দুদকের মামলা
আ.লীগের সাবেক এমপি নাসিম ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং আইনে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ও তার স্ত্রী ডা. জাহানারা আরজুর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১৯ মার্চ) দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমান বাদী হয়ে ফেনীর বিশেষ জজ আদালতে মামলাদুটি করেছেন বলে নিশ্চিত করেন ওই কার্যালয়ের আদালত পরিদর্শক (কোর্ট ইন্সপেক্টর) মো. ইদ্রিস।
অভিযুক্ত নাসিম ফেনী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একসময়ের প্রটোকল কর্মকর্তা ছিলেন। তার স্ত্রী বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক।
মামলায় নাসিমের বিরুদ্ধে ৭৪ কোটি ৫২ লাখ ১৭ হাজার ৭৫৭ টাকা এবং তার স্ত্রী ডা. জাহানারা আরজুর বিরুদ্ধে ১২ কোটি ৪৭ লাখ ২৬ হাজার ১৮৯ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আরেক মামলা থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমান
আদালত পরিদর্শক মো. ইদ্রিস বলেন, ‘দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ফারুক আহমেদ ও সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমান অনুসন্ধান করে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে মামলা দুটি করেছেন।’
মামলা সূত্রে জানা গেছে, আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ১৯৮৬ সালে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। ২৩ বছর পর ২০০৯ সালে যুগ্ম সচিবের পদ থেকে তিনি স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দিয়ে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন তিনি। গত বছর ফেনী-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হন নাসিম।
তিনি ফেনী, চট্টগ্রাম, পিরোজপুর, কক্সবাজার, মৌলভীবাজার, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মোট ১২৬টি দলিলের মাধ্যমে পাঁচটি ফ্ল্যাট ও দুটি প্লটসহ মোট ৩৯ কোটি ৮ লাখ ৪৪ হাজার ৬০৫ টাকার স্থাবর সম্পত্তি ক্রয় করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া তার নামে ১৪টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৮ কোটি ২৫ লাখ ৪৮ হাজার ১০৮ টাকা জমা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে বলে মামলা সূত্রে জানা যায়।
আরও পড়ুন: অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেলেন বাবর
এ ছাড়াও, ১৫টি কোম্পানিতে ৩৪ কোটি ৬২ লাখ ৩৯ হাজার ৯৫৪ টাকার শেয়ারসহ তার নামে ঢাকা-চট্টগ্রামে ২৭ লাখ ৩৩ হাজার ৪৬ টাকায় ১০টি ক্লাবের সদস্যসহ স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে মোট ৮৪ কোটি ৮৭ লাখ ৩৫ হাজার ৭১৩ টাকার সম্পদের খোঁজ পাওয়া যায়। পারিবারিক ব্যয়সহ এ হিসাবের পরিমাণ ১০২ কোটি ৩৮ লাখ ৭ হাজার ৪৯১ টাকা।
অন্যদিকে, তার স্ত্রী ডা. জাহানারা আরজুর নামে ফ্ল্যাট, প্লট ও জমিসহ মোট ১২ কোটি ৪৭ লাখ ২৬ হাজার ১৮৯ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করায় দুদক আইনসহ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করা হয়েছে।
২৭ দিন আগে
আব্দুস শহীদ, কবির বিন আনোয়ারসহ তিন জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ, সাবেক মন্ত্রিপরিষদসচিব কবির বিন আনোয়ার ও তার স্ত্রী তৌফিকা আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সাত কোটি ৭২ লাখ ৭৯ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ভোগ দখলে রেখেছেন মৌলভীবাজার-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস শহীদ। এছাড়াও নিজ ও তার প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে ১৮টি হিসাবে মোট ২৬ কোটি ৯৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা সন্দেহজনকভাবে লেনদেন করেছেন। টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তর করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শামীম ওসমান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২, এর ৪ (২) ও ৪(৩) ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় এই মামলা রুজু হয়েছে।
আর তার স্ত্রী উম্মে কুলসুমকে সম্পদের বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কারণ তার বিরুদ্ধে ৩৯ লাখ ২২ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। এছাড়াও তার নামে-বেনামে আরও সম্পদ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া কবির বিন আনোয়ারের জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ দুই কোটি ৮৪ লাখ ৪০ হাজার টাকার সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার অভিযোগ করা হয়েছে। এর বাইরেও তার ৯টি ব্যাংক হিসাবে ১৫ কোটি ৩৮ লাখ ৫৭ হাজার টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে দুদক।
‘এভাবে অবৈধ অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা; মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) (৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।’
তৌফিকা আহমেদ জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকার সম্পদ অর্জন ও দখলে রেখেছেন বলে অভিযোগ করছে দুদক।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে আবদুল হামিদ-হাসিনাসহ ১২৪ জনের নামে মামলা
‘তার ৬টি ব্যাংক হিসাবে সাত কোটি ৭৮ লাখ ৬২ হাজার টাকা এবং ২২ হাজার ২৮০ মার্কিন ডলারের অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। এরমধ্য দিয়ে অবৈধ অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রুপান্তর করার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমানিত হয়েছে।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কবির বিন আনোয়ার সরকারী কর্মচারী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে তার নিজ অবৈধ অর্থ বৈধ করতে স্ত্রী তৌফিকা আহমেদের নামে সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখতে সহায়তা করেছেন। যে কারণে তৌফিকা আহমেদ ও কবির বিন আনোয়ারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা; মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) (৩) ধারা এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়।
৮৭ দিন আগে
সাবেক এমপি নিক্সন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
দুর্নীতির অভিযোগে ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মুজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে এই তথ্য জানানো হয়।
দুদকের মহাপরিচালক আখতার হোসেন (প্রতিরোধ) সাংবাদিকদের বলেন, তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করেছে কমিশন।
তাদের বিরুদ্ধে ৩ হাজার ১৬২ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন এবং ১৯ কোটি ২৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: কৃষি যন্ত্রপাতি ও মেশিন আমদানির চেয়ে বেশি বিতরণ দেখানো হয়েছে: দুদক
৯৭ দিন আগে
সাবেক এমপি রিমনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শওকত হাচানুর রহমান রিমনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৯৬ লাখ ৮৭ হাজার ১৬৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
একইসঙ্গে তার স্ত্রী রওনকের সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে বলেছে দুদক। তার বিরুদ্ধেও ২ কোটি ৫২ লাখ ৮৪ হাজার ৫৮২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য রয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে।
এসব জানিয়ে দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, ‘তার (রিমন) নামে ৩৫ কোটি ৯৮ লাখ ৬৪ হাজার ৬৮৭ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য রয়েছে। এর মধ্যে দায়-দেনা ১৫ কোটি ২৪ লাখ ৯৭ হাজার ৯৯৭ টাকা। তা বাদে মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ২০ কোটি ৭৩ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯০ টাকা। ১৯৯৪-১৯৯৫ করবর্ষ থেকে ২০২৩-২০২৪ করবর্ষে তার পারিবারিক ব্যয় ১৬ কোটি ৩৫ লাখ ৯ হাজার ৮৪৫ টাকাসহ অর্জিত সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৭ কোটি ৮ লাখ ৭৬ হাজার ৫৩৪ টাকা।’
আরও পড়ুন: বড়দিন উদযাপনে আতশবাজি নিষিদ্ধ
তিনি বলেন, ‘এই ৩৭ কোটি ৮ লাখ ৭৬ হাজার ৫৩৪ টাকার বিপরীতে গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস পাওয়া যায় ১ কোটি ১১ লাখ ৮৯ হাজার ৩৭০ টাকার। ফলে ৩৫ কোটি ৯৬ লাখ ৮৭ হাজার ১৬৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে তিনি দুদক আইনে অপরাধ করেছেন।’
দুর্নীতির অভিযোগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর রিমনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক। এ বিষয়ে দুদকের উপ-পরিচালক বলেন, ‘রিমনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রিমনের নামে বরিশালের আগরপুর রোড, রূপাতলী, জাগুয়া, দক্ষিণ আলেকান্দায়, ঢাকার নলটোনা, বরগুনার পাথরঘাটায় মোট ১ কোটি ৫১ লাখ ৫৬ হাজার ৫৬৩ টাকার অকৃষি জমি এবং বরগুনার কাঠালতলী, মাদারতলী, রায়হানপুর, গহরপুর, চরলাঠিমারা মৌজাসহ বিভিন্ন এলাকায় ৫৮ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের কৃষি জমি আছে। ১৫ কোটি ১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৪০ টাকা ব্যবসার পুঁজি রয়েছে তার নামে। পাশাপাশি ৪৬ লাখ টাকার অন্যান্য বিনিয়োগও রয়েছে।
দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-২ আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৬ অক্টোবর দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শওকত হাচানুর রহমান রিমনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্ত বিএনপি নেতা পিন্টু
১১৩ দিন আগে
দুদকের মামলা থেকে খালাস খন্দকার মোশাররফ
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক মো. মঞ্জুরুল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
হয়রানির উদ্দেশ্যেই এই মামলা করা হয়েছিল বলে রায় ঘোষণার পর জানান এই বিএনপি নেতা।
আরও পড়ুন: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেকসহ সব আসামি খালাস
এ সময় খন্দকার মোশাররফ হোসেনের আইনজীবী বলেন, ‘অবৈধ সম্পদের মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ কোনো তথ্য প্রমাণ দিতে পারেনি।’
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৮ সালে খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক। মামলার পর ওই বছরের নভেম্বরে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
১৩৬ দিন আগে
ফরিদপুর চেম্বারের সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জনের দায়ে ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ও তার স্ত্রী মুসরীন আক্তারের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (১ জানুয়ারি) দুদকের ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম বাদী হয়ে এ মামলা দুটি দায়ের করেন।
অভিযোগে বলা হয়, সিদ্দিকুর রহমানের আয়ের সঙ্গে ১১ কোটি ৫৪ লাখ ২৭ হাজার ১৯৫ টাকার সম্পদ অসঙ্গতিপূর্ণ এবং তার স্ত্রী মুসরীন আক্তারের আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ রয়েছে ২ কোটি ৩৫ লাখ ৪১ হাজার ১ টাকার সম্পদ।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য খাতের সিন্ডিকেট প্রধান মিঠুর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে দুদক
এতে আরও বলা হয়, ফরিদপুর চেম্বার অ্যান্ড কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ উৎস থেকে ১১ কোটি ৫৪ লাখ ২৭ হাজার ১৯৫ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করেছেন। এটি তার আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। এর মাধ্যমে তিনি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
এজাহারে বলা হয়, মুসরীন আক্তার একজন গৃহিনী। তার নিজস্ব কোনো ব্যবসা বা আয়ের উৎস পাওয়া যায়নি। তার স্বামীর অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদই তার নামে অর্জন দেখানো হয়েছে।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুরের সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের র্নিদেশে তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করা হয়।
আরও পড়ুন: চসিক কার্যালয়ে দুদকের অভিযান
৪৭১ দিন আগে
চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে চট্টগ্রামের অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক এনামুল হক বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে এক কোটি ৮৮ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদবিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগ এ মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ‘৫০০ কোটির বাড়ি’র মালিকের নামে দুদকের মামলা
দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক এনামুল হক সোমবার দুপুরে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সাবেক সহকারী কমিশনার এ বি এম শাহাদাত হোসেন মজুমদার এবং তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা চৌধুরী।
ফেনীর ফুলগাজী থানার বাসিন্দা এ বি এম শাহাদাত হোসেন মজুমদার সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে অবসর নেন।
এছাড়া, চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর চুনা ফ্যাক্টরী এলাকায় তার বাড়ি ও মার্কেট রয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সম্পদের তথ্য দুদকে দাখিল করেন এই দম্পতি। কিন্তু এ বি এম শাহাদাত হোসেন ১৮ লাখ ৩২ হাজার ৫২২ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেন।
এ ছাড়া তার মালিকানাধীন মার্কেটের নির্মাণব্যয় কম দেখিয়ে ৬৮ লাখ ১৮ হাজার ২৮৭ টাকা মূল্যের সম্পদ অসঙ্গতিপূর্ণভাবে অর্জন করেছেন।
এছাড়া তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা চৌধুরী ২৭ লাখ এক হাজার ৮০৪ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেছেন। পাশাপাশি ৭৫ লাখ ২৬ হাজার ৪৪৮ টাকা মূল্যের সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করেছেন।
দুদক চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছাদাত জানান, প্রাথমিক তদন্তে সম্পদের তথ্য গোপন করা এবং জ্ঞাত উৎস থেকে অবৈধভাবে অর্থ অর্জনের প্রমাণ মিলেছে।
তাই ওই দম্পতির বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় সেলিম প্রধানের ৮ বছরের কারাদণ্ড
বগুড়ায় আ.লীগ নেতা দুলুর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
৭০৯ দিন আগে
কৃষি ব্যাংকের ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ভুয়া ঋণ নথি তৈরি করে প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে দুই কোটি দুই লাখ ৪৭ হাজার টাকার কৃষি ঋণ আত্মসাতের অভিযোগে কৃষি ব্যাংকের সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার রাতে দুদকের ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. রেজাউল করিম বাদী হয়ে এই মামলাটি করেন।
আরও পড়ুন: এমজিএইচ গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
মামলায় আসামি করা হয়েছে কৃষি ব্যাংকের রাজবাড়ী জেলা শাখার বর্তমান সাময়িক বরখাস্তকৃত সাবেক পরিদর্শক মো. রেজাউল হক (৪৩), সাবেক পরিদর্শক মো. মুর্তজা আলী (৪১), সাবেক পরিদর্শক মো. গোলাম গাউস (৬৫), সাবেক ব্যবস্থাপক মো. মইনুল ইসলাম (৬৩), সাবেক ব্যবস্থাপক মো. ওয়াহিদুজ্জামান (৬৫), সাবেক ব্যবস্থাপক মো. সিদ্দিকুর রহমান (৬৮) এবং সাবেক ব্যবস্থাপক এস এম দেলোয়ার হোসেন (৬১)।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রচলিত বিধিবিধান ও জেনারেল ব্যাংকিং ম্যানুয়াল লঙ্ঘন করে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজবাড়ী শাখায় ২০১৪ সালের ১ জুলাই হতে ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত কর্মরত থাকাকালে প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির মাধ্যম রেকর্ডপত্র তৈরি করে মোট ৩৪৬ টি ঋণ নথি তৈরি করেন। এরপর এর বিপরীতে মোট দুই কোটি ২০ লাখ ১৯ হাজার টাকা ঋণ প্রদানের প্রস্তাব/সুপারিশ করে ঋণ নথি ব্যবস্থাপকের মাধ্যমে মঞ্জুর করেন। এবং বিভিন্ন গ্রাহকের নাম ব্যবহার করে পাস করা ঋণ প্রদান ও উত্তোলন করেন।
এভাবে বিভিন্ন সময়ে ১৭ লাখ ৭১ হাজার ৮১৮ টাকা নিজেরাই জমা করে। অবশিষ্ট দুই কোটি দুই লাখ ৪৭ হাজার ১৮২ টাকা অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরস্পর যোগসাজশে জমা না দিয়ে আত্মসাত ও আত্মসাতে সহায়তা করেন।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে দুদকের ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক বলেন, ভুয়া ঋণ নথি তৈরি করে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাত করেছেন।
তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ওসি প্রদীপের স্ত্রী চুমকিকে দুদকের মামলায় জামিন দেননি হাইকোর্ট
দুদকের মামলায় তারেক-জোবায়দার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিল আদালত
৭৭৬ দিন আগে
দুদকের মামলায় সস্ত্রীক সাবেক সাংসদ আউয়ালের জামিনের মেয়াদ বাড়ল
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল এবং তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়ে তারিখ আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।
রবিবার বেলা ১১টার দিকে বরিশালের বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রফিকুল ইসলাম পরবর্তী হাজিরা পর্যন্ত জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বরিশালগামী লঞ্চে আগুন, দ্রুত নিয়ন্ত্রণ
আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর দুদকের বরিশাল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আলী আকবর বাদী হয়ে খাসজমিতে ভবন নির্মাণ, অর্পিত সম্পত্তি ও পুকুর দখলের অভিযোগে আউয়ালের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেন। একটি মামলায় আউয়ালের সঙ্গে তার স্ত্রী পিরোজপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী লায়লা পারভীনকেও আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: এবার বরিশালে মুরাদের বিরুদ্ধে মামলা
২০০৮ ও ২০১৪ সালে পর পর দু’বার পিরোজপুর-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন এ কে এম এ আউয়াল।
১১৮৭ দিন আগে
চট্টগ্রামে সাবেক কাউন্সিলরসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের ৪ মামলা
চট্টগ্রামে পাহাড় কাটা ও মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক এক কাউন্সিলরসহ চারজনের বিরুদ্ধে চার মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসময় তাদের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৪৭ লাখ ৮৭ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আনা হয়।
মঙ্গলবার দুদকের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক আবু সাঈদ আলাদাভাবে মামলাগুলো দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন, নগরীর লালখান বাজার ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এফ আই কবির আহমদ মানিক, লালখান বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি কাজী মাহমুদুল ইসলাম বিলু, সাধারণ সম্পাদক এএন ফারুক আহমদ ও জাগো ফাউন্ডেশনে প্রকল্প পরিচালক ফয়সাল সিদ্দিকী।
আরও পড়ুন: এনআরবি ব্যাংকের পরিচালক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
দুদক সূত্র জানায়, সাবেক কাউন্সিলর এফ আই কবির আহমদ মানিক বিরুদ্ধে একটি মামলায় সরকারি পাহাড় কেটে বাড়ি নির্মাণ, পুকুর খনন করে ভাড়া বাবদ ৪৫ লাখ ৩৬ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। আরেকটি মামলায় এফ আই কবির আহমদ মানিক, কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু ও এ এন ফারুক বিরুদ্ধে মসজিদের দোকান বরাদ্দের নামে ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। অপর মামলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে নকশা বর্হিভূত মার্কেট নির্মাণ করে ২৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। এছাড়া মানিক ও জাগো ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক ফয়সাল সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ২৮ লাখ ১১ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আরও একটি মামলা করে দুদক।
আরও পড়ুন: পুলিশের ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের ১০ কোটি টাকার মামলা
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপপরিচালক লুৎফর কবির চন্দন জানান, বিভিন্ন অভিযোগে চার জনের বিরুদ্ধে চার মামলা হয়েছে। অনুসন্ধান করে দুদক টিম অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। দ্রুত মামলার কাজ শেষ করা হবে।
১২৫৪ দিন আগে