শিক্ষার্থীদের আন্দোলন
এক মাস বন্ধ থাকার পর আগামীকাল থেকে চালু হচ্ছে মেট্রোরেল
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় ক্ষয়ক্ষতির কারণে এক মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর রবিবার (২৫ আগস্ট) থেকে ঢাকায় আবার চালু হচ্ছে মেট্রোরেল।
এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পের জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক তরফদার মাহমুদুর রহমানের সই করা অফিস আদেশে বলা হয়েছে, মেট্রোরেল আগের সময়সূচি অনুযায়ী চলবে। তবে 'অনিবার্য কারণে' মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: যানজটে বিপর্যস্ত রাজধানী: মেট্রোরেল বন্ধ থাকায় বেড়েছে দুর্ভোগ
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনার পর গত ১৮ জুলাই মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডকে (ডিএমটিসিএল) ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশনগুলো বাদ দিয়ে ১৭ আগস্টের মধ্যে কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দেয়।
তবে ৬ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া মেট্রোরেল কর্মীদের ধর্মঘটের কারণে তা সম্ভব হয়নি। এরপর ২০ আগস্ট শ্রমিকরা তাদের কাজে ফিরে যান এবং মেট্রোরেল চালুর কাজ শুরু হয়।
একই দিন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব এহসানুল হক মেট্রোরেলের জাতীয় প্রেস ক্লাব স্টেশন পরিদর্শন করেন এবং ২৫ আগস্ট থেকে মেট্রো সার্ভিস চালুর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: ২৫ আগস্ট থেকে চালু হতে পারে মেট্রোরেল
শনিবার থেকে মেট্রোরেলের চলাচল শুরু হচ্ছে না: ডিএমটিসিএল
২ মাস আগে
প্রশাসনিক অচলাবস্থার মধ্যেই অনুপস্থিত স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
গত ৫ আগস্ট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগ সমর্থিত অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি আত্মগোপনে চলে যান। একারণে সারাদেশে স্থানীয় সরকারের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা ও উপজেলা পরিষদের মেয়র, চেয়ারম্যানসহ কর্মকর্তারা পলাতক থাকায় নাগরিকদের সেবা প্রদানে উল্লেখযোগ্য শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে।
সংকট মোকাবিলায় অনুপস্থিত প্রতিনিধিদের অপসারণ এবং স্থানীয় প্রশাসনের কার্যক্রম পুনরুদ্ধারের জন্য প্রশাসক নিয়োগের পরিকল্পনা করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
সরকারি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, বিদ্যমান স্থানীয় সরকার আইনে একগুচ্ছ সংশোধনী আনা হয়েছে। এই সংশোধনীগুলোর মাধ্যমে ‘বিশেষ পরিস্থিতিতে’ সরকার সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর এবং উপজেলা ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের ও সদস্যদের অপসারণ করতে পারবে। একই সঙ্গে এসব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে প্রশাসক বসাতেও পারবে সরকার।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ-জ্বালানির মূল্য নির্ধারণে বিইআরসির ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের
গত ১৭ আগস্ট এই পরিবর্তন এনে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন চারটি অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন:
- স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪;
- স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪;
- জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এবং
- উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪
প্রশাসনিক অচলাবস্থা দূর করতেই ১৬ আগস্ট এই অধ্যাদেশগুলোর অনুমোদন দিয়েছেল উপদেষ্টা পরিষদ। বঙ্গভবনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদে এ সভা হয়।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়, বর্তমান প্রেক্ষাপটে, বিভিন্ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান অধিক্ষেত্রে জনগণকে নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদান নিশ্চিতকরণ, প্ৰশাসনিক কার্যক্রম চলমান রাখা এবং জরুরি কারণে, সময়ের প্রয়োজনে, জনস্বার্থে ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪', ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’, ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ ও ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪' এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়।
বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারির লক্ষ্যে প্রস্তাবিত অধ্যাদেশগুলোর খসড়া উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন করা হয়েছে।
সিটি করপোরেশন খসড়া ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করিপোরেশন) আইন, ২০০৯'-এ দুইটি নতুন ধারা সন্নিবেশ করা হয়েছে। তা হলো ধারা ১৩ (ক) ও ধারা ২ ৫(ক)।
১৩(ক)-তে বলা হয়েছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকার অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে, জনস্বার্থে কোনো সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের অপসারণ করতে পারবে।
বিধি দিয়ে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ সরকারি গেজেটে আদেশ দিয়ে মেয়র এবং কাউন্সিলর অপসারণ কার্যকর করতে পারবে।
২৫ (ক) ধারায় বলা হয়েছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকার অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে, জনস্বার্থে কোনো সিটি করপোরেশনে নির্দিষ্ট মেয়াদ উল্লেখ করে বা পরবর্তী আদেশ না হওয়া পর্যন্ত এর কার্যাবলি সম্পাদনের উদ্দেশ্যে একজন উপযুক্ত ব্যক্তি বা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত উপযুক্ত কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবে।
প্রয়োজনে যথাযথ বলে বিবেচিত হয় এমন সংখ্যক সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত কমিটিকে প্রশাসকের কর্ম সম্পাদনে সহায়তা দিতে নিয়োগ করতে পারবে।
আরও পড়ুন: শিগগিরই পদোন্নতি পাচ্ছেন বঞ্চিত উপসচিব ও যুগ্মসচিবরা
নিযুক্ত প্রশাসক এবং নিযুক্ত কমিটির সদস্যরা মেয়র ও কাউন্সিলরের ক্ষমতা প্রয়োগ করবে বলেও খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে।
পৌরসভা প্রস্তাবিত ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪' এ দুইটি নতুন ধারা সন্নিবেশ করা হয়েছে। তা হলো- ধারা ৩২ (ক) ও ধারা ৪২ (ক)।
ধারা-৩২ (ক)-তে বলা হয়েছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যক বিবেচনায় জনস্বার্থে সরকার কোনো পৌরসভার মেয়র বা কাউন্সিলরকে অপসারণ করতে পারবে।
ধারা-৪২(ক) ধারায় বলা হয়েছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যক বিবেচনায় জনস্বার্থে সরকার কোনো পৌরসভায় একজন উপযুক্ত ব্যক্তি বা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত উপযুক্ত কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করতে পারবে।
জেলা পরিষদ খসড়া ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪' এ দুইটি নতুন ধারা সন্নিবেশ করা হয়েছে। তা হলো ধারা ১০(ক) ও ধারা ৮২ (ক)।
ধারা-১০ (ক)-তে বলা হয়েছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের সরকার অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে জনস্বার্থে অপসারণ করতে পারবে।
বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকার প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে বলে ধারা ৮২ (ক) তে উল্লেখ করা হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪'-এ প্রস্তাবিত ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪' এ দুইটি নতুন ধারা সন্নিবেশ করা হয়েছে। তা হলো ধারা ১৩ (ঘ) ও ধারা ১৩(ঙ)।
সংশোধন অনুযায়ী,বিশেষ পরিস্থিতিতে চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান বা নারী ভাইস চেয়ারম্যান বা অন্য সদস্যদের অপসারণ করতে পারবে সরকার। বিশেষ পরিস্থিতিতে নিয়োগ দিতে পারবে প্রশাসক।
আরও পড়ুন: ঢেলে সাজানো হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রশাসন
৩ মাস আগে
বাগেরহাট নার্সিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের পদত্যাগ
বাগেরহাট নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ (নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ) মনোয়ারা বেগম পদত্যাগ করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মনোয়ারা বেগমের অপসারণসহ নানা দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
আরও পড়ুন: বিটিআরসির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ
বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) রাতে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের ডা. অসীম কুমার সমাদ্দারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। এদিকে অধ্যক্ষ পদত্যাগ করায় শিক্ষার্থীরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার সমাদ্দার বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে নার্সিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মনোয়ারা বেগম তার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওই পদত্যাগপত্র নার্সিং অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ অধ্যক্ষ না আসা পর্যন্ত ওই প্রতিষ্ঠানের নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ কনিকা মিস্ত্রিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মনোয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয় তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার সমাদ্দার।
শহরের মুনিগঞ্জ এলাকায় নার্সিং ইনস্টিটিউটের সামনে শিক্ষার্থীরা প্রথমে বিক্ষোভ করেন। এরপর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বাগেরহাট প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হয়ে মনোয়ারার পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।
আন্দোলনরত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিযোগ করে জানান, ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ হিসেবে মনোয়ারা বেগম যোগদানের পর থেকে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছেন। শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ, হোস্টেলে খাবারে অনিয়ম, প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষায় নম্বর কম দেওয়া এবং বিল-ভাউচার বাণিজ্যসহ প্রতিষ্ঠানের টাকা আত্মসাৎ করছেন।
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করবেন বিসিবি সভাপতি পাপন
পদত্যাগ করলেন চুয়েট ভিসি
৩ মাস আগে
চট্টগ্রামে ১১ ডিসেম্বর থেকে গণপরিবহনে হাফ ভাড়া কার্যকর
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ঢাকার পর এবার চট্টগ্রামেও গণপরিবহনে হাফভাড়া কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা। আগামী ১১ ডিসেম্বর থেকে চট্টগ্রামে গণপরিবহনে কার্যকর হবে শিক্ষার্থীদের হাফভাড়া।
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ১১ দাবি নিয়ে আবারও সড়কে শিক্ষার্থীরা
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ বলেন, ‘আগামী ১১ ডিসেম্বর থেকে চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীদের হাফভাড়া কার্যকর হবে। হাফ ভাড়া কার্যকরের সময় সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। এজন্য শিক্ষার্থীর ছবিযুক্ত আইডি কার্ড প্রদর্শন করতে হবে। সরকারি ছুটির দিন, সাপ্তাহিক ছুটির দিন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মৌসুমি ছুটিতে হাফ ভাড়া কার্যকর হবে না। হাফ ভাড়া শুধু চট্টগ্রাম শহরে কার্যকর হবে, বাইরে হবে না। যেখানে সিটি সার্ভিস চালু আছে সেখানেও এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। আমরা ছাত্রদের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে হাফ ভাড়া কার্যকর করেছি। সুতরাং তারা তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরে যাবে বলে আশা করছি।’
আরও পড়ুন: শিক্ষকের মৃত্যু: কুয়েটের ৯ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতির সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কফিল উদ্দিন আহামদ, চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি খোরশেদ আলম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি-ঢাকার যুগ্ম-সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব গোলাম রসুল বাবুল, মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল, মৃণাল চৌধুরী, মো. শাহজাহান, মিজানুর রহমান, আহসান উল্লাহ চৌধুরী হাসান, শহিদুল ইসলাম সুমু, অলি আহমেদ, নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
২ বছর আগে
শুধু ঢাকায় শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া
শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে হাফ ভাড়া কার্যকরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাস মালিক সমিতি। আগামীকাল বুধবার (১ ডিসেম্বর) থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। তবে হাফ ভাড়ার এ সিদ্ধান্ত কেবল ঢাকা মহানগরীর জন্য কার্যকর হবে বলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া কার্যকরের সিদ্ধান্ত: ওবায়দুল কাদের
এনায়েত উল্ল্যাহ বলেন, অর্ধেক ভাড়া দেয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের তাদের প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র দেখাতে হবে।
তিনি বলেন, সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা হাফ ভাড়ার সুবিধা পাবে। সরকারি ছুটি, সাপ্তাহিক ছুটি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ছুটির দিনে হাফ ভাড়া প্রযোজ্য হবে না।
এর আগে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে বিআরটিসি বাসের ভাড়া ৫০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন।
সরকার ৩ নভেম্বর ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা বাড়িয়েছে। অন্যদিকে নির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের পর ৭ নভেম্বর বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) আন্তনগর ও আন্তজেলা বাসের ভাড়া যথাক্রমে ২৬.৫ শতাংশ ও ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে।
আরও পড়ুন: নিরাপদ সড়ক ও হাফ ভাড়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
শিক্ষার্থীদের জন্য গণপরিবহনে অর্ধেক ভাড়ার দাবিতে ১৮ নভেম্বর থেকে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। একই দাবিতে ঢাকা কলেজের শত শত শিক্ষার্থী তাদের কলেজের বাইরে বিক্ষোভ করেছে।
পাবলিক বাসে শিক্ষার্থীদের হয়রানির শিকার হলেও কেউ তাদের দাবির প্রতি কোনো কর্ণপাত করেনি বলেও দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।
২ বছর আগে