এভারকেয়ার
খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে রবিবার আবারও রাজনাধীর এভারকেয়ার হাসপাতালে কিছু মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে তিনি হাসপাতালে পৌঁছান। এরপরই চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার গণমাধ্যম শাখার সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।
খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনকে কিছু মেডিকেল টেস্ট করতে পরামর্শ দিয়েছে তার মেডিকেল বোর্ড।
পড়ুন: খালেদা জিয়াকে আরও কিছুদিন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে
জাহিদ বলেন, মেডিকেল বোর্ড আশা করছে সোমবার তার পরীক্ষার ফলাফল দেখে পরবর্তী চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নিবেন।
খালেদা জিয়া হাসপাতালের কেবিনে আছেন বলেও জানান জাহিদ।
ছয়দিন আগেও তাকে একই হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল।
এর আগে ২২ আগস্ট করোনারি এনজিওপ্লাস্টির পর ফলোআপ হিসেবে খালেদা জিয়ার ইকো, ইসিজি, ইউএসজি, এক্স-রে এবং রক্ত পরীক্ষা করানো হয়।
ওইসব পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে আরও কিছু পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তির সুপারিশ করেছে মেডিকেল বোর্ড।
৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
এর আগে ১০ জুন বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাম ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লকের কারণে তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন। ব্লক সরিয়ে সেখানে একটি স্টেন্ট (রিং) বসানো হয়।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালত পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিলে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনার কারণে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ না ছাড়ার শর্তে সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
২০২১ সালের এপ্রিলে করোনায় এ আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে বিএনপি প্রধানকে ছয়বার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খালেদা জিয়ার পরিবার তার একাধিক স্বাস্থ্য জটিলতার চিকিৎসার জন্য বিদেশে একটি উন্নত হাসপাতালে পাঠানোর অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে একাধিক আবেদন জমা দিয়েছিল, তবে দুটি মামলায় আদালতে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সরকার প্রতিবারই তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিকালে হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া
২ বছর আগে
বিকালে হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে রবিবার আবারও রাজনাধীর এভারকেয়ার হাসপাতালে কিছু মেডিকেল পরীক্ষার জন্য নেয়া হবে। ছয়দিন আগেও তাকে একই হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে আজ (রবিবার) বিকালে ম্যাডামকে কিছু পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হবে। এ বিষয়ে হাসপাতালে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।’
এর আগে ২২ আগস্ট করোনারি এনজিওপ্লাস্টির পর ফলোআপ হিসেবে খালেদা জিয়ার ইকো, ইসিজি, ইউএসজি, এক্স-রে এবং রক্ত পরীক্ষা করানো হয়।
ওইসব পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে আরও কিছু পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তির সুপারিশ করেছে মেডিকেল বোর্ড।
আরও পড়ুন: এভারকেয়ারে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা লিভার সিরোসিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
এর আগে ১০ জুন বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাম ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লকের কারণে তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন। ব্লক সরিয়ে সেখানে একটি স্টেন্ট (রিং) বসানো হয়।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালত পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিলে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনার কারণে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ না ছাড়ার শর্তে সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
২০২১ সালের এপ্রিলে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে বিএনপি প্রধানকে ছয়বার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খালেদা জিয়ার পরিবার তার একাধিক স্বাস্থ্য জটিলতার চিকিৎসার জন্য বিদেশে একটি উন্নত হাসপাতালে পাঠানোর অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে একাধিক আবেদন জমা দিয়েছিল, তবে দুটি মামলায় আদালতে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সরকার প্রতিবারই তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিকালে হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া
২ বছর আগে
খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে ২৫০০ সাংবাদিকের আহ্বান
মানবিক কারণে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দিতে বুধবার সরকারের কাছে আড়াই হাজারের বেশি সাংবাদিক আহ্বান জানিয়েছেন।
বিএনপিপন্থী ২ হাজার ৫৮২ জন সাংবাদিকের দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি (খালেদা) জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণের মত অবস্থানে চলে গেছেন। দেশে তাকে চিকিৎসা দেয়ার মতো আর কিছু বাকি নেই।’
তারা বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপার্সনের জীবন বাঁচাতে তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে মানবিক কারণে অবিলম্বে তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেয়ার জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।’
সাংবাদিকরা বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের প্রধানের বক্তব্য গভীর উদ্বেগের বিষয়।
দেশের শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, একজন প্রবীণ নাগরিক, একজন নারী উপরন্তু একজন কারাবন্দীর যথাযথ সুচিকিৎসা পাওয়া ন্যূনতম মানবাধিকারের অংশ।
সাংবাদিকরা বলেন, ‘জাতি হিসেবে তার মৌলিক অধিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। তাই আমরা তাকে আদালতের মাধ্যমে স্থায়ী জামিনে মুক্ত করে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে: মির্জা ফখরুল
খালেদা জিয়ার সার্বিক অবদান এবং তার বার্ধক্যের এই কঠিন সময়ের কথা বিবেচনা করে সরকার রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে তার প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ করবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।
সাংবাদিকরা বলেন, সরকার খালেদার বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা নিলে দেশবাসী তা ইতিবাচক হিসেবেই দেখবে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, আলমগীর মহিউদ্দিন, আমানউল্লাহ, আবুল আসাদ, শওকত মাহমুদ, রেজওয়ান সিদ্দিকী, মোস্তফা কামাল মজুমদার, সালাহ উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর, সৈয়দ মেসবাহ উদ্দিন, আবদুল হাই সিকদার, এরশাদ মজুমদার, আমিনুর রহমান সরকার, আল মুজাহিদি, এম আবদুল্লাহ, নুরুল আমিন রোকন, এম এ আজিজ, কাদের গনি চৌধুরী, কামালউদ্দিন সবুজ, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, মাসুমুর রহমান খলিলি, ইলিয়াস খান, মুরসালিন নোমানী, কাজী রওনক হোসেন, বদিউল আলম, বখতিয়ার রানা ও নুরুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: ৮ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর দাবি স্বাস্থ্যগত নয়, রাজনৈতিক: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে