে’র সেবা সপ্তাহ শুরু
রেলপথমন্ত্রী বলেন, রাজবাড়ীতে এই কারখানা করার ফলে আমাদের বহরের বিদ্যমান ও ভবিষ্যতে যেগুলো যুক্ত হবে সেগুলোর কোচ ও ওয়াগন এখান থেকে মেরামত করতে পারব।
এছাড়া পদ্মা সেতু রেল সংযোগের ফলে রাজবাড়ীর সঙ্গে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের যোগাযোগ স্থাপিত হবে। ফলে এখান থেকে কোচ এবং ওয়াগন মেরামত করে সারাদেশে চালানো সম্ভব হবে।
মন্ত্রী বলেন. প্রতিটি জেলায় রেল সংযোগ স্থাপিত হবে। ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপিত হবে। নতুন করে রেল ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, অনেক প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। সরকারের অগ্রাধিকার ১০টি প্রকল্পের মধ্যে দুটি রেলওয়েতে চলমান আছে। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প। ভারতের সঙ্গে আটটি ইন্টার সেকশন পয়েন্টের মধ্যে পাঁচটি চালু করা হয়েছে। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং যাতায়াত সহজ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এছাড়া কলকাতা শিলিগুড়ির মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু আছে। আমাদের দেশের ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি করার জন্য পর্যায়ক্রমে সকল সিঙ্গেল লাইনকে ডাবল লাইন এ রূপান্তর করার উদ্যোগ নিয়েছি।
জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী, খুলনা থেকে দর্শনা, ঈশ্বরদী থেকে পার্বতীপুর পর্যন্ত ডাবল লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
রাজবাড়ীর ওয়ার্কশপ নির্মাণের জন্য নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান ফ্রান্সের সিস্ট্রা কাজটি করবে।
আগামী ১৬ মাসের মধ্যে তারা বিস্তারিত নকশা সহ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও বিড ডকুমেন্ট প্রস্তুত করবে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার সহ রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: লোকসান সত্ত্বেও বাংলাদেশ রেলওয়ে ডেমু ট্রেন মেরামত করবে
কুড়িগ্রামে রেলওয়ের উচ্ছেদ অভিযান
২ বছর আগে
'ইনসাইড আউট’: শিশুদের জন্য গ্যালারি কসমসের দিনব্যাপী পেইন্টিং ও অরিগামি ওয়ার্কশপ
শহরের শিশু শিল্পীদের সহজাত শৈল্পিক চেতনাকে উৎসাহিত করতে রাজধানীর মালিবাগের কসমস সেন্টারে 'ইনসাইড আউট' শীর্ষক দিনব্যাপী জলরঙের চিত্রকর্ম, প্রিন্টমেকিং ও অরিগামি ওয়ার্কশপের আয়োজন করেছে গ্যালারি কসমস ও কসমস অ্যাটেলিয়ার ৭১।
সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ২৫টিরও বেশি শিশু তাদের মা-বাবার সাথে কসমস অ্যাটেলিয়ার ৭১ এর ইভেন্টে যোগ দেয়। কর্মশালায় তাদের সৃজনশীল শিল্পকর্ম প্রদর্শন করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশ, কানাডা, ভারত, আয়ারল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পর্তুগাল এবং অন্যান্য দেশের শিল্পীরা এখানে অংশগ্রহণ করছেন।
মেয়েকে ওয়ার্কশপে নিয়ে আসা রোমান বলেন, এটি খুব অনন্য উদ্যোগ এবং এর মাধ্যমে আমরা ও আমাদের শিশুরা আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা লাভ করেছে। তারাই আজ এখানে প্রধান আকর্ষণ এবং আমরা এই অসাধারণ উদ্যোগের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই। এখানে আমাদের বাচ্চারা তাদের শৈল্পিক স্বাধীনতা প্রদর্শন করছে।
আরও পড়ুন: কালিদাস কর্মকারের স্মরণে গ্যালারি কসমসের দিনব্যাপী আয়োজন
এই উদ্যোগের বিষয়ে বাংলাদেশি শিল্পী ও চীনের ইউনান আর্টস ইউনিভার্সিটির প্রভাষক মং মং শো ইউএনবিকে বলেন, শিশুদের শৈল্পিক আবেগের বিকাশ ও উদযাপনের জন্য এই ধরনের কর্মশালা সত্যিই প্রয়োজনীয়।
শো ইউএনবিকে আরও বলেন,যদিও শিশুরা সর্বজনীনভাবে সুন্দর, তবে তাদের আঞ্চলিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের কারণে তাদের বিভিন্ন সৃজনশীল দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। এই ধরনের কর্মশালাগুলি তাৎপর্যপূর্ণ এবং খুব প্রয়োজনীয়, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিশুরা জড়ো হয় এবং অবাধে তাদের হৃদয়ের ছবি আঁকে। তারা অনন্য শৈল্পিক দৃষ্টিভঙ্গি ও শৈলী প্রদর্শন করছে এবং একসাথে তারা আমাদের দেশের শিশুদের সাথে একটি সাংস্কৃতিক বিনিময়ে অংশ নিচ্ছে।
প্রদর্শনীতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রয়িং অ্যান্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক আবু কালাম শামসুদ্দিন একটি অনন্য অরিগামি ওয়ার্কশপ পরিচালনা করেন।
তিনি ইউএনবিকে বলেন,অরিগামি হল একটি শিল্প যা দ্বি-মাত্রিক কাগজের একটি টুকরা নিয়ে গঠিত। যখন আমরা এই কাগজটিকে একটি পরিকল্পনা অনুযায়ী ভাঁজ করি, তখন এটি একটি বস্তুর নির্দিষ্ট ত্রিমাত্রিক (থ্রিডি) আকৃতি নেয়, যা আমাদের স্বপ্ন ও দৃষ্টিভঙ্গির সাথে খুব মিল। এটি অবচেতনভাবে শিশুদের আরও গভীরভাবে চিন্তা করতে সাহায্য করে, জীবনের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রশস্ত করে। শুধু প্রিন্টমেকিংয়ের জন্য নয়,অরিগামির জন্যও এমন একটি কর্মশালা প্রশংসার দাবিদার।
আরও পড়ুন: ইউরোপে প্রথম গ্যালারি অনিল অ্যাওয়ার্ড পেলেন শিল্পী নিলীমা সরকার
এই অনন্য উদ্যোগ এবং 'ইনসাইড আউট' নামটি সংজ্ঞায়িত করে, গ্যালারি কসমসের অর্টিস্টিক ডিরেক্টর কেট জারো খান ইউএনবিকে বলেন, এর উদ্দেশ্য ছিলো শিশুদের সহজাত সৃজনশীলতাকে প্রকাশ করতে সাহায্য করা, যা তারা তাদের সুন্দর মনের মধ্যে লালন করে।
তিনি বলেন,মহামারির সময়কালে লোকেরা বাইরে যেতে ও ভ্রমণ করতে পারেনি এবং বাচ্চারাও অনেক কিছু করতে পারেনি। আমাদের শহরের অভ্যন্তরে সুযোগগুলি অন্বেষণ করা দরকার।এই বিশেষ কর্মশালাটি শিশুদের সৃজনশীল দৃষ্টিভঙ্গি ও তাদের মানসিক সুস্থতার জন্য আমাদের কাছ থেকে নিবেদিত একটি উপহার।
কর্মশালা শেষে আয়োজকদের পক্ষ থেকে অংশগ্রহণকারী শিশু শিল্পীদের সনদপত্র দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: গ্যালারি কসমসের মাসব্যাপী ভার্চুয়াল চিত্র প্রদর্শনী ‘দ্য ব্ল্যাক স্টোরি’ শুরু
গ্যালারি কসমসের এক্সিকিউটিভ আর্টিস্টিক ম্যানেজার শিল্পী সৌরভ চৌধুরী ইভেন্টে একটি প্রিন্টমেকিং ওয়ার্কশপ পরিচালনা করেন। তিনি ইউএনবিকে জানান, অংশগ্রহণকারী শিশু শিল্পীরা প্রিন্টমেকিংয়ের মাধ্যমে তাদের শিল্পকর্মের একাধিক কপি রাখার পদ্ধতিগুলি অন্বেষণ করতে পেরে আনন্দিত।
উদ্যোগের বিষয়ে, তিনি আরও বলেন, দেশের ও বাইরের তরুণ শিল্পীদের সৃজনশীল দৃষ্টিভঙ্গি বিকাশে সহায়তা করতে গ্যালারিটি অদূর ভবিষ্যতে এই ধরনের কর্মশালা ও ক্যাম্পের ব্যবস্থা করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ও নিবেদিত।
৩ বছর আগে