হাফ ভাড়া
সাভারে হাফ ভাড়া দেয়ায় কলেজছাত্রকে মারধর, ৮ বাস আটক
সাভারে হাফ ভাড়া দেয়ায় এক কলেজছাত্রকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওয়েলকাম পরিবহনের আটটি বাস আটকে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের থানা স্ট্যান্ড এলাকায় ওয়েলকাম বাসের ভেতরে ওই কলেজছাত্রকে মারধর করা হয়।
এ ঘটনার বিচার দাবিতে সাভার মডেল থানায় অবস্থান নিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
মারধরের শিকার শিক্ষার্থী হলেন ইউনুস কবির সেলিম (১৮)। সে আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকার মতিয়ার রহমানের ছেলে এবং সাভার সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। এছাড়া রিপনসহ আরও একজনকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া কার্যকরের সিদ্ধান্ত: ওবায়দুল কাদের
ভুক্তভোগী ইউনুস কবির সেলিম জানান, আমরা দুইজন আশুলিয়ার পলাশবাড়ী বাসস্ট্যান্ড থেকে সাভার থানা স্ট্যান্ডের উদ্দেশ্যে ওয়েলকাম পরিবহনের একটি বাসে উঠি। পরে পল্লীবিদ্যুৎ থেকে আমাদের আরেক সহপাঠী ওঠে। আমরা থানা স্ট্যান্ডের একটু আগে পৌঁছালে কন্ডাক্টর বাসের ভাড়া চান। আমরা তিনজনের হাফ ভাড়া ২২ টাকার জায়গায় ৩০ টাকা দেই। শিক্ষার্থী পরিচয় দিলেও সে আমাদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে মারধর করেন। এ সময় আমার হাত গাড়ির গ্লাসের সঙ্গে লেগে কেটে যায়। পরে আমার অন্যান্য সহপাঠীরা বিষয়টি জানতে পারলে তারা সড়কে এসে ওয়েলকাম পরিবহনের আটটি বাস আটক করেন। এখন আমরা বিচারের দাবিতে থানায় অবস্থান নিয়েছি। আমরা ওই কন্ডাক্টর ও গাড়ি চালকের বিচার চাই।
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) মাকারিয়াস দাশ বলেন, দুই পক্ষকে নিয়ে বসা হয়েছে। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।
২ বছর আগে
চট্টগ্রামে ১১ ডিসেম্বর থেকে গণপরিবহনে হাফ ভাড়া কার্যকর
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ঢাকার পর এবার চট্টগ্রামেও গণপরিবহনে হাফভাড়া কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা। আগামী ১১ ডিসেম্বর থেকে চট্টগ্রামে গণপরিবহনে কার্যকর হবে শিক্ষার্থীদের হাফভাড়া।
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ১১ দাবি নিয়ে আবারও সড়কে শিক্ষার্থীরা
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ বলেন, ‘আগামী ১১ ডিসেম্বর থেকে চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীদের হাফভাড়া কার্যকর হবে। হাফ ভাড়া কার্যকরের সময় সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। এজন্য শিক্ষার্থীর ছবিযুক্ত আইডি কার্ড প্রদর্শন করতে হবে। সরকারি ছুটির দিন, সাপ্তাহিক ছুটির দিন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মৌসুমি ছুটিতে হাফ ভাড়া কার্যকর হবে না। হাফ ভাড়া শুধু চট্টগ্রাম শহরে কার্যকর হবে, বাইরে হবে না। যেখানে সিটি সার্ভিস চালু আছে সেখানেও এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। আমরা ছাত্রদের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে হাফ ভাড়া কার্যকর করেছি। সুতরাং তারা তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরে যাবে বলে আশা করছি।’
আরও পড়ুন: শিক্ষকের মৃত্যু: কুয়েটের ৯ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতির সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কফিল উদ্দিন আহামদ, চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি খোরশেদ আলম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি-ঢাকার যুগ্ম-সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব গোলাম রসুল বাবুল, মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল, মৃণাল চৌধুরী, মো. শাহজাহান, মিজানুর রহমান, আহসান উল্লাহ চৌধুরী হাসান, শহিদুল ইসলাম সুমু, অলি আহমেদ, নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
২ বছর আগে
চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া বিষয়ে সিদ্ধান্ত রবিবার
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে রাজধানী ঢাকায় হাফ ভাড়া চালু হলেও চট্টগ্রামেও এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে। তবে এখনও তা কার্যকর হয়নি।
বাস মালিক সমিতির নেতারা বলছেন, চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ার বিষয়ে আগামী রবিবার ( ৫ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয়া হবে। ওই দিন বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন বাসমালিক সমিতির সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল বলেন, চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ার বিষয়ে আমরা কয়েকটি মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলাম। সেখানে আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আগামী রবিবার (৫ ডিসেম্বর) একটি ইতিবাচক ঘোষণা আসতে পারে।
আরও পড়ুন: শুধু ঢাকায় শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া
শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া কার্যকরের সিদ্ধান্ত: ওবায়দুল কাদের
২ বছর আগে
শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
রাস্তায় বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার বলেছেন, যানবাহনের ক্ষতি করা তাদের দায়িত্ব নয়।
তিনি বলেন, ‘এ সমস্ত কাজ কেউ করবেন না, নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যান, পড়াশোনায় মনযোগী হন। সাম্প্রতিক সড়কে মৃত্যুর ঘটনায় যারা দায়ী তাদের অবশ্যই শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে, তাদের খুঁজে বের করা হয়েছে।’
বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল উদ্বোধন এবং ধানমন্ডি এলাকায় জয়িতা ফাউন্ডেশন টাওয়ারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসছে। এটা (নতুন ভ্যারিয়েন্ট) দেশে সংক্রমিত হতে শুরু করলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার বন্ধ হয়ে যাবে। সুতরাং, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে পড়াশোনায় মনযোগ দাও।’
শেখ হাসিনা বলেন, যারা গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের জন্য দায়ী তাদেরও চিহ্নিত করে শাস্তি দেয়া হবে। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা গাড়িতে কেউ মারা গেলে, যদি কাউকে পুড়িয়ে মারা হয়, তাহলে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে। আমাদের এটি মনে রাখা দরকার।
সাম্প্রতিক সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অনেক সচেতন ও সতর্ক। ভিডিও ফুটেজ ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে ইতোমধ্যেই অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী সবাইকে সড়কে সতর্ক থাকার এবং কঠোরভাবে ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, রাস্তা পার হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা আছে। মানুষ নির্বিচারে রাস্তা পার হওয়ার চেষ্টা করলে দুর্ঘটনা ঘটবে। চলন্ত গাড়ি হঠাৎ ব্রেক থামাতে পারে না।
ভুক্তভোগীকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য সাহায্য না করে যে কোনো দুর্ঘটনার পর যারা সব সময় রাস্তা অবরোধ করে, যানবাহনের ক্ষতি করে এবং যানবাহনে আগুন দেয় তাদের সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, যেসব গাড়িতে আগুন দেয়া হয়, তাতে যাত্রী, শিশু ও ছাত্র আছে, কেউ আহত হলে, পুড়ে মারা গেলে তার দায় কে নেবে? স্বাভাবিকভাবেই হামলাকারীদের এই দায় নিতে হবে।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও পদক্ষেপ নিতে হবে। সুতরাং, আমি সবাইকে অনুরোধ করব,দয়া করে আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না।
আরও পড়ুন: রামপুরায় বাসচাপায় এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত, ৮ বাসে আগুন
২ বছর আগে
শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া কার্যকরের সিদ্ধান্ত: ওবায়দুল কাদের
শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বেসরকারি বাস মালিকরা শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া কার্যকরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার ধানমন্ডির আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
এর আগে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে বিআরটিসি বাসের ভাড়া ৫০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: নিরাপদ সড়ক ও হাফ ভাড়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
সরকার ৩ নভেম্বর ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা বাড়িয়েছে। অন্যদিকে নির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের পর ৭ নভেম্বর বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) আন্তনগর ও আন্তজেলা বাসের ভাড়া যথাক্রমে ২৬.৫ শতাংশ ও ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে।
শিক্ষার্থীদের জন্য গণপরিবহনে অর্ধেক ভাড়ার দাবিতে ১৮ নভেম্বর থেকে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। একই দাবিতে ঢাকা কলেজের শত শত শিক্ষার্থী তাদের কলেজের বাইরে বিক্ষোভ করেছে।
পাবলিক বাসে শিক্ষার্থীদের হয়রানির শিকার হলেও কেউ তাদের দাবির প্রতি কোনো কর্ণপাত করেনি বলেও দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: রামপুরায় বাসচাপায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু: বাসের হেলপার আটক
অর্ধেক বাস ভাড়ায় শিক্ষার্থীদের সমর্থন দিয়েছে বিএনপি
২ বছর আগে
গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নিশ্চিতে প্রজ্ঞাপন চায় ক্যাব
গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে অবিলম্বে এই দাবি মেনে নিয়ে শিক্ষার্থী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য অর্ধেক ভাড়ার প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানিয়েছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণকারী সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
সোমবার ক্যাব’র কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে এস এম নাজের হোসাইন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ২০১৫ সালের অক্টোবরে বিআরটিসির কার্যালয়ে বাস ডিপো ব্যবস্থাপকদের সাথে এক বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘আমি এই মুহূর্ত থেকে নির্দেশ দিচ্ছি, বিআরটিসির পাশাপাশি অন্যান্য পরিবহনেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নেবে। আর না নিলে দায়ী পরিবহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ মন্ত্রীর ঘোষণার পরও বিষয়টি পুরোপুরি বাস্তায়ন হয়নি।
আরও পড়ুন: কেনাকাটায় সতর্ক না হলে পরিবারের জন্য মৃত্যু কিনে আনার মতো হবে : ক্যাব
অন্যদিকে, ২০১৮ সালে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টিকারী নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবির অন্যতম দাবি ছিল, ঢাকাসহ সারা দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সে সময়ই প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভায় একটি খসড়া গণপরিবহন আইন অনুমোদন করলেও, সেখানে হাফ ভাড়ার বিষয়টি উল্লেখ না থাকায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি চরম অবমাননা করেন।
তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনার জন্য দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকার গণপরিবহন আইন সংশোধনসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করলেও ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধ হয়নি।
অন্যদিকে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে সরকার গণপরিবহন ভাড়া পুনঃনির্ধারণ করলেও গণপরিবহনের মালিক-শ্রমিকরা সরকার নির্ধারিত ভাড়া আদায় না করে নিজেদের ইচ্ছামতো দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করে গণপরিবহনে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। এছাড়া ভাড়া নির্ধারণের সময় গড় ৭০ শতাংশ যাত্রী পরিবহন দেখিয়ে ভাড়া আদায় দেখালেও কার্যত দ্বিগুণ যাত্রী পরিবহনের ঘটনা যেন স্বাভাবিক। ভাড়া নির্ধারণে অতিরিক্ত অযৌক্তিক ব্যয় ও মাইলেজ এর বিভ্রান্তিকর তথ্য দেখিয়ে একচেটিয়া ভাড়া নির্ধারণ প্রক্রিয়াটিও ত্রুটিপুর্ণ বলে মন্তব্য করে, গণপরিবহন মালিকদের স্বার্থে এই প্রক্রিয়াটি রহিত করা উচিত।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের দাবি ক্যাবের
বিবৃতিতে এস এম নাজের হোসাইন আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের সাথে অধিকাংশ সময় গণপরিবহন শ্রমিকদের হাফ পাস বা হাফ ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডা চলছেই। অথচ গণপরিবহন সংশ্লিষ্টরা মুখে মুখে বুলি আওড়ায়, শিক্ষার্থীদের জন্য অর্ধেক ভাড়ার নিয়ম অনুসারেই ভাড়া নিচ্ছেন চালকরা। কিন্তু বাস্তবে সেই চিত্রের কোনো ছিটেফোঁটাও নেই। এছাড়া ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির পর নগরের বিভিন্ন সড়কে চলাচল করা গণপরিবহনগুলো অর্ধেক ভাড়ার পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করে চলেছে পুরো বর্ধিত ভাড়াও। এ যেন রীতিমতো ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসাবে আর্বিভূত হয়েছে। একই সাথে দরিদ্র, অস্বচ্ছল ও শিক্ষার্থীদের জন্য গণপরিবহনে হাফ ভাড়া নিয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে এস এম নাজের হোসাইন বলেন, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামসহ সকল মুক্তিসংগ্রামে দেশের শিক্ষার্থী ও তরুণদের ভূমিকা অনন্য। দেশে চলমান ভোগ্যপণ্য ও সেবার ক্রমবর্ধমানে ঊর্ধ্বমুখী দামে লাখ লাখ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন হুমকিতে। গণপরিবহনে বর্ধিত ভাড়া দিয়েই শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে অনেক পরিবারের পক্ষে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: নিত্যপণ্যের দামে কোনোভাবেই লাগাম টানা যাচ্ছে না: ক্যাব
২ বছর আগে