৫০ বছর
‘৫০ বছরে ফটিকছড়িতে এমন বন্যা দেখিনি’
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত চট্টগ্রামের ফটিকছড়িবাসী। বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জেলার সবচেয়ে বড় উপজেলাটি। দুই দিন ধরে পানির নিচে শত শত বাড়িঘর, ফসলি জমি, হাটবাজার ও দোকানপাট। এছাড়া চরম দুর্ভোগে আছেন উপজেলার ২ লাখ মানুষ।
এদিকে বন্যাকবলিতদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খোলা রাখা হয়েছে। এছাড়া পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।
আরও পড়ুন: বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে 'দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সহায়তা সমন্বয় সেল' গঠন
জানা গেছে, টানা বর্ষণে হালদা নদী, সর্তা খাল, ধুরুং খাল, ফটিকছড়ি খাল, মন্দাকিনী খাল, গজারিয়া খাল, তেলপারি খাল, কুতুবছড়ি খাল, লেলাং খালসহ বিভিন্ন খালের বাঁধ ভেঙে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে বন্যার পানিতে ডুবে আছে চট্টগ্রাম-খাগগাছড়ি, গহিরা-হেঁয়াকো, নাজিরহাট-কাজিরহাট, কাটিরহাট-সমিতিরহাট-আজাদীবাজারসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও গ্রামীণ সড়ক। এছাড়া তলিয়ে গেছে হাজার হাজার একর রোপা আমন, পুকুর, মাছের প্রজেক্ট, পোল্টি ফার্ম।
অন্যদিকে হাটবাজারে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। বিবিরহাট বাজার, নারায়ণহাট বাজার, মির্জাহাট বাজার, দাঁতমারা শান্তিরহাট বাজারে পানি ওঠায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে অনেককে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া হালদা, ধুরুং সর্তাসহ সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যার পানি থেকে রক্ষা পেতে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ গৃহছাড়া হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে গেছেন। কোনো কোনো এলাকায় গ্রামীণ অবকাঠামো নষ্ট হয়েছে। তবে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকাল থেকে বন্যার পানি সীমিত আকারে কমতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: বন্যায় ১৩ জনের মৃত্যু, ১১ জেলায় ৪৪ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
বন্যার্তরা জানান, গত ৫০ বছরেও ফটিকছড়িবাসী যেসব এলাকায় পানি উঠতে দেখেননি, সেসব এলাকা অন্তত ৫ থেকে ৭ ফুট পানির নিচে আছে। বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও পুরোপুরি নামতে কত সময় লাগে সেটাই দেখার অপেক্ষা।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বন্যার পানিতে উপজেলার পূর্ব সুয়াবিল, পশ্চিম সুয়াবিল, নাজিরহাট পৌরসভা, পাইন্দং, ভুজপুর, হারুয়ালছড়ি, শোভনছড়ি, সমিতির হাট, বাগানবাজার, হেঁয়াকো, নারায়ণহাট ও সুন্দরপুর এলাকার অন্তত লক্ষাধিক মানুষের বাড়িঘর ডুবে আছে।
সুয়াবিল ইউনিয়নের নাসির উদ্দিন বলেন, ‘৫০ বছরের ইতিহাসে আমরা এমন বন্যা দেখিনি। দুই দিন ধরে বাড়িঘর ৮ থেকে ১০ ফুট পানির নিচে আছে। শত শত পরিবার উঁচু স্থান ও বহুতল ভবনে আশ্রয় নিয়েছে।’
নাজিরহাট পৌরসভার বাসিন্দা দুলাল হোসেন বলেন, ‘আমরা ভয়াবহ বিপর্যস্ত অবস্থায় আছি। বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে মানবিক সহায়তা প্রয়োজন।’
ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হয়েছে ফটিকছড়ি। গত বৃহস্পতিবার বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার পর থেকে উপজেলা প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকরা বন্যাকবলিতদের উদ্ধার, নিরাপদ আশ্রয় ও খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুক্রবার সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। আজকের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করছি। পানি নেমে গেলেও দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে থেকে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।’
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে ২ হাজার জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে সেনাবাহিনী
২ মাস আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ৫০ বছর উদযাপন জাইকার
জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) বাংলাদেশের সঙ্গে নিজেদের অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে।
এই মাইলফলককে স্মরণীয় করে রাখতে সোমবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।
আরও পড়ুন: জাইকার সহায়তায় প্রণীত হলো ডায়াবেটিস মেলিটাস সংক্রান্ত জাতীয় নির্দেশিকা
জাইকার এ অংশীদারিত্বের যাত্রায় শক্তিশালী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ও বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখার ক্ষেত্রে অব্যাহত প্রতিশ্রুতির বিষয়গুলো উঠে আসে।
বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন অংশীদার জাপান। জাইকার মাধ্যমে গত পাঁচ দশকে এই অংশীদারিত্ব আরও বিকশিত ও শক্তিশালী হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের উন্নয়নের চিত্রকে বাস্তবে রূপদান করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জাইকা সদর দপ্তরের সাউথ এশিয়া ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর জেনারেল ইতো তেরুয়ুকি এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব শরিফা খান।
এসময় জাইকার অতিথিদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে।
এছাড়া, অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন সংস্থার প্রধান ও উন্নয়ন সহযোগীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এখন পর্যন্ত অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসটেন্স (ওডিএ) লোন হিসেবে তিন হাজার ২৮৫ বিলিয়ন জাপানি ইয়েন (প্রায় ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার), ২০২২ সাল পর্যন্ত অনুদান সহায়তা (গ্র্যান্ট এইড) হিসেবে ১৪৪ বিলিয়ন জাপানি ইয়েন (প্রায় ৯৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার), ২০২২ সাল পর্যন্ত টেকনিক্যাল কোঅপারেশনের জন্য ১০৪ বিলিয়ন জাপানি ইয়েন (প্রায় ৬৯৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) এবং লোন ও ইক্যুইটি হিসেবে এখন পর্যন্ত প্রাইভেট সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট ফাইন্যান্সের জন্য ২৫ বিলিয়ন জাপানি ইয়েন (প্রায় ১৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) দেওয়া হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি ১৪ হাজারেরও বেশি সরকারি কর্মীর প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে এবং এক হাজার ২৮৬ জন জাপানিজ ওভারসিজ কোঅপারেশন ভলান্টিয়ার্সকে দেশে নিযুক্ত করেছে।
এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমাদের দেশসহ সারা বিশ্বের জন্য আদর্শ উদাহরণ জাপান। জাইকা ও জাপানের সহযোগিতায় আমাদের কমিউনিটির বিকাশ ও উন্নয়ন সাধিত হবে। জাপান আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু; এই অংশীদারিত্ব আমাদের দেশের লক্ষ্যপূরণে সহায়তা করবে বলে আশাবাদী আমরা।’
বাংলাদেশ ও জাপানের অসামান্য বন্ধুত্বের উপর গুরুত্বারোপ করে জাইকার চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে বলেন, ‘৫০ বছরের এই যাত্রার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু হিসেবে টেকনিকেল কো-অপারেশন, রেয়াতি ঋণ (কনসেশনাল লোন), অনুদান সহায়তা (গ্র্যান্ট এইড), স্বেচ্ছাসেবী ও বিভিন্ন পদ্ধতিতে বহু খাতে সহযোগিতা করেছে জাইকা। সবসময় সরকারি কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো এবং বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যকার শক্তিশালী বন্ধুত্ব গড়ে তোলাই ছিল জাইকার লক্ষ্য।’
আরও পড়ুন: নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তাদের মাঝে জাইকার পৃষ্ঠপোষকতায় ট্যাব বিতরণ
দেশে জাইকা’র সহযোগিতায় সম্পন্ন হওয়া গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর উপর আলোকপাত করে জাইকা সদরদপ্তরের সাউথ এশিয়া ডিভিশনের ডিরেক্টর জেনারেল ইতো তেরুয়ুকি বলেন, ‘জাইকা সর্বমোট তিন ট্রিলিয়ন জাপানি ইয়েনেরও বেশি সহযোগিতা প্রদান করেছে, যার অর্থমূল্য প্রায় ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বে আমাদের শীর্ষ তিন ঋণগ্রহীতা দেশের একটি।’
এ বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব শরিফা খান বলেন, ‘গত ৫০ বছরের মধ্যে জাপানের সহযোগিতা বাংলাদেশের সর্বত্র পৌঁছে গেছে। দেশের ১৫টি খাতের সবগুলোতে জাপানের অংশগ্রহণ রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগী জাপান। দেশের উন্নয়নে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে জাইকা অত্যন্ত ইতিবাচক ও সহযোগিতাপরায়ণ। তাই গত ৫০ বছরে সবধরনের সহযোগিতার জন্য জাপান সরকারের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।’
বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদী ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করেছে এমন উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরসহ মহেশখালী-মাতারবাড়ি ইন্টেগ্রেটেড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ, তিনটি ঢাকা মেট্রো লাইনের জন্য ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প, দ্বিতীয় কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতী সেতু নির্মাণ প্রকল্প, আড়াইহাজারে বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য প্রকল্প এবং ব্রিজেস রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন প্রজেক্টস।
জাইকার ৫০ বছরের এই সহযোগিতার মধ্যে আরও রয়েছে- শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন, সুশাসনের বিকাশ, বেসরকারি খাতের উন্নয়ন, দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমন, পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন, কঠিন (সলিড) বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি।
বাংলাদেশে জাইকার ৫০ বছরপূর্তি উদযাপন কেবলমাত্র অতীতের স্মৃতিচারণ নয়; বরং বাংলাদেশের মানুষের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার অংশ।
এটি দীর্ঘ প্রতিকূলতার মধ্যেও টিকে থাকা অংশীদারিত্বের শক্তি এবং আগামীর দিনগুলোতে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাইকার সেমিনার অনুষ্ঠিত
১১ মাস আগে
৫০ বছর পূর্তিতে সোলসের পঞ্চম গান ‘হাওয়াই মিঠাই’
দেশের ঐতিহ্যবাহী ব্যান্ডদল সোলস ৫০ বছর পূর্তিতে ৫০টি গান প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছিল। এরই ধারবাহিকতায় ১৩ সেপ্টেম্বর পঞ্চম গান প্রকাশ করেছে সোলসের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে।
গানের শিরোনাম ‘হাওয়াই মিঠাই’।
আরও পড়ুন: অনেকেই বলবেন নেত্রী সিনেমার গল্প 'জাওয়ান' থেকে নেওয়া: বর্ষা
গানটি লিখেছেন ওয়াজীহ্ রাজীব। সুর করেছেন পার্থ বড়ুয়া। এটি আড্ডাবাজি পর্বের দ্বিতীয় গান।
গানটি প্রসঙ্গে পার্থ বড়ুয়া গণমাধ্যমে বলেন, ‘গতবার সোলস অস্ট্রেলিয়া ট্যুরের সময় মেলবোর্নে গানটি করেছি। গানটির গীতিকার ওয়াজীহ্ রাজীব এর বাসায় যাওয়ার পর, ওর বাসায় বসেই গানটির সুর আরোপ করা হয়। এটি একটি ব্যাতিক্রমী গান হয়েছে’।
বর্তমানে সোলস ব্যান্ডদলটি অষ্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছেন। ১৬ সেপ্টেম্বর মেলবোর্ন, ২৩ সেপ্টেম্বর এডিলেড ও ২৪ সেপ্টেম্বর পার্থে কনসার্টে অংশ নিবে সোলস।
এ মাসের শেষের দিকে পুরো টিম দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোলস এরই মধ্যে চারটি গান প্রকাশ করেছে। গানগুলো হলো- সাগরের প্রান্তরে, কিতা ভাইসাব, রিকসা, যদি দেখো।
আরও পড়ুন: ৪৮তম টরন্টো উৎসবে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত
পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান মারা গেছেন
১ বছর আগে
৫০ বছরেও হয়নি সেতু
৫০ বছর ধরে নানা সময় জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দিলেও নড়াইল সদর উপজেলার কাজলা নদীর উপর নির্মাণ করা হয়নি একটি সেতু। ৮০ মিটার প্রশস্ত এ নদীতে কোনো সেতু না থাকায় তিন ইউনিয়নের ৫০ হাজার মানুষ রশি টেনে নৌকার মাধ্যমে নদী পারাপার হচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নড়াইল শহর থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে মুলিয়া বাজার। এ বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে কাজলা নদী।
প্রতিদিন এই নদী পার হয়ে মুলিয়া বাজার ও নড়াইল শহরে আসা-যাওয়া করতে হয় মুলিয়া, শেখহাটি, তুলারামপুর ইউনিয়নের অন্তত ৫০ হাজার মানুষকে। একটি মাত্র নৌকা দিয়ে এপার-ওপার রশি বেঁধে সেই রশি টেনে পার হতে হয় নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষের।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে বৃহস্পতিবার
বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা নদীতে সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে এলাকাবাসী পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। শুধু আসা-যাওয়ার সমস্যাই নয় ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি পণ্যসহ আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
মুলিয়া গ্রামের সুজিত বিশ্বাস বলেন, মুলিয়া বাজার থেকে নড়াইল শহরের দূরত্ব মাত্র ৫ কিলোমিটার হলেও সেতু না থাকায় ১৫-১৬ কিলোমিটার ঘুরে শহরে আসতে হয়। বারবার আশ্বাস দিলেও কেন সেতু নির্মাণ হচ্ছে না, এটা বুঝতে পারছি না।
দেবভোগ গ্রামের রেমো শীল জানান, সারা জীবন আমাদের বাবা-দাদারা রশি টেনে নৌকা দিয়ে নদী পার হয়েছেন। এখন আমরাও রশি টেনে পার হই। এই দুর্ভোগ যে কবে শেষ হবে, সেটা কেউ বলতে পারে না।
একই এলাকার রমেশ সাহা বলেন, সেতু না থাকায় বেশি দুর্ভোগে পড়তে হয় রোগীদের। ঘাটে নৌকার জন্য অপেক্ষা করে পার হতে দেরি হওয়া গর্ভবতী মায়ের মৃত্যুও হয়েছে এই ঘাটে।
পানতিতা গ্রামের সবুজ বিশ্বাস বলেন, রাত ১০টা বাজলে ভোগান্তি বাড়ে। তখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাটে এসে নৌকার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। ওই পার থেকে কেউ এলে তারপর নৌকা পাওয়া যায়।
ব্যবসায়ী রতন হালদার বলেন, সেতু না থাকায় প্রতি ট্রাক মাল আনতে ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা বেশি দিতে হয়। ২০ বছর ধরে শুনে আসছি এই নদীতে সেতু হবে। কিন্তু বাস্তবে সেতু নির্মাণের কোনো আলামত দেখছি না। সেতু না থাকায় আমার মতো শত শত ব্যবসায়ী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ৩ মাসের জন্য বন্ধ হয়ে গেল কালুরঘাট সেতু
১ বছর আগে
৫০ বছর পর ৭৫ শতাংশ জমি ফিরে পেল বাংলাদেশ
নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদিগুন সীমান্তে প্রায় ৫০ বছরের বিবাদ নিষ্পত্তির পর ৭৫ শতাংশ জমির মালিকানা পেয়েছে বাংলাদেশ। এ উপলক্ষে সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর মধ্যে কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে ধামইরহাট সীমান্তে আগ্রাদ্বিগুন ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর ফুটবল মাঠে এ বৈঠকের পর জমির মালিকানা পেয়েছে বাংলাদেশে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ১৪ বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদিগুন সীমান্তে ২৫৭/২০ আর পিলারে কাছে জমি নিয়ে বিজিবির সঙ্গে বিএসএফের দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। আর জমিটি বাংলাদেশের ১০০ গজ অভ্যন্তরে হওয়ায় সেখানে বাংলাদেশের কৃষকরা চাষাবাদ করে আসছিলো। বিরোধ নিষ্পত্তি করতে বিজিবির সঙ্গে বিএসএফের পতাকা বৈঠকের আহ্বান করা হয়। এতে সাড়া দেয় বিএসএফ।
বুধবার বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত পত্নীতলা ব্যাটালিয়ন (১৪ বিজিবি) এবং প্রতিপক্ষ ১৬৪ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ আরাদপুরের মধ্যে সীমান্ত পিলার ২৫৮/৬-এস এর নিকটবর্তী বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আগ্রাদ্বিগুন ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর ফুটবল মাঠে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে মৃত সুলতানার সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তলব হাইকোর্টের
১ বছর আগে
বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীর ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনে ভারতে গেলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীর ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতে গিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। এদিন সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে নিজে গাড়ি চালিয়ে তিনি ভারতে যান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আগামী ১১ ডিসেম্বর (শনিবার) কলকাতার সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ফিফটি ইয়ার্স অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট অব বাংলাদেশ’ বিষয়ে বক্তব্য দেন। এরপর তিনি বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন, কলকাতা আয়োজিত মেজর (অব) এ. এস. এম শামসুল আরেফীন সম্পাদিত ‘বাংলাদেশ @৫০’ এবং সত্যম রায় চৌধুরী সম্পাদিত ‘বঙ্গবন্ধু ফর ইউ’ বই দুটির মোড়ক উন্মোচন, আলোচনা অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিবেন।
আরও পড়ুন: অভিবাসীদের সুরক্ষায় সরকার সচেষ্ট: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
এতে আরও বলা হয়, ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের সহযোগিতায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কারিগরি শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী হুমায়ূন কবীর।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক ও ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ-এর সভাপতি গৌতম ঘোষ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে লেখক ও গবেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব) এ. এস. এম শামসুল আরেফীন, ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের সহ-সভাপতি সত্যম রায় চৌধুরী, রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সব্যসাচী বসু রায় চৌধুরী, বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ফেলো ড. শ্রীরাধা দত্ত, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননাপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক মানস ঘোষ, কলকাতা প্রেস ক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিষ সূর উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব বাণিজ্যকে সুসংহত করতে হবে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
প্রবাসীদের উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশনা
২ বছর আগে