কয়লা খনি
বড়পুকুরিয়ায় ৯০ শ্রমিকের করোনা শনাক্ত, কয়লা উত্তোলন সাময়িক বন্ধ
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে কর্মরত ৯০ জন শ্রমিকের করোনা শনাক্ত হওয়ায় শুক্রবার থেকে সাময়িকভাবে কয়লা উত্তোলন বন্ধ রাখা হয়েছে।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম সরকার শনিবার ইউএনবিকে বলেন, ‘দুই দফা নমুনা পরীক্ষায় ৫০ জন চীনা ও ৪০ জন বাংলাদেশি শ্রমিকের করোনা পজিটিভ হয়। এতে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় চীনা শ্রমিকদের সংস্পর্শে থাকা ৪৫০ বাংলাদেশি শ্রমিককে শুক্রবার খনি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।’
এছাড়া ৩০২ জন চীনা ও ৬০ জন বাংলাদেশি শ্রমিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। এ জন্য কয়লা উত্তোলন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বড়পুকুরিয়ায় কয়লা চুরি: ৬ সাবেক এমডিসহ ২২ জন জামিনে মুক্ত
নতুন ফেইজের (১৩০৬) মেশিন এ্যাডজাস্টের কারণে কমপক্ষে ১০ দিন কয়লা উত্তোলন করাও সম্ভব নয় বলে জানান তিনি। এরপর থেকে কয়লা উত্তোলনের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহের জন্য কমপক্ষে ৪০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা খনির ইয়ার্ড মজুত রয়েছে। এতে কয়লা ভিত্তিক ওই কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন সচল রাখা যাবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
সাইফুল বলেন, ‘বাংলাদেশি শ্রমিকদের মধ্যে যাদের নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ আসবে তারা কাজে যোগদান করতে পারবেন।’
২ বছর আগে
বড়পুকরিয়া কয়লা খনিতে আবারও শ্রমিক বিক্ষোভ
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে আট মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধসহ সকল শ্রমিককে কাজে যোগদানে খনির প্রবেশ পথ খুলে দেয়ার দাবিতে রবিবার আবারও খনির প্রবেশ পথে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শ্রমিকরা।
এসময় খনি এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলসহ সমাবেশ করেছেন খনি শ্রমিকরা। উল্লেখিত দুই দফা দাবিতে গেল দু’মাস ধরে লাগাতার কর্মসূচি পালন করে আসছেন তারা।
তিনটি চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএমসি, এক্সএমসি এবং জেএক্সএমসির অধীনে খনিতে কয়লা তোলায় নিয়োজিত রয়েছে প্রায় এগারোশ’ দেশি শ্রমিক। করোনার ছুটিকালীন আট মাসের বকেয়া বেতনভাতার পাশাপাশি অবিলম্বে সকল শ্রমিককে কাজে যোগদানের দাবিতে ধারাবাহিকভাবে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ এবং খনির প্রবেশ পথে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন তারা। এছাড়াও তিন দফা স্মারকলিপি পেশ করেছেন আন্দোলনকারী শ্রমিকরা।
বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান জানান, লাগাতার আন্দোলনে পবিত্র ঈদের কারণে বিরতি দিয়ে রবিবার থেকে আবারও পথে নেমেছেন তারা। ওই দুই দফা দাবির বিষয়ে কয়লা খনির ব্যবস্হাপনা পরিচালকের কাছে তিন দফায় স্মারকলিপি তুলে দিলেও দাবি পূরণে সাড়া পাননি তারা। দাবি পূরণ না করা পর্যন্ত শ্রমিকদের স্বার্থে আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন তারা।
আরও পড়ুন: বকেয়া বেতনের দাবিতে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির শ্রমিকদের বিক্ষোভ অব্যাহত
২ বছর আগে
চীনে কয়লা খনিতে আটকে পড়া ২০ শ্রমিক উদ্ধার
চীনের উত্তরাঞ্চলীয় শানসি প্রদেশে ৩০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে প্লাবিত একটি কয়লা খনিতে আটকে থাকা ২০ খনি শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে তাদের উদ্ধারের পর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার বেলা ১১টার দিকে জিয়াওই শহরের দুক্সিগো গ্রামের একটি কয়লা খনিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া তথ্যমতে, দুর্ঘটনার জন্য অবৈধ খননকে দায়ী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মহাকাশ পরিভ্রমণ করা চীনের প্রথম নারী ওয়াং ইয়াপিং
শুক্রবার সকালে উদ্ধারকারীরা খনি শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়। চারশ’র বেশি উদ্ধারকারী আটকে পড়া খনি শ্রমিকদের উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। নিম্ন তাপমাত্রা এবং প্রবল বাতাসের কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হয়।
স্থানীয় জননিরাপত্তা বিভাগ জড়িত সাত সন্দেহভাজনকে আটক করেছে এবং অন্য যারা পালিয়ে গেছে তাদের সন্ধান করছে।
আরও পড়ুন: ৩-১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেবে চীন
চীনে আঘাত হানছে টাইফুন ‘ইন-ফা’, বহু ফ্লাইট বাতিল
৩ বছর আগে
রাশিয়ায় কয়লা খনি বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৫২
রাশিয়ার সাইবেরিয়ায় একটি কয়লা খনিতে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫২ জনে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার দেশটির জরুরি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিন সকালে সাইবেরিয়ার লিস্টভ্যাজনায়ার ওই খনিতে মোট ২৮৫ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। মিথেন গ্যাস বিস্ফোরণ এবং আগুনের কারণে খনিটি বিষাক্ত ধোঁয়ায় ভরে গেলে বাতাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে শ্রমিকেরা প্রায় ২৫০ মিটার মাটির নিচেই মারা যান।
এর কয়েক ঘণ্টা পরে উদ্ধারকারীরা প্রথমে ১৪টি লাশ খুঁজে পান। কিন্তু আগুন থেকে মিথেন ও কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস বেড়ে গেলে নিখোঁজ বাকি ৩৮ জনের অনুসন্ধান থামাতে বাধ্য হন তারা। পরবর্তীতে আরও ২৩৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করলো দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাস এবং আরআইএ-নভোস্তি জরুরি উদ্ধার কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম সাইবেরিয়ার কেমেরোভো অঞ্চলের লিস্টভ্যাজনায়া খনিতে আর কোনো জীবিত ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি আঞ্চলিক প্রশাসনের একজন প্রতিনিধিকে উদ্ধৃত করেছে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ৫২, তারা কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়ায় মারা গেছে।
২০১০ সালের পর রাশিয়ায় সবচেয়ে বড় খনি দুর্ঘটনা এটি। সে বিস্ফোরণে এই অঞ্চলের রাস্পাদস্কায়া খনিতে বিস্ফোরণে ৯১ জন নিহত হয়েছিল। পরের দিন খনির একটি সরু অংশে আটকে পড়া শ্রমিকদের সন্ধান করতে গিয়ে ছয়জন উদ্ধারকর্মীও মারা যান।
বৃহস্পতিবারের এই দুর্ঘটনায় তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছেন দেশটির স্থানীয় সরকার।
রাশিয়ার সহকারী প্রসিকিউটর জেনারেল দিমিত্রি দেমেশিন সাংবাদিকদের বলেছেন, সম্ভবত একটি স্ফুলিঙ্গের কারণে মিথেন বিস্ফোরণ ও আগুন লেগেছে।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিহতদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের জন্য শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন। আহতদের সব ধরণের সহায়তা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ইংলিশ চ্যানেলে অভিবাসী প্রত্যাশীদের নৌকাডুবি, নিহত ৩১
আগামী মার্চের মধ্যে ইউরোপে করোনায় আরও ৭ লাখ মানুষ মারা যাবে: ডব্লিউএইচও
৩ বছর আগে