অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স গত আগস্টের পর প্রথমবারের মতো মার্চ মাসে দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। এটি ব্যাংকিং ব্যবস্থায় বিদ্যমান ডলার সংকট কমাতে সাহায্য করতে পারে বলে আশা জাগিয়েছে।
বাংলাদেশ মার্চ মাসে দুই দশমিক শূন্য এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে। যা ফেব্রুয়ারিতে প্রাপ্ত এক দশমিক ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি। যা আগে গত জানুয়ারিতে প্রাপ্ত রেমিট্যান্স ছিল এক দশমিক ৯৫ বিলিয়ন মার্কি ডলার। যা ফেব্রুয়ারিতে কিছুটা পতনমুখী ছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে মোট অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স মার্চ শেষে ১৬ দশমিক শূন্য এক বিলিয়ন ছিল, যা গত অর্থবছরের অনুরূপ অঙ্কের তুলনায় সামান্য বেশি (চার দিশমিক আট শতাংশ), যখন এটি ছিল ১৫ দশমিক ২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এই খাতের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রেমিট্যান্স বাড়তে থাকলে বৈদেশিক মুদ্রার বাজার কিছুটা প্রয়োজনীয় স্থিতিশীলতা লাভ করতে পারে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেসরকারি আমদানিকারকদের এলসি খোলার উপর সীমাবদ্ধতা আনতে বাধ্য হয়েছে। প্রয়োজনীয় পণ্য এবং শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে ডলারের রিজার্ভ সঞ্চয় করেছে।
ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, ডলার সংকটের কারণে অনেক আমদানি পেমেন্ট পিছিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য বাণিজ্যের প্রয়োজনে প্রবাসী আয়ের ডলারের চেয়ে বেশি হারে বিনিময় করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ডলার সংকটেও জানুয়ারিতে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৬ কোটি ডলার
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেসবাউল হক ইউএনবিকে বলেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রেমিট্যান্সের জন্য মার্কিন ডলারের বিনিময় হার বাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, রেমিট্যান্সের জন্য আড়াই শতাংশ ঝামেলামুক্ত প্রণোদনা ছাড়াও বেশ কয়েকটি ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা আকৃষ্ট করার জন্য অতিরিক্ত প্রণোদনাও দিচ্ছে।
অফিসিয়াল চ্যানেলের মাধ্যমে পাঠানো রেমিট্যান্সের জন্য প্রাপকদের কোন চার্জ বা ফি নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা অনুমান করে যে প্রবাসী আয়ের ৪০ শতাংশের বেশি এখনও আনঅফিসিয়াল চ্যানেল (হুন্ডি) মাধ্যমে আসছে।
আরও পড়ুন: বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রতি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান