মার্চ
মার্চে সড়কে নিহত ৬০৪, আহত সহস্রাধিক
গত মার্চ মাসে দেশে সড়কে দুর্ঘটনায় ৬০৪ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ৮৯ জন ও শিশু ৯৭টি। শনিবার (১২ এপ্রিল) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিবেদেন এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, মার্চে দেশে ৫৮৭টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আহত হয়েছেন এক হাজার ২৩১ জন।
৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
আরও পড়ুন: গণপরিবহনে শৃঙ্খলায় রাজনৈতিক দলগুলোর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
এতে বলা হয়েছে, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৩৩ জন, যা মোট প্রাণহানির ৪১.২২ শতাংশ। পথচারী নিহত হয়েছেন ১০৯ জন (১৮.০৪ শতাংশ) এবং যানবাহনের চালক ও সহকারী ৯৮ জন (১৬.২২ শতাংশ)।
এই সময়ে ৬টি নৌদুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত, ১৪ জন আহত হয়েছেন। ১৬টি রেল ট্র্যাক দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ৪ জন আহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়—মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ২৩৩ জন (৩৮.৫৭ শতাংশ), বাসের যাত্রী ৩২ জন (৫.২৯শতাংশ), ট্রাক-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি-ড্রাম ট্রাক-কার্গো ট্রাক আরোহী ৫৬ জন (৯.২৭শতাংশ), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স-জীপ আরোহী ১৭ জন (২.৮১শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান) ১১৯ জন (১৯.৭০শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-পাখিভ্যান-মাহিন্দ্র-টমটম) ২৭ জন (৪.৪৭শতাংশ) এবং বাইসাইকেল-রিকশা আরোহী ১১ জন (১.৮২শতাংশ) নিহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ২২৮টি (৩৮.৮৪ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ২৫৬টি (৪৩.৬১শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৭২টি (১২.২৬ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে এবং ৩১টি (৫.২৮শতাংশ) শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে।
এছাড়াও ১৫৩টি (২৬.০৬ শতাংশ) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২৫৮টি (৪৩.৯৫ শতাংশ) গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১১৩টি (১৯.২৫ শতাংশ) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেওয়ায়, ৪৭টি (৮ শতাংশ) যানবাহনের পেছনে আঘাত এবং ১৬টি (২.৭২ শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে সারাদেশে সড়কে ৪৬৭ জনের প্রাণহানি: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
এদিকে প্রতিবেদনে সড়ক দুর্ঘটনার ১০টি প্রধান কারণ উল্লেখ করে বেশকিছু সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে— ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকের অদক্ষতা ও শারীরিক সমস্যা, ট্রাফিক আইনের অজ্ঞতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং চাঁদাবাজি।
এমন অবস্থায় দুর্ঘটনা রোধে ১০ দফা সুপারিশ দিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষ চালক তৈরি, চালকের কর্মঘণ্টা নির্ধারণ, বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি, ট্রাফিক আইনের কঠোর প্রয়োগ, মহাসড়কে স্বল্পগতির যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং রেল ও নৌপথ সংস্কার।
২২ দিন আগে
রেমিট্যান্সে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ, মার্চে ৩.২৯ বিলিয়ন ডলার
চলতি বছর মার্চে রেমিট্যান্সে বিগত সব রেকর্ড ভাঙবে বাংলাদেশ এমন ধারণা আগেই করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক; হলোও তাই। পুরো মার্চজুড়ে ৩.২৯ বিলিয়ন রেমিট্যান্স এসেছে যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খানের দেয়া তথ্যানুযায়ী, গত বছরের তুলনায় এ বছর মার্চে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে ৬৪.৭০ শতাংশ। ২০২৪ সালের মার্চে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ১.৯৯ বিলিয়ন ডলার।
মার্চের আগে চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ২.৬৪ বিলিয়ন ডলার, যা এতদিন ছিল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সর্বোচ্চ ২.৬৪ বিলিয়ন রেমিট্যান্স এসেছিল।
আরও পড়ুন: মার্চের ১৯ দিনে ২২৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স, নতুন রেকর্ডের সম্ভাবনা
চলতি বছর প্রতি মাসে রেমিট্যান্সের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে, ফেব্রুয়ারির আগে জানুয়ারিতে আসা মোট রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২.১৮ বিলিয়ন ডলার।
ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে প্রবাসীরা এবার প্রচুর পরিমাণে অর্থ বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে পাঠিয়েছেন। শুধু ২৭-৩১ মার্চ এ সময়ের মধ্যেই রেমিট্যান্স এসেছে ৩৪৫ মিলিয়ন ডলার। বৈধ চ্যানেলে অর্থ প্রেরণের কারণেই এবার রেমিট্যান্সে ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ।
২৮ দিন আগে
মার্চের শেষে ঢাকায় চালু হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা সেন্টার
চলতি মার্চ মাসের শেষের দিকে ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার ভিসা সেন্টার চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।
সোমবার (২৪ মার্চ) বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া সরকারের মধ্যে সমুদ্র পথে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে অস্ট্রেলিয়া গমনকারীদের দ্রুত প্রত্যাবর্তন সংক্রান্ত 'স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর ফর দ্য রিটার্ন অব বাংলাদেশি সিটিজেন্স টু বাংলাদেশ' সই অনুষ্ঠান শেষে জ্যেষ্ঠ সচিব সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: আমরা চাই পুলিশ কোমর সোজা করে দাঁড়াক: নাসিমুল গনি
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, 'অস্ট্রেলিয়ার ভিসা সেন্টারটা বাংলাদেশের বাইরে ছিল। বাংলাদেশিদের জন্য অস্ট্রেলিয়ার ভিসা প্রক্রিয়াটি এতদিন নয়া দিল্লি থেকে হয়ে আসছিল। তারা এই মাসের শেষ থেকে ঢাকায় কার্যক্রম শুরু করবে। ঈদের পরপরই হয়তো চালু হয়ে যাবে।'
৪১ দিন আগে
মার্চেই রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাচ্ছেন জাতিসংঘ মহাসচিব ও ড. ইউনূস
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশ সফরকালে বার্ষিক রমজান সংহতি সফরের অংশ হিসেবে আগামী ১৪ মার্চ জাতিসংঘ মহাসচিবের এই পরিদর্শনের কথা রয়েছে।
পরিদর্শনকালে গুতেরেস স্থানীয় বাংলাদেশি জনগোষ্ঠী ও মিয়ানমারে নিপীড়ন ও সহিংসতা থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে ইফতার করবেন। যা প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার বাংলাদেশের উদারতার স্বীকৃতি।
প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ইউএনবিকে জানান, প্রধান উপদেষ্টা ১৪ মার্চ সকালে কক্সবাজারের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন এবং একই দিন সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরবেন।
আরও পড়ুন: চুরির কোটি কোটি টাকা উদ্ধারে দ্রুত পদক্ষেপের আহ্বান ড. ইউনূসের
রমজানের প্রতি সংহতি সফরের অংশ হিসেবে অ্যান্তোনিও গুতেরেস ১৩ থেকে ১৬ মার্চ ঢাকা সফর করবেন। এসময় তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে জানিয়েছেন গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক।
বাংলাদেশ সফরকালে তিনি ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূসের পাশাপাশি সুশীল সমাজের তরুণ প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করবেন।
জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার হিসেবে এক দশকের দীর্ঘ মেয়াদে জাতিসংঘ মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বাস্তুচ্যুত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাশে নিয়মিত রমজান পালন করার জন্য সংহতি সফরকে একটি বার্ষিক ঐতিহ্যে পরিণত করেছেন গুতেরস।
গুতেরেস এক বার্তায় বলেন, 'প্রতি রমজানে আমি বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংহতি সফর করি এবং রোজা রাখি। এই মিশন বিশ্বকে ইসলামের আসল চেহারা মনে করিয়ে দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘রমজান করুণা, সহানুভূতি এবং উদারতার মূল্যবোধকে তুলে ধরে। এটি পরিবার এবং সম্প্রদায়ের সঙ্গে পুনর্মিলনের একটি সুযোগ...। আমি সবসময় এই মৌসুমে অসাধারণ শান্তির অনুভূতিতে আরও অনুপ্রাণিত হই।
জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস সম্প্রতি ড. ইউনূসকে লেখা এক চিঠিতে আশা প্রকাশ করেন যে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলন বৈশ্বিক অগ্রাধিকারকে নবায়ন করবে এবং তাদের দুর্দশার বৃহত্তর সমাধানকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে।
গুতেরেস বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একত্রিত করতে তার তৎপরতা অব্যাহত রাখবে।
তিনি লিখেছেন, 'রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ও স্বেচ্ছায় রাখাইনে ফিরে যাওয়ার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিসহ মিয়ানমারের সংকটের রাজনৈতিক সমাধানে আমি আমার সদিচ্ছা অব্যাহত রাখব। সেই লক্ষে আঞ্চলিক পক্ষ, অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান) ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব রাখাইনের জনগোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা ও জীবিকার সহায়তা কীভাবে সর্বোচ্চ করা যায়—সে বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে জাতিসংঘের কান্ট্রি টিমগুলোকে দিকনির্দেশনা দিতে তার জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপকদের অনুরোধ করেছেন।
জাতিসংঘ মিয়ানমারের সমন্বয়কারী এবং আবাসিক ও মানবিক সমন্বয়কারীর সম্পৃক্ততাকে অগ্রাধিখার দেবে। যার মাধ্যমে রাখাইন এবং পুরো মিয়ানমারে অভাবী লোকদের জন্য জরুরি ত্রাণ, নিরাপদ, দ্রুত, টেকসই এবং অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা যায়।
আরও পড়ুন: শিগগিরই চীন, থাইল্যান্ড ও জাপান সফরে যাবেন ড. ইউনূস
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ ব্যবস্থা কীভাবে প্রক্রিয়াটিকে সর্বোত্তমভাবে সমর্থন করতে পারে—তা বোঝার জন্য আমরা সদস্য রাষ্ট্রের পরামর্শের পরে সম্মেলনের সম্মত ফলাফল এবং পরিকল্পনার জন্য অপেক্ষা করছি।’
তিনি চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি ড. ইউনূসকে তার চিঠির জন্য ধন্যবাদ জানান। যেটি ৭ ফেব্রুয়ারি রোহিঙ্গা সংকট ও অগ্রাধিকার বিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান তার কাছে পৌঁছে দেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশের প্রতি জাতিসংঘের দৃঢ় সংহতি এবং ড. ইউনূসের নেতৃত্বে এই সংস্কার প্রক্রিয়ায় তাদের সমর্থনের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও এই অঞ্চলে রোহিঙ্গা সংকটের প্রভাব এবং রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতির বিষয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন তিনি।
৫৫ দিন আগে
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জানুয়ারি-মার্চে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১২ শতাংশ: বিবিএস
২০২৩-২৪ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৬ দশমিক ১২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) প্রকাশিত এই প্রান্তিক(ত্রৈমাসিক) জিডিপির হালনাগাদটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ পাওয়ার শর্তের অংশ।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী পূর্ববর্তী প্রান্তিকের তুলনায় এই প্রান্তিকে(জানুয়ারি-মার্চ) একটি উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ছিল ৬ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ এবং একই অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকেকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ নথিভুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকগুলোর পূর্ণাঙ্গ আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশে বাংলাদেশ ব্যাংককে আইএমএফের পরামর্শ
২০২৩-২৪ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকের সঙ্গে গত বছরের একই সময়ের তুলনা করলে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পাওয়া যায়। ২০২২-২৩ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ২ দশমিক ৩০ শতাংশ।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে, শিল্প, পরিষেবা এবং কৃষি- সমস্ত প্রধান খাতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। শিল্প খাতে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ০৩ শতাংশ হয়েছে । জানুয়ারি-মার্চের সময়ে স্থির মূল্যে জিডিপিতে যোগ হয়েছে প্রায় ৮ লাখ ৬৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস, জিডিপি ৬.৭৫% ও মুদ্রাস্ফীতি ৬% নির্ধারণ
২৯৯ দিন আগে
মার্চেই কালুরঘাট সেতুতে যান চলাচল শুরু হবে: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, মার্চের মাঝামাঝিতে চট্টগ্রামের পুরোনো কালুরঘাট সেতুতে যান চলাচল শুরু হবে।
তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে সেতু মেরামত করা হচ্ছে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের রেস্ট হাউসে রেলওয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, নতুন কালুরঘাট সেতু নির্মাণ করতে ৪ থেকে
৫ বছর সময় লাগবে। কালুরঘাট সেতু নিয়ে সমীক্ষা হয়েছে। অর্থায়ন নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্থা অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিলের (ইডিসিএফ) সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মালবাহী ট্রেনের লোকোমাস্টার সিগন্যাল অমান্য করায় দুর্ঘটনা: রেলমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আশা করছি ৪-৫ বছরের মধ্যে কালুরঘাট সেতু নির্মাণ হবে।
রেলমন্ত্রী আরও বলেন, রেল এক সময় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। রেললাইন উপড়ে ফেলা হচ্ছে। ট্রেনে আগুন দেওয়া হচ্ছে। এরপরেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলকে ঢেলে সাজাচ্ছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলা রেল যোগাযোগের আওতায় নিয়ে আসার কাজ করছেন। গ্রামীণ কৃষকদের উৎপাদিত ফসল যাতে ট্রেন যোগে শহর পর্যন্ত চলে আসে, প্রান্তিক কৃষক যেন যথাযথ মূল্যে ফলফলাদি ও সবজি বিক্রি করতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করছি৷
রেলমন্ত্রী বলেন, রেলকে সচল করার চেষ্টা করব। অনেক স্থানে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সেগুলো স্বাভাবিক করার পরিকল্পনা রয়েছে। কক্সবাজার রুটে আগামী দুই মাসের মধ্যে একটি কমিউটার ট্রেন চালু করা হবে। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা সেটা হলো লোকো মাস্টার সমস্যা। লোকো মাস্টার নিয়োগ হলে আমরা খুব শিগগিরই এ রুটে আরও কিছু ট্রেন চালু করব।
তিনি আরও বলেন, রেলকে নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে পাঁচ হাজারের উপরে লোকবল নিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। অনেকগুলো ইঞ্জিন ও কোচ আমদানি করা হচ্ছে। কিছু আমদানি হয়েছে। এসব ইঞ্জিন রেল বহরে যুক্ত হলে রেলে ইঞ্জিন সংকট দূর হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির হরতাল-অবরোধে রেলে আক্রমণ বেড়েছে: রেলমন্ত্রী
বিএনপির ভোট চাওয়ার মুখ নেই: রেলমন্ত্রী
৪৬৬ দিন আগে
মার্চে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯.৩৩ শতাংশ, ৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য উদ্ধৃত করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ, যা বিগত সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বিবিএস অনুসারে, পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারিতে বেড়ে আট দশমিক ৭৮ শতাংশে পৌঁছেছে, যা জানুয়ারির আট দশমিক ৫৭ শতাংশ থেকেও বেশি।
উচ্চ মূল্যস্ফীতির ফলে জনগণ ব্যয় কমাতে বাধ্য হয় এবং নির্দিষ্ট ও সীমিত আয়ের জনগোষ্ঠীকে কেনাকাটা কমিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়।
ফেব্রুয়ারি মাসে খাদ্যে আট দশমিক ১৯ শতাংশ এবং অখাদ্য পণ্যে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ মূল্যস্ফীতি রেকর্ড করা হয়েছে। ওই সময় নগরীতে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল সাত দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং অখাদ্য পণ্যে ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের ঈদ বোনাস ও বেতন দিতে ১৫০০ কোটি টাকা সরকারি সহায়তা চায় বিকেএমইএ
এর আগে গত বছরের আগস্টে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে উঠেছিল। গত ১১ দশমিক ৯ বছরে (১৪৪ মাস) মূল্যস্ফীতির এই হার ছিল সর্বোচ্চ। ২০১১ সালের মে মাসে মূল্যস্ফীতির সর্বোচ্চ হার ছিল ১০ দশমিক ২০ শতাংশ। এরপর কখনোই মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের বেশি হয়নি।
২০২২ সালের আগস্টের পরে মুদ্রাস্ফীতির হার আবার কমতে থাকে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তা কমেছে আট দশমিক ৫৭ শতাংশ।
অন্যদিকে, সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামীণ এলাকায় মুদ্রাস্ফীতির চাপ এখনও বেশি।
আরও পড়ুন: ২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৫.৩% কমিয়েছে এডিবি
৭৬১ দিন আগে
মার্চে রেমিট্যান্স আবারও ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে
অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স গত আগস্টের পর প্রথমবারের মতো মার্চ মাসে দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। এটি ব্যাংকিং ব্যবস্থায় বিদ্যমান ডলার সংকট কমাতে সাহায্য করতে পারে বলে আশা জাগিয়েছে।
বাংলাদেশ মার্চ মাসে দুই দশমিক শূন্য এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে। যা ফেব্রুয়ারিতে প্রাপ্ত এক দশমিক ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি। যা আগে গত জানুয়ারিতে প্রাপ্ত রেমিট্যান্স ছিল এক দশমিক ৯৫ বিলিয়ন মার্কি ডলার। যা ফেব্রুয়ারিতে কিছুটা পতনমুখী ছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে মোট অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স মার্চ শেষে ১৬ দশমিক শূন্য এক বিলিয়ন ছিল, যা গত অর্থবছরের অনুরূপ অঙ্কের তুলনায় সামান্য বেশি (চার দিশমিক আট শতাংশ), যখন এটি ছিল ১৫ দশমিক ২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এই খাতের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রেমিট্যান্স বাড়তে থাকলে বৈদেশিক মুদ্রার বাজার কিছুটা প্রয়োজনীয় স্থিতিশীলতা লাভ করতে পারে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেসরকারি আমদানিকারকদের এলসি খোলার উপর সীমাবদ্ধতা আনতে বাধ্য হয়েছে। প্রয়োজনীয় পণ্য এবং শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে ডলারের রিজার্ভ সঞ্চয় করেছে।
ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, ডলার সংকটের কারণে অনেক আমদানি পেমেন্ট পিছিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য বাণিজ্যের প্রয়োজনে প্রবাসী আয়ের ডলারের চেয়ে বেশি হারে বিনিময় করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ডলার সংকটেও জানুয়ারিতে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৬ কোটি ডলার
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেসবাউল হক ইউএনবিকে বলেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রেমিট্যান্সের জন্য মার্কিন ডলারের বিনিময় হার বাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, রেমিট্যান্সের জন্য আড়াই শতাংশ ঝামেলামুক্ত প্রণোদনা ছাড়াও বেশ কয়েকটি ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা আকৃষ্ট করার জন্য অতিরিক্ত প্রণোদনাও দিচ্ছে।
অফিসিয়াল চ্যানেলের মাধ্যমে পাঠানো রেমিট্যান্সের জন্য প্রাপকদের কোন চার্জ বা ফি নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা অনুমান করে যে প্রবাসী আয়ের ৪০ শতাংশের বেশি এখনও আনঅফিসিয়াল চ্যানেল (হুন্ডি) মাধ্যমে আসছে।
আরও পড়ুন: বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রতি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান
৭৬২ দিন আগে
মার্চ মাসে ১১৮ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি
চলতি বছরের মার্চ মাসে সারাদেশে চোরাচালান বিরোধী অভিযানে ১১৮ কোটি ১১ লাখ টাকার অস্ত্র ও মাদকসহ বিভিন্ন ধরনের চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
রবিবার বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম জানান, ১ মার্চ থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে জব্দ করা মাদকের মধ্যে রয়েছে ১৩ লাখ ৪১ হাজার ২৩টি ইয়াবা ট্যাবলেট, পাঁচ হাজার ৪৪ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ বা আইস, তিন হাজার ৫১৩ গ্রাম হেরোইন (ব্রাউন সুগার), এক হাজার ২৭৫ গ্রাম আফিম, ৩৮ হাজার ৬৩৭ বোতল ফেনসিডিল, ১৭ হাজার ৪৯২ বোতল বিদেশি মদ,দুই হাজার ৫৯৫ বোতল,বিয়ার, দুই হাজার ৭৪৪ কেজি হেম্প, ৫৩ হাজার ৩২২টি উদ্দীপক ইনজেকশন, ২১ হাজার ৫০৫টি অ্যানেগ্রা এবং সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ৪ হাজার ৫৯১টি ইস্কোফ সিরাপ এবং তিন লাখ ৭৪ হাজার ৫৬৮ টি অন্যান্য ট্যাবলেট ১ মার্চ থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে।
আরও পড়ুন: মাদক পাচার বন্ধে বিজিবি-বিএসএফের ঐক্যমত
অন্যান্য চোরাচালান পণ্যের মধ্যে রয়েছে এক কেজি ১৭৩ গ্রাম সোনা, ২০ কেজি রূপা, চার লাখ ৩৫ হাজার ৫৩০টি প্রসাধনী সামগ্রী, দুই হাজার ৫১৩টি ইমিটেশন জুয়েলারি, ১১ হাজার ৭৩০টি শাড়ি, দুই হাজার ২১৩টি থ্রি-পিস সেট,
এক হাজার ৩৪৫ পিস তৈরি পোশাক, তিন হাজার ৪৯২ ঘনফুট কাঠ,৯ হাজার ৪২৪ কেজি চা, ৩৩ হাজার ৯৩০ গ্রাম কয়লা, একটি কষ্টিপাথরের মূর্তি, ছয়টি ট্রাক/কাভার্ড ভ্যান, চারটি প্রাইভেট কার/মাইক্রোবাস, আটটি পিকআপ ভ্যান, ৩৫টি সিএনজি ও ইঞ্জিনচালিত অটোরিকশা এবং ৭১টি মোটরসাইকেল।
জব্দ করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একটি পিস্তল, দুটি বন্দুক, ১৬ রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগাজিন।
এছাড়া এ সময় অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপার করায় ৩৭৪ জন চোরাকারবারী ও ছয় ভারতীয়ের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: জানুয়ারি মাসে ২১১ কোটি টাকার মাদক ও চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি
বিজিবির অভিযানে ২০২১ সালে ১ হাজার ৭৩ কোটি টাকার মাদক জব্দ
১১২৭ দিন আগে
মার্চে বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি চালু হবে: মোস্তাফা জব্বার
আগামী মার্চের মধ্যে দেশে বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি চালু হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছরের পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে ফাইভ-জি যুগে বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তির ব্যবহারের জন্য ফাইভ-জি অপরিহার্য।’
বুধবার ঢাকায় এক হোটেলে বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্ণেন্স ফোরাম (বিআইজিএফ) আয়োজিতএকসেস টু মিনিংফুল কানেক্টিভিটি অ্যান্ড সোস্যাল ইনক্লিউশন শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এই সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত হবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২: মোস্তাফা জব্বার
সচেতনতা ও প্রযুক্তি দিয়ে ডিজিটাল নিরপত্তার হুমকি মোকাবিলা করতে হবে উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘যত বেশি ডিজিটাল তত বেশি নিরাপত্তা ঝুঁকি।’
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডিজিটাল শিল্প বিপ্লব পৃথিবীতে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উদ্দেশ্য এবং আমাদের উদ্দেশ্য এক নয়।’
দেশে ডিজিটাল ডিভাইড নিরসনে সরকার গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ইন্টারনেটের একদেশ এক রেট একটি বিপ্লবের নাম। প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করা কোন নাগরিককেও ইন্টারনেট অধিকার থেকে যেমন বঞ্চিত করা যাবে না তেমনি প্রত্যন্ত অঞ্চলের জন্য আলাদা কোন রেটও গ্রহণযোগ্য নয়। এই লক্ষ্যে আমরা দেশের প্রায় প্রতিটি মানুষের দোড়গোড়ায় উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দিয়েছি। কোভিডকালে দেশের শতকরা ৯৭ ভাগ এলাকায় ৪-জি নেটওয়ার্ক সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: শিক্ষাকে সভ্যতার বিবর্তনের সাথে তাল মেলাতে হবে: মোস্তাফা জব্বার
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং বিআইজিএফ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নির্ধারণ কমিশনের (বিটিআরসি) মহাপরিচালক মো. নাসিম পারভেজ, বিটিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রফিকুল মতিন, সাউথ এশিয়া আর্টিকেল ১৯’র আঞ্চলিক পরিচালক ফারুক ফয়সাল, বিএনএনআরসি রিসার্স ফেলো এএইচএম বজলুর রহমান, বিআইজিএফ সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হক অনু, সাংবাদিক রাশেদ মেহেদি প্রমুখ বক্তব্য দেন।
১২২১ দিন আগে