বোটানিক্যাল গার্ডেন
কমলো বোটানিক্যাল গার্ডেনের প্রবেশ ফি
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বিশেষ নির্দেশনায় পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে ঢাকার মিরপুরের জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান বা বোটানিক্যাল গার্ডেনের প্রবেশ ফি।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। জনস্বার্থে এই প্রজ্ঞাপনটি শিগগিরই কার্যকর করা হবে।
১২ বছরের বেশি বয়সিদের জনপ্রতি প্রবেশ ফি ১০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে। ১২ বছরের নিচে প্রতিজনের প্রবেশ ফি আগে ছিল ৫০ টাকা। বর্তমানে ৬-১২ বছর বয়সিদের প্রবেশ ফি করা হয়েছে ১৫ টাকা এবং ০-৫ বছর বয়সি শিশুরা বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আগত ১০০ জন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য দলগত ফি ১ হাজার টাকা, ১০১-২০০ জনের দল হলে ফি ১ হাজার ৫০০ টাকা। বিদেশি পর্যটকদের জন্য জনপ্রতি প্রবেশ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০ টাকা বা সমপরিমাণ ডলার।
এছাড়া, উদ্যানে প্রাতঃভ্রমণের জন্য প্রতি ব্যক্তির বার্ষিক প্রবেশ কার্ড ফি ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এবং এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত কার্ডধারীরা বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রাতঃভ্রমণ করতে পারবেন। কার্ড হারালে বা নবায়নের জন্য ২০০ টাকা ফি দিয়ে নতুন কার্ড নিতে হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে চলতি বছরের ২১ এপ্রিল বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ ফি পুনর্নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সেই প্রবেশ ফি নিয়ে জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া বিবেচনা করে বোটানিক্যাল গার্ডেনের প্রবেশ ফি পুনরায় নির্ধারণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা।
৩ মাস আগে
বোটানিক্যাল গার্ডেনের উন্নয়নে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের উন্নয়নে সরকার ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।
তিনি বলেন, এটাকে শিশুবান্ধব করে তোলা হবে।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) ঢাকায় সচিবালয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ইটভাটার দূষণ শনাক্তে ‘ব্রিক ক্লিন ট্র্যাকার’ ব্যবহার করবে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে গাছপালা ও জলাশয় সংরক্ষণ সম্পন্ন করা হবে।’
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা এবং মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদারে আগ্রহী।’
হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, বাংলাদেশের পরিবেশ সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ব্রিটিশ সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে।
তারা পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, উদ্ভাবন ও গবেষণা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, প্রযুক্তি হস্তান্তর, জলবায়ু অংশীদারিত্ব, সক্ষমতা বৃদ্ধি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, টেকসই উন্নয়ন, পরিবেশ ও স্বাস্থ্য এবং জলবায়ু অভিবাসীদের পুনর্বাসনে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: পরিবেশবান্ধব গণপরিবহন ব্যবহার বাড়াতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিপূর্ণভাবে জনগণের সেবা করব: পরিবেশমন্ত্রী
১১ মাস আগে
বোটানিক্যাল গার্ডেনের লেকে চাচার সঙ্গে সাঁতার কাটতে নেমে ভাতিজার মৃত্যু
রাজধানীর মিরপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেনের লেকে চাচার সঙ্গে সাঁতার কাটতে নেমে তরুণ ভাতিজার মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে চলন্ত বাসে ধর্ষণচেষ্টা: রাস্তায় লাফিয়ে পড়া সেই নারী পোশাককর্মীর মৃত্যু
নিহতের নাম- মো. হামজা (১৯)। তিনি পরিবারের সঙ্গে রুপনগর এলাকায় থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি এলাকায়।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকালে বোটানিক্যাল গার্ডেনের লেকে চাচা-ভাতিজা গোসল করতে নামে। কিন্তু ভাতিজা হামজা ভালোভাবে সাঁতার না জানার কারণে ডুবে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, জাতীয় বোটানিক্যাল গার্ডেনের লেকে চাচা-ভাতিজা গোসল করতে নামে। কিন্তু ভাতিজা হামজা ভালোভাবে সাঁতার না জানার কারণে ডুবে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
তিনি আরও বলেন, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে ‘জিম করতে গিয়ে’ কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
চট্টগ্রামে পুকুরে ডুবে শিশুসহ ২ জনের মৃত্যু
১ বছর আগে
ঈদের ছুটিতে শিশুদের নিয়ে ঢাকার ভেতরে খোলামেলা পরিবেশে কোথায় ঘুরতে যাবেন?
ঈদ আনন্দের কেন্দ্রবিন্দু থাকে শিশুরা। শৈশব-কৈশোর পার করে আসার মানুষেরা এই শিশুদের আনন্দের বহিঃপ্রকাশ দেখেই নিজেদের মধ্যে সুপ্ত চঞ্চলতাটা টের পান। ফিরে যান আবার নিজেদের সেই শৈশবে। ভ্রমণপ্রিয় মানুষদের ঈদের দিনগুলো কাটানোর জন্য প্রধান পছন্দ থাকে কোথাও ঘুরতে যাওয়া। ঘুরতে যাবার আগের দিন এমন পরিবারের অভিভাবকদের সাথে সাথে শিশুদের অস্থিরতাটাও বেশ দেখার মত হয়। ঘুরতে যাবার আগে মনের ভেতর সেই জায়গাটির ছবি আঁকতে শুরু করে। আর বাবা-মার দিকে সেই জায়গাগুলো নিয়ে ছুড়ে দেয় হাজারো প্রশ্ন। ঈদের দিনগুলো উদযাপনের জন্য ঢাকার ভেতরেই দারুণ কিছু জায়গার তথ্য থাকছে আজকের নিবন্ধে।
ঈদের ছুটিতে শিশুদের নিয়ে ঢাকার ভেতরে বেড়ানোর মত ১০টি মনোরম জায়গা
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাদুঘর
২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত এই বিমান বাহিনী জাদুঘরটি। জঙ্গি বিমান, হেলিকপ্টার এবং রাডারে পূর্ণ বিশাল খোলা চত্বরের এই জায়গাটি বাংলাদেশের প্রথম বিমান বাহিনী জাদুঘর। এগুলোর মধ্যে তিনটি বিমান ভারতী বিমান বাহিনীর, যেগুলো তারা ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহার করেছিলো। পরবর্তীতে বিমান তিনটি বাংলাদেশকে উপহার দেয়া হয়।
শিশুরা দুয়েকটি বিমান ও হেলিকপ্টারে চড়তে পারে। এছাড়া তাদের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রাইড এবং লেকে নৌকা ভ্রমণ। চত্বরের আশপাশ জুড়ে আছে স্যুভেনির শপ নীলাদ্রি, একটি ফুড কোর্ট, বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিকৃতি, নান্দনিক ফোয়ারা ও থিম পার্ক। জাদুঘরে প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ৫০ টাকা। তবে সামরিক বাহিনীর পরিবারের জন্য তা ২৫ টাকা।
পড়ুন: ঈদের ছুটি কাটানোর জন্য ঢাকার কাছাকাছি সেরা কয়েকটি রিসোর্ট
হাতিরঝিল
দিগন্তের দৃশ্য দেখতে বাধা দেয়ার জন্য হাতিরঝিলের চারপাশে ঘেরাও করা কোন দৈত্যাকার অট্টালিকা নেই। লেকের পাশ দিয়ে পায়ে চলা রাস্তা থেকে খুব সহজেই সেই দিগন্ত এবং লেকের পানিতে আকাশের প্রতিবিম্ব উপভোগ করা যায়। এটি মুলত ঢাকার মগবাজার থেকে গুলশান-বাড্ডার যাওয়ার পথ, তাই এখানে নেই কোন প্রবেশদ্বার বা বের হওয়ার গেট।
দিন-রাত পুরোটা সময়েই দর্শনার্থীরা বিনামূল্যেই ঘুরতে পারেন। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনের ব্রিজের নিচ থেকে রঙ-বেরঙের আলো পুরো হাতিরঝিলের রূপ যেন আরো বাড়িয়ে দেয়। হাতিরঝিলের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত যাওয়ার জন্য স্থলপথে আছে চক্রাকার ট্যুরিস্ট বাস সার্ভিস। আর লেকের পানিপথ পেরোবার জন্য আছে ওয়াটার ট্যাক্সি।
বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা
ঢাকার বাইরে এমনকি দেশের বাইরে থেকেও যে ভ্রমণপিপাসুরাই রাজধানী ঘুরতে আসেন, তারা মিরপুরের চিড়িয়াখানা দেখতে ভোলেন না। তাদের মুল আকর্ষণ থাকে বিশ্বখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার দেখা। কিন্তু প্রায় ৭৫ হেক্টর আয়তনের এই দর্শণীয় জায়গাটিতে ১৯১ প্রজাতির ২১৫০টি দেশ-বিদেশের প্রাণীদের আশ্রয়স্থল।
পড়ুন: ঢাকার কাছেই প্রকৃতির মাঝে ক্যাম্পিং সাইট
শিশুরা এখানে দেখতে পারে সিংহ, চিত্রা হরিণ, বানর, ভালুক, নীলগাই, গন্ডার, ফ্লেমিংগো, কুমির, জলহস্তি, জেব্রা, কানাবক, এবং অজগর সাপ সহ নানা ধরনের প্রাণী। আর প্রায় ২৪০ প্রজাতির স্টাফিং পশুপাখি নিয়ে আছে প্রাণী জাদুঘর। চিড়িয়াখানার ভেতরে আছে ১৩ হেক্টর আয়তনের দুইটি লেক। চিড়িয়াখানায় প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা। প্রাণী জাদুঘরের জন্য দিতে হয় ১০ টাকা। তবে দুই বছরের নিচে শিশুদের জন্য জন্যে কোন টিকেট লাগে না।
বোটানিক্যাল গার্ডেন
মিরপুরের চিড়িয়াখানা দেখতে গেলে হাতে আরো একটু বেশি সময় নিয়ে যাওয়া ভালো। কারণ পাশেই আছে বাংলাদেশের জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান বোটানিক্যাল গার্ডেন। এর প্রায় ২০৮ একর জায়গা বুকে ধারণ করে আছে প্রায় ৮০০ প্রজাতির নানান ধরনের বৃক্ষ।
এখানে প্রবেশ করতে মাথাপিছু ২০ টাকা দিতে হয় আর শিশুদের জন্য প্রবেশ মূল্য ৫ টাকা। চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন ঘোরার ক্ষেত্রে যেটা খেয়াল রাখতে হবে তা হচ্ছে সন্ধ্যার বেশ কিছু সময় আগেই এখান থেকে বের হয়ে যেতে হবে। কেননা এ দুটি জায়গা গরমের সময় বিকেল পাঁচটা আর শীতের সময় বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে।
পড়ুন: ঈদের ছুটিতে দেশের বাইরে কোথায় ঘুরতে যাবেন?
চন্দ্রিমা উদ্যান
শিশুদের নিয়ে খোলামেলা পরিবেশে সময় কাটানোর জন্য চন্দ্রিমা উদ্যান সেরা জায়গা। লেকের দু’ধারে সিড়ি ও বসার জায়গা এবং উপর দিয়ে নজরকাড়া সেতু উদ্যানটির প্রবেশপথকে মনোরম করে তুলেছে। সেতুতে দাড়িয়ে দু’পাশের লেক থেকে ফোয়ার দেখার আকর্ষণেই মুলত দর্শনার্থীরা ভিড় করেন এখানে।
এর ভেতরের বিশাল ঘাসে বিছানো জায়গাটিতে নির্দ্বিধায় শিশুদেরকে ছেড়ে দেয়া যায় আপন মনে খেলা করার জন্য। এর প্রায় ৭৪ একর জায়গার ভেতরে সেতু পেরলেই দেখা যাবে মরহুম জিয়াউর রহমানের সমাধি কমপ্লেক্স। চন্দ্রিমা উদ্যানের ঠিক উল্টো পাশে অবস্থিত জাতীয় সংসদ। এখানে আসার আগে বিজয় সরণী এলাকায় অতিক্রমের সময় এক পাশে চোখে পড়বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভো থিয়েটার।
ধানমন্ডি লেক
ঢাকার ছড়ানো-ছিটানো লেকগুলোর মধ্যে ধানমন্ডি লেক সবচেয়ে বেশি এলাকা জুড়ে অবস্থিত। এই বেশি বলতে কিন্তু একপার থেকে অন্য পাড়ের দূরত্ব অনেক বেশি তা নয়। পুরো ধানমন্ডি এলাকাটার আশপাশ দিয়ে সংকীর্ণ পানিপথ তৈরি করে বয়ে গেছে লেকটি। এই দর্শনীয় স্থানটিতে প্রবেশের সাথে সাথেই পুরো ধূসর পরিবেশটা যেন আচমকা পরিণত হয় সবুজের সমারোহে।
পড়ুন: ঈদের ছুটিতে ভ্রমণের পূর্ব প্রস্তুতি এবং দুর্ঘটনা এড়াতে কিছু সতর্কতা
এখানে বেশ পরিপাটি করে বিছানো হয়েছে হাঁটার রাস্তা, তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন ব্যায়ামের স্থান, বসার বেঞ্চ, ফাষ্টফুড শপ ও রেস্টুরেন্ট। নির্দিষ্ট ফি দিয়ে লেকে মাছ ধরা আর বোটে চড়ে ঘুরে বেড়ানো যায়। তাছাড়া এটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র রবীন্দ্র সরোবর এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাসস্থানের জন্য বেশ নামকড়া।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান
মাঝে ছোট্ট একটি লেক নিয়ে বিস্তৃত মাঠের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান যে কোন এক বিকেল কাটানোর জন্য দারুণ এক জায়গা। ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত এই উদ্যানটির পূর্ব নাম রমনা রেসকোর্স ময়দান। ঘোড়দৌড় খেলার জন্য জায়গাটি বেশ জনপ্রিয় ছিলো।
এখানেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ৭ মার্চের সেই জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিয়েছিলেন। এখানেই ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনী মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। এখানকার নান্দ্যনিক স্থাপনা স্বাধীনতা স্তম্ভ এবং শিখা চিরন্তন এখনো তার সাক্ষ্য দিয়ে যাচ্ছে। হাতে একটু বেশি সময় নিয়ে শিশুদের ঘুরিয়ে আনতে পারেন তিন নেতার মাজার আর কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি।
পড়ুন: গরমকালে কম খরচে বাংলাদেশের কোথায় কোথায় ঘুরতে যাবেন?
রমনা পার্ক
ঢাকা নগরীর সব বয়সের অধিবাসীদের ঘোরাঘোরির জন্য সাধারণ পছন্দ হলো রমনা পার্ক। একসাথে এত জায়গা জুড়ে সুনিবিড় ছায়া ঘেরা পরিবেশ ঢাকার আর কোথাও নেই। প্রায় ৬৮.৫০ একরের এই পার্কটির দুর্লভ প্রজাতির গাছ-গাছালির ভিড়ে অপরূপ লেকটি সরবে নিজের উপস্থিতি জানান দেয়।
প্রতি বছর এর বটমূল নামক জায়গাটিতে ছায়ানটের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখের ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণ অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। ভোরে আলো ফুটার আগ থেকেই শরীর চর্চার ধুম পড়ে যায় পার্কটিতে। পাশাপাশি হওয়ায় আরো কিছু সময় নিয়ে এই পার্কের সাথে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানও ঘুরে নিতে পারেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এই স্থানদুটিতে ঘোরার জন্য নির্দিষ্ট কোন সময়সূচী নেই এবং কোন ফি দিতে হয় না।
জিন্দা পার্ক
ঢাকা থেকে মাত্র ৩৭ কিলোমিটার দূরত্বের জিন্দা পার্ককে খুব বেশি দূরে বলা যায় না। পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়ক ধরে গেলে সর্বোচ্চ দেড় থেকে দুই ঘন্টার মধ্যেই পৌছে যাওয়া যায় আদর্শ গ্রাম নামে খ্যাত এই দর্শনীয় স্থানটিতে। এটি পড়েছে মুলত নারায়ণগঞ্জ জেলার দাউদপুর ইউনিয়নে। এর প্রায় ১৫০ একর এলাকার জুড়ে আছে ২৫০ প্রজাতির দশ হাজারেরও বেশী গাছপালা এবং ৫ টি জলাধার। এর সুন্দর ভাবে গড়া গাছের উপর টং ঘর, পুকুরের উপর সাঁকো, মাটির ঘর, বড় সান বাধানো পুকুর, লাইব্রেরি দেখলে নিমেষেই মন ভরে যায়।
পড়ুন: রাতে হাইওয়েতে গাড়ি চালানোর সময় প্রয়োজনীয় কিছু সতর্কতা
ঢাকা নগরবাসীর ডে-আউটের জন্য সেরা জায়গা হতে পারে জিন্দা পার্ক। জিন্দা পার্কে ঢোকার জন্য ১০০ টাকা দিয়ে টিকেট কাটতে হয়। বাচ্চাদের জন্যে এই টিকেট ফি জনপ্রতি ৫০ টাকা। লাইব্রেরিতে ঢুকতে হলে ১০ টাকা খরচ করতে হয়। যারা নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যাবেন তাদের ৫০ থেকে ১০০ টাকা পার্কিং ভাড়ার কথা মাথায় রাখতে হবে।
লা রিভারিয়া রিসোর্ট এন্ড পার্ক
যারা রিসোর্ট পছন্দ করেন তাদের জন্য ঢাকার অদূরেই এই দৃষ্টিনন্দন জায়গাটি সেরা পছন্দ হতে পারে। যারা ঢাকার ভেতরে নদীর হাওয়া পেতে চান তাদের চাহিদাও মেটাবে শীতলক্ষ্যা নদীর তীর ঘেসে গড়া এই রিসোর্টটি। কাঞ্চন ব্রীজ দিয়ে মায়ার বাড়ী বাস স্ট্যান্ড থেকে কাছেই এই রিসোর্টটিতে পৌছে বড়জোর আড়াই ঘন্টা লাগতে পারে।
এই দারুণ অবকাঠামোরটির অবস্থান মুলত নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জ-এ। কোন প্যাকেজ বুকিং ছাড়া শুধুমাত্র ১০০ টাকা প্রবেশ ফি দিয়ে রিসোর্টটি ঘুরে দেখা যাবে। এখানে সকাল ১০ থেকে বিকেল সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত ডে-লং প্যাকেজের জন্য জনপ্রতি ২,৫০০ টাকা খরচ করতে হয়। এর মধ্যে পাওয়া যাবে কটেজে থাকা, দুপুরের খাবার এবং সুইমিং পুলে সাঁতার কাটার সুবিধা।
পড়ুন: সিলেট শহরের দর্শনীয় স্থান: অতুলনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ ঐতিহাসিক নগরী
পরিশিষ্ট
ঈদের ছুটিতে শিশুদের নিয়ে ঢাকার ভেতরে ঘোরার জন্য এই জায়গাগুলো কেবল খোলামেলাই নয়, বেশ নিরাপদও বটে। তাছাড়া উন্মুক্ত পরিবেশে সময় কাটানো শুধু মন নয়, দেহের জন্যও উপকারি। দৈহিক ও মানসিক উভয় ক্ষেত্রে শিশুদের স্বাভাবিক ক্রমবিকাশের জন্য প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকা জরুরি। ভ্রমণের সময় শিশুদের এই দর্শনীয় স্থানগুলোর তাৎপর্যের পাশাপাশি এই জায়গাগুলোকে যে যত্ন করা আমাদেরই দায়িত্ব তা বুঝাতে হবে। যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা ও ফুল ছেড়া সহ স্থানীয় সম্পদের ক্ষতি করা থেকে বিরত থাকার জন্য শিশুদেরকে অভ্যস্ত করে তোলা প্রত্যেক অভিভাবকদের দায়িত্ব।
২ বছর আগে
নতুন রূপে সাজছে কুমিল্লার বোটানিক্যাল গার্ডেন
দুই যুগ পর সংস্কার হচ্ছে বৃহত্তর কুমিল্লার একমাত্র বোটানিক্যাল গার্ডেন ও চিড়িয়াখানা। জেলা পরিষদ বলছে চিড়িয়াখানা নিয়ে রয়েছে পরিকল্পনা এবং পরিকল্পতভাবে সাজানো হচ্ছে বোটানিক্যাল গার্ডেন।
সূত্রমতে, ১৯৮৬ সালে জেলা প্রশাসকের বাসভবনের একাংশে ১০ একর জমির উপর তৈরি হয় কুমিল্লা চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন। শুরু থেকেই নানা অবহেলায় ছিলো এ বিনোদন কেন্দ্র।
ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সাফায়েত উল্লাহ মিয়াজী বলেন, ‘২০ টাকা টিকেটে এ বিনোদন কেন্দ্রে প্রবেশ করলে লস। চিড়িয়াখানায় দেখার মতো তেমন প্রাণী নেই। বোটানিক্যাল গার্ডেন পানির নিচে। এটি সংষ্কার করা খুবই জরুরি।’
আরও পড়ুন: সমুদ্রতীরে ডলফিনের খেলা, বাড়তি আনন্দ দিচ্ছে পর্যটকদের
নগরীর রেইসকোর্স এলাকার বাসিন্দা গৃহিনী সায়মা ভূঁইয়া শিখা বলেন, সন্তান নিয়ে চিড়িয়াখানায় গিয়েছি দেখার মতো কিছুই নেই। বোটানিক্যাল গার্ডেনে সাধারণ দর্শনার্থীরা ভিতরে প্রবেশ করে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। নগর উদ্যান ছাড়া কোন বিনোদন কেন্দ্র নেই কুমিল্লা শহরে। যদি চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন পরিকল্পিত ভাবে সাজানো হয় তবে শিশুদের নিয়ে যাওয়ার পরিবেশ হবে। নতুন প্রজন্ম বৃক্ষ ও প্রাণীর পরিচয় জানতে পারবে। তারা শিখতে পারবে।
৩ বছর আগে