হিরো’স অফ সেভেন্টি ওয়ান
যে ভিডিও গেমগুলো প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতিফলক
প্রযুক্তির বিকাশ ও সাহিত্য-সংস্কৃতির বিভিন্ন মাধ্যমে সৃজনশীলতার চর্চার ফলে বাংলাদেশের ইতিহাস সমৃদ্ধ জ্ঞান ক্রমাগত সহজলভ্য হচ্ছে নতুন প্রজন্মের কাছে। তারই এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক গেমিংগুলো। বাংলাদেশে গেমিং ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নশীলতায় এক অমূল্য সংযোজন স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপট। এতে বাংলাদেশি গেমের নিজস্বতার পাশাপাশি এ দেশের বাংলা ভাষাভাষি নতুন প্রজন্মের উপর প্রতিফলিত হচ্ছে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। সরকারি পদক্ষেপের সাথে সাথে উল্লেখযোগ্য হারে বেসরকারি সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলো রীতিমত প্রতিযোগিতা করে গেম তৈরি ও ক্রমান্বয়ে সেগুলোর মানোন্নয়নের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এই ধরনের কয়েকটি গেম নিয়েই সাজানো হয়েছে আজকের ফিচারের আলোচ্য বিষয়বস্তু।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক সাতটি ভিডিও গেম
হিরো’স অফ সেভেন্টি ওয়ান (Heroes of 71)
হিরো’স অফ সেভেন্টি ওয়ান গেমটি মুক্তি পায় ২০১৫ সাল। গেমটির গেমপ্লে এবং বিশদ কাহিনী বিন্যাস প্রচন্ড গেমপ্রিয়দের পাশাপাশি যারা সাধারণত গেম খেলায় অভ্যস্ত নন তাদেরকেও সমানভাবে আকৃষ্ট করেছিল।
১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়কার বরিশাল বিভাগের একটি কাল্পনিক গ্রামকে কেন্দ্র করে গেমটির কাহিনী অগ্রসর হয়। গেমটির ইউজাররা গ্রামের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের জন্য মুক্তিবাহিনীর সদস্য হিসাবে খেলতে পারে। গেমের খেলোয়াড়দের প্রাথমিকভাবে পাকিস্তানি নিয়ন্ত্রণে থাকা একটি শিবিরকে রক্ষা করার জন্য একটি আউটপোস্টে নিযুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: মোটর বাইক রাইডারদের নিরাপত্তার জন্য সেফটি গিয়ার
ব্যতিক্রমী আবহ সঙ্গীতের সাথে দারুণ গ্রাফিক্সের মেলবন্ধনে আকর্ষণীয় গেম হিরো’স অফ সেভেন্টি ওয়ান। শান্ত এবং নিরিবিলি গ্রামীণ ল্যান্ডস্কেপ এবং যুদ্ধক্ষেত্রের ভয়াবহতা গেমটিতে সুন্দরভাবে দৃশ্যায়ন করা হয়েছে।
দুর্দন্ত গেমপ্লে ও অত্যাশ্চর্য গ্রাফিক্সের কারণে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়ায় গেমটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইন্ডফিশার এর আরও দুটি সিক্যুয়াল বের করে।
হিরো’স অফ সেভেন্টি ওয়ান: রিটালিয়েশান (Heroes of 71: Retalliation)
২০১৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত হিরো’স অফ সেভেন্টি ওয়ান: রিটালিয়েশান-ই হচ্ছে ২০১৫ সালের সেই হিরো’স অফ সেভেন্টি ওয়ানের দ্বিতীয় সংস্করণ। এর গেমপ্লে প্রথমটির চেয়ে কোন অংশে কম নয়। বরং এখানে নতুন বৈশিষ্ট্য হিসেবে যুক্ত করা হয় একজন নারী চরিত্র। এটি ছিলো বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক গেমে গেরিলা সদস্য হিসেবে প্রথম নারী চরিত্রের আবির্ভাব। পূর্বে যেখানে একমাত্র লক্ষ্য ছিল একটি ফাঁড়ি রক্ষা করা, এখানে তার জায়গায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে একাধিক মিশন।
আরও পড়ুন: সুবর্ণ আইজাক বারী: বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ অধ্যাপক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ‘বিস্ময় বালক’
৩ বছর আগে