সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় গবেষণা কাজে অংশ নিতে সিলেটের বিভিন্ন চা বাগানে কোরিয়ার চার গবেষক এখন বাংলাদেশে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিরাঙ্গন বিভাগের পরিচালক ড. তিলক চন্দ্র নাথের তত্ত্বাবধানে এই গবেষকবৃন্দ তাদের গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
আরও পড়ুন: সময় ও খরচ বাঁচাতে গবেষকরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ওষুধ উদ্ভাবনে কাজ করছে
এই চার বিজ্ঞানী হলেন-চিম্বুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. ক্যাসিওন এস ইরম, কোরিয়ার কেডিসিএ-এর পরিচালক ড. জুং ওন জ্যু, ইন্টারন্যানাল প্যারাসাইট রিসোর্স ব্যাংকের পরিচালক ড. ডনমিন লি এবং আকে প্রতিথযশা বিজ্ঞানী হুনও কিম।
তারা মূলত প্রাণীদেহের ভেক্টর ও প্যারাসাইট নিয়ে কাজ করছেন বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর।
ভেক্টর একধরনের আর্থোপড জীব (যেমন মশা বা মাছি), যা একটি প্যাথোজেন বা পরজীবীকে একটি হোস্ট থেকে অন্য হোস্টে প্রেরণ করে।
বিভিন্ন সংক্রামক রোগের বিস্তারে ভেক্টর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্যারাসাইট বা পরজীবী হলো একটি জীব যা অন্য জীবের মধ্যে বা তার ওপর বাস করে, যাকে হোস্ট বলা হয়।
প্যারাসাইট হোস্টের কাছ থেকে পুষ্টি এবং আশ্রয় গ্রহণ করে। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, প্রোটোজোয়া এবং বহুকোষী জীব সহ বিভিন্ন আকারে পাওয়া যায়।
কোরিয়ান চার গবেষক সিকৃবির কেডিসিএ ইয়থ ক্লাবের সহায়তায় সিলেটের দলদলি চা বাগান, খাদিমনগরসহ কয়েকটি চা বাগান পরিদর্শন করেছেন এবং প্যারাসাইট বিষয়ে সচেতনতামূলক কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।
এছাড়া তারা সিলেটের চা বাগান থেকে ভেক্টর ও প্যারাসাইট সংশ্লিষ্ট তথ্য ও নমুনা সংগ্রহ করছেন এবং সেগুলো সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে বিশ্লেষণ করছেন।
এদিকে মঙ্গলবার সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারাসাইটোলজি বিভাগে ভেক্টর ও প্যারাসাইট নিয়ে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা।
কোরিয়ান চার গবেষক ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রফেসর ড. সুলতান আহমেদ।
কোরিয়ার গবেষকরা তাদের গবেষণালব্ধ ফলাফল সেমিনারে উপস্থাপন করেছেন এবং উপস্থিত সিকৃবির তরুণ গবেষকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
ড. তিলক চন্দ্র নাথ অনুষ্ঠানটি সমন্বয় করেন।
আরও পড়ুন: সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষক বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায়