ইসি গঠন
ইসি গঠনে সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত ১০ জনের নাম গ্রহণ রাষ্ট্রপতির
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে সার্চ কমিটি ১০ জনের নামের তালিকা রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে জমা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রপতি এখন নামগুলো পর্যালোচনা করবেন এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চারজন কমিশনার নিয়োগ দিতে সেখান থেকে পাঁচজনকে বেছে নেবেন।
প্রতিটি পদের জন্য দুটি নামের প্রস্তাব করা হয়েছে।
নির্বাচিত নামগুলো শিগগিরই গ্যাজেট আকারে প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নতুন নির্বাচন কমিশন: সার্চ কমিটিতে জমা পড়া ৩২২ জনের নাম প্রকাশ
শনিবার ২০ বিশিষ্ট নাগরিকের সঙ্গে বসবে সার্চ কমিটি
২ বছর আগে
ইসি গঠন: রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে নাম চেয়েছে সার্চ কমিটি
পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (ইসি) পদে নাম প্রস্তাব করতে আহ্বান জানিয়েছে সার্চ কমিটি।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রবিবার রাতে এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
এতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টার মধ্যে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে সিইসি ও ইসির জন্য ১০ জনের নাম প্রস্তাব করতে পারবে।
এছাড়া সিইসি বা ইসি হিসাবে কাজ করতে আগ্রহী ব্যক্তিরাও তাদের নিজস্ব নাম পাঠাতে পারেন।
এই সময়ের মধ্যে তালিকা সরাসরি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা দেয়া বা ইমেইল ([email protected]) করা যাবে।
আরও পড়ুন: বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন
এর আগে নির্বাচন কমিশন গঠনের নতুন আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে সার্চ কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে এক গেজেট জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
কমিটির অন্য পাঁচ সদস্য হলেন- হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক।
সদ্য পাস হওয়া ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ মোতাবেক এ সার্চ কমিটিকে দায়িত্ব ও কার্যবিধি সম্পন্ন করতে গেজেটে বলা হয়েছে।
এছাড়া কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটির নামে ‘আওয়ামী খাস কমিটি’ গঠিত: বিএনপি
ইসি গঠনের সার্চ কমিটি সুন্দর ও নিরপেক্ষ: তথ্যমন্ত্রী
ইসি গঠনে সদ্য প্রণীত আইনে বলা হয়েছে, অনুসন্ধান কমিটি সিইসি ও অন্যান্য ইসি প্রার্থীদের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করবে। অনুসন্ধান কমিটি গঠনের ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম সুপারিশ করতে হবে কমিটিকে।
অনুসন্ধান কমিটি সিইসি ও ইসিদের প্রতি পদের জন্য দুজন করে ১০ জনের নাম প্রস্তাব করবে। এ ১০ জনের মধ্য থেকে সিইসিসহ পাঁচজনকে দিয়ে ইসি গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি।
২ বছর আগে
ইসি গঠন নিয়ে বিতর্ক করার অবকাশ নেই: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য আইন হোক- তা তিনিও চান। কিন্তু এবার সে সময় নেই, আর সংসদকে পাশ কাটিয়ে অধ্যাদেশ জারি করা সঠিক হবে না বলেও মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, সার্চ কমিটিতে রাজনৈতিক দলের কেউ নেই। সরকারি দলের কেউ নেই। সার্চ কমিটি ১০ জনকে নির্বাচন করে রাষ্ট্রপতির কাছে নাম পাঠাবেন। সকলের নাম দেয়ার অধিকার আছে, ক্ষমতা আছে। সুতরাং নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে কোনো বিতর্ক করার অবকাশ আছে বলে মনে হয় না।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, ইসি গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতি তাঁর ডায়ালগ (সংলাপ) শুরু করে দিয়েছেন। তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। এটা রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব।
মন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নামের প্রস্তাব নেবেন। এর মাধ্যমে হবে সার্চ কমিটি। সেই সার্চ কমিটি যে সব নাম প্রস্তাব করবে, তাদের মধ্যে থেকে রাষ্ট্রপতি নতুন ইসি গঠন করে দেবেন।
তিনি বলেন, এই সার্চ কমিটির সদস্য হবেন- আপিল বিভাগের একজন জ্যৈষ্ঠ বিচারপতি, হাইকোর্টের একজন বিচারপতি, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান এবং অডিটর অ্যান্ড কম্পট্রোলার জেনারেল। এরা সবাই সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত। আর দুজন হবেন সিভিল সোসাইটির (সুশীল সমাজ) সদস্য।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার ও দুর্ব্যবহার হয়েছে উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজন আছে। কিন্তু এও জানি এর কিছু অপব্যবহার ও দুর্ব্যবহার হয়েছে। এটা যাতে বন্ধ হয় সেজন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এখন কোনো সাংবাদিককে মামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় না। আগে যাচাই-বাছাই হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাক-স্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য করা হয়নি।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সংলাপ: ইসি গঠনে আইন চায় ওয়ার্কার্স পার্টি
ইসি নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপ: সুশীল সমাজকেও চায় তরিকত
২ বছর আগে
ইসি গঠন নিয়ে সংলাপ ‘অর্থহীন’: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে চলমান সংলাপকে ‘অর্থহীন’ বলেছেন। কারণ তিনি মনে করেন, এটি জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে সাহায্য করবে না।
মির্জা ফখরুল বলেছেন, রাষ্ট্রপতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে সংলাপের জন্য ডাক দিয়েছেন। এই সংলাপ অর্থহীন। এই সংলাপ গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে পারবে না। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে পারবে না। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে সুষ্ঠ নির্বাচন হবে না।
এ সময় সরকারের পদত্যাগসহ নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সমস্যা নয়, সমস্যা হচ্ছে সরকারের। নির্বাচনকালীন সরকারটা কে থাকবে? সেটা কি নিরপেক্ষ সরকার থাকবে, না হাসিনার সরকার থাকবে। যদি হাসিনার সরকার থাকে তাহলে ভোটও নিরপেক্ষ হবে না।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে মঙ্গলবার দুপুর তিনটার দিকে মানিকগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সংবিধান লঙ্ঘন করবেন না, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের উদ্দেশে ফখরুল
তিনি বলেন, এ ধরনের সংলাপ আগেও হয়েছিল এবং সরকার ২০১৪ সালে একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছিল, যখন ১৫৪ জন সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিল এবং ২০১৮ সালের ভোটের আগের রাতে ভোট ছিনিয়ে নেয়া হয়েছিল।
বিএনপি নেতা বলেন, অবৈধ সরকার জনগণ দেখে ভয় পায়। সরকারি বাহিনী দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের তুলে নিয়ে গুম করে দিয়েছে। তাদের আজও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
জনগণবিহীন এই সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য খালেদা জিয়া দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়িয়েছেন। গণতন্ত্র রক্ষার জন্য এখনও তিনি হাসপাতালের জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। সারা দেশের মানুষের দাবি বেগম জিয়াকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর। কিন্তু এসব দাবি সরকারের কানে যায় না। যদি খালেদা জিয়ার কোন কিছু ঘটে তবে এর দায় সরকারকে নিতে হবে।
ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, এই সরকার দেশের সকল সুন্দর জিনিস ধ্বংস করে দিয়েছে। গণতন্ত্র বিচার বিভাগসহ প্রশাসনিক ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। গুম, খুন, হত্যা অপহরণ এই সমস্ত অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও জাতিসংঘ দেশের বিভিন্ন বিধি নিষেধ আরোপ করেছে।
তিনি আরও বলেন, এই সরকার ১০ টাকা কেজি করে চাল দেয়ার কথা বলে ক্ষমতায় এসেছে। এখন দেশে চালের দাম ৭০ টাকা । ঘরে ঘরে চাকুরির কথা বলে ক্ষমতায় এসে এখন চাকুরির জন্য লাখ লাখ টাকা গুনতে হচ্ছে চাকরি প্রার্থীদের।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতার লক্ষ্য এখনো বাস্তবায়িত হয়নি: ফখরুল
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের আইন আছে বেগম জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর। তাকে বিদেশে পাঠানো অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু সরকার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিচ্ছেন না। সরকার তাকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঢেলে দিচ্ছেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরব, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএ কবীর জিন্নাহ, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সত্যেন কান্ত পন্ডিত ভজন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: আ.লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে: মির্জা ফখরুল
২ বছর আগে
রাজনৈতিক দলের পরামর্শে গ্রহণযোগ্য ইসি গঠিত হবে: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও পরামর্শের ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন সম্ভব হবে এবং নতুন নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচনসহ সকল নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পাদন করতে সক্ষম হবে।’
সোমবার বিকালে বঙ্গভবনে জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী সংলাপের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি জাপার সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে বহুল প্রত্যাশিত এই সংলাপ শুরু করেছেন।
সংলাপের ব্যাপারে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বলেন, সোমবার বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে বঙ্গভবনে জাতীয় পার্টির আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী সংলাপে যোগ দেয়।
প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান।
তিনি বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পাঁচ বছর মেয়াদ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। তার আগেই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার এই উদ্যোগ।’
তিনি এ ব্যাপারে সকল রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের সহযোগিতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন: জাতীয় পার্টির সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপ শুরু
৩ বছর আগে
ইসি গঠন: জাতীয় পার্টির সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপ শুরু
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে সংলাপ শুরু করেছেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বলেন, সোমবার বিকাল ৪টায় বঙ্গভবনে জাতীয় পার্টির আট সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল এ সংলাপে যোগ দেন। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের এ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- জ্যৈষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মুজিবুল হক, কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ,সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সালমা ইসলাম ও একাদশ জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দলের চিফ হুইপ ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গা।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পাঁচ বছর মেয়াদ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।
ইসির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দল রয়েছে। কিন্তু জাতীয় সংসদে মাত্র ৯টি দলের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে।
এ দলগুলো হলো-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বিকল্পধারা বাংলাদেশ, গণফোরাম, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ও জাতীয় পার্টি (জেপি)।
আরও পড়ুন: ইসি পুনর্গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপ শুরু সোমবার
ইসি গঠন: আগামী সপ্তাহে সংলাপ শুরু করবেন রাষ্ট্রপতি
৩ বছর আগে