পরীক্ষামূলক
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ: ভাঙ্গা-রুপদিয়া রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল শুরু
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে যশোরের রূপদিয়া পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টা ৪১ মিনিটের দিকে ভাঙ্গার রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনটি যশোরের রূপদিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
মো. সাখাওয়াত হোসেন এ ট্রায়াল ট্রেনে চালকের দায়িত্ব পালন করছেন এবং ট্রেনটি ১২০ কিলোমিটার সর্বোচ্চ গতিতে চলানো হবে।
ভাঙ্গার রেলস্টেশন মাস্টার মো. জিল্লুর রহমান বলেন, শনিবার সকাল ৮ টা ৪১ মিনিটে উচ্চগতি সম্পন্ন এই পরীক্ষামূলক ট্রেনটি যশোরের রুপদিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ট্রেনটি ১২০ কিলোমিটার গতিতে যশোর পৌঁছাতে সময় লাগবে মাত্র এক ঘণ্টা।
আরও পড়ুন: এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে রেললাইনে পড়ল ক্রেন, ব্যাহত ট্রেন চলাচল
তিনি আরও বলেন, রবিবার আবারও (৩১ মার্চ) সকালে রুপদিয়া রেল স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে ট্রেনটি। আবার যশোর থেকে ভাঙ্গার উদ্দেশে ছেড়ে আসবে। এভাবে ট্রেনটি কয়েকবার ফরিদপুরের ভাংগা থেকে যশোরের রুপদিয়া স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করবে।
এদিকে আগে ঢাকা-যশোর রেলপথের ভাঙ্গা পর্যন্ত ইতোমধ্যে ট্রেন চলাচল করছে। ভাঙ্গা থেকে নড়াইল হয়ে যশোর অংশের রেলপথ নির্মাণের কাজও প্রায় শেষের দিকে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-যশোর রেলপথের ভাঙ্গা পর্যন্ত ইতোমধ্যে ট্রেন চলাচল করছে। প্রকল্পের শেষ অংশ ভাঙ্গা থেকে যশোর। এই অংশের দৈর্ঘ্য ৮৭ দশমিক ৩২ কিলোমিটার। মাঠ পর্যায়ে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালে।
এর আগে ২০১৬ সালের ৩ মে ‘পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প’ নামে এটি একনেকে অনুমোদন পেয়েছিল।
২০২৩ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 'পদ্মা সেতু রেল সংযোগ নির্মাণ প্রকল্পের' আওতায় ঢাকার সঙ্গে যশোরের রেল সংযোগের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।
তিনটি পর্যায়ে (ঢাকা ও গেন্ডারিয়ার মধ্যে তিন কিলোমিটার সংযোগ স্থাপন) ৩৭ কিলোমিটার গেন্ডারিয়া-মাওয়া সেকশন, ৪২ কিলোমিটার মাওয়া-ভাঙ্গা অংশ এবং ৮৭ কিলোমিটার ভাঙ্গা জংশন-যশোর অংশের রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৩ ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে উত্তর-দক্ষিণের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
প্রায় ৪৩ দশমিক ২ কিলোমিটার লুপ, সাইডিং এবং ওয়াই-সংযোগগুলো মোট লাইনের দৈর্ঘ্য ২১৫ দশমিক ২ কিলোমিটারে নিয়ে আসে।
ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ২০টি স্টেশন থাকবে, যার মধ্যে ১৪টি নতুন এবং ৬টি ইতোমধ্যে রয়েছে। আগের স্টেশনগুলোও আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। নির্মাণ কাজ শেষ হলে ট্রেনগুলো ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারবে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা থেকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যশোরের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য নির্মিতব্য ১৭২ কিলোমিটার রেলপথ পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পটি ২০২৪ সালের জুনে শেষ হওয়ার পথে রয়েছে।
পরীক্ষামূলক ট্রেন যাত্রায় সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছেন সেনাবাহিনী ও রেল প্রকল্পে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। নতুন রেললাইন চালু হওয়ার সংবাদে রেল লাইনের আশে-পাশের মানুষের মধ্যে চলছে উৎসবের আমেজ।
আরও পড়ুন: বিজয় এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত: ১৪ ঘণ্টা পর ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
৮ মাস আগে
দোহাজারী-কক্সবাজার রুটে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে ১৫ অক্টোবর
আগামী ১৫ অক্টোবর দোহাজারী-কক্সবাজার রুটে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে রেলপথের ৯২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দোহাজারী-কক্সবাজার রেল প্রকল্পের পরিচালক মফিজুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, রেলপথমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজনের উপস্থিতিতে ট্রেনটি পরীক্ষামূলক চালানো হবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে কক্সবাজার রেল লাইনের কাজ প্রায় শেষ প্রান্তে। আইকনিক রেল স্টেশন, কালভার্ট, লেভেল ক্রসিং, হাইওয়ে ক্রসিংয়ের নির্মাণ শেষ হতে চলেছে।
মফিজুর রহমান বলেন, ১০২ কিলোমিটার দোহাজারী-কক্সবাজার রেল প্রকল্প প্রায় শেষ এবং এখন এটি ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে রুটে পরক্ষিামূলক চালুর জন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে এবং প্রথমে ছয়টি বগি নিয়ে একটি লোকোমোটিভ ট্রেন চালানো হবে এই রুটে। অক্টোবরের শেষ দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলপথটি উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। পরে ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ রেললাইন স্থাপন প্রকল্পটি প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়া-ভাঙ্গা রেলপথে চলল পরীক্ষামূলক পণ্যবাহী ট্রেন
প্রকল্প পরিচালক জানান, প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজারে ঝিনুকের আদলে বিশ্বমানের সর্বাধুনিক রেলওয়ে স্টেশনের নির্মাণের পাশাপাশি দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মোট ৯টি স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া, সংরক্ষিত বন এলাকায় রেললাইন স্থাপনে বন্য হাতি ও বন্যপ্রাণী চলাচলের জন্য ওভারপাস নির্মাণ করা হয়েছে যা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম।
সম্প্রতি অতিবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত ৪৫০ মিটার রেলপথ পুনঃসংস্কার শেষ হয়েছে। অতি দ্রুত এ রুটটির কাজ শেষ হবে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক।
কক্সবাজার পর্যটক ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, রেলপথ চালু হলে পর্যটকের সংখ্যা তিন গুণ বাড়তে পারে।
কক্সবাজারের বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম বলেন, জেলার বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে ট্রেন পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হলেও দোহাজারী-কক্সবাজার প্রকল্প তাদের স্বপ্ন পূরণ করবে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ এবং সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৫ অক্টোবর রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
আরও পড়ুন: মোংলা-খুলনা রেলপথের ৯৮ শতাংশ কাজ শেষ, অক্টোবরে চলবে ট্রেন
১ বছর আগে
পরীক্ষামূলক চলাচল: ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৌঁছেছে ট্রেন
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে মাওয়া হয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশন পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
প্রায় ৮২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথ পাড়ি দিতে ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট সময় লেগেছে বাংলাদেশ রেলওয়ের বিশেষ এই ট্রেনটির।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ৭ মিনিটে ট্রেনটি ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ছাড়ে। ট্রেনটি কেরাণীগঞ্জ এলিভেটেড রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায় সকাল ১০টা ৪৮ মিনিটে, নিমতলা স্টেশনে বেলা ১১টা ১ মিনিটে, শ্রীনগর স্টেশনে বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে, মাওয়া স্টেশনে বেলা ১১টা ২৪ মিনিটে পৌঁছায়। সেখান থেকে বেলা ১১টা ২৭ মিনিটে পদ্মা সেতুতে উঠে, ৭ মিনিট পর বেলা ১১টা ৩৪ মিনিটে ট্রেনটি সেতু থেকে নামে। এরপর ভাঙ্গা স্টেশনে পৌঁছায় দুপুর ১২টা ১৭ মিনিটে।
পরীক্ষামূলক যাত্রার প্রথম এই ট্রেনটি চালিয়েছেন লোকোমাস্টার হিসেবে এনামুল হক এবং সহকারী লোকোমাস্টার হিসেবে এম এ হোসেন। আর গার্ড হিসেবে ট্রেন পরিচালনা করেছেন আনোয়ার হোসেন।পরীক্ষামূলক ট্রেনের যাত্রী হিসেবে পর্যবেক্ষণ করেছেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
এসময় পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, রেলপথ সচিব ড. হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক আফজাল হোসেন, রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং রেলওয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প আগামী ১০ অক্টোবর উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রী তারিখ দিয়েছেন।
১ বছর আগে
রোহিঙ্গাদের পরীক্ষামূলক প্রত্যাবাসনে বাধা দেওয়া উচিত নয়: শাহরিয়ার
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের পরীক্ষামূলক প্রত্যাবাসনে কারও বাধা সৃষ্টি করা উচিত নয়। এই ধরনের পরীক্ষামূলক প্রত্যাবাসন বড় আকারে প্রত্যাবাসনের আগে সমস্যাগুলো বুঝতে সহায়তা করবে।
বুধবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বড় ধরনের প্রত্যাবাসনের আগে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করার জন্যই এই পরীক্ষামূলক প্রত্যাবাসন। নিয়মিত প্রত্যাবাসনের আগে আরও ভালোভাবে পরিকল্পনার করার জন্য এবং সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে সহায়তা করবে।এতে কারো বাধার সৃষ্টি করা উচিত হবে না।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা বলেনি তারা ফিরতে চায় না; বরং যখনই কোনো বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তি ক্যাম্পে তাদের সঙ্গে দেখা করতেন তারা সবসময়ই তাদের দেশে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করে।
তিনি অবশ্য বলেছেন, সরকার সর্বদা একটি ‘মর্যাদাপূর্ণ ও স্বেচ্ছায়’ প্রত্যাবর্তনের জন্য তার প্রতিশ্রুতি বজায় রাখবে যদিও এটি পরীক্ষামূলক প্রত্যাবাসন হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার আলম বলেন, অবশ্যই ঝুঁকি আছে এবং ক্যাম্পে বন্দুক হামলা ও মাদক পাচারের ঘটনা বেড়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নিহত ও আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: মিয়ানমারকে চাপ দিতে জার্মানিকে আহ্বান
তিনি বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে ক্ষুণ্ণ না করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম কীভাবে ভাসানচরে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে ক্ষুণ্ন করার জন্য সেটিকে একটি ভাসমান দ্বীপ বলে বর্ণনা করেছিল তা উল্লেখ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন। যতদিন তারা বাংলাদেশে থাকবে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকব।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্টে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী উত্তর রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হিংসাত্মক অভিযান শুরু করে। যার ফলে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে গুরুতর অপরাধ হয়। পুরো গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আগমনের ৬ বছর পর সরকার তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের উপর গুরুত্ব দিয়ে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। যদিও কিছু দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশে তাদের একীভূত হওয়ার করার জন্য জোর দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারের সাথে আলোচনায় চীনা প্রেসিডেন্ট
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইন রাজ্যে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট ব্যাপক নৃশংস অভিযান শুরু করার ছয় বছর পর বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিরাপদে স্বদেশে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম রয়েছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং রোহিঙ্গা গণহত্যার জন্য মিয়ানমারের জেনারেলদের জবাবদিহি করতে ব্যর্থ হয়েছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাদের জন্য সমাধান খুঁজতে মানবিক সহায়তা ও রাজনৈতিক সমর্থন বজায় রাখতে আর্থিক সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে নতুন করে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ইউএনএইচসিআর বলেছে, মিয়ানমারে একটি মর্যাদাপূর্ণ এবং টেকসই প্রত্যাবর্তন এই সংকটের প্রাথমিক সমাধান হিসেবে রয়ে গেছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীরা স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়, যদি সেটি তাদের জন্য নিরাপদ হয়।’
আরও পড়ুন:রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চায় বাংলাদেশ
১ বছর আগে
পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক চালু হলো ইলেকট্রনিক টোল আদায় ব্যবস্থা
পদ্মা সেতুতে ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন সিস্টেম (ইটিসিএস) পরীক্ষামূলক শুরু হয়েছে।
বুধবার থেকে সয়ংক্রিয় এই টোল আদায়ের আওতায় আনা হয়েছে ১৪টি বুথ। আর বাকি তিন বুথে মোটরসাইকেলের জন্য আগের মত ম্যানুয়ালি রাখা হয়েছে।
এছাড়া সেতুর যান চলাচল পর্যবেক্ষণে মাওয়া প্রান্তে চালু হয়েছে পদ্মা ব্রিজ ট্রাফিক মনিটরিং সেন্টার।
রেডিও ফিকিউয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন (আরএফআইডি) পদ্ধতিতে চলন্ত অবস্থায় টোল আদায়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই পদ্ধতির জন্য রেজিস্ট্রেশন করা গাড়ি টোল প্লাজার সামনে আসতেই ১ নম্বর বুথ থেকে স্ক্যানারে গাড়ি শনাক্ত করে। নির্ধারিত টোল কেটে ব্যারিয়ার উঠে এবং স্ক্রিনে ব্যালেন্স দেখা যায়।
আরও পড়ুন: ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে টোল আদায় ৬৬০.২৪ কোটি টাকা: কাদের
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সেতু সচিব স্মার্ট পদ্ধতিতে টোল পরিশোধ করে টোল প্লাজা অতিক্রম করেন। ২ নম্বর বুথের নাম হাইব্রিড। আরএফআইডি, টাচ অ্যান্ড গো এবং ক্যাশ- এই তিন পদ্ধতিতে টোল পরিশোধের সুযোগ থাকবে এখানে। আর ৩ থেকে ৭ নম্বর এই পাঁচটি বুথে টাচ অ্যান্ড গো এবং ক্যাশ পদ্ধতি চালু হয়েছে।
দুই পারে একই রকম ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আর সেতুর যান চলাচল পর্যবেক্ষণে মাওয়া প্রান্তে চালু হয়েছে পদ্মা ব্রিজ ট্রাফিক মনিটরিং সেন্টার।
সেতু সচিব মো. মঞ্জুর হোসন বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে স্মার্ট টোল আদায় শুরু হওয়ায় দুই পারে দুইটি বুথ বাড়ানো হয়েছে। তাই এখন সেতুর দুই পারে প্রবেশ পথে ১৭টি টোল বুথ চালু। ইলেকট্রনিক টোলের আওতায় আনা হয়েছে ১৪টি টোল বুথ।
মাওয়া প্রান্তের পদ্মা সেতু উত্তর থানার পূর্ব পাশে ইটিসিএস রেজিস্ট্রেশন বুথ চালু হয়েছে। পুরোপুরি এই পদ্ধতি চালু হলে যানবাহনগুলোকে অপেক্ষায় থাকতে হবে না, জটলামুক্ত থাকবে টোলপ্লাজা। প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে সেতু ব্যবহাকারীরা।
প্রসঙ্গত, সেতুর মাওয়া প্রান্তের ৮নং এবং জাজিরা প্রান্তের ৮নং ও ৯নং মোট তিনটি বুথে মোটরসাইকেলের জন্য আগের মত ম্যানুয়ালি কম্পিউটারে টোল আদায় হবে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে পৌনে ৩ কোটি টাকা টোল আদায়
১ বছর আগে
পরীক্ষামূলক পদ্মা সেতু দিয়ে রেল চলাচল শুরু
পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে পরীক্ষামূলক ভাবে প্রথম বারের মতো রেল চলাচল শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একটি ইঞ্জিন ও খোলা বগি নিয়ে ভাঙা রেল স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে।
এসময় পদ্মা সেতুর রেল সড়ক প্রকল্পের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, প্রকৌশলীগণ, রেলওয়ের কর্মকর্তাগণ, চীনা কোম্পানির প্রতিনিধি দল উপস্থিতি ছিলেন।
এর আগে পরীক্ষামূলক ভাবে পদ্মা সেতুর দিয়ে রেল চলাচল উপলক্ষে স্টেশনটিকে সাজানো হয়।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর সুবাদে প্রথমবার গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির সাক্ষী হলো মোংলা বন্দর
ভাঙ্গা রেল স্টেশন মাস্টার মো. শাহজাহান জানান, রেল বগি গ্যাংকার ভাঙ্গা থেকে ঢাকা পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণের পরিক্ষামূলক ভাবে সকাল সাড়ে ১০ টায় ভাঙ্গা স্টেশন থেকে পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্ট পর্যন্ত ছেড়ে গেছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্রজেক্ট ডিরেক্টর (পিডি) আফজাল হোসেন, প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা মেজর, জেনারেল এস,এম জাহিদ ও রেল প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এ প্রসঙ্গে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেছেন, পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে পরীক্ষামূলক এই ট্রেনটি চলার মধ্য দিয়ে দক্ষিণ বঙ্গের তথা ফরিদপুর অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো।
বর্তমান সরকার পদ্মা সেতু এবং বিভিন্ন উন্নয়নের করার মধ্য দিয়ে বৃহত্তর ফরিদপুরের মানুষকে ঋণী করে ফেলেছেন।
উল্লেখ্য, ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটারের মধ্যে ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটার এবং ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৩৯ কিলোমিটার অংশের কাজের অগ্রগতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এই এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা।
যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার অর্থায়ন করবে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা এছাড়া চায়না সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় সাড়ে ২১ হাজার কোটি টাকা অর্থায়ন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু: দক্ষিণাঞ্চলমুখী নৌপথে যাত্রী কমায় ৩০টি লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ
পদ্মা সেতুতে রেল ট্র্যাক বসানোর কাজ শুরু
২ বছর আগে
প্রথমবারের মতো কানাডার উদ্দেশে ছেড়ে গেল বিমান
প্রথমবারের মতো বহুল প্রত্যাশিত ঢাকা-টরেন্টো রুটে পরীক্ষামূলক বাণিজ্যিক ফ্লাইট উদ্বোধন করা হয়েছে।
শনিবার রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ফ্লাইটের উদ্বোধন করেন।
এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশিদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল বাংলাদেশ থেকে কানাডায় বিমানের সরাসরি ফ্লাইট চালু। সে লক্ষ্যে সকল বিধিগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আজ প্রথম বারের মত বিমান বহুল প্রত্যাশিত ঢাকা টরেন্টো রুটে পরীক্ষামূলক বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হয়েছে। বিমান তার বহরে থাকা অত্যাধুনিক বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজের মাধ্যমে এই ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
তিনি বলেন, আরও কিছু কারিগরি কাজ সম্পন্ন করার পর আগামী জুন মাস থেকে বিমানের ঢাকা টরেন্টো রুটে সপ্তাহে তিনদিন নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু করতে পারবো।
বিমানের ঢাকা-টরেন্টো ফ্লাইট কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার বলে তিনি মন্তব্য করেন।
পড়ুন: বিমান ঢাকা-টরোন্টো রুটে ডানা মেলবে ২৬ মার্চ
ফ্লাইটটি রাত পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করে। কানাডার স্থানীয় সময় ২৭ মার্চ সকাল সোয়া ৭টায় টরেন্টোর পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানো কথা রযেছে। টরেন্টো থেকে ফিরতি ফ্লাইট আগামী ২৯ মার্চ কানাডার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় যাত্রা শুরু করে ৩০ মার্চ বাংলাদেশের স্থানীয় সময় দুপুর সোয়া ১২টায় ঢাকায় পৌঁছাবে।
ঢাকা-টরেন্টো রুটে বিমানের সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনায় সর্বাত্মক সহযোগিতা করায় কানাডার সরকার ও বাংলাদেশস্থ কানাডিয়ান হাইকমিশনকে ধন্যবাদ জানান বিমান প্রতিমন্ত্রী।
এসময় ঢাকাস্থ কানাডিয়ান হাইকমিশন প্রতিনিধি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ওবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালনা পরর্ষদ চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সালেহ মোস্তফা কামাল, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেনসহ ঊধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: বিক্রয়ের জন্য উন্মুক্ত বিমানের ঢাকা-টরন্টো রুটের টিকেট
২ বছর আগে
অবশেষে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ চালু
ঢাকার গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে ও যানজট নিরসনের জন্য দুই সিটি করপোরেশনের বাস রুট র্যাশনালাইজেশনের অংশ হিসেবে অবশেষে পরীক্ষামূলকভাবে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ চালু করেছে সরকার।
রবিবার সচিবালয় থেকে রাজধানীর ঘাটার চর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত বাস এর উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বাস সার্ভিসের উদ্বোধনকালে মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকায় বসবাসরত মানুষের জন্য একটি সুশৃঙ্খল ও আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি গত ১২ দিন হাসপাতালে ছিলাম। আজ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাসায় না গিয়ে সরাসরি মন্ত্রণালয়ে এসেছি। আমি এই উদ্যোগটাকে গুরুত্ব দিয়েছি।’
আরও পড়ুন: রাজধানীতে বিজয় মিছিলে যানজট, দুঃখ প্রকাশ আওয়ামী লীগের
২ বছর আগে