কোরিয়া
এতো এতো মেসেজ দেখে মন ভরে গেল: তিশা
‘অটোবায়োগ্রাফি’ নিয়ে বেশ কয়েকদিন দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ছিলেন অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা।
সিনেমাটি বেশ প্রশংসিত হয়েছে সেখানে। এদিকে দেশেও তার অভিনীত ‘মুজিব: একটি দেশের রূপকার’ প্রশংসা কুড়াচ্ছে।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) দক্ষিণ কোরিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন তিশা। আর ফিরেই ‘মুজিব: একটি দেশের রূপকার’ নিয়ে সবার ভালোবাসায় মুগ্ধ এই তারকা।
আরও পড়ুন: সবাই দেখার অপেক্ষায় 'মুজিব: একটি জাতির রূপকার’
আর এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের অনুভূতি শেয়ার করেন তিনি।
তিশার তার পোস্টে লেখেন, ‘মাত্র দেশে আসলাম! ফোন অন করে সবার এতো এতো মেসেজ দেখে মন ভরে গেল। আমার অভিনয় যদি আপনাদের এতোটুকুও ইমোশনাল করে থাকে তাহলে আমি কৃতজ্ঞ। ছবিটা করার সময় অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে সবাইকে! আমরা এই পরিশ্রমটা করি আপনাদের কাছ থেকে এই প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য!’
সবাইকে সিনেমাটি দেখার আহ্বান জানিয়ে তিশা আরও লেখেন, ‘শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত সিনেমা ‘মুজিব’ চলছে আপনার কাছের হলে! সবাইকে দেখার আমন্ত্রণ! লাভ ইউ অল!’
তিশার পোস্টে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমার আরিফিন শুভর সঙ্গে একটি ছবি দেখা যায়।
উল্লেখ্য, ‘মুজিব: একটি দেশের রূপকার’ সিনেমায় বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেছার বড়বেলার চরিত্রে অভিনয় করছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা।
আরও পড়ুন: লেডি সিংহাম হয়ে সামনে এলেন দীপিকা
‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ দেখে কাঁদলেন তারকারা
১ বছর আগে
কোরিয়ার ৪ গবেষক এখন বাংলাদেশে
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় গবেষণা কাজে অংশ নিতে সিলেটের বিভিন্ন চা বাগানে কোরিয়ার চার গবেষক এখন বাংলাদেশে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিরাঙ্গন বিভাগের পরিচালক ড. তিলক চন্দ্র নাথের তত্ত্বাবধানে এই গবেষকবৃন্দ তাদের গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
আরও পড়ুন: সময় ও খরচ বাঁচাতে গবেষকরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ওষুধ উদ্ভাবনে কাজ করছে
এই চার বিজ্ঞানী হলেন-চিম্বুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. ক্যাসিওন এস ইরম, কোরিয়ার কেডিসিএ-এর পরিচালক ড. জুং ওন জ্যু, ইন্টারন্যানাল প্যারাসাইট রিসোর্স ব্যাংকের পরিচালক ড. ডনমিন লি এবং আকে প্রতিথযশা বিজ্ঞানী হুনও কিম।
তারা মূলত প্রাণীদেহের ভেক্টর ও প্যারাসাইট নিয়ে কাজ করছেন বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর।
ভেক্টর একধরনের আর্থোপড জীব (যেমন মশা বা মাছি), যা একটি প্যাথোজেন বা পরজীবীকে একটি হোস্ট থেকে অন্য হোস্টে প্রেরণ করে।
বিভিন্ন সংক্রামক রোগের বিস্তারে ভেক্টর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্যারাসাইট বা পরজীবী হলো একটি জীব যা অন্য জীবের মধ্যে বা তার ওপর বাস করে, যাকে হোস্ট বলা হয়।
প্যারাসাইট হোস্টের কাছ থেকে পুষ্টি এবং আশ্রয় গ্রহণ করে। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, প্রোটোজোয়া এবং বহুকোষী জীব সহ বিভিন্ন আকারে পাওয়া যায়।
কোরিয়ান চার গবেষক সিকৃবির কেডিসিএ ইয়থ ক্লাবের সহায়তায় সিলেটের দলদলি চা বাগান, খাদিমনগরসহ কয়েকটি চা বাগান পরিদর্শন করেছেন এবং প্যারাসাইট বিষয়ে সচেতনতামূলক কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।
এছাড়া তারা সিলেটের চা বাগান থেকে ভেক্টর ও প্যারাসাইট সংশ্লিষ্ট তথ্য ও নমুনা সংগ্রহ করছেন এবং সেগুলো সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে বিশ্লেষণ করছেন।
এদিকে মঙ্গলবার সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারাসাইটোলজি বিভাগে ভেক্টর ও প্যারাসাইট নিয়ে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা।
কোরিয়ান চার গবেষক ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রফেসর ড. সুলতান আহমেদ।
কোরিয়ার গবেষকরা তাদের গবেষণালব্ধ ফলাফল সেমিনারে উপস্থাপন করেছেন এবং উপস্থিত সিকৃবির তরুণ গবেষকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
ড. তিলক চন্দ্র নাথ অনুষ্ঠানটি সমন্বয় করেন।
আরও পড়ুন: সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষক বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায়
স্বপ্নবাজ গবেষকদের পাশে ‘ইস্কুলঘর’
১ বছর আগে
ঢাকায় কোরিয়ান লাইভ মিউজিক কনসার্ট ১ অক্টোবর
দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাস ঢাকার হাতিরঝিলে অবস্থিত অ্যাম্ফিথিয়েটারে ১ অক্টোবর লাইভ কোরিয়ান মিউজিক কনসার্টের আয়োজন করবে।
সাত সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত কোরীয় ফিউশন মিউজিক ব্যান্ড ‘ই-সাং’ আধুনিক ফিউশন শৈলীতে কোরিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকগানের লাইভ কনসার্ট পরিবেশন করবে।
ঐতিহ্যবাহী কোরীয় মিউজিক ইন্সট্রুমেন্ট যেমন গায়াজিয়াম, জাংগু (ড্রাম) এবং তেপিয়ংসো (বাঁশি), পাশাপাশি বেস গিটার, কীবোর্ড পিয়ানো ও ড্রামের মতো পশ্চিমা ইন্সট্রুমেন্টগুলো তাদের পরিবেশনার সময় বাজানো হবে।
আরটিভির সহযোগিতায় দূতাবাস এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
আরও পড়ুন: দগ্ধ কৌতুক অভিনেতা রনি সুস্থ হয়ে উঠছেন
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনিসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
২০২০ সালে কোভিড মহামারি প্রাদুর্ভাবের পর দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত এটিই প্রথম উন্মুক্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মঙ্গলবার ঢাকায় দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাস জানিয়েছে, যেহেতু এটি একটি উন্মুক্ত ও বিনামূল্যের কনসার্ট তাই যে কেউ আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে টিকিট ছাড়াই কনসার্ট উপভোগ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডে শীর্ষ পুরষ্কার জয়ী টেইলর সুইফট
ঢাকার দর্শকদের মুগ্ধ করেছে শিরোনামহীন!
২ বছর আগে
বাংলাদেশকে অ্যাম্বুলেন্স ও অক্সিজেন জেনারেটর উপহার দিল কোরিয়া
করোনা মহামারি মোকাবিলা ও দেশের স্বাস্থ্য খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ সরকারকে আটটি অ্যাম্বুলেন্স ও একশটি অক্সিজেন জেনারেটর অনুদান দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
মঙ্গলবার ঢাকার মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এই সরঞ্জামগুলো হস্তান্তর করা হয়।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত লি বলেন, ‘বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় অ্যাম্বুলেন্স অনুদানসহ দক্ষিণ কোরিয়ার ক্রমাগত সহায়তা কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের প্রতীক। আমরা বাংলাদেশের বন্ধুদের পাশে থাকব।
আরও পড়ুন: ফের দক্ষিণ কোরিয়ার ভিসার জন্য আবেদন চালু
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আব্দুল বাশার খুরশিদ আলম কোরিয়ার সহায়তার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং আশা করেন যে এই অ্যাম্বুলেন্সগুলো সময়মতো প্রয়োজনীয় সেবা দেয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের জীবন বাঁচাতে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, মহামারিটির অবসান ঘটাতে বাংলাদেশ সরকার কোরিয়ান সরকারের সাথে একযোগে কাজ করবে।
অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্সগুলি প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য চিকিৎসা বাক্স, অক্সিজেন সুবিধা, ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম এবং অন্যান্য জরুরি ও আনুষাঙ্গিক সরঞ্জাম দ্বারা সুসজ্জিত।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. ফরিদ হোসেন মিয়া, কোইকা বাংলাদেশ অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডোহ ইয়াং-আহসহ ডিজিএইচএস-এর অন্যান্য কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্ক নিয়ে কসমস ফাউন্ডেশনের ওয়েবিনার বৃহস্পতিবার
উল্লেখ্য, কোরিয়া সরকার মহামারি পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারকে বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ১৫০ মিলিয়ন ডলার ইডিসিএফ ঋণ দিয়েছে। গত বছর ৫০ মিলিয়ন ডলার ও এই বছর ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণের ব্যবস্থা করেছে। মহামারি শুরু পর গত বছর করোনা পরীক্ষার কিট ও অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম অনুদান দিয়েছে।
২ বছর আগে