সঙ্কট
বৈশ্বিক মন্দায় আমাদের তেমন সমস্যা হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বৈশ্বিক মন্দায় আমাদের তেমন সমস্যা হবে না। তিনি বলেন, এখন পুরো বিশ্বই সঙ্কটে আছে। কেউ স্বস্তিতে নেই। তবে বৈশ্বিক মন্দা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী দূরদর্শী পরিকল্পনা গ্রহণ করে রেখেছেন। তাই মন্দায় একটু হয়তো কষ্ট পাবো, তবে আমাদের খুব একটা সমস্যা হবে না।খাদ্যের কোন ঘাটতি হবে না।
রবিবার (৬ নভেম্বর) সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, স্বল্প আয়ের মানুষের যাতে সমস্যা না হয় তার জন্য প্রায় দেড় কোটি মানুষকে টিসিবি ও ৫০ হাজার লোককে বিজিবির মাধ্যমে ১৫ টাকা করে চাল দেয়া হচ্ছে এবং এ কার্যক্রম আরও কয়েক মাস ধরে চলবে।
আরও পড়ুন: খাদ্য-জ্বালানি নিরাপত্তার বিষয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মতে পররাষ্ট্র সম্পর্ক উন্নয়ন করে আন্তর্জাতিক ভাবে যেসব দেশ আগে বাংলাদেশকে পাত্তা দিতো না, তারাও এখন আমাদের সম্মানের চোখে দেখে।
বিএনপি সবসময় বলে দেশে মানবাধিকার নেই। অথচ বাংলাদেশ এবার সর্বোচ্চ ভোটে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে।
মোমেন বলেন, আমি গত নির্বাচনে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তার অধিকাংশ পূরণ হয়েছে। এই সরকারের আমলে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তাই আবার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে হবে।
দেশের মঙ্গল ও নিজেদের অস্তিত্বের স্বার্থে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী করতে হবে।
দলে বিভেদের কথা উল্লেখ করে মোমেন বলেন, আমাদের মধ্যে কিছু বিভেদ আছে। তবে আমরা যদি এক হয়ে মাঠে নামি কেউ আমাদের ঠেকাতে পারবে না। কারণ আওয়ামী লীগ অনেক শক্তিশালী। আর আমাদের বিরোধীরা খুব দূর্বল।
তারা হাওয়ার ওপরে আছে। তারা কেবল মিথ্যে প্রচারণা চালাচ্ছে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের পরিচালনায় এতে প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ।
আর বিশেষ অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, সংবিধান মেনে আগামী বছরের শেষদিকে জাতীয় নির্বাচন হবে। সবাইকে এই ব্যাপারে প্রস্তুতি নিতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে। দেশের অগ্রগতিকে অব্যাহত রাখার জন্য সরকার টিকিয়ে রাখতে হবে।
বিএনপি মিথ্যাচার করছে উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, পদ্মাসেতু নিয়েও বিএনপি মিথ্যে প্রচারণা চালিয়েছিলে। বলেছিলে, এ সেতু হবে না। কিন্তু শেখ হাসিনা পদ্মাসেতু নির্মাণ করেছেন। বিএনপির মিথ্যাচার সত্ত্বেও দেশ এগিয়ে আছে। দেশ আজকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
দারিদ্রতা দূরীকরণে বাংলাদেশ পুরো বিশ্বের কাছে এখন উদাহরণ।
আরও পড়ুন: ভুল উদ্বৃতি দিয়ে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সিলেট নগরের কবির নজরুল অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এই সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আমরা এখন একটা ষড়যন্ত্রের মধ্যে আছি। এই দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। আমাদের ঐক্যই কেবল এই ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করতে পারে। ফলে বিভেদ ভুলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
নানক বলেন, শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে সম্মান করেন। তিনি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন। একারণেই মির্জা ফখরুলরা বাড়িতে ঘুমাতে পারছেন। গণতন্ত্র আছে বলেই আজ তারা সমাবেশ করতে পারছেন।
কিন্তু বিরোধী দলে থাকার সময় আমরা বাড়িতে ঘুমাতে পারিনি।
বিএনপির সমাবেশে নেতাকর্মীদের হাতে লাঠি নিয়ে আসার বিষয়টি উল্লেখ করে নানক বলেন, সবকিছু মেনে নেবো, কিন্তু রাজনীতির শিষ্টাচার বহির্ভূত কিছু মেনে নেয়া হবে না। লাঠি নিয়ে মিছিল মানা হবে না। এর জবাব দেয়া হবে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, বিএনপির জন্মই হয়েছে ক্যান্টনমেন্টে অবৈধ পন্থায়, তারা আজ গণতন্ত্রের কথা বলে।
এই দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন জেনারেল জিয়া।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে অভাবনীয় উন্নয়ন হচ্ছে। বিএনপির এটা সহ্য হচ্ছে না। তারা আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
হানিফ বলেন, বিএনপি বলে সরকার রিজার্ভ শেষ করে দিয়েছে। অথচ বিএনপির সময়ে রিজার্ভ ছিলে মাত্র তিন বিলিয়ন ডলার। আর এই সঙ্কটের সময়েও এখনও আমাদের রিজার্ভ আছে ৩৮ বিলিয়ন ডলার।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, সময়মতো ও সংবিধান মেনেই নির্বাচন হবে। কেয়ামত পর্যন্ত চেষ্টা করেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর আসবে না। ওই চ্যাপ্টার ক্লোজ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা হবেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী। বিএনপি যতই লাফালাফি করুক কোন লাভ হবে না।
কেবল বক্তব্য করলেই গণ অভ্যুত্থান হয় না।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেল, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মুশফিক আহম চৌধুরী, আজিজুস সামাদ ডন, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, সিলেট-৩ আসনের সাংসদ হাবিবুর রহমান হাবিব, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান প্রমুখ।দিনব্যাপী এই প্রতিনিধি সভায় সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা বক্তব্য দেন। নিজেদের বক্তব্যে তারা দলের অনৈক্য-বিভেদ ও নেতাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: শ্রমিকের দুর্বলতাকে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলে ব্যবহার করবেন না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে
বিরোধী দল সঙ্কটের মধ্যে রাজনীতিকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,চলমান অর্থনৈতিক সংকটের সুযোগ নিয়ে বিরোধী দলগুলো দেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
বুধবার একাদশ সংসদের ২০তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘দেশে যখন ক্রান্তিকালে (সঙ্কট), আমাদের বিরোধী দলে যারা আছেন তাদের মধ্যে আমি এ নিয়ে উদ্বেগ দেখিনি। বরং আমি দেখছি যে কীভাবে তারা এই সুযোগ নিয়ে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এটা করা কি ন্যায়সঙ্গত?’
বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় সরকার সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐক্যের কোন উদ্যোগ নেবে কি না জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক (কিশোরগঞ্জ-৩)-এর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশ কোনও সমস্যার সম্মুখীন হয়, বিরোধী দলগুলোর তখন দেশপ্রেম দেখানো উচিত। কেন তারা এটা করছেন না?
সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, ‘সারা বিশ্বে যখন সংকট দেখা দেয়, তখন রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের প্রবণতা পরিহার করতে হবে।’
আরও পড়ুন: রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের চুল্লি বসছে বুধবার, উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, কোন এলাকায় আ.লীগকে ভোট দিল বা দিল না, তা বিবেচনা না করেই তার সরকার সমগ্র বাংলাদেশ ও জনগণের উন্নয়ন করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,তার সরকার দুর্যোগ মোকাবিলায় নিষ্ক্রিয়ভাবে বসে থাকেনি। অনেকেই সরকারের সমালোচনা করে যাচ্ছেন, কিন্তু এক মুঠো ভাত দিয়েও জনগণের পাশে দাঁড়াননি।
তিনি বলেন, ঐক্য শুধু কথার বিষয় নয়। সবাইকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসতে হবে। ‘আমরা সবসময় ঐক্যে বিশ্বাস করি। যারা এগিয়ে আসবে আমরা তাদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করব।’
বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার অপর একটি প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী সংসদ সদস্যদের বৈশ্বিক সংকটের মধ্যে দোষ-ত্রুটি খোঁজার পরিবর্তে, জনগণের পাশে দাঁড়ানোর পরামর্শ দেন।
হাসিনা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞার পর প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে এবং সারা বিশ্বের মানুষ এখন এর শিকার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের দোষ-ত্রুটি খুঁজে না দেখে সংসদ সদস্যদের ভাবা উচিত তারা আইন প্রণেতা হিসেবে বাংলাদেশের জনগণের জন্য কী করতে পারেন।
এর আগে, রুমিন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সিপিডি এবং একটি সংবাদপত্রের উদ্বৃতি দিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার কী পদক্ষেপের পরিকল্পনা করছে সেই প্রশ্ন করেন। কারণ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে খাদ্যের দাম সবচেয়ে বেশি।
দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হতে পারে এমন ৪২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে বলেও তিনি তথ্য তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববাজারের তুলনায় বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি সবার বিবেচনা করা উচিত।
আরও পড়ুন: দাম নিয়ন্ত্রণে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
তিনি বলেন,‘আমি অস্বীকার করছি না যে বাংলাদেশে দাম বাড়েনি। যেহেতু দাম বেড়েছে, আমাদের মধ্যে যারা বেশি দামে কেনার সামর্থ্য রাখে না, তারা যাতে কম দামে কিনতে পারে সেজন্য ভর্তুকি দিয়ে পণ্য সরবরাহ করছি।’
গণফোরামের সংসদ সদস্য সুলতান মুহাম্মদ মনসুর আহমেদের (মৌলভীবাজার-২) এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও বাংলাদেশ এখনও অনেক উন্নত দেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে।
তিনি বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ীও আছে যারা জনগণের ভোগান্তি চিন্তা করে না, তারা শুধু নিজেদের মুনাফার চিন্তা করে। তারা কখনও কখনও পণ্য মজুদ করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে।
শেখ হাসিনা বলেন, যারা পণ্য মজুদ করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করে, তিনি ইতোমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন এবং তা অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িতদের কোনো স্থান নেই: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
মহামারি ও অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটিয়ে পৃথিবী দ্রুত পুরনো রূপে ফিরবে, আশা তথ্যমন্ত্রীর
করোনা মহামারি ও অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটিয়ে পৃথিবী দ্রুত আবারো পুরনো রূপে ফিরবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এসময় দোষারোপ ও মিথ্যাচারের রাজনীতির পরিবর্তে সম্প্রীতির রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।রবিবার সকালে নিজের নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সুখবিলাস গ্রামের ঈদগাহে ঈদুল আযহার নামাজ আদায় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে পৃথিবীতে মহামারি চলছে, বিভিন্ন দেশে আবার করোনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পৃথিবীতে অর্থনৈতিক সঙ্কটও তৈরি হয়েছে। এসময় পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে মানুষে মানুষে সম্প্রীতি এবং আমাদের দেশে সম্প্রীতির রাজনীতি স্থাপিত হবে।তথ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবী যেন এই মহামারি ও অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকে মুক্তি পায়, দলমত নির্বিশেষে সবার মধ্যে যেন সঙ্কট মোকাবিলা করার মানসিকতা তৈরি হয় ও দেশকে আমরা উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে পারি -মহান স্রষ্টার কাছে আজকের এইদিনে এটাই প্রার্থনা ।হাছান মাহমুদ বলেন, 'বৈশ্বিক সঙ্কটের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। দেশের মানুষকে ভালো রেখেছেন, ভালো রাখার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সমস্ত সঙ্কট মোকাবিলা করে ভবিষ্যতেও তার হাত ধরে যেন দেশ এগিয়ে যায়, মহান স্রষ্টার কাছে সেই প্রার্থনা জানাই।'ঈদের নামাজের পর গ্রামের বাড়িতে আত্মীয় স্বজনসহ দলীয় নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের জনসাধারণের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুকন্যার হাত ধরেই তৃতীয় লিঙ্গের স্বীকৃতি এসেছে: তথ্যমন্ত্রী
মানবিক রাষ্ট্র গড়তে এগিয়ে আসুন: সাংবাদিকদের প্রতি তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
জাতিসংঘে ইউক্রেন সঙ্কট নিয়ে ভোট দেয়া থেকে বিরত বাংলাদেশ
ইউক্রেনের ওপর মস্কোর আগ্রাসন বন্ধ করা এবং অবিলম্বে সব রুশ সেনা প্রত্যাহারের দাবিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের জরুরি অধিবেশনে উত্থাপিত প্রস্তাবে ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার চারটি দেশ- ভারত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানসহ জাতিসংঘের ৩৫টি সদস্য রাষ্ট্র ইউক্রেন ইস্যুতে ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল।
বুধবার ‘ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসন’ শিরোনামের প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটির সময় জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৪১টি প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দিয়েছে। আর বেলারুশ, সিরিয়া, উত্তর কোরিয়া ও ইরিত্রিয়া এই চারটি দেশ রাশিয়ার পক্ষ নিয়ে জাতিসংঘের প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে।
এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন ও ভারতের ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকা প্রত্যাশিত ছিল, তবে রাশিয়ান মিত্র কিউবা ও নিকারাগুয়ার ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকাটা কিছুটা বিস্ময়কর। এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতও এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস
২ বছর আগে
ইউক্রেন সঙ্কট: রাজধানী কিয়েভে কারফিউ অব্যাহত
একের পর এক বিস্ফোরণ এবং সড়কে লড়াইয়ের জেরে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রাত ১০টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত কারফিউ অব্যাহত রাখা হয়েছে।
শহরটির মেয়র ভিটালি ক্লিচস্কো বলেছেন,‘কারফিউ চলাকালীন রাস্তায় থাকা বেসামরিক নাগরিকদের শত্রু পক্ষের লোক বা সাহায্যকারী দলের সদস্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে।’
রুশ সেনারা রাজধানী অভিমুখে অগ্রসর হচ্ছে। বাসিন্দারা প্রাণ বাঁচাতে ভূগর্ভে আশ্রয় নিচ্ছেন। রাশিয়ান সেনারা কতদূর অগ্রসর হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা রুশ হামলা প্রতিরোধে কিছু সাফল্যের কথা জানিয়েছেন, তবে রাজধানীর প্রান্তে লড়াই অব্যাহত রয়েছে।
দেশটির প্রসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি নিরাপদে দেশ ছাড়ার মার্কিন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন,শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবেন।
অন্যদিকে রাশিয়ার দাবি, তারা শুধু ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর ওপর হামলা করছে, কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে এই হামলায় সবচেয়ে বেশি বেসামরিক মানুষ নিহত ও আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: রুশ হামলায় ১৯৮ জন নিহত, আহত সহস্রাধিক: ইউক্রেনের মন্ত্রী
একটি ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভের একটি বিমানবন্দরের কাছে শহরের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকণ্ঠে উঁচু অ্যাপার্টমেন্টে আঘাত হেনেছে। অ্যাপার্টমেন্টটির বেশ কয়েকটি তলায বিধ্বস্ত হয়েছে।
একজন উদ্ধারকর্মী জানিয়েছেন, এই হামলায় ছয়জন বেসামরিক ব্যক্তি আহত হয়েছে।
ইতোমধ্যে কয়েক হাজার ইউক্রেনীয় বাড়িঘর ছেড়ে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে চলে গেছেন।
জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলেছেন, এক লাখ ২০ হাজারের বেশি ইউক্রেনীয় পোল্যান্ড, মলদোভা এবং অন্যান্য প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
রুশ সেনারা উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণ দিক থেকে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে দুই দিনের ব্যাপক বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর শনিবারের প্রকাশ্য সড়কে সংঘর্ষ হয়। হামলার ফলে সেতু, স্কুল এবং আবাসিক এলাকা ভেঙে পড়ছে এবং শত শত মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটছে।
এখনও এটা স্পষ্ট না যে ইউক্রেনের কতটা এখনও ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে আছে এবং কতটা রুশ বাহিনী দখল করেছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, রুশ সামরিক বাহিনী আজভ সাগর উপকূল থেকে প্রায় ২২ মাইল অভ্যন্তরীণ দক্ষিণের শহর মেলিটোপোলের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: কিয়েভের সড়কে লড়াই শুরু
তারা আরও বলেছে, রাশিয়া সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ডনবাসের পূর্ব অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে সফল হয়েছে।
ইউক্রেনীয় ও পশ্চিমা কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ার অগ্রযাত্রাকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছে। ইউক্রেনের অবকাঠামো মন্ত্রণালয় বলেছে, একটি রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র শনিবার ভোরের আগে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।
পশ্চিমা কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের সরকারকে উৎখাত করতে এবং তার নিজের ইচ্ছাধীন একটি শাসনব্যবস্থা প্রতিস্থাপন করতে বদ্ধপরিকর। এই আক্রমণের মাধ্যমে পুতিন ইউরোপের মানচিত্র পুনরায় আঁকতে এবং মস্কোর স্নায়ু-যুদ্ধ যুগের প্রভাবকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছে। এর ফলে পুতিনের ওপর সরাসরি নিষেধাজ্ঞা দেয়াসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ঘটনার সূত্রপাত করছে।
জেলেনস্কি শনিবার নতুন করে আশ্বাস দিয়ে বলেছে,দেশের সামরিক বাহিনী রুশ আক্রমণের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াবে।
কিয়েভ থেকে রেকর্ড করা একটি ভিডিওতে তিনি বলেন, তিনি শহরেই রয়েছেন এবং ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী আত্মসমর্পণ করবে এটা মিথ্যা দাবি।
তিনি বলেন, আমরা অস্ত্র প্রত্যাহার করব না। আমরা দেশকে রক্ষা করব। আমাদের অস্ত্রই এখন আমাদের বড় সত্য এবং আমাদের ভূমি, আমাদের দেশ ও আমাদের সন্তান সবই সত্য। আমরা আমাদের সবকিছুকে রক্ষা করব।
জেলেনস্কি শনিবারে রেকর্ড করা দ্বিতীয় ভিডিওতে বলেন, মস্কোর দ্রুত রাজধানী দখল এবং একটি পুতুল সরকার স্থাপনের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে। আবেগঘন বক্তব্যে তিনি রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে বেসামরিক এলাকা ও অবকাঠামোতে আঘাতের অভিযোগ তোলেন।
আরও পড়ুন: পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের
বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে একটি ফেনালাপে জেলেনস্কি বলেন, তিনি রাশিয়ার এক নম্বর টার্গেট এবং তারা তাকে আর জীবিত দেখতে নাও পারেন।
এরই মধ্য ইউক্রেন থেকে দেশটির প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র সরকার। তবে জেলেনস্কি সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।
একজন সিনিয়র মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মার্কিন প্রস্তাবের জবাবে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘এখানে লড়াই হচ্ছে, আমার গোলাবারুদ এবং অস্ত্র দরকার, আমাকে সরিয়ে নেয়ার দরকার নেই। শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই চালিয়ে যাব।’
শনিবার ইউক্রেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া রুশ আক্রমণে এখন পর্যন্ত তিন শিশুসহ ১৯৮ জন নিহত এবং সহস্রাধিক মানুষ আহত হয়েছে। তবে হতাহতরা সামরিক নাকি বেসামরিক নাগরিক বিবৃতি থেকে তা স্পষ্ট জানা যায়নি।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, যুদ্ধে শত শত রুশ সেনা নিহত হয়েছে। তবে রুশ কর্তৃপক্ষ কোন হতাহতের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি।
জাতিসংঘ অনুমান, যুদ্ধ আরও বাড়লে চার মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যূত হতে পারে। হাঙ্গেরির সীমান্ত শহর জাহোনিতে আগত শরণার্থীরা বলেছেন যে যুদ্ধ করার মতো উপযুক্ত বয়সী পুরুষদের ইউক্রেন ছেড়ে যেতে দেয়া হচ্ছে না।
২ বছর আগে
ইউক্রেন সঙ্কট: মস্কোয় ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনা মোতায়েনের ফলে সৃষ্ট উত্তেজনা প্রশমনে এবং এই পদক্ষেপের পরবর্তী পরিণতি সম্পর্কে রাশিয়াকে সতর্ক করতে ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস মস্কো গিয়েছেন।
বুধবার প্রথম মস্কো সফরের আগে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, রাশিয়ার নিজস্ব একটি পছন্দ আছে। তবে আমরা দৃঢ়ভাবে এ অঞ্চলের উত্তেজনা কমাতে এবং কূটনৈতিক সমাধানের পথ বেছে নিতে উৎসাহিত করি।
রাশিয়া ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করেছে এবং এই অঞ্চলে সামরিক মহড়া শুরু করছে। তবে, তারা বলেছে প্রতিবেশি দেশে আক্রমণের কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে সংকট বাড়াবে না রাশিয়া: ম্যাক্রোঁ
ন্যাটো ইউক্রেন এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত অন্যান্য দেশগুলোকে সদস্যপদ দেবে না, রাশিয়া পশ্চিমের কাছে এই নিশ্চয়তা চায়। শুধুমাত্র এই নিশ্চয়তা পেলেই তারা ইউক্রেন সীমান্তে অস্ত্র মজুদ বন্ধ করবে এবং পূর্ব ইউরোপ থেকে তাদের বাহিনী ফিরিয়ে নেবে। তবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো রাশিয়ার এই দাবি স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
এদিকে পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, মস্কো ইউক্রেন আক্রমণ করলে তারা রুশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও নাগরিকদের ওপর সবচেয়ে কঠিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।
দুই দিনের সফরে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে দেখা করা ট্রাস বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিক্রিয়ার পরিণতি সম্পর্কে রাশিয়ার কোনো সন্দেহ থাকা উচিত নয়।’
ট্রাস মস্কোকে তার আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে। কারণ আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ইউক্রেনের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকে সম্মান করতে রাশিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: পুতিনের সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে প্রস্তুত শি জিনপিং
অন্যদিকে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা আবারও ওয়াশিংটন এবং তার মিত্রদের কাছ থেকে সম্ভাব্য রুশ আক্রমণের সতর্কতা প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং তাদের ধারণাকে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, ‘আমাদের আক্রমণ করার কোনো পরিকল্পনা নেই, তবে আমার মনে হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আক্রমণ করতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ওয়াশিংটনের বিবৃতি তাকে ইরাকে মার্কিন হামলার আগের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।
কয়েক ডজন ইউক্রেনীয় কিয়েভে মার্কিন দূতাবাসের বাইরে সমাবেশ করেছে। তারা ওয়াশিংটনকে রাশিয়ার সম্ভাব্য ইউক্রেন আক্রমণ প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক প্রভাব ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় মার্কিন বিশেষ বাহিনীর অভিযানে নিহত ১৩
২ বছর আগে
রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে মিয়ানমারকে শক্তিশালী বার্তা পাঠাবে ইন্দোনেশিয়া
দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে পদক্ষেপ নিতে মিয়ানমারকে শক্তিশালী বার্তা দিতে যাচ্ছে ইন্দোনেশিয়া। বুধবার ঢাকায় সফররত ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা জানিয়েছেন।
এসময় মারসুদি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে আমরা মিয়ানমারকে একটি শক্তিশালী বার্তা দেবো।’
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের আশ্রয় দেয়ার পর, তিন বছর পার হয়ে গেছে। বাংলাদেশ ক্ষতিপূরণের জন্য অপেক্ষা করে যাচ্ছে…. কারণ বর্তমানে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় বোঝায় পরিণত হয়েছে।’
১৮তম ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) মন্ত্রী পরিষদ বৈঠকে যোগ দিতে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় এসেছেন।
এছাড়া এ বৈঠকে যোগ দিতে ঢাকায় আসা দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী ড. প্যন্ডরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুতে পদক্ষেপ নিতে বিশ্বনেতাদের প্রতি শেখ হাসিনার আহ্বান
এসময় প্রধানমন্ত্রী ড. প্যন্ডর বলেন, নেলসন ম্যান্ডেলা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রাম একই ছিল, কারণ দুই নেতাই দীর্ঘ সময় জেলে বন্দী থাকা ছাড়াও ব্যক্তি জীবনে অসামান্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে জানান,বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,‘আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত সুনীল অর্থনীতি বিকাশের স্বার্থে ভারত মহাসাগরকে শান্তিপূর্ণ রাখা।’
এসময় ড. প্যন্ডর বৈশ্বিক করোনা মহামারির কথা উল্লেখ করে দক্ষিণ আফ্রিকা ফাইজার এবং জনসনের করোনা টিকা তৈরির কথা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরেক পৃথক বৈঠকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, বিশেষ করে যোগাযোগ প্রযুক্তি, ব্যবসা ও ব্যাংকিং কার্যক্রম এবং সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
ইহসানুল করিম জানান, এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহামারি মোকাবিলায় সরকারের ক্ষুদ্র সঞ্চয় কর্মসূচির কথা উল্লেখ করেন। এছাড়া মহামারি পরবর্তী সময়ে দেশে খাদ্য ঘাটতি এড়াতে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা খাদ্য সুরক্ষার ওপর বিশেষ জোর দিয়েছি।’
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সঙ্কটে ফ্রান্স বাংলাদেশের পাশে থাকবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গাদের নিয়ে সৃষ্ট নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়ে ঢাকা-প্যারিসের মতবিনিময়
৩ বছর আগে