বেতনের দাবি
মিরপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন মিরপুরের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।
ঢাকা-ক্যান্টনমেন্ট সংলগ্ন কচুক্ষেত এলাকার ইউনিফর্ম নামে একটি কারখানার শ্রমিকরা প্রায় এক ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধ করেন। এর ফলে মিরপুর-১৪ থেকে কচুক্ষেত পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ৯টার পর থেকে ওই গার্মেন্টসের কর্মীরা রাস্তার সামনে নেমে চলতি মাসের বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
আরও পড়ুন: ৩৯ পোশাক কারখানার জন্য সহজ শর্তে ৫৪ কোটি টাকা ঋণ চায় বিজিএমইএ
ভাষানটেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মোহাম্মদ ফয়সাল জানান, ইউনিফর্ম নামে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা সকাল ৯টা ১৫মিনিটে ক্যান্টনমেন্ট-মিরপুর-১৪ এলাকার রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। তারা চলতি মাসের বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
ওসি জানান, এ সময় মিরপুর-১৪ থেকে কচুক্ষেত পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। এরপরই আশেপাশে আরও ছয় থেকে সাতটি কারখানা ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। পরে কারখানার কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বকেয়া বেতন দেওয়ার আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা সাড়ে ১০টার দিকে অবরোধ তুলে নেন। পরে সড়কে স্বাভাবিকভাবে যান চলাচল শুরু হয়।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাকশিল্পে অসন্তোষ পতিত স্বৈরশাসকের সুবিধাভোগীদের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র: রিজভী
২ মাস আগে
বেতন না পাওয়ায় খুমেক হাসপাতালে মল ছিটিয়ে হরিজনদের ধর্মঘট
বেতনের দাবিতে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের আউটসোর্সিং কর্মচারী হরিজনরা হাসপাতালের প্রায় সব ইউনিট ও পরিচালকের কার্যালয়ের সামনে মানুষের মল ছিটিয়ে ধর্মঘট করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য এই ধর্মঘট শুরু করেন। এ সময় তারা হাসাপাতালের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ কক্ষ, প্রধান ফটক, রোগী ভর্তি করার অফিস, হাসপাতালের ওয়ার্ড ও পরিচালকের কক্ষের সামনে মল ছিটান তারা। সেই মল ঝাড়ু দিয়ে ছড়িয়ে দেন এবং বিকাল ৫টার দিকে তারা হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
ওই অবস্থায় হাসপাতালে মলের দুর্গন্ধে রোগী ও স্বজনরা অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। পরে হাসপাতালের নিয়োগপ্রাপ্ত হরিজনদের দিয়ে পরিষ্কার করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে রেস্টুরেন্ট মালিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার
খুমেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, শুধুমাত্র করোনাকালীন পরিস্থিতি সামাল দেয়ার লক্ষ্যে এবং রোগীদের ভোগান্তির রোধে হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সংকটের কথা চিন্তা করে ওই সময় ৫৬ জনকে কাজে নেয়া হয়। এর মধ্যে হরিজন ছিল ৪৫ জন। এই ৫৬ জনের প্রত্যেককে বেতন প্রতি মাসে ৮ হাজার টাকা করে দিতো কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালে আউটসোর্সিয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারিদের মূল বেতনের থেকে ২৬১০ টাকা কর্তন করে তাদের ওই বেতন দেয়া হতো। হাসপাতালের তৎকালীন পরিচালক ডা. এটিএম মঞ্জুর মোর্শেদ আউটসোর্সিং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় করে এই সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথম ছয় মাস তারা বেতন পায়।
খুমেক হাসপাতালে নিয়োগপ্রাপ্ত আউটসোর্সিং কর্মচারীরা বলেন, ‘আমাদের কষ্টের বেতনের টাকা কর্তন করার কারো অধিকার নেই। এটা নিয়মবর্হিভূত। আমরা করোনাকালীন সময়ে রোগীদের কথা চিন্তা করে বিষয়টি তখন মেনেও নিয়েছিলাম। কিন্তু এখন আমাদের বেতনের টাকা কর্তন করতে দিব না।’
হরিজনরা জানান, গত পাঁচ মাস ধরে হাসপাতাল থেকে কোনো প্রকার বেতন-ভাতা না দেয়ার কারণে তারা এ ধর্মঘট শুরু করেছেন।
ধর্মঘটকারীদের অভিযোগ, হাসপাতালে বর্তমানে হরিজন সম্প্রদায়ের বাইরেও তিন শতাধিক আউটসোর্সিং কর্মচারী আছেন। তাদের বেতনের একটি অংশ কেটে রেখে হরিজনদের বেতন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে চিকিৎসকদের ধর্মঘট
আন্দোলনকারী বিধান হরিজন বলেন, ‘পাঁচমাস ধরে আমরা শুধু কাজই করে যাচ্ছি। আমাদের কোনো বেতন-ভাতা দেয়া হচ্ছে না। কর্তৃপক্ষ শুধু আশ্বাস দিয়েই আমাদের কাজ করাচ্ছেন। অবশেষে আমরা ধর্মঘট করতে বাধ্য হয়েছি।’
এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক ডা. রবিউল হাসান বলেন, ‘ঠিকাদার মাধ্যমে ওই সব হরিজরা টাকা পেতো। তবে তারা ঠিকাদেরর নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীরা না। আমি এখানে যোগদানের আগে ঠিকাদারের সাথে সমন্বয় করে ঠিকাদারের নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারিদের বেতনের একটি অংশ কর্তন করে তাদেরকে দেয়া হতো। দুপুরে হাসপাতালে বিভিন্ন জায়গায় হরিজনরা মল ছিটিয়ে যে ঘটনা ঘটিয়েছে, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় অবহিত করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সমস্যা সমাধানের জন্য হরিজনদের সাথে শনিবার আমরা বসবো।’
৩ বছর আগে