হারনাজ সান্ধু
মুকুট জিতে যেসব সুবিধা পাবেন নতুন মিস ইউনিভার্স
গত ১৩ ডিসেম্বর হয়ে গেল মিস ইউনিভার্স ২০২১ এর ৭০-তম আসর যেখানে গালা রাউন্ডে বিশ্ববাসীর অবাক দৃষ্টির সামনে বহু প্রত্যাশিত মুকুটটি জিতে নিলেন ভারতের চণ্ডীঘরের মেয়ে হারনাজ সান্ধু। এত বড় একটা অর্জন তার সামনে উন্মুক্ত করে দিয়েছে বিস্তর পথ, যেখানে বিগত আসরের মুকুটধারীদের মতই মিস ইউনিভার্স প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে পাবেন ২১ বছর বয়সী হারনাজ। চলুন, জেনে নিই কী কী সুবিধা পেয়ে থাকেন মিস ইউনিভার্সরা।
নতুন মিস ইউনিভার্স কী কী সুবিধা পাচ্ছেন?
সবচেয়ে দামী মুকুট
এবারের বিশ্ব সুন্দরীর মুকুটের মূল্য ৫০ লাখ মার্কিন ডলার বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪২ কোটি ৯২ লাখেরও বেশি, যা এ পর্যন্ত মিস ইউনিভার্স ইভেন্টের সবচেয়ে দামি মুকুট। হারনাজের পূর্বে এই মুকুট পড়েছিলেন মিস ইউনিভার্স ২০১৯ দক্ষিণ আফ্রিকার জোজিবিনি তুঞ্জি ও মিস ইউনিভার্স ২০২০ মেক্সিকোর আন্দ্রেয়া মেজা।
আরও পড়ুন: ঢাকায় অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক স্থাপত্য ও ভাস্কর্য
‘ঐক্যের শক্তি’ স্লোগানের বহুজাতিক অলঙ্কার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মৌওয়াদ ২০১৯ সালে মিস ইউনিভার্স ২০২১ এর জন্য তৈরি করে মুকুটটি। পাপড়ি, পাতা এবং লতার সজ্জায় ১৮-ক্যারেট সোনা এবং ১৭২৫ টি সাদা হীরার বিন্যাস সাতটি মহাদেশ জুড়ে নারীদের পারস্পরিক বন্ধন এবং নেতৃত্বের প্রতিফলক। কেন্দ্রের তিনটি সোনার ক্যানারি রঙের হীরা উচ্চাকাঙ্ক্ষী নারীর প্রতীক বহন করছে।
আকারের দিক থেকে সবচেয়ে ছোট হলেও হীরা ক্যারেট ওজনের দিক থেকে সবচেয়ে বড় এবারের মুকুট। শুধুমাত্র কেন্দ্রের পাথরের ওজনই ৬২.৮৩ ক্যারেট।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের দশটি প্রাচীন মসজিদ: দেশের ঐতিহাসিক স্থাপত্যের নিদর্শন
অর্থ পুরস্কার
২০২১ এর মিস ইউনিভার্স অর্থ পুরস্কার হিসেবে পাচ্ছেন আড়াই লাখ মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় দুই কোটি সাড়ে ১৪ লাখেরও বেশি।
আবাসন সুবিধা
মিস ইউনিভার্স নিউইয়র্ক সিটির অ্যাপার্টমেন্টে পুরো এক বছরের জন্য বসবাস করতে পারেন। তার সাথে মিস আমেরিকাও এই অ্যাপার্টমেন্টটি শেয়ার করেন। এ সময়ে নিউইয়র্কের সামগ্রিক জীবনযাত্রার ব্যয় ভার বহন করে মিস ইউনিভার্স প্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুন: মিস ইউনিভার্স ২০২১: কে এই হারনাজ সান্ধু
৩ বছর আগে
মিস ইউনিভার্স ২০২১: কে এই হারনাজ সান্ধু
রূপালী পর্দার প্রিয় মুখ থেকে শুরু করে মানবসেবার তরে সামাজিক মূল্যবোধের স্তম্ভগুলোকে মজবুত করতে নারী নেতৃত্ব তৈরির এক অভিজাত মঞ্চ মিস ইউনিভার্স। বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি দর্শকের উল্লাসিত দৃষ্টিপটে আনন্দের এক মহোৎসবে পরিণত হয় এই প্রিয়দর্শিনীদের মিলনমেলা। ২০২১ এর এই মৌসুমটি ভারতীয় উপমহাদেশের জন্য একটু আলাদা। কারণ এবার মিস ইউনিভার্স ২০২১ খেতাব জিতেছেন একজন ভারতীয় কন্যা;হারনাজ সান্ধু। চলুন, তার ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
মিস ইউনিভার্স ২০২১ এর আদ্যোপান্ত
২০২১ এর ১২ ডিসেম্বর বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতার ৭০-তম আসরটি অনুষ্ঠিত হলো। ভেন্যু ছিলো ইসরায়েলের ইলা’র ইউনিভার্স ডোম। আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনায় ছিলেন বিখ্যাত আমেরিকান টিভি ও রেডিও পরিবেশক স্টিভ হার্ভে। এ নিয়ে তিনি মোট ছয়বার মিস ইউনিভার্স উপস্থাপনা করলেন।পুরো ইভেন্টটি সম্প্রচারিত হয়েছিলো হলিউডের স্বনামধন্য সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান ফক্স-এর ব্যানারে।
প্রতিযোগিতার জন্য মোট ৮০টি দেশের প্রতিযোগীরা নির্বাচিত হয়েছিল। এদের মধ্যে ৫৩ জন ছিলেন তাদের স্ব স্ব দেশে জাতীয় পর্যায়ের বিজয়ী। আর বাকি ২৭ জন ছিলেন তাদের নিজ নিজ দেশের জাতীয় পর্যায়ের রানার আপ বা কাস্টিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত।
আরও পড়ুন: মিস ইউনিভার্স হলেন ভারতের হারনাজ সান্ধু
এই ৮০ জন থেকে শীর্ষ ১৬ বাছাই করা হয়। এখান থেকে ১০ জন পরের রাউন্ডের মঞ্চ লাভ করে। অতঃপর এই ১০ থেকে ৫ জনকে রেখে এগিয়ে যায় সুন্দরী প্রতিযোগিতা। অবশেষে সেই বাকি ৫ জন-ই ১ম স্থানের জন্য পরস্পরের সাথে যুদ্ধে নামে। ফলস্বরূপ পাওয়া যায়, ১ম ও ২য় রানার আপ এবং বিজয়ীকে।
৩ বছর আগে
মিস ইউনিভার্স হলেন ভারতের হারনাজ সান্ধু
মিস ইউনিভার্সের ৭০তম আসরের মুকুট জিতেছেন ভারতের হারনাজ সান্ধু। মোট ৮০ জন প্রতিযোগীকে টপকে এ মুকুট জিতেছেন তিনি।
রবিবার ইসরায়েলের ইলা শহরের রেড সি রিসোর্টে গত বছরের মিস ইউনিভার্স মেক্সিকোর আন্দ্রেয়া মেজা তাকে এ বারের মুকুট পরিয়ে দেন। স্থানীয় সময় মধ্যরাতে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানটি ভোররাত ৫টার দিকে শেষ হয়।
তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহে প্রতিযোগিতাটি অন্যান্য কারণেও সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েল সরকারের আচরণে প্রতিবাদ জানিয়ছে এ প্রতিযোগিতা এড়িয়ে যাওয়ার আহ্বান জানায় তৃণমূল ফিলিস্তিনি নেতৃত্বাধীন বয়কট আন্দোলন।
শেষ পর্যন্ত মালয়েশিয়া করোনার কথা বলে এ প্রতিযোগিতায় কোনো প্রতিনিধি পাঠায়নি। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকাও তাদের দেশের প্রতিনিধির প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়।
এছাড়া করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের জন্যও এবারের আসর বাধাগ্রস্ত হয়। কেননা ইসরায়েলকে বিদেশি পর্যটকদের জন্য তার দেশের সীমান্ত বন্ধ করে দিতে হয়।
রবিবারের প্রতিযোগিতার পুরো সময় জুড়ে প্রতি ৪৮ ঘণ্টা পর পর প্রত্যেক প্রতিযোগীকে করোনার পরীক্ষা করাতে হয়েছে। একই সঙ্গে মাস্ক সংক্রান্ত নিয়মাবলীও তাদের মেনে চলতে হয়েছে।
তবে এত সুরক্ষার পরও ফ্রান্সের প্রতিযোগী ক্লিমেন্স বোটিনো ইসরায়েলে আসার পর পরই করোনা পজেটিভ হন। এ জন্য তাকে ১০ দিন কোয়ারেন্টাইন থাকতে হয় এবং এরপর থাকে ভাইরাস মুক্ত ঘোষণা করে প্রতিযোগিতায় পুনরায় যোগদানের অনুমতি দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২০: সেরা ৫০ প্রতিযোগীর নাম ঘোষণা
মিস ইউনিভার্স মুকুট পড়লেন আফ্রিকান সুন্দরী
৩ বছর আগে