সোনাইমুড়ী
নোয়াখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় সিএনজি চালক নিহত
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজির চালক নিহত হয়েছেন।
শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার সোনাইমুড়ী-চাটখিল সড়কের জয়াগ ইউনিয়নের ভাওরকোট এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত সিএনজি চালক মো. মানিক (৩৬) লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জের বানুয়াই গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোনাইমুড়ীর জয়াগ থেকে জননী প্লাস পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস জেলা শহর মাইজদীর উদ্দেশে যাচ্ছিল। সিএনজি চালক খালি গাড়ি নিয়ে সোনাইমুড়ী থেকে রামগঞ্জের দিকে আসছিল। এ সময় সোনাইমুড়ী-চাটখিল সড়কের ভাওরকোট এলাকায় বাস চালক আরফিুর রহমান একটি ট্রাককে ওভারট্রেক করতে গেলে সিএনজির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে বালুবাহী ট্রাকের ধাক্কায় সিএনজি চালকের মৃত্যু
এতে ঘটনাস্থলেই মানিক নিহত হন। জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে সোনাইমুড়ী-চাটখিল সড়কে দীর্ঘ সময় যান চলাচল বন্ধ থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক জানান, ঘটনার পরপরই বাসের চালক ও সহকারী পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন বাসে আগুন ধরিয়ে সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।
বাসটি থানায় নেওয়া হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় পোশাককর্মী নিহত, আটক ১
নোয়াখালীতে ৪ লাখ টাকা চুক্তিতে সিএনজি চালককে হত্যা: গ্রেপ্তার ৮
১ বছর আগে
নানার বাড়িতে আর ছুটি কাটানো হলো না মিতুর!
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে নানার বাড়িতে ছুটি কাটাতে এসেছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী সাবরিনা আক্তার (মিতু)। কিন্তু ঘাতক ট্রাক তার প্রাণ কেড়ে নিলো। শনিবার বেলা ১২টায় উপজেলার নোয়াখালী-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়ক পার হওয়ার সময় কুমিল্লার দিক থেকে আসা দ্রুতগামী ট্রাকটি চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নিহত মিতু উপজেলার মর্তুজা ভূঁইয়ার মেয়ে। তিন বোনের মধ্যে সবার বড়। তিনি জবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ছুটি কাটাতে ঢাকা থেকে নানার বাড়ি সোনাইমুড়ী পৌরসভার পশ্চিম রামপুর মোল্লা বাড়িতে যান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সোনাইমুড়ী থানার উপ-পরিদর্শক ইবরাহীম খলিল বলেন, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে একটি ইটবোঝাই ট্রাক তাকে চাপা দিলে, তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ বিষয়ে আমরা হাইওয়ে থানার পুলিশকে জানিয়েছি, তারা এসে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
পুলিশ ঘাতক ট্রাকটি আটক করেছে,তবে ট্রাকের চালক পলাতক রয়েছে।
এদিকে সাবরিনার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে জবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে। বিভাগের শিক্ষকরা শোক প্রকাশ করেছেন। এদিকে সহপাঠীর এমন মৃত্যুতে মর্মাহত শিক্ষার্থীরাও।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর শুনেছি৷ আমরা তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, থানায় কথা বলেছি। লাশ যেন ময়নাতদন্ত না করা হয়, সে বিষয়ে কথা বলছি।
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষকের মৃত্যু: বিচারিক তদন্তের নির্দেশ
জবি শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্তের দাবি
৩ বছর আগে