সুগন্ধা নদী
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে তেলের ট্যাংকারে আবারও বিস্ফোরণ, আহত ১১
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে সোমবার সন্ধ্যায় ‘সাগর নন্দিনী-২’ নামের তেলের ট্যাংকারে আবারও বিস্ফোরণের পর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন।
প্রায় ১১ লাখ লিটার পেট্রোল ও ডিজেল বহনকারী সাগর নন্দিনী-২ নামের জাহাজটিতে শনিবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে চারজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। ট্যাংকারের এক কর্মী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
আমাদের ঝালকাঠি সংবাদদাতার অনুসারে, শনিবারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর জাহাজ থেকে ৭ লাখ লিটার ডিজেল সরানো হয় এবং বড় ধরনের তেল ছড়িয়ে পড়া এড়ানো সম্ভব হয়। কিন্তু গতকালকের (সোমবার) বিস্ফোরণের পরে কিছু পেট্রোল নদীতে ছড়িয়ে পড়েছে। তাছাড়া, জেলার বাসিন্দারা এর প্রভাব এবং নিজেদের সাধারণ নিরাপত্তা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন।
আরও পড়ুন: বরিশালে তেল ট্যাংকার বিস্ফোরণ: নিখোঁজ কাশেমের সন্ধান মেলেনি
আজ (সোমবার) সন্ধ্যা ৭টার দিকে অপর একটি জাহাজ সাগর নন্দিনী-৪ ট্যাংকার থেকে অবশিষ্ট ৪ লাখ লিটার পেট্রোল খালাসের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন আগুনের সূত্রপাত হয়।
এ সময় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উদ্ধারকারী জাহাজটি সারাদিন উদ্ধার অভিযান শেষ করে নদীতে অপেক্ষা করছিল।
প্রচণ্ড বিস্ফোরণে আগুন লাগার পর সাগর নন্দিনী-৪ এর কর্মীরা পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করেন।
তবে এ ঘটনায় পুলিশসহ ১১ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. এইচএম জহিরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে তেলের ট্যাংকার বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩
সর্বশেষ প্রতিবেদকের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, জেলা, উপজেলা ও নৌ ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে।
আইএসপিআর (আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে যে উদ্ধার অভিযানে সহায়তার জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি কন্টিনজেন্ট মোতায়েন করা হয়েছে এবং বরিশাল থেকে নৌবাহিনীর একটি জাহাজ ‘ডলফিন’ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
এদিকে আগের ঘটনার জন্য জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনের নেতৃত্বে তদন্ত দল তদন্ত শুরু করেছে এবং আজ জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে তেলের ট্যাংকার বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪
১ বছর আগে
সুগন্ধা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ৬ জনের জরিমানা
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় সুগন্ধা নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ছয় জনকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বশির গাজী ও মং এছেন যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ঝালকঠির নলছিটি পাওতা গ্রামের মো. মোস্তফা (৬০), নলছিটি প্রেমহার গ্রামের সাইফুল ইসলাম (২৫), কুমারখালী এলাকার ইমরান হোসেন (২০), উত্তমপুর এলাকার শাহিন সরদার (২০), বরিশাল জাগুয়া এলাকার রাজীব মুন্সি (৩৮) ও ভোলার মো. নাহিদ (২০)।
আরও পড়ুন: গুলশানে ডিএনসিসি’র ভ্রাম্যমাণ আদালত, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এনডিসি বশির গাজী বলেন, ‘আমাদের কাছে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের অভিযোগ, রাতের আঁধারে সুগন্ধা নদী থেকে অবৈধভাবে একটি চক্র বালু উত্তোলন করে নিয়ে যায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে আমরা অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অপরাধে ছয় জনকে আটক করি। ভ্রাম্যমাণ আদালতে তারা অপরাধ স্বীকার করায় প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের জেল দেয়া হয়। আটক ছয় জন ভ্রাম্যমাণ আদালতে অর্থদণ্ডের তিন লাখ টাকা দিয়ে মুক্ত হয়।’
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৪ প্রতিষ্ঠানের অর্থদণ্ড
তিনি বলেন, ঝালকাঠিতে কোনো নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা যাবে না। বালু ব্যবসায়ীদের অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। তাদেরকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
২ বছর আগে
ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০
ঝালকাঠিতে গত মাসে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ এ দাঁড়িয়েছে।
নিহত মনিকা রানী হালদার (৪০) বরগুনা পৌর শহরের গগন মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: লঞ্চে ধূমপান না করতে সতর্কীকরণ পদক্ষেপ নেয়া হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, তার শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। প্রথম থেকে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরবর্তীতে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন থাকার পর তার মৃত্যু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২৪ ডিসেম্বর ভোররাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগে। সে সময় লঞ্চটিতে ৮০০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিল।
গত ২৬ ডিসেম্বর নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক শফিকুর রহমান লঞ্চের চার মালিকসহ আটজনের বিরুদ্ধে সামুদ্রিক আদালতে নৌ আইনে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বরিশালগামী লঞ্চে আগুন, দ্রুত নিয়ন্ত্রণ
বাস-ট্রেন ও লঞ্চে অর্ধেক যাত্রী বহনের সিদ্ধান্ত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: যমজ মেয়ের পর এবার ভেসে এলো মায়ের লাশ!
বরগুনার তালতলী উপজেলার আগাপাড়া এলাকার দুই যমজ মেয়ের লাশের পর এবার নদীতে ভেসে এলো তাদের মা শিমু আক্তারের লাশ। নিখোঁজের পাঁচ দিন পর বুধবার দুপুরে সুগন্ধা নদীতে তার লাশ ভেসে উঠে। খবর পেয়ে শিমুর ভাই হান্নান গিয়ে তার বোনের লাশ শনাক্ত করেন।
বুধবার সন্ধ্যায় ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
এদিকে, শিমুর লাশ তার দুই যমজ কন্যার কবরের পাশেই দাফন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে দাফনের কাজ সম্পন্ন করে।
আরও পড়ুন: লঞ্চে আগুন: বাবা-মেয়ে দগ্ধ, বাঁচতে পারেনি মা
জানা গেছে, বরগুনার তালতলী উপজেলার আগাপাড়া এলাকার আব্দুল আজিজের মেয়ে শিমু তার দুই যমজ মেয়ে লামিয়া-সামিয়া ও মা দুলু বেগমকে নিয়ে ২৩ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে বরগুনা আসার জন্য এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে রওয়ানা দেন। লঞ্চে ওঠার পরে শিমু তার বৃদ্ধ বাবা আব্দুল আজিজ হাওলাদারের কাছে ফোন করে বাড়ি আসার খবর জানায়। সকালে বৃদ্ধ বাবার কাছে খবর আসে ওই লঞ্চেই আগুন লেগেছে।
লঞ্চে আগুনের ঘটনায় আব্দুল আজিজের দুই নাতনি পুড়ে মারা গেছেন। তাদের লাশ পেয়ে যথারীতি দাফন করেন। কিন্তু দুর্ঘটনার পর থেকে তার মেয়ে শিমু নিঁখোজ ছিলেন। স্ত্রী দুলু বেগম (৫৫) হাসপাতালের আইসিউতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এ দিকে শিমুর স্বামী রবিউল দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে হারিয়ে এখন দিশেহারা।
সাংবাদিকদের দেখে আব্দুল আজিজ হু-হু করে কেঁদে উঠে বলেন, ‘মোর নাতীর (নাতনী) পোড়া লাশের পাশে মাইয়াডার লাশ। এ করুণ অবস্থা চোহের সামনে কেমনে সই। এ কেমন বিচার করল আল্লাহ্। মুই কি ভুল হরছি আল্লাহ’র ধারে, যে হেই ভুলের জন্য আল্লাহ বড় শাস্তি দিল মোরে। এ কষ্ট মুই কেম্মে সমু।’ এ কথা বলে চিৎকার করতে করতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
আরও পড়ুন: চলন্ত লঞ্চে আগুন: বরগুনায় গণকবরে অজ্ঞাত ২৩ লাশ দাফন
শিমুর ভাই হান্নান বলেন, ‘প্রতিদিনই বোনের লাশের খোঁজখবর নিতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর ঘটনাস্থলে যেতাম। বুধবার জানতে পারি দুই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এমন সংবাদ পেয়ে ছুটে গিয়ে দেখি আমার বোনের লাশ মাটিতে পড়ে আছে। জেলা প্রশাসনের কাছে বোনের সকল তথ্য দিলে, প্রশাসন আমার কাছে বোনের লাশ বুঝিয়ে দিলে আমি বাড়িতে নিয়ে আসি।’
তালতলী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. কাওসার হোসেন জানান, নিহতদের পরিবারকে দাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে।
২ বছর আগে
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৭, এখনও নিখোঁজ ৫৮
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৭ জনে এ দাঁড়িয়েছে।
রেড ক্রিসেন্ট বাংলাদেশের ঝালকাঠি জেলা কার্যালয়ের তালিকা অনুযায়ী, বুধবার পর্যন্ত অন্তত ৫৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইয়ুব হোসেন জানান, মৃত শাহিনুর (৪৫) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬
আগের দিন, সুগন্ধা নদী থেকে আরও দুটি লাশ উদ্ধারে মৃতের সংখ্যা ৪৬ জনে পৌঁছেছিল।
জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শফিক জানান, সকাল ৯টার দিকে জেলার সুগন্ধা-বিশখালী নদীর মোহনার চরকাঠি থেকে অজ্ঞাতনামাদের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে একজন ৪২ বছর বয়সী পুরুষ এবং আরেকজন ৩২ বছর বয়সী নারী।
লাশ দুটি আংশিক পুড়ে গেছে বলে জানান শফিক।
এদিকে, লঞ্চ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে মৃত্যুর জন্য দায়ী করে লঞ্চ মালিকদের একজন হামজালাল শাহ ও লঞ্চ স্টাফসহ ৮ জনকে আসামি করে ঝালকাঠির থানায় সোমবার মধ্য রাতে একটি মামলা হয়েছে।
ঢাকার বকসনানগর এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে মনির হোসেন বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
লঞ্চ ট্রাজেডির ঘটনায় তার বোন তাসলিমা আক্তার (৩০), তাসলিমার বড় মেয়ে সুমাইয়া আক্তার মিম (১২) ও সুবর্না আক্তার তানিয়া ( ৮) ও তাসলিমার ভাতিজা জুনায়েদ ইসলাম বায়েজিদ (২০) নিখোঁজ রয়েছে। তারা এই লঞ্চযোগে একসঙ্গে বরগুনায় তাসলিমা আক্তারের শ্বশুরবাড়ী যাচ্ছিল।
পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ
লঞ্চে আগুন: কেরানীগঞ্জ থেকে এক মালিক গ্রেপ্তার
এর আগে সোমবার ভোরে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মো. হামজালাল শেখ নামে লঞ্চটির এক মালিককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক (এএসপি) এ এন এম ইমরান খান জানান, কেরানীগঞ্জ থেকে হামজালালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের করা মামলায় ঢাকার নৌআদালত লঞ্চটির চার মালিকসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দিবাগত ৩টায় ঢাকা থেকে প্রায় ৮০০ যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চটিতে আগুন লাগে।
২ বছর আগে
লঞ্চের ইঞ্জিন কক্ষ থেকেই আগুনের সূত্রপাত: তদন্ত কমিটি
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আর ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত লঞ্চটির ইঞ্জিন কক্ষ থেকে হয়েছে বলে জানিয়েছেন এ ঘটনায় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক যুগ্ম সচিব মো. তোফায়েল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘ঝালকাঠিতে মর্মান্তিক লঞ্চ দুর্ঘটনার বিষয়টি আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। একাধিকবার ঘটনাস্থল ও লঞ্চ পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে মনে হয়েছে ইঞ্জিন কক্ষ (রুম) থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। পরবর্তীতে আরও কিছু বিষয়ের কারণে এটি ছড়িয়ে পড়েছে।’
রবিবার বরগুনার সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলতে এসে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: লঞ্চে আগুন: সুগন্ধা নদীতে তৃতীয় দিনের মতো চলছে উদ্ধার অভিযান
তোফায়েল ইসলাম বলেন, ‘তদন্ত এখনও চলমান। তাই কংক্রিট কোনো তথ্য দেয়া যাচ্ছে না। তবে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যাতে একটি সুষ্ঠু তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা উদঘাটন করা যায়।’
দুর্ঘটনা কবলিত লঞ্চের কোনো স্টাফের সঙ্গে তারা এখনও কথা বলতে পারেননি বলেও জানান তিনি।
এদিকে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজদের সন্ধানে টানা তৃতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চলছে।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান জানিয়েছেন, সুগন্ধা নদীতে ঘটনাস্থলের অংশ পাশের এলাকায় উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে।
তিনি বলেন,‘বেলা ১১টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নদী থেকে নতুন করে আর কোন লাশ উদ্ধার হয়নি।’
জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা আবু সাঈদ জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত নিখোঁজ ২৫ জনের তালিকা করা হয়েছে।
এর আগে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে নিহত অজ্ঞাত পরিচয়ের ২৩ জনের লাশ শনিবার দুপুর ১২টায় বরগুনা সদর উপজেলার পোটকাখালী সরকারি গণকবরে দাফন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চলন্ত লঞ্চে আগুন: বরগুনায় গণকবরে অজ্ঞাত ২৩ লাশ দাফন
প্রসঙ্গত, শুক্রবার গভীর রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলার উপকূলে সুগন্ধা নদীর মাঝখানে ৮০০ যাত্রী নিয়ে ‘অভিযান-১০’ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
শনিবার রাত পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ৭০ জনের বেশি আহত হয়েছেন এবং তাদের অনেকেই বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
২ বছর আগে
লঞ্চে আগুন: সুগন্ধা নদীতে তৃতীয় দিনের মতো চলছে উদ্ধার অভিযান
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজদের সন্ধানে টানা তৃতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চলছে।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান জানিয়েছেন, সুগন্ধা নদীতে ঘটনাস্থলের অংশ পাশের এলাকায় উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে।
তিনি বলেন, ‘বেলা ১১টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নদী থেকে নতুন করে আর কোন মরদেহ উদ্ধার হয়নি।’
জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব পালন কারী কর্মকর্তা আবু সাঈদ জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত নিখোঁজ ২৫ জনের তালিকা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চলন্ত লঞ্চে আগুন: বরগুনায় গণকবরে অজ্ঞাত ২৩ লাশ দাফন
এর আগে লঞ্চ অগ্নিকাণ্ডে নিহত অজ্ঞাত পরিচয়ের ২৩ জনের লাশ শনিবার বেলা ১২ টায় বরগুনা সদর উপজেলার পোটকাখালী সরকারি গণকবরে দাফন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার গভীর রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলার উপকূলে সুগন্ধা নদীর মাঝখানে ৮০০ যাত্রী নিয়ে ‘অভিযান-১০’ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
শনিবার রাত পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ৭০ জনের বেশি আহত হয়েছেন এবং তাদের অনেকেই বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পড়ুন: ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: ৩৩ মরদেহ বরগুনায় পৌঁছেছে
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: ৩০ জনের জানাযা সম্পন্ন
২ বছর আগে
ঝালকাঠিতে লঞ্চে আগুনে হতাহতের ঘটনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চে আগুনে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।
শুক্রবার এক শোকবার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তিনি এ দুর্ঘটনায় আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ভোরে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী প্রায় ৮০০ যাত্রী নিয়ে একটি লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৩৯ জন নিহত ও ৭২ জন আহত হয়েছেন।
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মইনুল হক ইউএনবিকে বলেন, ‘লঞ্চ থেকে ৩৭টি লাশ এবং ৭২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে ইউএনবি বরিশাল প্রতিনিধি জানান, আহতদের মধ্যে দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে লঞ্চে আগুন: নিহত ৩৯, আহত অর্ধশতাধিক
‘এমভি অভিযান-১০’ লঞ্চে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি নেই, দাবি মালিকের
২ বছর আগে
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: ৭ সদস্যের কমিটি গঠন
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে শুক্রবার ভোরে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে ৩৯ জন নিহতের ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনায় মন্ত্রণালেয়র যুগ্মসচিব তোফায়েল আমেদকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আমিনুর রহমান কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে কাজ করবেন।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন বিআইডব্লিউটিএ'র একজন, নৌপরিবহন অধদপ্তরের একজন, নৌপুলিশ, জেলা প্রশাসন এবং ফায়ার সার্ভিসের একজন করে প্রতিনিধি। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পেশ করতে বলা হয়েছে।
এর আগে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের পৃথক কমিটি গঠন করে। বন্দর ও পরিবহন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে লঞ্চে আগুন, নিহত বেড়ে ৩৯
ঢাকা থেকে বরগুনাগামী প্রায় ৮০০ যাত্রী বহনকারী অভিযান-১০ এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৩৯ জনের প্রাণহানি এবং ৭২ জন আহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর সরকারের পক্ষ থেকে এ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর দিয়াবাড়ি নামক স্থানে শুক্রবার ভোরে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ফজলুল হক ইউএনবিকে বলেন, আমাদেরকে ভোর সাড়ে তিনটার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা জানানো হয়। তবে ঘন কুয়াশার কারণে প্রথমদিকে ফায়ার সার্ভিসের জাহাজগুলো ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে কিছুটা সময় নেয়।
ইউএনবিকে ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক কামরুজ্জামান বলেন, লঞ্চ থেকে ৩৯টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
জীবিত উদ্ধার হওয়া ৭২ জনের মধ্যে গুরুতর আহত ৬৬ যাত্রীকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (এসবিএমসি) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজটিকেও তীরে আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লঞ্চে আগুন: হতাহতের ঘটনায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর শোক
২ বছর আগে
সুগন্ধা নদীতে তেলবাহী জাহাজে বিস্ফোরণে নিহত ১, দগ্ধ ৭
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে সাগর নন্দীনি ৩ নামের একটি তেলবাহী জাহাজে বিস্ফোরণে সুকানী কামরুল ইসলাম নামে একজন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জাহাজের পাম্পরুম থেকে অকটেন খালি করার সময় পাইপের মধ্যে বিস্ফোরণের এই ঘটনায় আরও সাত জন দগ্ধ হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় গ্যাস বিস্ফোরণে ২ নারী নিহত, দগ্ধ ১৫
আহতদের বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রতক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জাহাজের পাম্পরুম থেকে অকটেন খালি করার সময় পাইপের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় ওই রুমে আগুন লেগে সুকানী কামরুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই নিহত ও জাহাজের আট শ্রমিক দগ্ধ হন। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতেদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
আরও পড়ুন: লোহাগড়ায় বোমা বিস্ফোরণে যুবকের হাত বিচ্ছিন্ন
বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক কোবাদ আলী সরদার জানান, এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বিস্ফোরণে জাহাজের তলা ফেটে পানি ঢুকছে। জাহাজটি যাতে পানিতে ডুবে না যায়, তার জন্য চেষ্টা চলছে।
জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী ও পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জাহাজে বহনকৃত তেল দ্রুত সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: মোংলায় বসুন্ধরা গ্যাস ফ্যাক্টরিতে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৬
৩ বছর আগে