হাতকড়া
এসআইকে মেরে হাতকড়াসহ পালাল ধর্ষণ মামলার আসামি
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে হাতকড়াসহ পুলিশের হাত থেকে পালিয়েছে ধর্ষণ মামলার আসামি। এ ঘটনায় পরে হাতকড়া উদ্ধার করলেও আসামিকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে যাদুরচর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ধনারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পলাতক আসামি শাহনেওয়াজ আবির রাজু যাদুরচর ইউনিয়নের কাশিয়াবাড়ি গ্রামের আলী আজগরের ছেলে।
পুলিশের দাবি, আসামিকে আটক করে হাতকড়া পরানোর পর তার পরিবারের লোকজন রৌমারী থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আউয়াল হোসেনের ওপর হামলা করলে আসামি হাতকড়াসহ পালিয়ে যায়। আহত এসআইকে রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আসামির বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও মাদক কারবারের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর পরিবারসহ স্থানীয়দের দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে ভীতি প্রদর্শন করার অভিযোগও রয়েছে।
পুলিশ আরও জানায়, রাজুকে আটক করতে সোমবার রাতে এসআই আউয়াল হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল অভিযানে যায়। তাকে আটকের পর হাতকড়াও পরায় পুলিশ। এ সময় রাজু, তার মা ও খালাতো বোন পুলিশের ওপর হামলা করে। ঘটনার একপর্যায়ে এসআই আউয়ালের হাতে সে কামড় দিয়ে হাতকড়াসহ পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এসআই আউয়ালকে উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীক মারধর করে ‘স্বর্ণালংকার ও টাকা’ ছিনতাই
পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে রাজুর মা আবেদা আক্তার রাজিয়া এবং খালাতো বোন রুনা আক্তারকে আটক করে থানায় নিয়েছে পুলিশ। এছাড়া ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে মাদক ও দেশীয় রামদা উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. নবিউল ইসলাম বলেন, ‘একজন পুলিশ সদস্য চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে তার অবস্থা গুরুতর নয়।’
রৌমারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান বলেন, ‘পুলিশের ওপর হামলা করে হাতকড়াসহ পালানো ধর্ষণ মামলার আসামি। পুলিশের অভিযানে হাতকড়া উদ্ধার হলেও, আসামিকে আটক করা যায়নি, তবে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
২৮ দিন আগে
হাতকড়া পরে মায়ের জানাজায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর
হাতকড়া পরে মায়ের জানাজা ও দাফনে অংশ নিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন।
মায়ের মৃত্যুতে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে চার ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পান তিনি। এরপর হাতকড়া পরে পুলিশি পাহারায় মায়ের লাশ কাঁধে নিয়ে কবরস্থানে যান তিনি।
এদিন সকাল ৯টার দিকে জাহাঙ্গীরের মা আলেয়া খাতুন (৭০) নিজ বাড়িতে মারা যান। তিনি চুয়াডাঙ্গা সদরের কেদারগঞ্জের বাসিন্দা ছিলেন।
আরও পড়ুন: যুবদল নেতাকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসা কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
১০৪ দিন আগে
যুবদল নেতাকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসা কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
কারাবন্দি যশোর জেলা যুবদলের সহসভাপতি অসুস্থ আমিনুর রহমানকে চিকিৎসা দেওয়া অবস্থায় হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরানো কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে তাকে ১০ দিনের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
এর আগে রবিবার (৩ ডিসেম্বর) কারাবন্দি যশোর জেলা যুবদলের সহ সভাপতি অসুস্থ মো. আমিনুর রহমানকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় চিকিৎসা দেওয়ার ঘটনার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটের আদেশের জন্য সোমবার দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
আমিনুর রহমানের স্ত্রী রাহাত আরা খানের করা রিটের শুনানি করে আদেশের দিন ধার্য করেন।
রবিবার রাহাত আরা খানের পক্ষে রিটটি দায়ের করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রিটে ওই যুবদল নেতার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুর মামলা: ফখরুলের জামিন আবেদনের শুনানি ৭ ডিসেম্বর
গত ২৯ নভেম্বর ‘ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে যুবদল নেতাকে’- শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনটি হাইকোর্টের নজরে এনে উপস্থাপন করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবী। এসময় স্বপ্রণোদিত আদেশ চাইলে আদেশ দেননি হাইকোর্ট। আদালত বিষয়টি রিট আবেদন হিসেবে দায়ের করতে বলেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ রিটটি করা হয়েছে।
সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, হাসপাতালের মেঝেতে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন এক ব্যক্তি। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দুই পা ভাঁজ করে শুয়ে আছেন। ডান্ডাবেড়ি থাকায় দুই পা সোজা করতে পারছেন না। এক হাতে ঝুলছে হাতকড়া। অন্য হাতে ইনজেকশনের ক্যানোলা। দুই পায়ের মাঝখানে ঝুলছে ক্যাথেটার। রক্তমিশ্রিত প্রস্রাব সেখানে জমা হচ্ছে। ঢাকার কেরাণীগঞ্জ কারাগার থেকে নিয়ে এসে জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ওই ব্যক্তিকে।
তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) ছড়িয়ে পড়ে, যা রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে। ছবির ওই ব্যক্তির নাম আমিনুর রহমান মধু। তিনি যশোর জেলা যুবদলের সহসভাপতি। এ ছাড়া তিনি সদর উপজেলার আমদাবাদ ডিগ্রি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ কলেজশিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্য ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক।
আরও পড়ুন: আমানসহ ৪৫ জনের বিচার শুরু, রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
অসুস্থ আমিনুরের পরিপূর্ণ চিকিৎসায় বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পরিবারের। আর কারা পুলিশের এমন অমানবিক কাণ্ডে মর্মাহত তার পরিবার ও স্বজনরা। এরূপ আচরণ সমীচীন নয় বলে অভিমত জানান আইনজীবীরা।
দলীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ অক্টোবর রাতে যশোর-নড়াইল মহাসড়কে দুটি বাস থেকে ককটেল, লাঠি ও পেট্রোল জব্দের ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ ৮৭ জনকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ। ওই মামলায় আসামি যুবদল নেতা আমিনুর রহমান মধু। এরপর হরতাল–অবরোধে নাশকতার আরও দুই মামলার আসামি হন তিনি। গ্রেপ্তার আতঙ্কে আত্মগোপনে যান। কিন্তু ২ নভেম্বর সদর উপজেলার আমদাবাদ গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত ১২ নভেম্বর যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা অবস্থায় আমিনুর রহমান মধু হৃদরোগে আক্রান্ত হন। কারাগার থেকে তার দুই পায়ে ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়া লাগিয়ে প্রথমে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ওই রাতেই তাকে ঢাকার কেরাণীগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
৪৭৮ দিন আগে
বগুড়ায় আদালত চত্বর থেকে পালিয়ে গেলো আসামি!
বগুড়ায় আদালত চত্বর থেকে হাতকড়া খুলে কৌশলে পালিয়ে গেছে চুরির মামলার আসামি। রবিবার (২১ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে জেলা জজ আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
পালিয়ে যাওয়া আসামি চঞ্চল ইলিয়াস ওরফে ইমরান (৩২) বগুড়া সদর উপজেলার নওদাপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর আলম ওরফে আফজালের ছেলে।
আরও পড়ুন: হাতকড়াসহ আসামি পলায়নের ঘটনায় বরিশালে ২ পুলিশ বরখাস্ত
তার বিরুদ্ধে গাবলতলী মডেল থানায় মোটরসাইকেল চুরির মামলা রয়েছে। শনিবার জেলার গাবতলী উপজেলার চকবোচাই এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরির মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার।
তিনি জানান, ওই আসামির বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় আরও একটি মামলা করা হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, রবিবার দুপুরে গাবতলী থানা থেকে পাঁচ জন আসামি বহনকারী গাড়ী আদালত প্রাঙ্গণে পৌঁছায়। তখন আসামিদের নামানোর পর কোর্ট হাজতে নেওয়ার সময় ইমরান হাতকড়া রেখে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, পুলিশ ওই আসামির পেছনে ধাওয়া করেও তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য জেলা পুলিশের একাধিক দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে।
পুলিশ সুপার জানান, এই ঘটনায় পুলিশ সদস্যদের অবহেলার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অবহেলা থাকলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর মৃত্যু
বগুড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে ২ নারীর মৃত্যু
৬৭৪ দিন আগে
ডাণ্ডাবেড়ি-হাতকড়া পরানোর নীতিমালা করতে কমিটি গঠনে রুল
হাজতিদের ডাণ্ডাবেড়ি ও হাতকড়া পরানোর বিষয়ে যথাযথ নীতিমালা প্রণয়নে কমিটি গঠনের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এছাড়া ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে জানাজায় নিয়ে গাজীপুরের আলী আজম ও শরীয়তপুরের সেলিম রেজাকে কেন ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না, সেটাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি)জনস্বার্থে করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পুলিশের আইজি, কারা মহাপরিদর্শক, ঢাকার জেলা প্রশাসক, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক, গাজীপুরের পুলিশ সুপার, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার, কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং শরিয়তপুরের পালং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যের ডিজিকে সেবা নিশ্চিত করতে বললেন হাইকোর্ট
গণমাধ্যমে প্রকাশিত এসংক্রান্ত কয়েকটি প্রতিবেদন যুক্ত করে এর আগে রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাহমুদ হাসান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
গত ২৪ জানুয়ারি কারাগারে থাকা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিদের প্যারোলে মুক্তি দিয়ে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে জানাজা বা কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে নিয়ে আসার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টের ভিত্তিতে তিনি এ রিট করেন।
গত ২০ ডিসেম্বর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হাতকড়া আর ডাণ্ডাবেড়ি নিয়ে মায়ের জানাজা পড়লেন গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আজম। মায়ের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে জেলা কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে নিজ বাড়ি কালিয়াকৈরের পাবরিয়াচালা এলাকায় জানাজায় উপস্থিত হন তিনি।
১৭ জানুয়ারি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শরীয়তপুরে হাতে হাতকড়া আর পায়ে ডাণ্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় মায়ের জানাজায় অংশ নিলেন সেলিম রেজা নামে ছাত্রদলের এক কেন্দ্রীয় নেতা। মায়ের মৃত্যুতে কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেলেও জানাজার সময় তার হাতকড়া ও ডাণ্ডাবেড়ি খোলা হয়নি।
শরীয়তপুর সদর উপজেলার আনোয়ার হোসেন মুন্সির ছেলে সেলিম রেজা ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক।
গত ৭ ডিসেম্বর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে পুলিশ তাকে আটক করে। এরপর ১০ ডিসেম্বর পল্টন থানার নাশকতার একটি মামলায় সেলিম রেজাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
তিনি গাজীপুরের কাশিমপুরে কেন্দ্রীয় কারাগারের ছিলেন।
আইনজীবী কায়সার কামাল বলেন, এই দুটি ঘটনা উদ্দেশ্যে প্রণোদিত এবং সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আর প্রিজন অ্যাক্ট ১৮৯৪ সালের। এটার পরিবর্তন দরকার। এ কারণে জনস্বার্থে রিট করি। প্রাথমিক শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করেছেন।
এদিকে গত ২২ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের বেআইনিভাবে ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়া পরানো বন্ধ এবং এ সম্পর্কে একটি নীতিমালা করার জন্য সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।
২২ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের ১০ জন আইনজীবীর পক্ষে অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন এ নোটিশ পাঠান।
আরও পড়ুন: বিচারকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার: নীলফামারীর বার সভাপতিহ ৩ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব
সন্তানের অভিভাবক হিসেবে মায়ের স্বীকৃতি দিলেন হাইকোর্ট
৭৮৬ দিন আগে
জানাযার সময় ডাণ্ডাবেড়ি ও হাতকড়া খুলে দেয়া উচিৎ ছিল: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মায়ের জানাযার সময় কালিয়াকৈর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আলী আজমের ডাণ্ডাবেড়ি ও হাতকড়া খুলে দিলে ভালো হতো।
বুধবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এ ঘটনা তুলে ধরে একজন সাংবাদিক তথ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, জানাযার সময় ডাণ্ডাবেড়ি ও হাতকড়া থাকার ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: ব্যস্ত রাস্তায় সমাবেশ দূরভিসন্ধিমূলক: তথ্যমন্ত্রী
তাদের বক্তব্য, সরকার এতটা 'অমানবিক' না হলেও পারতো। জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমি বিষয়টি নিয়ে পর্যবেক্ষণ করেছি।
আমি গাজীপুরের পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। ডাণ্ডাবেড়ি ও হাতকড়া পড়ানো বা না পড়ানো হচ্ছে জেল প্রশাসনের কাজ। সেটি আবার পুলিশের অধীনে নয় এবং একজন আইজি প্রিজন আছেন সেই প্রশাসনের অধীনে। আমাদের পুলিশের যে মহাপরিদর্শক, তাদের অধীনে নয়।
তিনি বলেন, ডাণ্ডাবেড়ি ও হাতকড়া জেল প্রশাসনই পড়ায়। আমি বিষয়টি চেক করেছি, তাকে প্যারোলে কয়েক ঘন্টার জন্য মুক্তি দেয়া হয়েছিল।
এছাড়া কয়েকদিন আগে কয়েকজন জঙ্গি পালিয়ে গেছে। তাদের বিষয়ে যেভাবে সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার ছিল সেটি করা হয়নি বিধায় তদন্তে উঠে এসেছে এবং তারা পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে। এজন্য তারা (গাজীপুরে) অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, আমি এসপি পর্যায়েও কথা বলেছি তারা বিষয়টি জানতেন না। যারা বিএনপি নেতাকে কেরি (বহন) করে এনেছিল, শুধু তারাই জানতেন; অন্যরা কেউ জানতেন না। তবে আমি মনে করি যে জানাযার সময় তার ডাণ্ডাবেড়ি ও হাতকড়া খুলে দিলে ভালো হতো।
রবিবার বিকালে বার্ধক্যজনিত কারণে আলী আজমের মা সাহেরা বেগমের মৃত্যু হয়। মায়ের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে মঙ্গলবার সকালে গাজীপুর জেলা কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে নিজ বাড়ি কালিয়াকৈরের পাবুরিয়াচালা এলাকায় জানাযায় উপস্থিত হন মো. আলী আজম।
স্বজনরা জানান, শেষবার মাকে দেখতে ও মায়ের জানাযা নিজে পড়াতে আইনজীবীর মাধ্যমে সোমবার বিকালে গাজীপুর জেলা প্রশাসক বরাবর প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেন আলী আজম। কিন্তু ওই দিন দাপ্তরিক কাজ শেষ না হওয়ায় মঙ্গলবার তিন ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি মেলে তার। বেলা ১১টায় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। মায়ের দাফন শেষে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। পুরোটা সময় হাতকড়া ও ডাণ্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় ছিলেন তিনি।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অবশ্যই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে সব দলকে নির্বাচনমুখী করা। এটা নির্বাচন কমিশনের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। আমরাও চাই সমস্ত রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। বিএনপিসহ সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে একটি প্রতিযোগিতামূলক, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক-সেটি আমরাও চাই।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না, সেটি একান্তই তাদের নিজস্ব ব্যাপার। সমস্ত কিছু নির্বাচন কমিশন নিশ্চিত করার পরও তারা যদি অংশগ্রহণ না করে তাহলে সেটি একান্তই বিএনপির নিজস্ব ব্যাপার।
তবে একটি কথা আছে, গাধা জল ঘোলা করে খায়। বিএনপি যেমন ১০ তারিখ গাধা জল ঘোলা করে খাওয়ার মতো করে খেয়েছিলেন, নয়াপল্টন অফিসের সামনে থেকে নড়বেন না (সমাবেশ ইস্যুতে), পরে গরুর হাটের ময়দানে গিয়েছেন।
এক্ষেত্রেও আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বিএনপি নির্বাচনে আসবে তাদের দল টিকিয়ে রাখার স্বার্থে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের মুখে রাষ্ট্র সংস্কারের কথা হাস্যকর: তথ্যমন্ত্রী
বুদ্ধিজীবী দিবসে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বিতর্কিত করা হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
৮২৬ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় হাতকড়া খুলে পালানো আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার
চুয়াডাঙ্গায় হাতকড়া খুলে পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে যাওয়ার পাঁচ দিন পর শুক্রবার ঢাকার ধামরাই এলাকা থেকে ডাকাতি মামলার আসামিকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে পুলিশ।
তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় ডাকাতিসহ ১৪টি মামলা রয়েছে।
অভিযুক্ত আজিজুল শেখ গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড় গ্রামের মৃত ফজল শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: বিয়ের আশ্বাসে রোগীকে ধর্ষণের অভিযোগে চিকিৎসক গ্রেপ্তার
পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন জানান, ১৬ অক্টোবর সকালে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে আদালতের হাজত খানায় আসামি আনা হচ্ছিল। গাড়ি থেকে আসামি নামানোর পর কৌশলে হাতকড়া খুলে আজিজুল শেখ পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার ঢাকার ধামরাই এলাকায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে আজিজুল শেখের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। সেদিন সন্ধ্যায় তাকে ধরা হয়।
উল্লেখ্য, ১৬ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে আদালত চত্বর থেকে আসামি পালানোর ঘটনায় ওই দিন দ্বায়িত্ব-কর্তব্য অবহেলার জন্য এক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও দুই কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়। একই সঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ তিনজনকে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটিকে দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার৷
আরও পড়ুন: দুঃশাসন দীর্ঘায়িত করতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাইকারি গ্রেপ্তার করছে সরকার: ফখরুল
বিশ্বজিৎ হত্যা মামলা: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
৮৮৭ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় আদালত চত্বর থেকে হাতকড়া ভেঙে আসামি পালালো!
চুয়াডাঙ্গায় আদালত চত্বর থেকে কৌশলে হাতকড়া ভেঙে এক ডাকাতি মামলার আসামি পালিয়েছে। রবিবার দুপুর ১২ টার দিকে দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আসামি আজিজুল হক (৩৫) গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানার ফজল শেখের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে জেলা কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে আজিজুলসহ কয়েকজনকে কোর্টে নিয়ে আসে। এসময় প্রিজন ভ্যান থেকে কোর্ট পুলিশের কাস্টডিতে নেয়ার সময় কৌশলে হাতকড়া ভেঙে পালিয়ে যায় আজিজুল হক। অনেক খুঁজেও তাকে আর পাওয়া যায়নি।
পালিয়ে যাওয়া আসামির আইনজীবী অ্যাড. সাজ্জাদ হোসেন রকি বলেন, আজ তার মামলার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগার আদালত এসে আদালত চত্বরে কারাগারের গাড়ি থেকে নামার পরপরই হাতের হাতকড়া ভেঙে পালিয়েছে।
বিষয়টি দুঃখজনক বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৪ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আদালত চত্বর থেকে হাতকড়া ভেঙে আজিজুল হক নামে এক আসামি পালিয়েছেন। তার বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়। তিনি ২০১৬ সালের দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি ডাকাতি মামলার আসামি। ইতোমধ্যে জেলা পুলিশের একাধিক দল তাকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।
এ ঘটনায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের কর্তব্যে অবহেলা ছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তারপর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে পুলিশের ওপর হামলা: ৩১২ জনকে আসামি করে মামলা
শর্তে মুক্তি পাওয়া মাদক মামলার ২০ আসামির তালগাছ রোপন
৮৯২ দিন আগে
বিজিবি ক্যাম্প থেকে হাতকড়াসহ পালালেন মাদক ব্যবসায়ী
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার লোহাকুচি বিজিবি ক্যাম্প থেকে এক মাদক ব্যবসায়ী হাতকড়াসহ পালিয়ে গেছেন। শনিবার ভোর ৪টার দিকে লোহাকুচি বিজিবি ক্যাম্প থেকে পালিয়ে যান ওই মাদক কারবারি।
পলাতক মনছুর আলী (৩৫) উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের মালগাড়া এলাকার মৃত ওসমান আলীর ছেলে।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবির অধিনায়ক ল্যাটেনেন্ট কর্নেল তৌহিদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: হিলি থেকে গ্রেপ্তার জেল পালানো আসামি
এলাকাবাসী ও বিজিবি সূত্র জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিজিবি সদস্যরা মনছুর আলী নামে এক মাদক কারবারিকে আড়াই কেজি গাঁজা ও মোটরসাইকেলসহ আটক করেন। পরে তাকে লোহাকুচি বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে যান তারা। কিন্তু শনিবার ভোর ৪টার দিকে ওই ক্যাম্প থেকে হাতকড়া পরিহিত অবস্থায় পালিয়ে যান তিনি। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে আটক করা যায়নি।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবির অধিনায়ক ল্যাটেনেন্ট কর্নেল মো. তৌহিদুল আলম বলেন, পলাতক আসামিকে ধরার চেষ্টা করছে বিজিবি।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলার আসামি ভারতে পালানোর সময় গ্রেপ্তার
শার্শায় পুলিশ ভ্যান থেকে পালানো ৪ আসামিকে ৬ ঘণ্টা পর গ্রেপ্তার
১২০০ দিন আগে