মার্চ
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জানুয়ারি-মার্চে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১২ শতাংশ: বিবিএস
২০২৩-২৪ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৬ দশমিক ১২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) প্রকাশিত এই প্রান্তিক(ত্রৈমাসিক) জিডিপির হালনাগাদটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ পাওয়ার শর্তের অংশ।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী পূর্ববর্তী প্রান্তিকের তুলনায় এই প্রান্তিকে(জানুয়ারি-মার্চ) একটি উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ছিল ৬ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ এবং একই অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকেকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ নথিভুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকগুলোর পূর্ণাঙ্গ আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশে বাংলাদেশ ব্যাংককে আইএমএফের পরামর্শ
২০২৩-২৪ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকের সঙ্গে গত বছরের একই সময়ের তুলনা করলে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পাওয়া যায়। ২০২২-২৩ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ২ দশমিক ৩০ শতাংশ।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে, শিল্প, পরিষেবা এবং কৃষি- সমস্ত প্রধান খাতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। শিল্প খাতে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ০৩ শতাংশ হয়েছে । জানুয়ারি-মার্চের সময়ে স্থির মূল্যে জিডিপিতে যোগ হয়েছে প্রায় ৮ লাখ ৬৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস, জিডিপি ৬.৭৫% ও মুদ্রাস্ফীতি ৬% নির্ধারণ
৪ মাস আগে
মার্চেই কালুরঘাট সেতুতে যান চলাচল শুরু হবে: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, মার্চের মাঝামাঝিতে চট্টগ্রামের পুরোনো কালুরঘাট সেতুতে যান চলাচল শুরু হবে।
তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে সেতু মেরামত করা হচ্ছে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের রেস্ট হাউসে রেলওয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, নতুন কালুরঘাট সেতু নির্মাণ করতে ৪ থেকে
৫ বছর সময় লাগবে। কালুরঘাট সেতু নিয়ে সমীক্ষা হয়েছে। অর্থায়ন নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্থা অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিলের (ইডিসিএফ) সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মালবাহী ট্রেনের লোকোমাস্টার সিগন্যাল অমান্য করায় দুর্ঘটনা: রেলমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আশা করছি ৪-৫ বছরের মধ্যে কালুরঘাট সেতু নির্মাণ হবে।
রেলমন্ত্রী আরও বলেন, রেল এক সময় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। রেললাইন উপড়ে ফেলা হচ্ছে। ট্রেনে আগুন দেওয়া হচ্ছে। এরপরেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলকে ঢেলে সাজাচ্ছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলা রেল যোগাযোগের আওতায় নিয়ে আসার কাজ করছেন। গ্রামীণ কৃষকদের উৎপাদিত ফসল যাতে ট্রেন যোগে শহর পর্যন্ত চলে আসে, প্রান্তিক কৃষক যেন যথাযথ মূল্যে ফলফলাদি ও সবজি বিক্রি করতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করছি৷
রেলমন্ত্রী বলেন, রেলকে সচল করার চেষ্টা করব। অনেক স্থানে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সেগুলো স্বাভাবিক করার পরিকল্পনা রয়েছে। কক্সবাজার রুটে আগামী দুই মাসের মধ্যে একটি কমিউটার ট্রেন চালু করা হবে। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা সেটা হলো লোকো মাস্টার সমস্যা। লোকো মাস্টার নিয়োগ হলে আমরা খুব শিগগিরই এ রুটে আরও কিছু ট্রেন চালু করব।
তিনি আরও বলেন, রেলকে নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে পাঁচ হাজারের উপরে লোকবল নিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। অনেকগুলো ইঞ্জিন ও কোচ আমদানি করা হচ্ছে। কিছু আমদানি হয়েছে। এসব ইঞ্জিন রেল বহরে যুক্ত হলে রেলে ইঞ্জিন সংকট দূর হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির হরতাল-অবরোধে রেলে আক্রমণ বেড়েছে: রেলমন্ত্রী
বিএনপির ভোট চাওয়ার মুখ নেই: রেলমন্ত্রী
৯ মাস আগে
মার্চে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯.৩৩ শতাংশ, ৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য উদ্ধৃত করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ, যা বিগত সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বিবিএস অনুসারে, পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারিতে বেড়ে আট দশমিক ৭৮ শতাংশে পৌঁছেছে, যা জানুয়ারির আট দশমিক ৫৭ শতাংশ থেকেও বেশি।
উচ্চ মূল্যস্ফীতির ফলে জনগণ ব্যয় কমাতে বাধ্য হয় এবং নির্দিষ্ট ও সীমিত আয়ের জনগোষ্ঠীকে কেনাকাটা কমিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়।
ফেব্রুয়ারি মাসে খাদ্যে আট দশমিক ১৯ শতাংশ এবং অখাদ্য পণ্যে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ মূল্যস্ফীতি রেকর্ড করা হয়েছে। ওই সময় নগরীতে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল সাত দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং অখাদ্য পণ্যে ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের ঈদ বোনাস ও বেতন দিতে ১৫০০ কোটি টাকা সরকারি সহায়তা চায় বিকেএমইএ
এর আগে গত বছরের আগস্টে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে উঠেছিল। গত ১১ দশমিক ৯ বছরে (১৪৪ মাস) মূল্যস্ফীতির এই হার ছিল সর্বোচ্চ। ২০১১ সালের মে মাসে মূল্যস্ফীতির সর্বোচ্চ হার ছিল ১০ দশমিক ২০ শতাংশ। এরপর কখনোই মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের বেশি হয়নি।
২০২২ সালের আগস্টের পরে মুদ্রাস্ফীতির হার আবার কমতে থাকে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তা কমেছে আট দশমিক ৫৭ শতাংশ।
অন্যদিকে, সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামীণ এলাকায় মুদ্রাস্ফীতির চাপ এখনও বেশি।
আরও পড়ুন: ২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৫.৩% কমিয়েছে এডিবি
১ বছর আগে
মার্চে রেমিট্যান্স আবারও ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে
অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স গত আগস্টের পর প্রথমবারের মতো মার্চ মাসে দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। এটি ব্যাংকিং ব্যবস্থায় বিদ্যমান ডলার সংকট কমাতে সাহায্য করতে পারে বলে আশা জাগিয়েছে।
বাংলাদেশ মার্চ মাসে দুই দশমিক শূন্য এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে। যা ফেব্রুয়ারিতে প্রাপ্ত এক দশমিক ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি। যা আগে গত জানুয়ারিতে প্রাপ্ত রেমিট্যান্স ছিল এক দশমিক ৯৫ বিলিয়ন মার্কি ডলার। যা ফেব্রুয়ারিতে কিছুটা পতনমুখী ছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে মোট অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স মার্চ শেষে ১৬ দশমিক শূন্য এক বিলিয়ন ছিল, যা গত অর্থবছরের অনুরূপ অঙ্কের তুলনায় সামান্য বেশি (চার দিশমিক আট শতাংশ), যখন এটি ছিল ১৫ দশমিক ২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এই খাতের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রেমিট্যান্স বাড়তে থাকলে বৈদেশিক মুদ্রার বাজার কিছুটা প্রয়োজনীয় স্থিতিশীলতা লাভ করতে পারে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেসরকারি আমদানিকারকদের এলসি খোলার উপর সীমাবদ্ধতা আনতে বাধ্য হয়েছে। প্রয়োজনীয় পণ্য এবং শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে ডলারের রিজার্ভ সঞ্চয় করেছে।
ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, ডলার সংকটের কারণে অনেক আমদানি পেমেন্ট পিছিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য বাণিজ্যের প্রয়োজনে প্রবাসী আয়ের ডলারের চেয়ে বেশি হারে বিনিময় করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ডলার সংকটেও জানুয়ারিতে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৬ কোটি ডলার
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেসবাউল হক ইউএনবিকে বলেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রেমিট্যান্সের জন্য মার্কিন ডলারের বিনিময় হার বাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, রেমিট্যান্সের জন্য আড়াই শতাংশ ঝামেলামুক্ত প্রণোদনা ছাড়াও বেশ কয়েকটি ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা আকৃষ্ট করার জন্য অতিরিক্ত প্রণোদনাও দিচ্ছে।
অফিসিয়াল চ্যানেলের মাধ্যমে পাঠানো রেমিট্যান্সের জন্য প্রাপকদের কোন চার্জ বা ফি নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা অনুমান করে যে প্রবাসী আয়ের ৪০ শতাংশের বেশি এখনও আনঅফিসিয়াল চ্যানেল (হুন্ডি) মাধ্যমে আসছে।
আরও পড়ুন: বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রতি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান
১ বছর আগে
মার্চ মাসে ১১৮ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি
চলতি বছরের মার্চ মাসে সারাদেশে চোরাচালান বিরোধী অভিযানে ১১৮ কোটি ১১ লাখ টাকার অস্ত্র ও মাদকসহ বিভিন্ন ধরনের চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
রবিবার বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম জানান, ১ মার্চ থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে জব্দ করা মাদকের মধ্যে রয়েছে ১৩ লাখ ৪১ হাজার ২৩টি ইয়াবা ট্যাবলেট, পাঁচ হাজার ৪৪ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ বা আইস, তিন হাজার ৫১৩ গ্রাম হেরোইন (ব্রাউন সুগার), এক হাজার ২৭৫ গ্রাম আফিম, ৩৮ হাজার ৬৩৭ বোতল ফেনসিডিল, ১৭ হাজার ৪৯২ বোতল বিদেশি মদ,দুই হাজার ৫৯৫ বোতল,বিয়ার, দুই হাজার ৭৪৪ কেজি হেম্প, ৫৩ হাজার ৩২২টি উদ্দীপক ইনজেকশন, ২১ হাজার ৫০৫টি অ্যানেগ্রা এবং সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ৪ হাজার ৫৯১টি ইস্কোফ সিরাপ এবং তিন লাখ ৭৪ হাজার ৫৬৮ টি অন্যান্য ট্যাবলেট ১ মার্চ থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে।
আরও পড়ুন: মাদক পাচার বন্ধে বিজিবি-বিএসএফের ঐক্যমত
অন্যান্য চোরাচালান পণ্যের মধ্যে রয়েছে এক কেজি ১৭৩ গ্রাম সোনা, ২০ কেজি রূপা, চার লাখ ৩৫ হাজার ৫৩০টি প্রসাধনী সামগ্রী, দুই হাজার ৫১৩টি ইমিটেশন জুয়েলারি, ১১ হাজার ৭৩০টি শাড়ি, দুই হাজার ২১৩টি থ্রি-পিস সেট,
এক হাজার ৩৪৫ পিস তৈরি পোশাক, তিন হাজার ৪৯২ ঘনফুট কাঠ,৯ হাজার ৪২৪ কেজি চা, ৩৩ হাজার ৯৩০ গ্রাম কয়লা, একটি কষ্টিপাথরের মূর্তি, ছয়টি ট্রাক/কাভার্ড ভ্যান, চারটি প্রাইভেট কার/মাইক্রোবাস, আটটি পিকআপ ভ্যান, ৩৫টি সিএনজি ও ইঞ্জিনচালিত অটোরিকশা এবং ৭১টি মোটরসাইকেল।
জব্দ করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একটি পিস্তল, দুটি বন্দুক, ১৬ রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগাজিন।
এছাড়া এ সময় অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপার করায় ৩৭৪ জন চোরাকারবারী ও ছয় ভারতীয়ের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: জানুয়ারি মাসে ২১১ কোটি টাকার মাদক ও চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি
বিজিবির অভিযানে ২০২১ সালে ১ হাজার ৭৩ কোটি টাকার মাদক জব্দ
২ বছর আগে
মার্চে বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি চালু হবে: মোস্তাফা জব্বার
আগামী মার্চের মধ্যে দেশে বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি চালু হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছরের পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে ফাইভ-জি যুগে বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তির ব্যবহারের জন্য ফাইভ-জি অপরিহার্য।’
বুধবার ঢাকায় এক হোটেলে বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্ণেন্স ফোরাম (বিআইজিএফ) আয়োজিতএকসেস টু মিনিংফুল কানেক্টিভিটি অ্যান্ড সোস্যাল ইনক্লিউশন শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এই সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত হবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২: মোস্তাফা জব্বার
সচেতনতা ও প্রযুক্তি দিয়ে ডিজিটাল নিরপত্তার হুমকি মোকাবিলা করতে হবে উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘যত বেশি ডিজিটাল তত বেশি নিরাপত্তা ঝুঁকি।’
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডিজিটাল শিল্প বিপ্লব পৃথিবীতে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উদ্দেশ্য এবং আমাদের উদ্দেশ্য এক নয়।’
দেশে ডিজিটাল ডিভাইড নিরসনে সরকার গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ইন্টারনেটের একদেশ এক রেট একটি বিপ্লবের নাম। প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করা কোন নাগরিককেও ইন্টারনেট অধিকার থেকে যেমন বঞ্চিত করা যাবে না তেমনি প্রত্যন্ত অঞ্চলের জন্য আলাদা কোন রেটও গ্রহণযোগ্য নয়। এই লক্ষ্যে আমরা দেশের প্রায় প্রতিটি মানুষের দোড়গোড়ায় উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দিয়েছি। কোভিডকালে দেশের শতকরা ৯৭ ভাগ এলাকায় ৪-জি নেটওয়ার্ক সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: শিক্ষাকে সভ্যতার বিবর্তনের সাথে তাল মেলাতে হবে: মোস্তাফা জব্বার
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং বিআইজিএফ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নির্ধারণ কমিশনের (বিটিআরসি) মহাপরিচালক মো. নাসিম পারভেজ, বিটিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রফিকুল মতিন, সাউথ এশিয়া আর্টিকেল ১৯’র আঞ্চলিক পরিচালক ফারুক ফয়সাল, বিএনএনআরসি রিসার্স ফেলো এএইচএম বজলুর রহমান, বিআইজিএফ সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হক অনু, সাংবাদিক রাশেদ মেহেদি প্রমুখ বক্তব্য দেন।
২ বছর আগে
মার্চে বঙ্গবন্ধু বায়োপিক মুক্তি পেতে পারে: তথ্যমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু বায়োপিকের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে এবং ২০২২ সালের মার্চ মাসে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনার কথা বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মভিত্তিক এ চলচ্চিত্র নির্মাণ অগ্রগতি পর্যবেক্ষণকালে তিনি একথা জানান।
আরও পড়ুন: ডিস লাইন ডিজিটালাইজড করার সময় বাড়ানো হবে: তথ্যমন্ত্রী
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বায়োপিকের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, ঢাকায় ফাইনাল রাউন্ডের শুটিংয়ে কাজ চলছে। এরপর মুম্বাইতে পোস্ট-প্রোডাকশনের কিছু কাজ হবে। আমি মুভির পরিচালক শ্যাম বেনেগাল ও তার টিমের সঙ্গে কথা বলেছি।’
তারা ঢাকায় শুটিংয়ের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করে জানিয়েছেন যে এখানে সিডিউল মতো কাজ করতে পারছেন, যে সমস্ত সহযোগিতা দরকার তা পাচ্ছেন। আগামী বছরের মার্চে এটি রিলিজ করতে পারবেন বলে তারা আশা করছেন।
বঙ্গবন্ধু মুভি আরও এক বছর আগে রিলিজ করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে হয়নি উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতি ঠিক থাকলে আগামী বছরের মার্চে ছবিটি মুক্তি পেতে পারে।
ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু বায়োপিক একটি মাইলস্টোন মুভি হবে বলে আশা প্রকাশ করে ড. হাছান বলেন, ‘শুধু নতুন প্রজন্ম নয়, বঙ্গবন্ধুর অনেক বিষয় আমরা নিজেরাও পড়েছি। কিন্তু ছবিতে দেখা আর পড়ার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। তাই এ ছবি মুক্তি পেলে বঙ্গবন্ধু ও তার সংগ্রাম, ত্যাগ, স্বপ্ন, স্বপ্নের বাস্তবায়নগুলো মানুষ বাস্তবরূপে দেখতে পাবে।’
আমাদের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে, নতুন প্রজন্মকে ইতিহাসের ঠিক তথ্য জানানোর ক্ষেত্রে চলচ্চিত্রটি বিরাট ভূমিকা রাখবে বলে মনে করে তথ্যমন্ত্রী।
এই সময় সেখানে বায়োপিকের পরিচালক শ্যাম বেনেগাল, তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেক, বিএফডিসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন, বায়োপিকের চিত্রনাট্যকার অতুল তেওয়ারি, কাস্টিং ডিরেক্টর বাহারউদ্দিন খেলন, অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীরা উপস্থিত ছিলেন।
২ বছর আগে