এ কে আব্দুল মোমেন
প্রবাসীরা আমাদের নায়ক, আসুন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে একসঙ্গে কাজ করি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের বৃহত্তর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সোনার বাংলা-স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আসুন একসঙ্গে কাজ করি। আমাদের তাদের (প্রবাসী বাংলাদেশিদের) অংশগ্রহণ জোরদার করতে হবে।’
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে মোমেন বলেন, তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
তিনি বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের বৃহত্তর কল্যাণে এবং তাদের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা আমাদের নায়ক। আমাদের অবশ্যই তাদের চিনতে হবে।’
আরও পড়ুন: এই অঞ্চলে কোনো ‘প্রক্সি ওয়ার’ দেখতে চাই না, বিশ্বকে সুষ্ঠু নির্বাচন দেখাতে চাই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্সে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ে।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ অন্যান্য দেশের তুলনায় কম এবং প্রশিক্ষিত ও দক্ষ লোক পাঠানোর ওপর জোর দিচ্ছেন তারা। ‘আমাদের ভালো প্রশিক্ষিত এবং আরও পেশাদার লোক দরকার।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অর্থনৈতিক কূটনীতি, পাবলিক কূটনীতি এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা- তিনটি নীতি প্যাকেজের কথাও বলেন।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
আরও পড়ুন: যারা নির্বাচন বর্জন করছে তাদের নেতৃত্বের গুণাবলীর অভাব রয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ প্রাণ দিয়েছিল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১১ মাস আগে
বহির্বিশ্বের চাপ নেই, আমরা আমাদের নিজেদের চাপের মধ্যে আছি: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানান, তারা বহির্বিশ্বের কোনো চাপে নেই, তারা অভ্যন্তরীণ চাপের মধ্যে রয়েছেন। কারণ তার দল একটি ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাই। আমরা একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই। এটা আমাদের চাপ। তবে আমরা এটা করতে চাই।’
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে ‘এনারজাইজিং বাংলাদেশ’স ইয়ুথ ওয়ার্কফোর্স ফর গ্লোবাল সাকসেস’- শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদানের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
মোমেন বলেন, বহির্বিশ্ব আমাদের সহায়ক ভূমিকা পালন করছে এবং তারা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পাশাপাশি সহিংসামুক্ত নির্বাচন দেখতে চায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপ কাম্য নয়: বক্তারা
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা মানুষকে বিশ্বাস করি। আমরা জনগণের রায় চাই। আমরা চাই বিপুল সংখ্যক জনগণ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবে। এগুলো আমাদের চ্যালেঞ্জ।’
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন জানান, তিনি মনে করেন বিরোধী দল বিএনপি যা করছে তা যুক্তরাষ্ট্র পছন্দ করে না। ‘আমার ধারণা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ওপর ব্যাপক অসন্তুষ্ট। যুক্তরাষ্ট্র অগ্নিসংযোগ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পছন্দ করে না।’
মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির গণতান্ত্রিক আচরণ পায়নি। ‘যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। আমরাও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের কোনো মানসিক তফাৎ নেই।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী কয়েকদিন আগে বলেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও ভালো ও শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ার অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।
ইউএস-বাংলাদেশ সম্পর্কের সৌহার্দ্যপূর্ণ প্রকৃতি তুলে ধরে মোমেন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের গুরুত্বের উপর জোর দেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের মতো বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোর পরামর্শকে গুরুত্ব দেয় এবং যেগুলো জাতির জন্য উপকারী সেগুলো গ্রহণ করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচন সংক্রান্ত কুতথ্যে 'ডিপ ফেক' বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ
‘প্রতিটি বাংলাদেশি ভয়ভীতিমুক্তভাবে ভোট দিতে পারে তা দেখতে চায় জাতিসংঘ’
১ বছর আগে
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন মোমেন
আগামী ৫-৬ ডিসেম্বর ঘানার রাজধানী আক্রায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিকল্প মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল শান্তিরক্ষীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবিলায় কৌশলগত যোগাযোগ, শান্তিরক্ষীদের মানসিক সুস্থতা, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার ওপরও জোর দেবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ও অন্যান্য অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
আরও পড়ুন: ১৯৭১ সালে ভূমিকার জন্য বাংলাদেশের জনগণের কাছে কিসিঞ্জারের ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল: মোমেন
জাতিসংঘ বলেছে, মিশনের কার্যকারিতা এবং তারা যেসব সম্প্রদায়ের সেবা করে তাদের উপর নিজেদের প্রভাব জোরদার করার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সদস্য দেশগুলো একত্র হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হলো ইউনাইটেড ন্যাশন্স পিসকিপিং মিনিস্ট্রিয়াল মিটিং।
২০২১ সালে সিউলের অন্তর্ভুক্তিসহ এটি ২০১৪ সাল থেকে রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার বা মন্ত্রী পর্যায়ে অনুষ্ঠিত সিরিজের সর্বশেষ বৈঠক।
অ্যাকশন ফর পিসকিপিং, এফোরপি+ এবং ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন স্ট্র্যাটেজির মাধ্যমে চলমান সংস্কারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কার্যক্রমের উন্নয়নের জন্য সুনির্দিষ্ট বিষয়বস্তুর উপর আলোচনা করা হবে।
পূর্ববর্তী আলোচনার উপর ভিত্তি করে এবং দ্রুত বিকশিত কর্ম পরিবেশকে বিবেচনায় রেখে সদস্য রাষ্ট্রগুলো বিভিন্ন বিষয় যেমন: জাতিসংঘের চাহিদা মেটাতে উচ্চ-কর্মদক্ষতা, বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রজন্ম এবং অন্যান্য অঙ্গীকারের প্রজন্ম; নতুন বা সম্প্রসারিত টেকসই ক্ষমতা উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ এবং গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করা।
শান্তিরক্ষা হলো বহুপক্ষীয় সহযোগিতার একটি শক্তিশালী প্রদর্শন।
শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের বিশেষ কমিটিতে প্রতিনিধিত্বকারী সব সদস্য রাষ্ট্রকে এই আয়োজনে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা সক্রিয়, মার্কিন শ্রম নীতি নিয়ে খুব উদ্বেগ নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
কোয়াত্রার সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিবের বৈঠকে কোনো রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে না: মোমেন
১ বছর আগে
বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা সক্রিয়, মার্কিন শ্রম নীতি নিয়ে খুব উদ্বেগ নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডাম অন অ্যাডভান্সিং ওয়ার্কার এমপাওয়ারমেন্ট, রাইটস অ্যান্ড হাই লেবার স্ট্যান্ডার্ডস গ্লোবালি’ নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
কারণ বাংলাদেশি পণ্যগুলো তার গুণমান, প্রতিযোগিতামূলক মূল্য ও সময়মতো পৌঁছে দেওয়ার কারণে মার্কিন বাজারে প্রবেশাধিকার পায়।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা খুবই স্মার্ট ও সক্রিয়। আমাদের গতিশীল বেসরকারি খাতের ওপর আমার আস্থা আছে। এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।’
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির একটি প্রধান বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমাদের বেসরকারি খাত তৈরি পোশাক রপ্তানি করে এবং মার্কিন বেসরকারি খাত বাংলাদেশি পণ্য কেনে।’
তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের পণ্য কেনে কারণ আমাদের পণ্যগুলো উচ্চ মানসম্পন্ন, দামে সস্তা ও সময়মতো পৌঁছে দেওয়া হয়।’
তিনি আরও বলেন, এমনকি আপনি মার্কিন স্টোরগুলোতে অনেক চীনা পণ্যও পাবেন।
অন্যদিকে, ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস বলেছে, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডাম অন অ্যাডভান্সিং ওয়ার্কার এমপাওয়ারমেন্ট, রাইটস অ্যান্ড হাই লেবার স্ট্যান্ডার্ডস গ্লোবালি’ শিরোনামের স্মারকলিপি নিয়ে বাংলাদেশের ‘শঙ্কিত হওয়ার’ অনেক কারণ রয়েছে।
সম্প্রতি চালু হওয়া এই মার্কিন উদ্যোগ পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে দূতাবাস এক চিঠিতে জানিয়েছে, ‘স্মারকলিপিতে শ্রম অধিকার সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তার পেছনে রাজনীতি রয়েছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন উপায়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের চেষ্টা করবে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্টের স্মারকলিপিটি ১৬ নভেম্বর প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘বর্তমান পরিস্থিতি’ নিয়ে আলোচনা করেছেন রাষ্ট্রদূত হাস ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ: মার্কিন দূতাবাস
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ‘যারা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাদের, শ্রম অধিকার রক্ষাকারী ও শ্রমিক সংগঠনগুলোকে হুমকি দেয়, ভয় দেখায় এবং হামলা করে তাদের জবাবদিহি করা হবে। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্য জরিমানা ও ভিসা বিধিনিষেধের’ মতো পদক্ষেপগুলো কার্যকর করতে তারা কাজ করবে।
ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাসের চিঠিতে বলা হয়েছে ‘স্মারকলিপিটি’ বাংলাদেশের জন্য একটি সংকেত। কারণ শ্রম সমস্যার অজুহাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এতে বর্ণিত যেকোনো ব্যবস্থা নিতে পারে। ‘স্মারকলিপিটি বাংলাদেশের পোশাক খাতেও প্রভাব ফেলতে পারে এবং এটি সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিবেচনা করা উচিত।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্র পুরো শ্রম খাতের জন্য উদ্যোগ নিলে তারা অবশ্যই স্বাগত জানাবে।
মোমেন বলেন, ‘তারা যদি একটি ভালো নীতি গ্রহণ করে তাহলে সেটা হবে একটি মহৎ উদ্যোগ। আমি আশা করি যুক্তরাষ্ট্র ধনী দেশ হওয়ায় জলবায়ু ও অভিবাসন বিষয়ে ভালো উদ্যোগ নেবে।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি ইতিবাচক কর্মসূচি নিয়ে আসে, আমরা অবশ্যই এটাকে স্বাগত জানাব।’ বাংলাদেশ দেখতে চায় সব শ্রমিক ভালোভাবে জীবনযাপন করছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে মোমেন জানান, তিনি চিঠির বিষয়ে জানেন না।
কিছু লোকের মধ্যে দেশপ্রেমের অভাব রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মোমেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাধাগ্রস্ত করে এমন কোনো প্রচেষ্টা বাংলাদেশ দেখতে চায় না।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ছুটি থেকে ফেরার পর এটি রুটিন বৈঠক।
তিনি বলেন, ‘আমরা খুশি যে তিনি ফিরে এসেছেন। নতুন কিছু নয়। শুধু রুটিন মিটিং।’
রাষ্ট্রদূত হাস বৃহস্পতিবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকের পর ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস জানায়, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নতি নিয়ে আলোচনার জন্য রাষ্ট্রদূত হাস এবং পররাষ্ট্র সচিব মোমেন একটি রুটিন বৈঠক করেছেন।
বেলা ১১টায় বৈঠক শুরু হয়ে ৩০ মিনিট চলে।
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরানও উপস্থিত ছিলেন।
হাস ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বৈঠকস্থলের বাইরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি।
ছুটি কাটিয়ে সোমবার ঢাকায় ফিরেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: ঢাকায় নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে ইইউ'র কারিগরি দল
যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে আছে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে আছে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে এবং বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। তারা (মার্কিন) আমাদের সঙ্গে আছে। আমরাও তাদের সঙ্গে আছি।’
সোমবার (২৭ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বেশি কিছু চায় না এবং তারা শুধু বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। ‘আমরাও চাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। বরং আমি তাদের বলব, যারা ভোট বানচালের চেষ্টা করছেন তাদের মার্কিন ভিসা নীতির আওতায় আনতে।’
মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সবসময়ই একটি বাস্তববাদী দেশ। এটি বাস্তবতায় বিশ্বাস করে এবং যখন বাস্তব কিছু করা হয়, তখন যুক্তরাষ্ট্র তাতে সমর্থন দেয়।
উদাহরণ স্বরূপ তিনি বলেন, আমেরিকা সব আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ১৯৭১ সালে গণহত্যাকারী পাকিস্তানি বাহিনীর পাশে ছিল। কিন্তু ১৬ ডিসেম্বর যখন বাংলাদেশ তার বিজয় দিবস পালন করে, তখন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সমর্থন করে। ‘আমাদের স্বাধীনতার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কখনোই আমাদের বিরুদ্ধে যায়নি। এর মানে কী? যেহেতু একটি দেশ হয়ে গেছে, তারা তখন সেই দেশটার সঙ্গে থাকে।’
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক যাত্রায় বাধা সৃষ্টি করতে চায় না। ‘আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে চাই না।’
তিনি জানান, তাদের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন হতে পারে, তা বিশ্বকে দেখাতে চান তারা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করি সব দল নির্বাচনে অংশ নেবে এবং দেশজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, জনগণের কল্যাণের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ গঠনমূলক পরামর্শকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়নকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলো আমাদের সুপারিশ করে এবং যদি তারা সহায়ক ভূমিকা পালন করে তবে আমরা সেগুলোকে স্বাগত জানাই।’
সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, এর জন্য প্রয়োজন সবার আন্তরিকতা ও সদিচ্ছা।
মোমেন জানান, তারা উন্নত দেশগুলোকে অগ্রাহ্য করতে পারেন না।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের অনেক শ্রদ্ধা ও সম্মানের সঙ্গে বিবেচনা করি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র একটি পরাশক্তি। আমরা তাদের অগ্রাহ্য করতে পারি না।"
তিনি বলেন, জনগণ ভোট দিলে আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে। বাংলাদেশে সাধারণত ৫০ শতাংশ ভোটার তাদের ভোট দেন।
মোমেন বলেন, ১৯৯৬ সালে বিএনপি-জামায়াতের আমলে বাংলাদেশে একটি মাত্র নির্বাচন হয়েছিল, যা ভোটারবিহীন ছিল।
র্যাব সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, র্যাব অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান এবং দুর্নীতিমুক্ত হওয়ায় জনগণ একে সম্মান করে।
তিনি বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত কার্যকর সংগঠন। র্যাব থাকাতে আমরা সন্ত্রাসবাদ সমূলে উৎপাটন করেছি এবং মাদক ও মানব পাচারও অনেক কমেছে।’
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের দ্বারা প্রশিক্ষিত হওয়ায় তারা খুবই স্মার্ট। ‘তাদের আবার প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে তারা আরও ভালো করবে।’
তিনি বলেন, ‘মার্কিন সরকার পরিণত এবং আমরা সবসময় আশাবাদী এই এলিট ফোর্সের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন জানান, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা কোনো চাপ অনুভব করছেন না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনীতি মানে অগ্নিসংযোগ করা নয়, মানুষ হত্যা নয়, দেশের উন্নয়নে বাধা দেওয়া এবং অবরোধের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনকে বাধাগ্রস্ত করা নয়। রাজনীতি হতে হবে জনগণের কল্যাণের লক্ষ্যে। তাহলে জনগণ তাদের গ্রহণ করবে।’
আরও পড়ুন: যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, পেছানো হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংসতা বন্ধে সব দলকে আন্তরিক হতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
কোয়াত্রার সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিবের বৈঠকে কোনো রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে না: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সোমবার (২০ নভেম্বর) বলেছেন, দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে কোনো রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে না।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যেই রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে। সেখানে রাজনীতি নিয়ে কোনো আলোচনা হবে না।’
সোমবার (২০ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রাজনীতি ও আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করা হবে কিনা এক প্রতিবেদকের এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত বৈঠক, যেখানে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অনেক দেশের সঙ্গে ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) করি। এটা একটা রুটিন ব্যাপার।’
পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন তার ভারতীয় সমকক্ষ বিনয় মোহন কোয়াত্রার সঙ্গে নিয়মিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করতে ২৩ বা ২৪ নভেম্বর ভারত সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে নির্মাণশ্রমিক নিতে আগ্রহী স্কটল্যান্ড: প্রধানমন্ত্রীকে স্কটিশ প্রতিনিধি দল
চলতি বছরে দুই দেশের মধ্যে এটি দ্বিতীয় পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক। প্রথমটি ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।
দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য উভয় দেশই তাদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।
পররাষ্ট্র দপ্তরের পরামর্শে, দুই দেশ সাধারণত পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব প্রধান ইস্যু নিয়ে আলোচনা করে, যাতে সব সেক্টরের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি পায়।
সম্প্রতি, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, পারস্পরিক সুবিধার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক আজ একটি মডেল হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
লন্ডনে এক আলাপচারিতায় তিনি বলেন, দুই দেশ স্থল সীমানা ও সামুদ্রিক সীমান্ত সমস্যা মিটিয়ে ফেলেছে।
জয়শঙ্কর সংযোগ সহযোগিতা, জ্বালানি সরবরাহ এবং বন্দরের ব্যবহার তুলে ধরেন এবং উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক মডেল সম্পর্কে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি মানে ভারতেরও প্রবৃদ্ধি: শ্রিংলা
বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব দলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান ওয়াশিংটনের
১ বছর আগে
যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, পেছানো হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকরা নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ আছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই এটা পেছানো হবে না। নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সর্বত্র উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে এবং দেশের মানুষ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে।
মোমেন বলেন, বিএনপি নির্বাচনে না এলে বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী দল ছেড়ে অন্য রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে পারে।
তিনি বলেন, ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে জন্ম নেওয়া একটি রাজনৈতিক দল কীভাবে তার বিশ্বাসযোগ্যতা হারায় সেই ইতিহাস দেখাবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যেহেতু ইসি কোনো বাধা সৃষ্টি করছে না তাই নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপিকে স্বাগত জানাই।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব দলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান ওয়াশিংটনের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতার পরিবর্তনের একমাত্র উপায় আছে। সেটি হচ্ছে নির্বাচন।’
তিনি বলেন, বিএনপি নানা অজুহাত দেখাচ্ছে।
মোমেন বলেন, যারা মানুষের জানমাল নষ্ট করবে তাদের শাস্তি দেওয়া হবে। ‘এগুলো গ্রহণযোগ্য নয়। তাদের উচিত মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া।’
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, অন্য দেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মাথাব্যথা নেই, বাংলাদেশ নিয়ে প্রতিদিন কথা বলে।
তিনি বলেন, তাদের ‘অ্যাম্বাসেডরস পার্টি’ নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করা উচিত এবং যদি তারা গ্যারান্টি দেয় যে যারা অ্যাম্বাসেডর পার্টির পক্ষে ভোট দেবে তারা তাদের দেশে নিয়ে যাবে, তাহলে কিছু মানুষ তাদের ভোট দিতেও পারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশিরা নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে: ভারত
ঢাকা-দিল্লি বন্ধন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মডেলে পরিণত হয়েছে: জয়শঙ্কর
১ বছর আগে
গাজার পরিস্থিতি 'মুক্ত পৃথিবীর' নেতাদের সহায়তায় জাতিগত নির্মূলের ক্লাসিক উদাহরণ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, গাজার পরিস্থিতি শুধু জাতিগত নির্মূলের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণই নয়, বরং ‘মুক্ত বিশ্বের নেতাদের এবং মানবাধিকার, মানবিক আইন এবং সমস্ত নীতি ও নৈতিক মূল্যবোধের প্রবক্তাদের সহায়তায় রাষ্ট্রীয় শক্তির মাধ্যমে করা গণহত্যাও’।
তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ মোটেও যুদ্ধ নয়। প্রকৃতপক্ষে এটি বর্বর ও সম্মিলিত শাস্তি এবং নিরপরাধ বন্দি নারী-পুরুষ এবং বিশেষ করে শিশুদের হত্যা করা, যারা যুদ্ধ করতে পারে না।’
শনিবার (১১ নভেম্বর) সৌদি আরবের রিয়াদে অষ্টম বিশেষ ইসলামিক সম্মেলনে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসন নিয়ে আলোচনার জন্য সৌদি আরবের রিয়াদ শহরে যৌথ আরব-ইসলামিক অসাধারণ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মোমেন বলেন, এই যুদ্ধ শহর ও জনপদ এবং একটি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা ধ্বংস করছে। পরিকল্পিতভাবে একটি দখল করা স্থানের জনগণকে তাদের খাদ্য, বাসস্থান, পানি, প্রয়োজনীয় ওষুধ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ এবং অবশ্যই একটি নিরাপদ জীবনযাপনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের আত্মনিয়ন্ত্রণ, সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার অধিকারকে সমর্থন করে এবং এ বিষয়ে দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে।’
ইসরায়েলি দৈনিক হারেৎজ-এর বিখ্যাত ইহুদিবাদী লেখক আরি শাভিতের ইসরায়েলি নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘আমরা হয়তো এখনও ফিরতে পারি। দখলদারিত্বের অবসান, ইসরায়েলিদের সেটেলমেন্ট বন্ধ, ইহুদিবাদের সংস্কার, গণতন্ত্র বাঁচানো, দেশ ভাগ করা এখনও সম্ভব হতে পারে। তা না হলে, আপনারা দেশ ছেড়ে চলে যান এবং প্রত্যেক ইসরায়েলির অবশ্যই বিদেশি পাসপোর্ট আছে। আপনাদের অবশ্যই বন্ধুদের বিদায় জানাতে হবে এবং সান ফ্রান্সিকো, বার্লিন বা প্যারিসে যেতে হবে।’
মোমেন বলেন, ‘বর্তমানে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের আহ্বানে কোনো কর্ণপাত না করেই ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলের নির্বিচারে হত্যা চলছে। আমি বিশ্বাস করি এই যৌথ শীর্ষ সম্মেলন দুর্বল ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের নির্মম যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য একটি সংক্ষিপ্ত, বাস্তব ও প্রভাবশালী শক্তিশালী বার্তা দেবে।’
তিনি বলেন, মুসলিম, খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ, ইহুদি এবং অন্যান্য ধর্ম, শ্রেণি, বর্ণ, জাতিগত পটভূমি এবং বিশ্বাসের মানুষ সারা বিশ্বে এই গণহত্যার প্রতিবাদ করছে। তবুও জায়নবাদীদের একটি দল পরিকল্পিত হত্যা করেই যাচ্ছে।
গত ১৬ বছর ধরে গাজাকে বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ উন্মুক্ত কারাগারে পরিণত করা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিড়ম্বনার বিষয় হলো এক সময় নির্যাতিত ইহুদি জনগণ; যাদের ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় দিয়েছিল, তারা এখন নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর, হাসপাতাল, পরিবার ও আশা ধ্বংস করছে।’
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পরামর্শ
প্রথমত, ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান। এই যুদ্ধ অন্যায় এবং সব ধরনের মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের লঙ্ঘন।
ইসরায়েলকে অবশ্যই নারী ও শিশু হত্যা বন্ধ করতে হবে এবং দখলদারিত্ব বন্ধ করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, গাজার বাসিন্দাদের জন্য খাদ্য, পানি, ওষুধ ও অন্যান্য জীবন রক্ষাকারী উপকরণের অবাধ, দ্রুত ও নিরাপদ সরবরাহের জন্য একটি মানবিক করিডোর খোলা রাখা দরকার।
গাজার দখলদারিত্বের ফলে নিরীহ মানুষ মৌলিক প্রয়োজনীয়তা থেকে বঞ্চিত করছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় হিসেবে আমাদের দায় বহন করা উচিত।
তৃতীয়ত, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি নেতৃত্বকে দায়বদ্ধ রাখা। নিরপরাধ বেসামরিক লোকদের হত্যা এবং বর্বর উপায়ে এলাকা ফাঁকা করে দেওয়ায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
এই ধরনের কাজের শাস্তি হওয়া দরকার, যাতে গাজায় চলমান সংঘাত একেবারের জন্য শেষ হয়। সব বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে, যাতে মানুষ তাদের নিজ ভূমিতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস শুরু করতে পারে।
আরও পড়ুন: দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
কিছু বিদেশি সংস্থার রাজনৈতিক দল গঠনের জন্য নিবন্ধনের আবেদন করা উচিত: মোমেন
রাজনৈতিক সংলাপের বিষয়ে ওয়াশিংটনের বক্তব্যের বিষয়ে স্পষ্টতই অসন্তোষ প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশে কিছু বিদেশি সংস্থার রাজনৈতিক নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা উচিত এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলতে ও রাজনীতি করার জন্য রাজনৈতিক দলে পরিণত হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, ‘আমি প্রায় মনে করি বোধহয় কোনো কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠান এদেশে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়া উচিত। তারা বোধহয় রেজিস্টেশনের জন্য অ্যাপ্লাই করা উচিত। তারা একটা রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান করবেন এবং আমাদের অভ্যন্তরীন বিষয়ে তারা রাজনৈতিক অবস্থান নেবেন। তারা একটা দল করুন, আর দেখা যাক জনগণের কাছে তারা কত ভোট পান।’
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রাজনৈতিক সংলাপের বিষয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের মন্তব্যের বিষয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত হাস আশা প্রকাশ করেন, উত্তেজনা কমাতে এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য অগ্রসর হওয়ার পথ খুঁজে বের করতে সব পক্ষ একটি শর্তহীন ‘সংলাপ’ করবেন।
ইসি কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচনে কোনো পক্ষের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের আরও নিষেধাজ্ঞা নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে মোমেন বলেন, ‘এ কথা ভুলে যান। এটা কোনো ব্যাপার না...আমাদের চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।
আরও পড়ুন: পূর্বশর্ত ছাড়াই সব পক্ষ সংলাপে অংশ নেবে: সিইসির সঙ্গে সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত হাসের প্রত্যাশা
বিএনপির ‘বর্বরতা ও ধ্বংসযজ্ঞ’ তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, এটা তাদের দলের জন্য লজ্জাজনক এবং পুলিশ, হাসপাতাল ও প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার সঙ্গে জড়িত বিএনপি নেতা-কর্মীদের বহিষ্কার করা উচিত।
তিনি বলেন, ‘এটা লজ্জার বিষয়, দলের সদস্যদের করা এসব অপকর্মের জন্য তাদের (বিএনপি) প্রকাশ্যে বিবৃতি দেওয়া উচিত। আমি বিএনপির কাছ থেকে আশা করব, তারা যেন তাদের বহিষ্কার করে।
মোমেন বলেন, দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতার কারণে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপির হরতাল ও অবরোধে সারাদেশে মোট ১৬০০ কোটি টাকা (বা ১৯২ দশমিক ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) বা প্রতিদিন জিডিপির শূন্য দশমিক ২ শতাংশ খরচ হয়েছে।
মোমেন সোমবার কূটনীতিকদের বলেন, ২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে বিএনপি-জামায়াত সহিংসতা এবং ভীতি প্রদর্শনের পরিবেশ তৈরি করেছিল। বিশেষ করে ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনের সময় ব্যাপক সহিংসতা ও ভোট কারচুপির মতো ঘটনা ঘটিয়েছিল।
তিনি বলেন, নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা লুটপাট, ধর্ষণ ও খুন করেছে, বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে টার্গেট করে।
২০১৩ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে বিএনপি ও তার মিত্ররা কয়েক হাজার গাড়ি ভাঙচুর করে এবং পেট্রোলবোমা ব্যবহার করে অনেক গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। গাড়ির ভেতরে আটকে থাকা যাত্রীদের জীবন্ত পুড়িয়েও মেরেছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ এখনও ভয়াবহ ক্ষত ও ট্রমা নিয়ে বেঁচে আছেন।
তিনি বলেন, পেট্রোল বোমা ও হ্যান্ড গ্রেনেড হামলায় ২০ জন আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাসহ ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: 'বিএনপি বুঝুক বা না বুঝুক, প্রত্যেক মানুষের জীবনই গুরুত্বপূর্ণ': বিদেশি কূটনীতিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কূটনীতিক-জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে আজ ব্রিফ করবে সরকার
১ বছর আগে
আসন্ন সফরে নির্বাচন ও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন মার্কিন কর্মকর্তা আফরিন আখতার: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বলেছেন, নির্বাচন ও মানবাধিকারসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে কলম্বোতে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর (এসসিএ) মার্কিন ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতারের সঙ্গে তার ‘খুব ভালো ও ইতিবাচক’ আলোচনা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানিয়ে বলেন, সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু দেখতে চায়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মোমেন বলেন, পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে আগামী সপ্তাহে মার্কিন ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ঢাকায় আসবেন।
একটি কূটনৈতিক সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে, আগামী ১৬-১৮ অক্টোবর এই সফর হতে পারে। সফরের সময় তিনি কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পও পরিদর্শন করতে পারেন।
আফরিন আখতার নেপাল, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, ভুটান ও মালদ্বীপের জন্য দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর (এসসিএ) পাশাপাশি নিরাপত্তা ও ট্রান্সন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অফিসের একজন ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি।
তিনি মার্কিন সিনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন।
চলতি বছরের মে মাসে তিনি ঢাকা সফর করেন।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা নিয়ে গুজবে কান দেবেন না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
কূটনৈতিক সূত্রটি জানিয়েছে, মার্কিন ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অগ্রাধিকারমূলক দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করবেন এবং নির্বাচনী বিষয়গুলোও আলোচনার জন্য আসতে পারে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার কলম্বোতে তার ভারতীয় প্রতিপক্ষ এস জয়শঙ্কর এবং অন্যান্যদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন।
মোমেন বাংলাদেশিদের জন্য মেডিকেল ভিসার বিষয়টি উত্থাপন করেন, যাতে প্রক্রিয়াটি দ্রুত সম্পন্ন হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, আখতার আসছেন মূলত দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে- রোহিঙ্গা সংকট ও বাংলাদেশের নির্বাচন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রও বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়।
মোমেন বলেন, সব দল আন্তরিকতা না দেখালে সরকার সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিতে পারে না।
তিনি আখতারকে আরও জানান, বাংলাদেশিরা আমেরিকানদের মতো নয় এবং বাংলাদেশের লোকেরা খুব উৎসাহ নিয়ে নিজেদের ভোট দেয়।
মোমেন বলেন, ‘এটি এখানে একটি উৎসব। বাংলাদেশে এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি চিত্র।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে কোনো টানাপোড়েন নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় সহায়তা দিন: ওআইসি সদস্য দেশগুলোর প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে