ন্যাপ
জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ন্যাপ বাস্তবায়নে জার্মানির সহায়তা চায় বাংলাদেশ
জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ন্যাশনাল অ্যাডাপটেশন প্ল্যান (ন্যাপ) বাস্তবায়নে জার্মানির সহায়তা চায় বাংলাদেশ। এছাড়াও প্রযুক্তি হস্তান্তর, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত ক্ষেত্রগুলো রয়েছে।
শনিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার সহ বাংলাদেশ সফররত জার্মান সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় নতুন প্রণয়নকৃত ন্যাপ বাস্তবায়নে ২৩০ বিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন হবে। জার্মানিসহ উন্নত বিশ্ব এতে সহায়তা করলে বাস্তবায়ন সহজ হবে।
আরও পড়ুন: সাউথ সাউথ কো-অপারেশন বিষয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের নতুন ফোরাম গঠনের জোরালো আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন রোধে সুন্দরবনসহ সারাদেশে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। মন্ত্রী আরও বলেন, সরকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় একটি বৃত্তাকার অর্থনীতি বাস্তবায়নের জন্য কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে এবং বায়ু দূষণ রোধে পোড়া ইটের পরিবর্তে ব্লক ইট চালু করার জন্য একটি সময়সীমা নির্ধারণ করেছে।
জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং বাংলাদেশে চলমান উন্নয়ন সংক্রান্ত সকল কার্যক্রমে জার্মানির সহযোগিতা ক্রমবর্ধমান গতিতে অব্যাহত থাকবে।
পারস্পরিক আলোচনা ও চাহিদার ভিত্তিতে এই সহযোগিতা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মো. মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক এবং অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ) মো. মিজানুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-সিউল সম্পর্কের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল: কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত
১ বছর আগে
দুর্যোগ মোকাবিলায় ন্যাপ এ চিহ্নিত ১১৩ টি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনায় বাংলাদেশকে আটটি সেক্টরের আওতায় ১১টি অঞ্চলে ভাগ করে ১৪ ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলার লক্ষ্যে ১১৩টি অভিযোজনমূলক অ্যাকশন চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮০টি উচ্চ অগ্রাধিকার এবং ২৩টি মাঝারি অগ্রাধিকারমূলক অ্যাকশন হিসেবে বিবেচিত।
তিনি বলেন, অভিযোজন পরিকল্পনায় চিহ্নিত ঐ কার্যক্রমসমূহ ২০৫০ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে যাতে আমাদের প্রায় ২৩০ বিলিয়ন ইউএস ডলার সমপরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হবে।
আরও পড়ুন: পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদনে সহজ শর্তে ঋণ দিবে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ অধিদপ্তরের মিলনায়তনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘কনসালটেশন ওয়ার্কশপ অন ডিসেমিনেশন এন্ড ব্রেইনস্ট্রমিং অব ন্যাপ ইমপ্লিমেন্টেশন’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ৩১ অক্টোবর ২০২২ তারিখে ইউএনএফসিসিতে দাখিল করা এ পরিকল্পনা শুধুমাত্র একটি জাতীয় প্রতিবেদনই না, বরং এটা জলবায়ু অভিযোজনের ক্ষেত্রে বিশ্ব দরবারে আমাদের অবস্থান তুলে ধরবে। সকলের মূল্যবান মতামতসমূহ গ্রহণ করে এ পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করা হবে।
এই জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদে সমন্বিতভাবে অভিযোজন কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়নে কার্যকর হবে। জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনায় বাংলাদেশের জন্য সুনির্দিষ্ট অভিযোজন চাহিদাসমূহ এবং তা বাস্তবায়নে যথাযথ কৌশলসমূহ চিহ্নিত করা হয়েছে।
শাহাব উদ্দিন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষের মাঝে অভিযোজনমূলক সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর আরও জোর দেয়া হবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সকলের সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে অভিযোজনমূলক কার্যক্রমসমূহ গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়ন করা হবে।
এছাড়া বাংলাদেশে জলবায়ু সহিষ্ণু উন্নয়ন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থাসমূহ এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্মিলিত প্রয়াস চালিয়ে যাবে।
কর্মাশালায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.ফারহিনা আহমেদ।
বক্তব্য রাখেন মমন্ত্রণালয়ের জলবায়ু পরিবর্তন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুজ্জামান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, প্রফেসর এমেরিটাস ড. আইনুন নিশাত, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুন নাহার হেনা এবং প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী প্রমুখ।
ন্যাপ উপস্থাপন করেন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ধরিত্রী কুমার এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মির্জা শওকত আলী।
এছাড়াও, উপস্থিত কর্মকর্তারা ন্যাপ বাস্তবায়নে পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: ক্ষতিকর প্লাস্টিকের ব্যবহার ৯০ শতাংশ কমানো হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সবচেয়ে বেশি সম্মান দিয়েছে: পরিবেশমন্ত্রী
১ বছর আগে
রাষ্ট্রপতির সংলাপ: ইসি গঠনে আইন চায় ন্যাপ
নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে চলমান সংলাপের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন ইউএনবিকে বলেন, রবিবার বিকাল ৪টায় দলটি সংলাপে অংশ নেয় এবং তাদের প্রস্তাব পেশ করেন।
ন্যাপের দায়িত্বপ্রাপ্ত কার্যকরী সভাপতি আহভি আহমেদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সন্ধ্যায় এ আলোচনায় অংশ নেয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পাঁচ বছর মেয়াদ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।
ন্যাপের প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন একটি সাংবিধানিক দায়িত্ব। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনই এ আলোচনার মূল উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে সংলাপ: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে জাসদ প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
এ সময় রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন,পর্যায়ক্রমে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য, স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন সম্ভব হবে।
সংলাপে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে সাত দফা প্রস্তাব তুলে ধরে ন্যাপ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রস্তাবগুলো হলো- সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন; দক্ষ, সৎ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন এবং নির্বাচন কমিশনকে একটি জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা।
আলোচনার এই উদ্যোগ নেয়ার জন্য রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানায় দলটি।
প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান ও কাজী সিদ্দিকুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আহমেদ খান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পার্থ সরোথী চক্রবর্তী ও প্রেসিডিয়াম সদস্য (কৃষি) অনিল চক্রবর্তী।
রবিবার সংলাপে যোগ দেয়ার জন্য বঙ্গভবনে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলকে (বাসদ) আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে দলটি আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে জানিয়েছেন প্রেস সচিব।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে সংলাপ: বিএনপি এখনও আমন্ত্রণ পায়নি
বঙ্গভবনের প্রেস উইং সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ও খেলাফত মজলিশ সোমবার যথাক্রমে বিকাল ৪টা ও সন্ধ্যা ৬টায় আলোচনায় অংশ নেবে। মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির।
এছাড়া বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) ও ইসলামী ঐক্যজোট ২৯ ডিসেম্বর, গণফোরাম ও বিকাল্প ধারা ২ জানুয়ারি, গণতন্ত্রী পার্টি ও বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি ৩ জানুয়ারি সংলাপে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে জাতীয় পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (ইনু) নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন রাষ্ট্রপতি।
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দল রয়েছে এবং এদের মধ্যে ৯টির জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছে।
এই দলগুলো হলো-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বিকল্পধারা বাংলাদেশ, গণফোরাম, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ও জাতীয় পার্টি (জেপি)।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দলের পরামর্শে গ্রহণযোগ্য ইসি গঠিত হবে: রাষ্ট্রপতি
২ বছর আগে