পানের বরজ
আগুনে পুড়ল ৪০ বিঘা জমির পানের বরজ
নাটোরের বড়াইগ্রামে আগুনে পুড়ে গেছে ৪০ বিঘা পানের বরজ। এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পওয়া যায়নি।
আগুনে নিঃস্ব হয়েছেন অন্তত ২০ জন পান চাষি।
আরও পড়ুন: কুমারখালীতে আগুনে পুড়ল দিনমজুরের স্বপ্ন
প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ হিসেবে পান চাষিরা বলছেন, উপজেলার বাগডোব গ্রামের নিজাম উদ্দিন তার শুকিয়ে যাওয়া শিমের খেত পরিষ্কার করার জন্য আগুন ধরিয়ে দেন। এক পর্যায়ে বাতাশে সেই আগুন পাশের পানের বরজে ছড়িয়ে পড়ে। এতে প্রায় ২০ জন চাষির ৪০ বিঘা জমির পানের বরজ পুড়ে গেছে।
পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে স্থানীয় লোকজন ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই ৪০ বিঘা জমির প্রায় ১৮টি পানের বরজ সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়।
এতে করে কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন- আব্দুল লতিব, রাজা মিয়া, আতাহার, হারুন, আবেদ আলী, খতিবসহ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।
ঘটনার পর গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায় শিম খেতের মালিক নিজাম উদ্দিন।
বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজিব বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ অভিযোগ না করলেও এ নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে নজরদারি রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে কয়েলের আগুনে পুড়ল কৃষকের ৪ মহিষ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আগুনে পুড়ল ৯ দোকান
৭ মাস আগে
রাজশাহীতে শতাধিক পানের বরজ আগুনে পুড়ে ছাই
রাজশাহীর দুর্গাপুরে আগুন লেগে প্রায় শতাধিক পানের বরজ পুড়ে গেছে। শনিবার দুপুর উপজেলার শিবপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
এতে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী পানচাষিরা।
আরও পড়ুন: পানবরজ নিয়ে সংঘর্ষে রাজশাহীতে নিহত ১
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে দুর্গাপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের টিম লিডার মাহাবুর রহমান জানান, শিবপুর গ্রামের এক ব্যক্তির বাড়ির রান্নাঘরে শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার সময় আগুন লাগে। সেখান থেকে পাশের পান বরজগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বেলা দেড়টার দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তার আগেই ৪০ বিঘা জমিতে প্রায় শতাধিক পান বরজ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ক্ষতির পরিমাণের একটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফের আগুন
ভুক্তভোগী পানচাষি মান্নান, ইসলাম ও আশরাফুল জানান, চৈত্র মাসে পানের দাম বাড়ে। তাই কৃষকেরা বরজে বরজে বিপুল পরিমাণ পান গচ্ছিত রাখে। কিন্তু পান বিক্রির আগেই শতাধিক পান বরজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে কৃষকের প্রায় তাদের প্রায় টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তারা।
২ বছর আগে
পান চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন অভয়নগরের চাষিরা!
কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় দিন দিন পান চাষে ঝুঁকছেন যশোরের অভয়নগরের চাষিরা। চাষে সাফল্যও পেয়েছেন তারা। তাই এই উপজেলায় দিন দিন পানের বরজের সংখ্যাও বাড়ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, উপজেলার চেঙ্গুটিয়া এলাকায় সবচেয়ে বেশি পান চাষ হয়। এছাড়া চাষের জন্য বাঘুটিয়া ইউনিয়নও অন্যতম। উপজেলার প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষের পানের বরজ আছে। নওয়াপাড়া ও চেঙ্গুটিয়া হাটে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত এসব পান বেচাকেনার হয়। অনেকে আবার পানকে ঔষধি গাছ হিসেবে ব্যবহার করছেন।
আরও পড়ুন: সাদা সোনা খ্যাত রসুন রোপনে ব্যস্ত মণিরামপুরের চাষিরা
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এই উপজেলায় চলতি বছরে ৪০০ হেক্টর জমিতে পান চাষ করা হয়েছে। পান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে হেক্টর প্রতি ৩০ মেট্রিক টন।
বাঘুটিয়া এলাকার পান চাষি হাবিবুর রহমানসহ অন্যান্য চাষিরা জানান, পানের বরজে এক প্রকার ফাপপচা রোগ দেখা দেয়। এ থেকে বাঁচাতে পারলে একটি বরজ ২০ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত থাকে। সাধারণ আষাঢ়-শ্রাবন মাসে এ রোগটি বেশি দেখা যায়। তবে এ রোগ দমনে ফোরি, এডমা ও কাফডার নামে তিনটি ওষুধ ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও শীতের সময় এক প্রকার বিষাক্ত কুয়াশা পান গাছে লাগলে পান পাতা ঝরে যায়। এতে চাষিরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
আরও পড়ুন: শীতের প্রথম বাজার ধরতে ব্যস্ত যশোরের সবজি চাষিরা
পান চাষি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার দুই বিঘার ওপর একটা পানের বরজ আছে, তার বয়স প্রায় ১০ বছর হবে। বর্তমানে প্রতি বিড়া পান আকার ভেদে ৬০ থেকে ১০০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করতে পারছি। বাজারে চাহিদা থাকায় পুরাতন পানের যে দাম পেয়ে ছিলাম, নতুন পানেরও তেমনি দাম পাচ্ছি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সামদামী জানান, জাইকার আয়োজনে উপজেলাতে পান চাষিদের কয়েকটি প্রশিক্ষণ করানো হয়েছে। যে কারণে এই এলাকায় পান চাষ ভালো হচ্ছে। লাভজনক হওয়ায় দিন দিন এখানে পান চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। উৎপাদিত পান স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতেও
৩ বছর আগে