জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
সাধারণ মানুষ দুর্ভোগ লাঘবে মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর বরাতে বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের সবার প্রধান দায়িত্ব মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা।’
রাজধানীর শেরে বাংলানগর এলাকায় এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপার্সন প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একনেক বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি স্থানীয় মুদ্রার ওপর চাপ কমাতে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিদেশি উৎস থেকে বৃহত্তর অর্থায়নের ওপর জোর দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলেন।
বাংলাদেশ কম বৈদেশিক ঋণ ব্যবহার করায় বৈদেশিক ঋণের পাইপলাইন বড় হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বিদেশি ঋণ আরও বড় আকারে ব্যবহার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বাইরের কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, বৈদেশিক সাহায্যপ্রাপ্ত প্রকল্প সময়মতো বাস্তবায়নের প্রবণতা বাড়লে বৈদেশিক ঋণ বিতরণ বাড়বে।
তিনি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং অর্থ বিভাগসহ কর্তৃপক্ষকে উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য আরও বেশি বৈদেশিক তহবিল এবং বৈদেশিক ঋণ ব্যবহার করে তা নিশ্চিত করতে বলেছেন, যা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াবে।
এসময় পর্যায়ক্রমে সৌরচালিত পাম্পের মাধ্যমে শতভাগ সেচ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
১১৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘বিসিএস (ট্যাক্স) একাডেমির ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (ফেজ-১)’- শীর্ষক প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে তিনি এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় কম জমি ব্যবহার করার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
মঙ্গলবার একনেক ৪৮টি জেলার ৮৮টি পৌরসভায় নগর শাসন ও অবকাঠামো উন্নয়নে ৬ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকার একটিসহ মোট ১৬টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে।
আরও পড়ুন: আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে: জেনেভায় নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
একনেকে ১১ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা আনুমানিক ব্যয়সহ ১৮টি প্রকল্প অনুমোদন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) মোট ১১ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৮টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে এনসেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আজ ১৮টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। প্রকল্পগুলোর সামগ্রিক আনুমানিক ব্যয় ১১ হাজার ৩৮৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা (শুধুমাত্র সংশোধিত প্রকল্পগুলো অতিরিক্ত ব্যয় এখানে গণনা করা হয়েছে)।’
তিনি জানান, ব্যয়ের মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ৭ হাজার ৪৪৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা অর্থায়ন করবে, আর ৩ হাজার ৮৬১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা আসবে বৈদেশিক উৎস থেকে এবং বাকি ৮০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা সংশ্লিষ্ট সংস্থার তহবিল থেকে।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে ৯টি নতুন এবং বাকিগুলো সংশোধিত প্রকল্প।
নতুন প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ স্মৃতি জাদুঘরের লিংক রোড এবং ফরিদপুর জেলার অধীনে নদীতে ভাঙন ও ড্রেজিং থেকে মধুমতি নদীর বাম তীরের অন্যান্য এলাকা রক্ষা, যার আনুমানিক ব্যয় ৪৮১.১০ কোটি টাকা; ৮৭৭.৫৩ কোটি টাকার ‘বাগেরহাট জেলা পল্লী অবকাঠামো’ প্রকল্প: ১৪২৮ কোটি টাকায় ‘নেত্রকোনা জেলা পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প; ২৫০ কোটি টাকায় ‘নড়াইল জেলা পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প; এবং ৩৬৯.৩০ কোটি টাকায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের ৬টি নতুন আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে অবস্থানভিত্তিক ধানের জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং বিদ্যমান গবেষণাগারের উন্নয়ন।
আরও পড়ুন: একনেকে ১২ প্রকল্পের অনুমোদন
অন্য নতুন প্রকল্পগুলো হলো- ১ হাজার ৪১৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০টি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ১৯টি হোস্টেল ভবন নির্মাণ; ৯৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা অনুষদের ভবন নির্মাণ; ৪০১৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকায় ‘হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট)’ এবং ৮৯ কোটি ০২ লাখ টাকায় ‘সাভার সেনানিবাস এলাকায় মাংস প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্ট স্থাপন’।
সংশোধিত প্রকল্পগুলো হলো-‘পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, পটুয়াখালী স্থাপন (১ম সংশোধিত)’ অতিরিক্ত ব্যয় ৬৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকা (বর্তমানে ৬৫১ কোটি টাকা); ‘আশ্রয়ণ-২ (৫ম সংশোধিত) প্রকল্প’ যার খরচ কমানো হয়েছে ২ হাজার ৩৪৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা (এখন খরচ নেমে এসেছে ৮ হাজার ৭৯৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা); ‘গুরুত্বপূর্ণ নগর পরিকাঠামোর উন্নয়ন (পর্যায়-২) (প্রথম সংশোধিত)’ অতিরিক্ত ব্যয়ে ৯৫৩ কোটি টাকা (এখন খরচ ৪ হাজার ৪১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা); ‘বাংলাদেশ আঞ্চলিক সংযোগ প্রকল্প-১ শেওলা, রামগড় ও ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর উন্নয়ন এবং বেনাপোল স্থলবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ (২য় সংশোধিত)’ অতিরিক্ত ব্যয়ে ২৩৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা (বর্তমানে ৯৬৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা); ‘সাতক্ষীরা রোড ও সিটি বাইপাস রোডের সংযোগকারী সংযোগ সড়কসহ তিনটি সংযোগ সড়ক নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ অতিরিক্ত ব্যয় ৩২৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা (বর্তমানে ৭১৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা); ‘চট্টগ্রাম সিটি আউটার রিং রোড (৪র্থ সংশোধিত)’ অতিরিক্ত ব্যয় ৬৪৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা (বর্তমানে ৩ হাজার ৩২৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা); ২৫৩ কোটি ৮১ লাখ টাকার অতিরিক্ত ব্যয়ে ‘ডিজিএফআই’স টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড আইসিটি অবকাঠামো, মানবসম্পদ ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বিল্ডিং (টিআইএইচডিটিসিবি) (দ্বিতীয় সংশোধিত)’ (এখন খরচ ১ হাজার ৫২১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা); ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ৩য় ও ৪র্থ ডুয়েলগেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েল-গেজ ডাবল লাইন নির্মাণ (২য় সংশোধিত)’ অতিরিক্ত ব্যয় ২ হাজার ২৩৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা (বর্তমানে ৩ হাজার ৩৪২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা); এবং ২০ কোটি ৭৯ লাখ টাকা (এখন খরচ ২৩৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা) খরচ কমিয়ে জাতীয় উন্নয়ন প্রশাসন একাডেমি (তৃতীয় সংশোধিত) স্থাপন।
আরও পড়ুন: একনেকে ১৩,৬৫৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন
একনেকে ৪২৫২.৬৬ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন
১ বছর আগে
একনেকে ১২ প্রকল্পের অনুমোদন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) মঙ্গলবার পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণব্যয় ২৪১২ দশমিক ১৩ কোটি টাকা বাড়ানো এবং ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ানোর জন্য সংশোধিত একটিসহ মোট ১২টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে।
১২টি প্রকল্পের মোট আনুমানিক ব্যয় ১৯ হাজার ৫৯৮ দশমিক ৮৪ কোটি টাকা। এখানে শুধুমাত্র চারটি সংশোধিত প্রকল্পের অতিরিক্ত ব্যয় হিসেব করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এলাকায় এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আজকের বৈঠকের আগে মোট ১৫টি প্রকল্প রাখা হয়েছিল। এর মধ্যে ১২টি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে এবং দুটি স্থগিত করা হয়েছে। আর বাকি একটির সময় বাড়ানো হয়েছে।’
অনুমোদিত ১২টি প্রকল্পের মধ্যে ৮টি নতুন এবং বাকি চারটি সংশোধিত প্রকল্প।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা সচিব সত্যজিৎ কর্মকার জানিয়েছেন, মোট আনুমানিক ব্যয়ের মধ্যে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে বিদেশি উৎস থেকে ১৩ হাজার ২০৩ দশমিক ৬৬ কোটি টাকা আসবে, এবং ৬ হাজার ২৬০ দশমিক ৭২ কোটি টাকা জিওবি তহবিল থেকে এবং বাকি ১৩৪ দশমিক ৪৬ কোটি টাকা সংশ্লিষ্ট সংস্থার তহবিল থেকে।
আরও পড়ুন: একনেকে ১৩,৬৫৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন
পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়া বলেন, ভ্যাটের হার ১০ শতাংশ থেকে বেড়ে এখন ১৫ শতাংশ হয়েছে। পাশাপাশি নদী শাসনের জন্য নির্মাণ সামগ্রীর দাম এবং ডলারের দাম বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রকল্পের তথ্যপত্রে বলা হয়েছে যে পদ্মা সেতু প্রকল্পের মূল কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। কিন্তু এখন বাকি আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করতে এবং ঠিকাদারদের বকেয়া পরিশোধের জন্য প্রকল্পের সংশোধন প্রয়োজন। তাই এ বিবেচনায় প্রকল্প অনুমোদন করা যেতে পারে।
ব্যয়ের পরিপ্রেক্ষিতে একনেক সভায় অনুমোদিত সবচেয়ে বড় তিনটি নতুন প্রকল্প হলো- ‘প্রোগ্রাম অন অ্যাগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রিনিউরশিপ অ্যান্ড রেজিল্যান্স ইন বাংলাদেশ’, যার আনুমানিক ব্যয় ৬ হাজার ৯১০ দশমিক ৯৪ কোটি টাকা; ৪ হাজার ৯৮৮ দশমিক ১৪ কোটি টাকায় ‘বাংলাদেশ রোড সেফটি প্রজেক্ট’; ২ হাজার ৬২০ দশমিক ৭৭ কোটি টাকায় জিটুজি প্রকল্পের ভিত্তিতে ২টি অপরিশোধিত তেল মাদার ট্যাঙ্কার এবং ২টি মাদার বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ সংগ্রহ।
প্রধানত ঐতিহ্যবাহী কৃষি ব্যবস্থাকে বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তর এবং খাদ্যশস্য উৎপাদনে বহুমুখীকরণের লক্ষ্যে ২০২৮ সালের জুনের মধ্যে দেশের ৬৪টি জেলার ৪৯৫টি উপজেলার সকল ইউনিয়নে কৃষি (পার্টনার) প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রকল্পের অন্যান্য প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলো কৃষি পণ্য রপ্তানির জন্য কৃষি উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন এবং জলবায়ু সহনশীল কৃষি-খাদ্য মূল্য-শৃঙ্খল সম্প্রসারণ।
সড়ক দুর্ঘটনা ও ক্ষয়ক্ষতি কমানোর পাশাপাশি সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্পটি ২০২৮ সালের জুনের মধ্যে দেশের সব উপজেলায় বাস্তবায়ন করা হবে।
অন্যান্য নতুন প্রকল্পগুলো হলো ‘ইমপ্রুভিং কম্পিউটার অ্যান্ড সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং টারশিয়ারি এডুকেশন প্রজেক্ট (আইসিএসইটিইপি)’- যার ব্যয় ১ হাজার ২১৯ দশমিক ৮০ কোটি টাকা; বরিশাল জেলার সদর উপজেলার চরকাউয়া, চাঁদমারী, জাগুয়া, লামছড়ি ও চরমোনাই এলাকা রক্ষার জন্য কীর্তনখোলা নদী ভাঙন (পর্যায়-১) থেকে ৫১২ দশমিক ৯২ কোটি টাকায় প্রকল্প; ৩ হাজার ৮০৭ কোটি টাকায় ‘এস্টাব্লিশমেন্ট অব ইনস্টিটিউট অব ন্যানোটেকনোলজি (সাভার)’; ৭৬ দশমিক ০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বিল্ডিং ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট লাইভলিহুডস ইন দ্য ভালনারেবল ল্যান্ডস্কেপস ইন বাংলাদেশ (বিসিআরএল) প্রজেক্ট’ এবং ৫৯ দশমিক ০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘সেফার সাইবারস্পেস ফর ডিজিটাল বাংলাদেশ: এনহ্যান্সিং ন্যাশনাল অ্যান্ড রিজিওনাল ডিজিটাল ইনভেস্টিগেশন ক্যাপাবিলিটি অব বাংলাদেশ পুলিশ প্রোজেক্ট’।
অন্য তিনটি সংশোধিত প্রকল্প হলো- "কন্সট্রাকশন অব ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ডুয়েলগেজ রেলওয়ে লাইন ইন প্যারালাল টু দ্য এক্সিসটিং মিটারগেজ রেলওয়ে লাইন (১ম সংশোধিত)’, যার অতিরিক্ত ব্যয় ২৭৯ দশমিক ৬৯ কোটি টাকা (বর্তমানে ব্যয় ৬৫৮ দমমিক ৩৫ কোটি টাকা); ‘রিকন্সট্রাকশন অব ময়মনসিংহ সেন্ট্রাল জেল (সংশোধিত) প্রজেক্ট’, অতিরিক্ত ব্যয় ১১২ দশমিক ৫৪ কোটি টাকা (এখন মোট ব্যয় বেড়ে ২৪০ দশমিক ১৫ কোটি টাকা হয়েছে) এবং ‘রিইন্সটলেশন এন্ড ইমপ্রুভমেন্ট অব লেভেল ক্রসিং গেটস অব দ্য ইস্টার্ন রিজিয়ন অব বাংলাদেশ রেলওয়ে (তৃতীয় সংশোধিত), এর অতিরিক্ত ব্যয় ২৫ দশমিক ৯৯ কোটি টাকা (বর্তমানে ১৩০ দশমিক ৫০ কোটি টাকা)।
একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী দেশের কারাগারগুলোতে ভার্চুয়াল কোর্ট পরিচালনার সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগার পুনর্গঠন প্রকল্পের প্রথম সংশোধনী নিয়ে আলোচনাকালে তিনি এ নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: একনেকে ৪২৫২.৬৬ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন
একনেকে ৭ হাজার ১৮ কোটি টাকার ৬ প্রকল্প অনুমোদন
১ বছর আগে
দুর্যোগের ঝুঁকি কমাতে ৪ হাজার ৩২৩ কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে অনুমোদন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) আকস্মিক বন্যাপ্রবণ জনগোষ্ঠী ও নদীর তীরবর্তী মানুষের বন্যা ঝুঁকি হ্রাস করার লক্ষ্যে ৪ হাজার ৩২৩ কোটি টাকার 'রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফর অ্যাডাপটেশন অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি রিডাকশন প্রজেক্ট (রিভার)' অনুমোদন করেছে।
রবিবার রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় আরও সাতটি উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
সভা শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, ‘আজ আটটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে এবং প্রকল্পগুলোর মোট আনুমানিক ব্যয় ১২ হাজার ১৬৭ দশমিক ১৫ কোটি টাকা (এখানে শুধুমাত্র দুটি সংশোধিত প্রকল্পের অতিরিক্ত ব্যয় গণনা করা হয়েছে)।’
তিনি বলেন, মোট অর্থের মধ্যে ৩ হাজার ৯৭ দশমিক ৯১ কোটি টাকা জাতীয় কোষাগার থেকে, ৮ হাজার ৯১২ দশমিক ৭৭ কোটি টাকা বিদেশি উৎস থেকে এবং বাকি ১৫৬ দশমিক ৪৭ কোটি টাকা সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে নেয়া হবে।
অনুমোদিত ৮টি প্রকল্পের মধ্যে ৬টি নতুন প্রকল্প এবং বাকি ২টি সংশোধিত প্রকল্প।
এছাড়া বৈঠকে ব্যয় না বাড়িয়ে আরও চারটি প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর অনুমোদন দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: একনেকে ৭ হাজার ১৮ কোটি টাকার ৬ প্রকল্প অনুমোদন
প্ল্যান্টিং কমিশনের মতে, রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফর অ্যাডাপ্টেশন অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি রিডাকশন প্রজেক্ট (রিভার) ৪ হাজার ৩২৩ দশমিক ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২৮ সালের জুনের মধ্যে ১৪টি জেলার ৭৮টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হবে।
প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে ৪ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা আসবে বহিরাগত উৎস (আইডিএ) থেকে।
রিভার প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল আকস্মিক বন্যাপ্রবণ জনগোষ্ঠী ও নদীর তীরবর্তী মানুষের বন্যা ঝুঁকি হ্রাস করা এবং দুর্যোগ প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়ার সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
মূল প্রকল্পের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে- ৫০০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, ১০০টি সৌরবিদ্যুৎ গ্রিড স্থাপন, প্রায় ২৫০টি মাঠের উচ্চতা হ্রাস করা ও ২৭৫ কিলোমিটার বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র সংযোগ সড়কের উন্নয়ন, ৫০০ মিটার সেতু নির্মাণ, ১ হাজার ৩৩০ মিটার কালভার্ট নির্মাণ, ১১০ কিলোমিটার কমিউনিটি অবকাঠামো সংযোগ সড়ক উন্নয়ন, ১৫টি ল্যান্ডিং স্টেজ স্থাপন, প্রায় ৬ হাজার ৬০০টি সড়কে সোলার লাইট স্থাপন ও প্রায় ১ হাজার ৪০০টি বজ্রপাত-রোধী মেশিন স্থাপন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহাসড়ক চার লেনসহ একনেকে ৬ প্রকল্প অনুমোদন
আরও পাঁচটি নতুন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- অতিরিক্ত ১ হাজার ৪৮ দশমিক ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ট্রান্সমিশন-গ্রিড সম্প্রসারণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প, ১২৮ দশমিক ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে জেন্ডার রেসপনসিভ এন্টারপ্রাইজ ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড টিভিইটি সিস্টেম (প্রগ্রেস), ১ হাজার ৬৮৬ দশমিক ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে শুল্ক আধুনিকায়ন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, ১২ দশমিক ৪৪ কোটি টাকা কর্তন করে ৩য় সংশোধিত নগর টেকসই প্রকল্প (ইউআরপি): প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেশন অ্যান্ড মনিটরিং ইউনিট (পিসিএমইউ), ৩ হাজার ৬৪৪ দশমিক ৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক উন্নয়ন (এসসিআরডি) প্রকল্প, ১হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ময়মনসিংহ জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, ৩৪৭ দশমিক ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মেঘনা-ধোনাগোদা সেচ প্রকল্পের পুনর্বাসন ও নদীর তীর রক্ষা।
দুটি সংশোধিত প্রকল্প হল সাউথ-ওয়েস্টার্ন পাওয়ার ট্রান্সমিশন-গ্রিডের সম্প্রসারণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প যার অতিরিক্ত ব্যয় ১ হাজার ৪৮ দশমিক ৪৭ কোটি টাকা (বর্তমানে মোট ব্যয় ৪ হাজার ৩২২ দশমিক ৩৫ কোটি টাকা বেড়েছে); এবং আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্ট (ইউআরপি): প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেশন অ্যান্ড মনিটরিং ইউনিট (পিসিএমইউ) (তৃতীয় সংশোধিত) যার খরচ কমানো হয়েছে ১২ দশমিক ৪৪ কোটি টাকা (এখন এর খরচ কমে হয়েছে ৩২ দশমিক ৮৬ কোটি টাকা)।
আরও পড়ুন: একনেকে ২ হাজার ২১৭ কোটি টাকার ১০টি প্রকল্প অনুমোদন
১ বছর আগে
অক্টোবরে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি খানিকটা কমে ৮.৯১%
বাংলাদেশের সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি অক্টোবরে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে ৮ দশমিক ৯১ শতাংশে নেমে এসেছে, যা সেপ্টেম্বরে ৯ দশমিক ১ শতাংশ ছিল।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, টাকার অবমূল্যায়নকে ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করা উচিত। কারণ এটি বাজারে মার্কিন ডলারের সরবরাহ বাড়াতে সাহায্য করে।
এক প্রশ্নের জবাবে মান্নান বলেন, আইএমএফ যাই বলুক না কেন বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৫ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি: আগস্টে ৯.৫% শতাংশ, ১২ বছরে সর্বোচ্চ
চলতি বছরের আগস্টে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৫ শতাংশে। অর্থনীতির এই গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল সূচকটি গত ১২ বছরের মধ্যে আগস্টে সর্বোচ্চ ছিল।
২০১০-১১ অর্থবছরে দেশের গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ দশমিক ৯২ শতাংশ। এরপর এই সূচক ৯ শতাংশের ওপরে ওঠেনি।
আন্তর্জাতিক বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে কয়েক মাস ধরে দেশে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির প্রবণতা ছিল।
৫ আগস্ট জ্বালানি তেলের দাম ৪২ থেকে ৫১ শতাংশ বাড়িয়েছে সরকার। ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ৩৪ টাকা, অকটেনের দাম ৪৬ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ৪৪ টাকা বেড়েছে।
জ্বালানির দাম বৃদ্ধির এই রেকর্ড মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব ফেলেছে।
আরও পড়ুন: সহিংসতায় দ্রব্যমূল্য ও মূল্যস্ফীতি কমানো যাবে না: পরিকল্পনামন্ত্রী
জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি কমে ৭.৪৮ শতাংশ: বিবিএস
২ বছর আগে
একনেকে ৭ হাজার ১৮ কোটি টাকার ৬ প্রকল্প অনুমোদন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) মঙ্গলবার ঢাকায় ৮৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি খাল সংস্কারসহ ছয়টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে।
এই প্রকল্পের আওতায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অধীনে কালুনগর, জিরানী, মান্দা ও শ্যামনগর-এর প্রায় ২০ কিলোমিটার চারটি খাল পুনরুদ্ধার করা হবে জলাবদ্ধতা নিরসনে এবং সৌন্দর্য বর্ধনের মাধ্যমে পরিবেশের উন্নয়নে।
এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। একনেক চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
সভা শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘কমিটি পাঁচটি নতুন প্রকল্প এবং একটি সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন করেছে। সংশোধিত প্রকল্পসহ ছয়টি প্রকল্পের মোট আনুমানিক ব্যয় প্রায় সাত হাজার ১৮ দশমিক ৭৩ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, এর মধ্যে সরকারের তহবিল থেকে চার হাজার ৩৬২ দশমিক ৬৩ কোটি টাকা, সংশ্লিষ্ট সংস্থার তহবিল থেকে ২৬৯ দশমিক ৬২ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ হিসাবে দুই হাজার ৩৮৬ দশমিক ৪৮ কোটি টাকা বহিরাগত উৎস থেকে সংগ্রহ করা হবে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহাসড়ক চার লেনসহ একনেকে ৬ প্রকল্প অনুমোদন
একনেক ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সার প্রকল্পের প্রথম সংশোধনী অনুমোদন করেছে, যার ব্যয় ১০ হাজার ৪৬০ দশমিক ৯১ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার ৫০০ দশমিক ২১ কোটি টাকা হয়েছে এবং প্রকল্পের সময়সীমা ২০২২ সালের জুন থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
প্রকল্পের তথ্যপত্র অনুযায়ী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ৮৯৮ দশমিক ৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি খালের ১৯ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার পুনরুদ্ধার বা সংস্কারের জন্য ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে ‘খাল পুনরুদ্ধার ও সংস্কার এবং নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি’- শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
এর মধ্যে ৬২৯ কোটি ১১ লাখ টাকা সরকারি তহবিল থেকে এবং বাকি ২৬৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা দেবে ডিএসসিসি।
প্রকল্পের আওতায় মান্ডা খালের আট দশমিক ৯ কিলোমিটার (দুই লাখ ১৭ হাজার ৫০০ বর্গমিটার), শ্যামনগর খালের চার দশমিক ৭৮ কিলোমিটার (৫৭ হাজার ৩৬০ বর্গমিটার), জিরানী খালের তিন দশমিক ৯ কিলোমিটার (৭৮ হাজার বর্গমিটার) এবং কালুনগর খালের দুই দশমিক চার কিলোমিটার (২৮ দশমিক ৮০ বর্গমিটার) খাল পুনরুদ্ধার বা সংস্কার করা হবে।
প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে- খাল পরিষ্কার করা, পলি অপসারণ, ঢাল সুরক্ষা ও নিষ্কাশন কাঠামো নির্মাণ, ল্যান্ডস্কেপ তৈরি করা এবং সংশ্লিষ্ট এলাকা সবুজায়ন।
এছাড়া প্রকল্পের অধীনে নাগরিক সুবিধার জন্য ৩৮ দশমিক ছয় কিলোমিটার চোখ ধাঁধানো সুরক্ষা দেয়াল, ৩৬টি পথচারী সেতু, গাড়ি চলাচলের জন্য ১৯টি সেতু, ১০টি পাবলিক টয়লেট, ৩২ দশমিক ৪৪ কিলোমিটার হাঁটার পথ, চারটি প্লাজা ও সাইকেল লেন স্থাপন করা হবে এবং নান্দনিক ও মনোরম পরিবেশ সৃষ্টির জন্য ৭৭১টি বাতি স্থাপন করা হবে।
অন্য চারটি প্রকল্প হলো- ৫৯ দশমিক ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘সীমান্ত হোস্টেল কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ’ (চট্টগ্রামের সল্টগোলায়); ১২২ দশমিক তিন কোটি টাকায় ‘ইন্টারডাকশন অব ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম (আইটিএস)’ (মুন্সিগঞ্জের কেরানীগঞ্জ ও শ্রীনগর উপজেলায়) দ্বারা বাংলাদেশের জাতীয় মহাসড়ক করিডোরগুলিতে নির্ভরযোগ্যতা ও নিরাপত্তার উন্নতি করা; ৩৪৭ দশমিক চার কোটি টাকায় ‘ঘোনাপাড়া থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার পর্যন্ত রাস্তাটি (শেখ লুৎফর রহমান সেতুর অ্যাপ্রোচসহ) যথাযথ মান ও প্রস্থে উন্নীতকরণ’; এবং ৫৫২ দশমিক ৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলায় পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে নদীর তীর রক্ষা।
আরও পড়ুন: একনেকে ২ হাজার ২১৭ কোটি টাকার ১০টি প্রকল্প অনুমোদন
নারীদের আইটি দক্ষতা বাড়াতে ২৫০ কোটি টাকার একনেক প্রকল্প অনুমোদন
২ বছর আগে
একনেকে ৫ হাজার ৮২৬ কোটি টাকার ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) পাঁচ হাজার ৮২৬ কোটি টাকার মোট ১১টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করেছে।
শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।
মঙ্গলবার এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এতে যোগ দেন।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা তিনটি সংশোধিত প্রকল্পসহ ১১টি প্রকল্প অনুমোদন করেছি।’ প্রকল্পগুলোর সামগ্রিক আনুমানিক ব্যয় পাঁচ হাজার ৮২৫ দশমিক ৭৫ কোটি টাকা (সংশোধিত প্রকল্পের অতিরিক্ত ব্যয়সহ)।
মোট ব্যয়ের মধ্যে তিন হাজার ৯৬৩ দশমিক ৩৮ কোটি টাকা অর্থায়ন করা হবে সরকারের তহবিল থেকে, এক হাজার ২২০ দশমিক ৪৬ কোটি টাকা আসবে সংশ্লিষ্ট সংস্থার তহবিল থেকে এবং বাকি ৬৪১ দশমিক ৯০ কোটি টাকা বৈদেশিক উৎস থেকে আসবে।
প্রকল্পগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় তিনটি প্রকল্প; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের অন্য দুটি; নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ডাক, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের একটি করে প্রকল্প দিয়েছে।
আরও পড়ুন: নারীদের আইটি দক্ষতা বাড়াতে ২৫০ কোটি টাকার একনেক প্রকল্প অনুমোদন
ব্যয়ের নিরিখে তিনটি বৃহত্তম নতুন প্রকল্প হল- শেরপুর (কানাসাখোলা)-ভীমগঞ্জ-নারায়ণখোলা-পরাণগঞ্জ-ময়মনসিংহ (রহমতপুর) সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প; যার ব্যয় এক হাজার ৮৪২ কোটি টাকা; এক হাজার ১১৫ কোটি টাকায় শেখ কামাল আইটি প্রশিক্ষণ ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন (১৪টি); এবং বিআরইবি (ফেজ-১) প্রকল্পে বিদ্যমান ৩৩/১১কেভি কাঠের খুঁটি মাউন্টেড সাবস্টেশনগুলোর সংস্কার ও আধুনিকীকরণ; যার আনুমানিক ব্যয় ৬৮০ কোটি টাকা।
অন্য পাঁচটি নতুন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- ২৪১ কোটি টাকায় নেসকো এলাকায় স্মার্ট ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম বাস্তবায়ন; ১৯৯ কোটি টাকায় শেখ জহুরুল হক পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, যশোর প্রতিষ্ঠাকরণ; ৩৪২ কোটি টাকায় মিঠামইন উপজেলার ঘোড়াউতরা, বোলাই-শ্রীগাং নদীর অংশবিশেষ ও ইটনা উপজেলার ধনু নদী, নামাকুড়া নদী এবং অষ্টগ্রাম উপজেলার ধলেশ্বরী নদীর অংশ বিশেষের নাব্যতা উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার।
৬৫ কোটি টাকায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অস্ত্রাগার নির্মাণ (প্রথম পর্যায়ে ৪০টি) প্রকল্প; এবং দিনাজপুর সড়ক বিভাগাধীন হিলি (স্থলবন্দর)-ডুগডুগি-ঘোড়াঘাট জাতীয় মহাসড়কের যথাযথ মানে উন্নীতকরণসহ ৩টি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বিদ্যমান সরু/জরাজীর্ণ কালভার্ট পুনঃনির্মাণ এবং বাজার অংশে রিজিড পেভমেন্ট ও ড্রেন নির্মাণ’ প্রকল্প এবং দিনাজপুরের বাজার এলাকায় রাস্তার জন্য পাকা ফুটপাত ও ড্রেনেজ নির্মাণ প্রকল্পে ৪৬৪ কোটি টাকা।
তিনটি সংশোধিত প্রকল্প হল- ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপ লাইন (৩য় সংশোধিত)’ প্রকল্প, যার অতিরিক্ত ব্যয় ৫৫৬ কোটি টাকা (দ্বিতীয় সংশোধনে ছয় হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা থেকে এখন ব্যয় দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ১২৫ কোটি টাকা); লোকাল গভর্নমেন্ট ইনিশিয়েটিভ অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (লজিক) (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পের অতিরিক্ত ব্যয় ১৩৭ কোটি টাকা (মূল বিন্যাসে ১৬৭ কোটি টাকা থেকে ব্যয় বেড়ে ৩০৪ কোটি টাকা হয়েছে) এবং ১৮৪ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয়ে একশটি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপন (২য় সংশোধিত) প্রকল্প (প্রথম সংশোধনে দুই হাজার ৩৩৬ কোটি টাকা থেকে খরচ বেড়ে দুই হাজার ৫২০ কোটি টাকা হয়েছে)।
আরও পড়ুন: ১২ হাজার ১৭ কোটি টাকার ১২টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে একনেক
একনেকে চতুর্থ এইচপিএনএসপি প্রকল্পের ব্যয় বাড়ল ৩০ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা
২ বছর আগে
চসিকের উন্নয়নে একনেকে ২৪৯০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) যানজট নিরসন ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন সড়ক ও অবকাঠামো উন্নয়নে দুই হাজার ৪৯০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। এ ছাড়া এ সভায় আরও ৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।
মঙ্গলবার একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এসব অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষ থেকে যোগ দেন।
সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আজকের সভায় সাতটি সংশোধিতসহ ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে এবং প্রকল্পগুলোর মোট আনুমানিক ব্যয় ১১ হাজার ২১১ দশমিক ৪৪ কোটি টাকা।’
আরও পড়ুন: সিলেটের চার লেন প্রকল্প একনেকে অনুমোদন
এত প্রকল্প সংশোধনের বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে কিছু বাস্তবিক সমস্যা রয়েছে যা প্রজেক্ট বাস্তবায়নে বিলম্ব করছে।
সমস্যার বর্ণনা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে প্রকল্প সংশোধনের পেছনের কোভিড-১৯ মহামারি, প্রকল্প সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি, জমি অধিগ্রহণ জটিলতা ও বিদেশি তহবিল ছাড়ে বিলম্ব, এসব কারণ রয়েছে।
২ বছর আগে
ডিজিটাল অর্থনীতি গড়তে একনেকে ২৫৪২ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
বাংলাদেশকে ডিজিটাল অর্থনীতিতে পরিণত করার লক্ষ্যে দুই হাজার ৫৪১ দশমিক ৬৪ কোটি টাকার বিশাল অঙ্কের ‘এনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই)’ নামে প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের অধীনে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পের দুই হাজার ৫০৭ দশমিক ০৫ কোটি টাকা বিশ্বব্যাংক ও ৩৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা সরকার অর্থায়ন করবে।
মঙ্গলবার একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় আটটি মন্ত্রণালয়ের ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: গ্রামে ৫জি সম্প্রসারণসহ একনেকে ১০ প্রকল্পের অনুমোদন
২ বছর আগে