স্থায়িত্ব
এলডিসি পরবর্তী সময়ের জন্য বাংলাদেশের এখনই প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন: প্যাট্রিসিয়া ড্যানজি
এলডিসিতে উত্তরণকে বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক ও একটি অসাধারণ কৃতিত্ব হিসেবে উল্লেখ করে সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কোঅপারেশনের (এসডিসি) মহাপরিচালক প্যাট্রিসিয়া ড্যানজি বলেছেন, বাংলাদেশের এখন এলডিসি থেকে উত্তরণ পরবর্তী সময়ের জন্য প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন, কারণ পূর্বে বিদ্যমান নির্দিষ্ট কিছু বাজারে এখন তাদের প্রবেশাধিকার বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
১৯৯৬ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ক্রীড়াবিদ হিসাবে সুইজারল্যান্ডের প্রতিনিধিত্বকারী ড্যানজি ইউএনবিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো এই অগ্রযাত্রাটা হতে হবে মসৃণ, স্থায়িত্ব ও অন্তর্ভুক্তিমূলক, যাতে করে কেউ পিছিয়ে না পড়ে।
এসময় তিনি বাজারের ব্যাপারে পূর্বানুমানের সক্ষমতা বাড়ানো এবং শক্তিশালী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন কাঠামোগত সংস্কারের ওপর জোর দেন।
ড্যানজি বলেন, বর্তমানে করোনার কারণে সৃষ্ট নানা চ্যালেঞ্জ নিয়ে গোটা বিশ্ব স্থবির হয়ে পড়েছে। এর ফলে দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করা মানুষের সংখ্যা বেড়েছে, বৈশ্বিক অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এবং বৈষম্য আরও বেড়েছে।
তিনি বলেন, এই দুরবস্থায় আমরা আমাদের নতুন সহযোগিতা কর্মসূচির আওতায় দারিদ্র্য নিরসন এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাব।
ভবিষ্যতের কথা বলতে গিয়ে ড্যানজি বলেন, সুইজারল্যান্ড তার উন্নয়ন যাত্রায় বাংলাদেশের সঙ্গে ‘প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অংশীদারিত্ব’ অব্যাহত রাখবে।
তিনি বলেন, আমার সফরে আমি এই দেশে অনেকগুলো ইতিবাচক বিষয় দেখেছি, যেগুলোর ফলে সুইজারল্যান্ড এই দেশের সঙ্গে কাজ করা এবং সে সংক্রান্ত ভবিষ্যত আলোচনা ও মতবিনিময়ে আগ্রহী করবে।
এসডিসি মহাপরিচালক বলেন, এই সমস্ত উপাদান কেন্দ্রীয় এবং তারা এটি তৈরি করতে চাইবে। তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন একসঙ্গে এই পরবর্তী পদক্ষেপ নেই এবং সবার জন্য একটি সমৃদ্ধ ও স্থায়িত্বমূলক ভবিষ্যত তৈরিতে কাজ করি।
জলবায়ু পরিবর্তনকে আরেকটি মৌলিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় অভিযোজন ও প্রশমন ব্যবস্থার অর্থায়নের জন্য সমাধানের ব্যবস্থা করতে হবে।
ড্যানজি বলেন, গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক কপ২৬ সম্মেলনে আমাদের অন্যতম অগ্রাধিকার ছিল টেকসই ও স্বচ্ছ জলবায়ু অর্থায়ন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ১১ বিলিয়ন টাকা বিনিয়োগ করবে সুইজারল্যান্ড
২ বছর আগে