ট্রাস্টি বোর্ড
মানারাতের ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠন কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠন কেন অবৈধ নয়, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) এর রিটেট পক্ষের আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শিক্ষা সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন আগের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক এ কে এম ফজলুল হক।
গত ৮ সেপ্টেম্বর মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠন করে দেন আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। পুনর্গঠিত ১৩ সদস্যের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামকে। এতে আগের কমিটির সবাইকে বাদ দেয়া হয়েছে। কেবল পদাধিকার বলে উপাচার্যকে রাখা হয়েছে।
এদিন বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। তিনি বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য। পরে তিনি এলডিপিতে যোগ দেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালনায় জড়িতদের কেউ কেউ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
মেয়র আতিকুল ইসলাম নেতৃত্বাধীন নতুন ট্রাস্টি বোর্ডে সদস্য হিসেবে আছেন-সাবেক অর্থ ও বাণিজ্য সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অনারারি অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হক, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাদেকা হালিম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মশিউর রহমান, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক মেখলা সরকার, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (আইইবি) সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর, বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সদস্য ইসরাত জাহান নাসরিন, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক সেলিম মাহমুদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মারুফা আক্তার (পপি) এবং সোশ্যাল ইমপ্রুভমেন্ট সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মিহির কান্তি ঘোষাল।
পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদ দখলকারীদের তালিকা চান হাইকোর্ট
সিজেএম’র সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, পিরোজপুরের পিপিকে হাইকোর্টে তলব
২ বছর আগে
কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠিত
তৃণমূল মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীকে সভাপতি রেখে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠন করেছে সরকার।
কমিউনিটি ক্লিনিক সহায়তা ট্রাস্ট আইন-২০১৮ এর ৯ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, পরবর্তী তিন বছরের জন্য ১৫ সদস্য বিশিষ্ট ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে।
রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি তাঁর সাবেক স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীকে চেয়ারম্যান ও ডা. মাখদুমা নার্গিসকে ভাইস চেয়ারপার্সন করে নতুন ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন করেন।
শেখ হাসিনার সরকার সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীসহ তৃণমূলের মানুষের দোরগোড়ায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করে যা স্বাস্থ্য খাতের রোল মডেল হয়ে উঠেছে।
২০১৮ সালে সরকার সমন্বিত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার কল্যাণ পরিষেবায় গ্রামীণ প্রান্তিক জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক সহায়তা ট্রাস্ট আইন-২০১৮ প্রণয়ন করে। এ আইনের অধীনে ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর পর্যন্ত তিন বছরের মেয়াদী ১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি পূর্ণাঙ্গ ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়েছিল।
ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী আগের ট্রাস্টি বোর্ডেও চেয়ারম্যান হিসেবে ছিলেন।
আরও পড়ুন: মুখ থুবড়ে পড়ছে শার্শার ৩৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক
যে কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মী ব্যস্ত বিজ্ঞাপন সংগ্রহে
৩ বছর আগে