দুদকের মামলা
দুদকের মামলা থেকে খালাস খন্দকার মোশাররফ
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক মো. মঞ্জুরুল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
হয়রানির উদ্দেশ্যেই এই মামলা করা হয়েছিল বলে রায় ঘোষণার পর জানান এই বিএনপি নেতা।
আরও পড়ুন: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেকসহ সব আসামি খালাস
এ সময় খন্দকার মোশাররফ হোসেনের আইনজীবী বলেন, ‘অবৈধ সম্পদের মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ কোনো তথ্য প্রমাণ দিতে পারেনি।’
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৮ সালে খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক। মামলার পর ওই বছরের নভেম্বরে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
৩ সপ্তাহ আগে
ফরিদপুর চেম্বারের সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জনের দায়ে ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ও তার স্ত্রী মুসরীন আক্তারের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (১ জানুয়ারি) দুদকের ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম বাদী হয়ে এ মামলা দুটি দায়ের করেন।
অভিযোগে বলা হয়, সিদ্দিকুর রহমানের আয়ের সঙ্গে ১১ কোটি ৫৪ লাখ ২৭ হাজার ১৯৫ টাকার সম্পদ অসঙ্গতিপূর্ণ এবং তার স্ত্রী মুসরীন আক্তারের আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ রয়েছে ২ কোটি ৩৫ লাখ ৪১ হাজার ১ টাকার সম্পদ।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য খাতের সিন্ডিকেট প্রধান মিঠুর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে দুদক
এতে আরও বলা হয়, ফরিদপুর চেম্বার অ্যান্ড কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ উৎস থেকে ১১ কোটি ৫৪ লাখ ২৭ হাজার ১৯৫ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করেছেন। এটি তার আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। এর মাধ্যমে তিনি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
এজাহারে বলা হয়, মুসরীন আক্তার একজন গৃহিনী। তার নিজস্ব কোনো ব্যবসা বা আয়ের উৎস পাওয়া যায়নি। তার স্বামীর অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদই তার নামে অর্জন দেখানো হয়েছে।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুরের সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের র্নিদেশে তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করা হয়।
আরও পড়ুন: চসিক কার্যালয়ে দুদকের অভিযান
১১ মাস আগে
চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে চট্টগ্রামের অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক এনামুল হক বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে এক কোটি ৮৮ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদবিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগ এ মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ‘৫০০ কোটির বাড়ি’র মালিকের নামে দুদকের মামলা
দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক এনামুল হক সোমবার দুপুরে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সাবেক সহকারী কমিশনার এ বি এম শাহাদাত হোসেন মজুমদার এবং তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা চৌধুরী।
ফেনীর ফুলগাজী থানার বাসিন্দা এ বি এম শাহাদাত হোসেন মজুমদার সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে অবসর নেন।
এছাড়া, চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর চুনা ফ্যাক্টরী এলাকায় তার বাড়ি ও মার্কেট রয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সম্পদের তথ্য দুদকে দাখিল করেন এই দম্পতি। কিন্তু এ বি এম শাহাদাত হোসেন ১৮ লাখ ৩২ হাজার ৫২২ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেন।
এ ছাড়া তার মালিকানাধীন মার্কেটের নির্মাণব্যয় কম দেখিয়ে ৬৮ লাখ ১৮ হাজার ২৮৭ টাকা মূল্যের সম্পদ অসঙ্গতিপূর্ণভাবে অর্জন করেছেন।
এছাড়া তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা চৌধুরী ২৭ লাখ এক হাজার ৮০৪ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেছেন। পাশাপাশি ৭৫ লাখ ২৬ হাজার ৪৪৮ টাকা মূল্যের সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করেছেন।
দুদক চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছাদাত জানান, প্রাথমিক তদন্তে সম্পদের তথ্য গোপন করা এবং জ্ঞাত উৎস থেকে অবৈধভাবে অর্থ অর্জনের প্রমাণ মিলেছে।
তাই ওই দম্পতির বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় সেলিম প্রধানের ৮ বছরের কারাদণ্ড
বগুড়ায় আ.লীগ নেতা দুলুর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
১ বছর আগে
কৃষি ব্যাংকের ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ভুয়া ঋণ নথি তৈরি করে প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে দুই কোটি দুই লাখ ৪৭ হাজার টাকার কৃষি ঋণ আত্মসাতের অভিযোগে কৃষি ব্যাংকের সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার রাতে দুদকের ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. রেজাউল করিম বাদী হয়ে এই মামলাটি করেন।
আরও পড়ুন: এমজিএইচ গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
মামলায় আসামি করা হয়েছে কৃষি ব্যাংকের রাজবাড়ী জেলা শাখার বর্তমান সাময়িক বরখাস্তকৃত সাবেক পরিদর্শক মো. রেজাউল হক (৪৩), সাবেক পরিদর্শক মো. মুর্তজা আলী (৪১), সাবেক পরিদর্শক মো. গোলাম গাউস (৬৫), সাবেক ব্যবস্থাপক মো. মইনুল ইসলাম (৬৩), সাবেক ব্যবস্থাপক মো. ওয়াহিদুজ্জামান (৬৫), সাবেক ব্যবস্থাপক মো. সিদ্দিকুর রহমান (৬৮) এবং সাবেক ব্যবস্থাপক এস এম দেলোয়ার হোসেন (৬১)।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রচলিত বিধিবিধান ও জেনারেল ব্যাংকিং ম্যানুয়াল লঙ্ঘন করে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজবাড়ী শাখায় ২০১৪ সালের ১ জুলাই হতে ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত কর্মরত থাকাকালে প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির মাধ্যম রেকর্ডপত্র তৈরি করে মোট ৩৪৬ টি ঋণ নথি তৈরি করেন। এরপর এর বিপরীতে মোট দুই কোটি ২০ লাখ ১৯ হাজার টাকা ঋণ প্রদানের প্রস্তাব/সুপারিশ করে ঋণ নথি ব্যবস্থাপকের মাধ্যমে মঞ্জুর করেন। এবং বিভিন্ন গ্রাহকের নাম ব্যবহার করে পাস করা ঋণ প্রদান ও উত্তোলন করেন।
এভাবে বিভিন্ন সময়ে ১৭ লাখ ৭১ হাজার ৮১৮ টাকা নিজেরাই জমা করে। অবশিষ্ট দুই কোটি দুই লাখ ৪৭ হাজার ১৮২ টাকা অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরস্পর যোগসাজশে জমা না দিয়ে আত্মসাত ও আত্মসাতে সহায়তা করেন।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে দুদকের ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক বলেন, ভুয়া ঋণ নথি তৈরি করে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাত করেছেন।
তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ওসি প্রদীপের স্ত্রী চুমকিকে দুদকের মামলায় জামিন দেননি হাইকোর্ট
দুদকের মামলায় তারেক-জোবায়দার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিল আদালত
১ বছর আগে
দুদকের মামলায় সস্ত্রীক সাবেক সাংসদ আউয়ালের জামিনের মেয়াদ বাড়ল
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল এবং তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়ে তারিখ আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।
রবিবার বেলা ১১টার দিকে বরিশালের বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রফিকুল ইসলাম পরবর্তী হাজিরা পর্যন্ত জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বরিশালগামী লঞ্চে আগুন, দ্রুত নিয়ন্ত্রণ
আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর দুদকের বরিশাল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আলী আকবর বাদী হয়ে খাসজমিতে ভবন নির্মাণ, অর্পিত সম্পত্তি ও পুকুর দখলের অভিযোগে আউয়ালের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেন। একটি মামলায় আউয়ালের সঙ্গে তার স্ত্রী পিরোজপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী লায়লা পারভীনকেও আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: এবার বরিশালে মুরাদের বিরুদ্ধে মামলা
২০০৮ ও ২০১৪ সালে পর পর দু’বার পিরোজপুর-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন এ কে এম এ আউয়াল।
২ বছর আগে
চট্টগ্রামে সাবেক কাউন্সিলরসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের ৪ মামলা
চট্টগ্রামে পাহাড় কাটা ও মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক এক কাউন্সিলরসহ চারজনের বিরুদ্ধে চার মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসময় তাদের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৪৭ লাখ ৮৭ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আনা হয়।
মঙ্গলবার দুদকের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক আবু সাঈদ আলাদাভাবে মামলাগুলো দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন, নগরীর লালখান বাজার ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এফ আই কবির আহমদ মানিক, লালখান বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি কাজী মাহমুদুল ইসলাম বিলু, সাধারণ সম্পাদক এএন ফারুক আহমদ ও জাগো ফাউন্ডেশনে প্রকল্প পরিচালক ফয়সাল সিদ্দিকী।
আরও পড়ুন: এনআরবি ব্যাংকের পরিচালক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
দুদক সূত্র জানায়, সাবেক কাউন্সিলর এফ আই কবির আহমদ মানিক বিরুদ্ধে একটি মামলায় সরকারি পাহাড় কেটে বাড়ি নির্মাণ, পুকুর খনন করে ভাড়া বাবদ ৪৫ লাখ ৩৬ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। আরেকটি মামলায় এফ আই কবির আহমদ মানিক, কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু ও এ এন ফারুক বিরুদ্ধে মসজিদের দোকান বরাদ্দের নামে ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। অপর মামলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে নকশা বর্হিভূত মার্কেট নির্মাণ করে ২৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। এছাড়া মানিক ও জাগো ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক ফয়সাল সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ২৮ লাখ ১১ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আরও একটি মামলা করে দুদক।
আরও পড়ুন: পুলিশের ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের ১০ কোটি টাকার মামলা
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপপরিচালক লুৎফর কবির চন্দন জানান, বিভিন্ন অভিযোগে চার জনের বিরুদ্ধে চার মামলা হয়েছে। অনুসন্ধান করে দুদক টিম অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। দ্রুত মামলার কাজ শেষ করা হবে।
৩ বছর আগে
কুষ্টিয়ায় শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
প্রায় ৩৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং দখলে রাখার অপরাধে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রশিদের (৫৬) বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমাবার বেলা ১০ টার সময় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার পক্ষ থেকে মামলাটি করেন দুদকের সমন্বিত কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নীল কমল পাল।
আরও পড়ুন: এনআরবি ব্যাংকের পরিচালক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জাকারিয়া মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দুর্নীতি দমন কমিশনের সম্পদ বিবরণীতে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার আব্দুর রশিদ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদানের মাধ্যমে ৩৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩২৬ টাকার সম্পদ অর্জন এবং দখলে রাখার তথ্য এড়িয়ে যান।
আরও পড়ুন: খুলনায় সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা
এবিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, প্রাথমিকভাবে দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। মামলার বিষয়ে উর্ধতন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট আদালতে মামলার নথি পাঠানো হয়েছে। এখন পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। এতে আসামির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমানিত হলে স্পেশাল আদালতে তার বিচার কাজ শুরু হবে।
৩ বছর আগে
খুলনায় সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা
সোনালী ব্যাংক খুলনা করপোরেট শাখার ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. সালাউদ্দিন, ব্যাংকের গোডাউন কিপার আ. মান্নান হাওলাদারসহ তিনজনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) খুলনা।
দুদকের উপপরিচালক মো. শাওন মিয়ার করা এই মামলা সোমবার খুলনা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নথিভুক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
মামলার এজাহারে বলা হয়, স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড সোনালী ব্যাংক খুলনা করপোরেট শাখা থেকে ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঋণ নেয়। এই ঋণের বিপরীতে গোডাউনে রক্ষিত রপ্তানিযোগ্য চিংড়ি মাছ জামানত ছিল। ব্যাংকের পক্ষ থেকে গোডাউন কিপার আ. মান্নান হাওলাদার ও সাপোর্টিং স্টাফ আ. রহিম বাবু গোডাউন রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন।
স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এমডি মো. সালাউদ্দিন ব্যাংকের গোডাউন কিপারের যোগসাজশে ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই থেকে ১০ আগস্ট রপ্তানিযোগ্য চিংড়ি মাছ স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দেন। গভীর রাতে গোডাউন খুলে চিংড়ি মাছ পাচারকালে ব্যাংকের তৎকালীন ডিজিএম মো. আবু হোসেন শেখ (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) পুলিশের সহায়তায় গোপন মাছ বিক্রির প্রমাণ পান। তিনি নিজে বাদী হয়ে মামলা করেন। কিন্তু এই ঘটনায় ব্যাংকের সিবিএর নেতারা ক্ষিপ্ত হয়ে ডিজিএমকে লাঞ্ছিত করেন এবং পুলিশের কাছে মিথ্যা সাক্ষ্য দিলে পুলিশ পক্ষপাতমূলকভাবে এই মামলায় ফাইনাল রিপোর্ট দেয়।
দুদকের এজাহারে উল্লেখ রয়েছে , মো. আ. রহিম বাবু ব্যাংকের সিবিএ নেতা হওয়ায় তখনকার ডিজিএমকে এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার হুমকি দেন। এমতাবস্থায় ডিজিএম সিবিএ নেতাদের চাপে কোনো ব্যবস্থা নিতে এবং তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারেননি।
ব্যাংকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের অভিযোগ, দুদক মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি মো. আ. রহিম বাবু শ্রমিক লীগনেতা ও সোনালি ব্যাংক সিবিএর সাবেক সভাপতি। দলীয় কারণে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায়নি। অবসরে গেলেও নতুন নির্বাচন না হওয়ায় তিনিই এখনো সিবিএ নেতা। পরে দুর্নীতি দমন কমিশন ঘটনার তদন্ত শুরু করে এবং প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় এই মামলা দায়ের করে।
আরও পড়ুন: যশোরে দুদকের মামলায় রাজস্ব কর্মকর্তা কারাগারে
সোনালী ব্যাংক খুলনা করপোরেট শাখার বর্তমান ডিজিএম শেখ শহিদুল ইসলাম জানান, গোডাউন কিপার আ. মান্নান হাওলাদার সাময়িক বরখাস্ত আছেন। মামলার কপি পাওয়া গেলে অন্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি জানান, স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে অর্থঋণ আদালতে প্রায় ২০ কোটি টাকা ঋণ খেলাপির মামলা দায়ের করা হয়েছে।
৩ বছর আগে
বগুড়ায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
বগুড়ার সোনাতলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৩ বছর আগে
দুদকের মামলায় কারাগারে স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মচারী ও তার স্ত্রী
আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মচারী (স্টেনোগ্রাফার) ফরিদ আহমেদ মোল্লা ও তার স্ত্রী পলি আহমেদকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
৩ বছর আগে