ইঞ্জিনিয়ারিং
ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটে গাইবেন কবীর সুমন
প্রায় ১৩ বছর আগে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে গান গাওয়ার অনুমতি পাননি পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী কবীর সুমন। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল।
১৫, ১৮ ও ২১ অক্টোবর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে গান গাওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে অনুমতি মেলেনি।
তবে তার ভক্তদের নিরাশ হওয়ার কারণ নেই বলে জানিয়েছেন আয়োজক প্রতিষ্ঠান 'পিপহোল'-এর কর্মকর্তা মীর আরিফ বিল্লাহ।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, 'ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটে গাইবেন কবীর সুমন। এখনো বৈঠক চলছে। এর বেশিকিছু এখনই বলা যাচ্ছে না।'
আরও পড়ুন: জাতীয় জাদুঘরে কবির সুমনের কনসার্টের ডিএমপির অনুমতি মেলেনি
ঘোষণা অনুযায়ী কবীর সুমন ১৫ অক্টোবর আধুনিক বাংলা গান, ১৮ অক্টোবর বাংলা খেয়াল ও ২১ অক্টোবর আধুনিক বাংলা গান গাইবেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, জাতীয় জাদুঘর অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হওয়ায় কবির সুমনকে কনসার্টের জন্য অনুমতি দেয়া হয়নি।
ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, জাদুঘরের মতো কি-পয়েন্ট ইনস্টলেশনে (অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা) আমরা এই ধরনের প্রোগ্রামের অনুমতি দিতে পারি না। তবে আয়োজকেরা যদি অন্য কোথাও অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি চান, তবে আমরা তা বিবেচনা করব।
আরও পড়ুন: ‘তোমাকে চাই-এর ৩০ বছর উদযাপন’ তিন দিন ঢাকায় গাইবেন কবীর সুমন
বাংলাদেশে ৩০০০ ফুটের অধিক উচ্চতার ১৪ পাহাড়
২ বছর আগে
কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যু: তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিল কমিটি
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে কুয়েট উপাচার্য ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেনের কাছে এ প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।
কুয়েটের জনসংযোগ ও তথ্য শাখার সেকশন কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময় কমিটির পাঁচ সদস্যই উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ৩০ নভেম্বর শিক্ষক সেলিমের মৃত্যুর পর সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ২ ও ৩ ডিসেম্বর সিন্ডিকেটের ৭৬তম জরুরি বৈঠক হয়। সেখানে ৩ থেকে ১৩ ডিসেম্বর ক্যাম্পাস বন্ধ, ৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যর কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ২৫ দিন পর ২৮ ডিসেম্বর প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। ৪৮ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদন নিয়ে আগে ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটিতে আলোচনা হবে। সেখানে সিদ্ধান্তের পর সিন্ডিকেট সভায় যাবে এবং পরে নিয়মতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত হবে।
এদিকে, ৭৭তম সিন্ডিকেট সভায় ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত কুয়েট বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর ২৩ ডিসেম্বর ৭৮তম সভায় ৭ জানুয়ারি হল খুলে দেয়া ও ৯ জানুয়ারি একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত হয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষকের মৃত্যু: কুয়েট বন্ধ থাকবে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত
প্রসঙ্গত, মানসিক নির্যাতন সইতে না পেরে গত ৩০ নভেম্বর হার্ট অ্যাটাকে মারা যান কুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেন। মৃত্যুর পর অভিযোগ ওঠে, কুয়েটে শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান কয়েকজন ছাত্র তাদের মনোনীত প্রার্থীকে ডাইনিং ম্যানেজার করার জন্য হল প্রভোস্ট ড. সেলিম হোসেনকে নিয়মিত হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায়, ৩০ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বাধীন ছাত্ররা ক্যাম্পাসের রাস্তা থেকে ড. সেলিম হোসেনকে জেরা করা শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে তারা শিক্ষককে ধরে নিয়ে তার ব্যক্তিগত কক্ষে (তড়িৎ প্রকৌশল ভবন) প্রবেশ করেন। সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যায়, তারা আনুমানিক আধা ঘণ্টা ওই শিক্ষকের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। এরপর শিক্ষক সেলিম দুপুরে খাবার খেতে ক্যাম্পাস সংলগ্ন বাসায় যান। বিকাল ৩টার দিকে স্ত্রী লক্ষ্য করেন তিনি বাথরুম থেকে বের হচ্ছেন না। পরে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষকের মৃত্যু: কুয়েটের ৯ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
এদিকে, তার মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনে দাফনের ১৫ দিন পর গত ১৫ ডিসেম্বর সকালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের কবরস্থান থেকে তার লাশ তোলা হয়। এরপর মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য লাশ ঢাকায় পাঠানো হয়। ১৬ ডিসেম্বর রাতে লাশ কুষ্টিয়া পৌঁছানোর পর ওই একই কবরে দাফন করা হয়।
২ বছর আগে
শাবিপ্রবিতে প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারে সচেতনতার আওয়াজ
পরিবেশ দূষণরোধে প্লাষ্টিকের যথাযথ ব্যবহারে উদ্দেশ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুইডেন অ্যালামনাই নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের সহযোগিতায় সারাদেশের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শাবিপ্রবিতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে এ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইভেন্ট রিপ্রেজেন্টটেটিভ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ক্যামিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড পলিমার সাইন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শফিউল হোসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যামিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড পলিমার সাইন্স বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ অন্যান্যরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: করোনার ছুটি শেষে শাবিপ্রবিতে ফিরেছে শিক্ষার্থীরা: মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে থাকছে নজরদারিকর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর কবীর, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো.শফিকুল ইসলাম, সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক ড. সুব্রত সরকার, প্রভাষক মিজানুর রহমান, প্রভাষক সাজ্জাদুর রহমান প্রমুখ।অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বিংশ শতাব্দীকে বলা হয় প্লাস্টিকের যুগ। এই প্লাস্টিক একটি অপচনশীল উপাদান। বর্তমানে পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের সামগ্রী শেষ গন্তব্য হয় জলাধারে, নদী আর মহাসাগরে যা জলজ প্রাণীর ওপর ভয়ংকর প্রভাব ফেলছে। প্রকৃতির জন্য, জীববৈচিত্র্যের জন্য, সর্বোপরি মানুষের শরীরের জন্য প্লাস্টিক কতটা ক্ষতিকর নিত্যনতুন গবেষণায় তা বেরিয়ে আসছে। পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের দ্বারা পরিবেশের ক্ষতি যাতে না হয় এইজন্য আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
আরও পড়ুন: ‘ব্যক্তিগত হতাশা’: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
৩ বছর আগে