আঙুল
বোতল কুড়াতে গিয়ে বিস্ফোরণ, উড়ে গেল কিশোরের আঙুল
মুন্সীগঞ্জে ময়লার স্তূপে বোতল কুড়ানোর সময় বিস্ফোরণে সজিব নামে এক কিশোরের ডান হাতের আঙুলগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) জেলার দক্ষিণ ইসলামপুর এলাকার ময়লার স্তূপে এ ঘটনাটি ঘটে।
আহত অবস্থায় তাকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সজিব মিয়া (১৩) নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ার রাজু শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বিস্ফোরণে ১১ শ্রমিক আহত
তার ভাষ্যে, ‘ময়লার স্তূপে বোতল কুড়ানোর সময় একটা সাদা বলের মতো বস্তু পাই। পরে সেটিকে টান দিলে সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ হয়।’
সজিবের বাবা রাজু শেখ বলেন, ‘দুই ছেলে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়া থেকে আমরা ভ্যানগাড়ি নিয়ে বোতল কুড়াতে আসি। আজ ময়লার স্তূপে বোতল কুড়ানোর সময় হঠাৎ বিস্ফোরণে সজিব আহত হয়। এরপর সঙ্গে সঙ্গে তাকে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি।’
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রুহুল আমিন বলেন, ‘বিস্ফোরণে ছেলেটির ডান হাতের আঙুলগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া গোপনাঙ্গেও আঘাত পেয়েছে সে। অবস্থা সংকটাপন্ন বুঝে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেই।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সজিব দে বলেন, ককটেল বিস্ফোরণে ছেলেটি আহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ঠিক কী বিস্ফোরণ হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ চার
২ সপ্তাহ আগে
সম্পত্তি লিখে না দেয়ায় বাবার আঙুল কেটে নিলো ছেলে!
মাগুরা সদর উপজেলায় সম্পত্তি লিখে না দেয়ায় বাবা শহীদুল হকের চার আঙুল কেটে দেয়ার অভিযোগে উঠেছে ছেলে হানিফ মিয়ার বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলার হাজরাপুর ইউনিয়নে উথলি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম জানান, শহীদুল হক (৭০) ওই গ্রামেই বড় ছেলে গোলাম মোস্তফার সাথে থাকেন। তার ছোট ছেলে হানিফ বিয়ের পর পরিবার থেকে আলাদা হয়ে বসবাস শুরু করে। সংসার আলাদা হওয়ার পর সম্পত্তি নিয়ে প্রায়ই বাবার সাথে কথাকাটাকাটি করতেন হানিফ। এছাড়া তার নামে সম্পত্তি লিখে দেয়ার জন্য চাপ দিতেন। এর জের ধরে মঙ্গলবার সকালে ধারালো ছুড়ি দিয়ে বাবাকে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করতে থাকে হানিফ। এসময় শহীদুল হকের হাতের চার আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং মাথায় গুরুতর জখম হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: নবজাতকের আঙ্গুল কেটে ফেলার অভিযোগ নার্সের বিরুদ্ধে
এদিকে, এ ঘটনার পর থেকে ছেলে হানিফ পলাতক রয়েছেন।
শহিদুল হকের বড় ছেলে গোলাম মোস্তফা বলেন, সকালে বাড়ির পাশে একটি চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন বাবা। এ সময় হঠাৎ আমার ছোট ভাই হানিফ গরু জবাই করা ছুড়ি নিয়ে বাবাকে আঘাত করতে থাকে। এতে বাবার হাতের চার আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ সময় দোকানের থাকা অন্যান্য লোকজন চিৎকার দিলে হানিফ পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ওসমানী হাসপাতালে বিচ্ছিন্ন আঙ্গুলের সফল প্রতিস্থাপন
ওসি মঞ্জুরুল আলম জানান, গুরুতর জখম শহীদুল হকের চিকিৎসা চলছে। ছেলে হানিফ মিয়াকে আটকের চেষ্টা চলছে। মাগুরা থানায় মামলা হয়েছে।
৩ বছর আগে