শিক্ষাবোর্ড
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২৩: জিপিএ-৫ এর সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, এ বছর ১১টি শিক্ষাবোর্ডে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সাড়ে ১৩ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯২ হাজার ৩৬৫ জন।
গত বছর অর্থাৎ, ২০২২ সালে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন। সেই হিসাবে এ বছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৮৩ হাজার ৯১৭ জন।
অন্যদিকে, দেশের ১১টি শিক্ষাবোর্ডে গড় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। গত বছর ২০২২ সালে পরীক্ষায় গড় পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। সেই হিসেবে এবার পাসের হার ৭ দশমিক ৩১ শতাংশ কমেছে।
রবিবার বেলা ১১টায় ওয়েবসাইট ও নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফল প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২৩: ৪২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে ছাত্রীরা এগিয়ে
এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার কমেছে
১ বছর আগে
চট্টগ্রাম বোর্ডে এসএসসিতে এবার পাসের হার ৭৮.২৯ শতাংশ
গতবারের তুলনায় এবারও জিপিএ ও পাসের হার দুটোই কমেছে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে। এ বছর এসএসসিতে পাসের হার ৭৮ দশমিক ২৯ শতাংশ।
পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৬৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ১ লাখ ২০ হাজার ৮৬ জন। এই বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১১ হাজার ৪৫০ জন। এবার পাসের হার গতবারের তুলনায় ১০ শতাংশ কম। গতবার পাসের হার ছিল ৮৭ দশমিক ৫৩, জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৮ হাজার ৬৬৪ জন।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড মিলনায়তনে এই বোর্ডের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করার পর এই তারতম্য দেখা গেছে। ফলাফল ঘোষণা করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ।
বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এবার ছাত্র পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ ও ছাত্রী পাসের হার ৭৮ দশমিক ৭২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৫ হাজার ৪ জন ও ছাত্রী ৬ হাজার ৪৪৬ জন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর হাতে এসএসসির ফলাফল হস্তান্তর
বিভাগভিত্তিক ফলাফলে এগিয়ে আছেন বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ বিভাগে পাসের হার ৯৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ। মানবিকে পাসের হার ৬৫ দশমিক ৪১ ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পাসের হার ৮২ দশমিক ০৬ শতাংশ।
যেখানে, গতবছর পাসের হার ছিল ৮৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং পাস করেছে ১ লাখ ৩০ হাজার ১৩ জন।পাস করাদের মধ্যে গতবছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ হাজার ৬৬৪ জন।
প্রসঙ্গত, এবারের পরীক্ষায় ১ হাজার ১০৭টি প্রতিষ্ঠানের জন্য কেন্দ্র ছিল ২১৬টি। পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৬৮ হাজার ২৭০ জন ও ছাত্রী ৮৬ হাজার ৪৯৯ জন। তিন বিভাগেই পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এ বছর বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অংশ নিয়েছে ৩৪ হাজার ৩২ জন। মানবিক থেকে ৫৯ হাজার ৫৩৩ জন ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৬১ হাজার ২০৪ জন পরীক্ষার্থী। গত বছর বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পরীক্ষায় বসেছিল ৩০ হাজার ৩৭১ জন, মানবিক থেকে ৫৯ হাজার ১৩৭ ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে পরীক্ষা দেয় ৬০ হাজার ২০৪ জন।
এবার নগরীসহ চট্টগ্রাম জেলায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৬ হাজার ৮৮৫ জন। কক্সবাজার জেলায় পরীক্ষার্থী ছিল ২৪ হাজার ৩৩০ জন, রাঙামাটি জেলা থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৮ হাজার ৭৪২ জন, খাগড়াছড়ি থেকে ৯ হাজার ৮৬৬ জন, বান্দরবান থেকে ৪ হাজার ৯৪৫ জন।
আরও পড়ুন: এসএসসির ফল প্রকাশ ২৮ জুলাই
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় মোখা: ছয় শিক্ষাবোর্ডের ১৪ ও ১৫ মে’র এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত
অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে ছয়টি বোর্ডের অধীনে রবিবার ও সোমবারের (১৪ ও ১৫ মে) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের নির্ধারিত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
ছয়টি শিক্ষাবোর্ড হলো- চট্টগ্রাম বোর্ড, কুমিল্লা বোর্ড, যশোর বোর্ড, বরিশাল বোর্ড, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি বোর্ড।
শনিবার বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উল্লিখিত শিক্ষা বোর্ডগুলো ছাড়াও বাকি বোর্ডগুলোর পরীক্ষা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
স্থগিত পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি পরে ঘোষণা করা হবে বলে এতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজগুলোর রবিবারের পরীক্ষা স্থগিত
ঘূর্ণিঝড় মোখা: পাঁচটি বোর্ডের রবিবারের এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত
১ বছর আগে
এসএসসি ফলাফল ২০২২: জিপিএ-৫ পেয়েছে ২,৬৯,৬০২ জন শিক্ষার্থী
২০২২ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় দুই লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবছর ৮৬ হাজার ২৬২ জন বেশি শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
২০২১ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল এক লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর হাতে এসএসসির ফলাফল হস্তান্তর
এ বছর সকল শিক্ষা বোর্ডে উত্তীর্ণ মোট ছাত্রের চেয়ে তিন হাজার ৫২৭ জন বেশি ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে এবং ছাত্রের চেয়ে ২৭ হাজার ২৯০ জন বেশি ছাত্রী জিপিএ-৫ বেশি পেয়েছে।
এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে উত্তীর্ণ মোট ছাত্রের চেয়ে ৬২ হাজার ৮১ জন বেশী ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে এবং ছাত্রের চেয়ে ২৮ হাজার ৮৪৫ জন বেশি ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ আজ, মোবাইলে ফলাফল জানবেন যেভাবে
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ আজ
২ বছর আগে
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ ২৮ নভেম্বর
চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে আগামী ২৮ নভেম্বর (সোমবার)।
সোমবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আবুল বাশার ইউএনবিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আগামী ২৮ নভেম্বর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।
আরও পড়ুন: এ বছর এসএসসি পরীক্ষা ১১টায় শুরু হবে: শিক্ষামন্ত্রী
মাদ্রাসা (দাখিল) ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডসহ ১১টি বোর্ডের অধীনে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সারাদেশে শুরু হয়েছে ১৫ সেপ্টেম্বর।
এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়।
আরও পড়ুন: প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানিদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
‘এইচএসসির বিতর্কিত প্রশ্ন তৈরিতে জড়িত যশোর বোর্ডের শিক্ষকদের শোকজ করা হবে’
২ বছর আগে
‘এইচএসসির বিতর্কিত প্রশ্ন তৈরিতে জড়িত যশোর বোর্ডের শিক্ষকদের শোকজ করা হবে’
যশোর শিক্ষা বোর্ডের যেসব শিক্ষক ঢাকা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষার বাংলা ১ম পত্র প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উপাদান রাখার বিষয়ে জড়িত ছিলেন প্রথমেই তাদেরকে শোকজ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
মঙ্গলবার অধ্যাপক তপন কুমার ইউএনবিকে জানান, নিয়ম অনুযায়ী যশোর বোর্ডের আওতাধীন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওই শিক্ষকদের কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়া হবে।
এরপর ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: শ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানিদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
এরপর মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন তপন কুমার সরকার।
রবিবার থেকে বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষার মধ্য দিয়ে সারাদেশে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
ঢাকা বোর্ডের প্রশ্নপত্রের একটি প্রশ্ন বিতর্ক ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
উদ্ভট ও অপ্রয়োজনীয়ভাবে একটি অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে নেপাল ও গোপাল দুই ভাই (নামগুলি সাধারণত হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ব্যবহার করে)। তাদের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। তার বড় ভাইকে শাস্তি দিতে নেপাল বিতর্কিত জমিটি আব্দুল নামে এক মুসলিম ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেয়। নতুন মালিক ঈদুল আজহার সময় ওই জমিতে একটি গরু কোরবানি দিলে নেপালের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে এবং তিনি ভারতে চলে যান।
এই প্রশ্নটিতে ভয়াবহভাবে সাম্প্রদায়িক উপাদানগুলো ব্যবহারের জন্য দেশের সাধারণ মানুষ ও শিক্ষাবিদেরা এ কর্মকাণ্ডের ব্যাপক সমালোচনা করেছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ডে গত বারের চেয়ে ৬ হাজার পরীক্ষার্থী কমেছে
প্রশ্নফাঁসের চেষ্টা করলেই কঠোর ব্যবস্থা: শিক্ষামন্ত্রী
২ বছর আগে
ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ডে গত বারের চেয়ে ৬ হাজার পরীক্ষার্থী কমেছে
ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষায় নেত্রকোনা, শেরপুর, জামালপুর ও ময়মনসিংহ জেলায় ৮৯টি কেন্দ্রে অংশ নিচ্ছেন ৬৩ হাজার ১৫১জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে নিয়মিত শিক্ষার্থী ৬০ হাজার ৬৩৭জন।
অনিয়মিত দুই হাজার ৫১৪ শিক্ষার্থী। গত বছর পরীক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ৬৯ হাজার ২১৭ জন। গত বছরের তুলনায় এবছর কমেছে ছয় হাজার ৬৬ জন পরীক্ষার্থী।
শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা যায়, চার জেলার ৬৩ হাজার ১৫১ পরীক্ষার্থীর মধ্যে শেরপুর জেলার সাতটি কেন্দ্রে সাত হাজার ৩০জন, নেত্রকোনার ২১টি কেন্দ্রে ১২ হাজার ৪৩৭ জন, জামালপুরের ২২টি কেন্দ্রে ১২ হাজার ৯৭৭জন এবং ময়মনসিংহ জেলার ৩৯টি কেন্দ্রে ৩৯ হাজার ৯২০জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে শুরু হয়েছে এইচএসসি পরীক্ষা
গত বছরের চেয়ে এবছর ৬ হাজার শিক্ষার্থী কমে যাওয়া প্রসঙ্গে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. গাজী হাসান কামাল জানান, বিগত দুটি পরীক্ষা অটোপাশ ও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হওয়ায় পাশের হার ছিল। স্বাভাবিক নিয়মে পরীক্ষা হলে কিছু পরীক্ষার্থী ফেল করে। তারা কিন্তু পরবর্তী বছরের সঙ্গে যুক্ত হয়। এবার কিন্তু সেটা হয়নি। ফলে এবার কিছু শিক্ষার্থী কমেছে।
বোর্ড চেয়ারম্যান আরও জানান, এবারের পরীক্ষায় বোর্ডের একাধিক ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বোর্ডে কন্ট্রোলরুম চালু থাকবে। আর পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে একজন ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা হলেও খুশি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
নকল মুক্ত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ পরীক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার শফিকুর রেজা বিশ্বাস, জেলা প্রশাসক এনামুল হক ও শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. গাজী হাসান কামাল পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে জনসাধারণের চলাচল নিষিদ্ধ
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার জন্য সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা চাইলেন শিক্ষামন্ত্রী
২ বছর আগে
যশোর বোর্ডের স্থগিত এমসিকিউ পরীক্ষা ৩০ সেপ্টেম্বর
যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে স্থগিত হওয়া বাংলা (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্রের বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন বেলা ১১টায় পরীক্ষাটি শুরু হবে।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই খবর জানানো হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এই পরীক্ষার শুধু সৃজনশীল (সিকিউ) অংশের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আগের দিন জানিয়ে দেয়া হয় বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) অংশের পরীক্ষা হবে না।
পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষা: নড়াইলে বাংলা ১ম পত্রের পরিবর্তে ২য় পত্রের প্রশ্ন সরবরাহ!
যশোর শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, ‘বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এসএসসির বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষায় নড়াইলের কালিয়া উপজেলার প্যারী শংকর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রথম পত্রের বদলে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্র (এমসিকিউ) বিতরণ করা হয়।
এছাড়া উপজেলার বাঐসোনা কামশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া নবগঙ্গা ডিগ্রি কলেজ ও ইতনা স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্র পাওয়া যায়। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের এমসিকিউ অংশের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
আরও পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষা: যশোর শিক্ষাবোর্ডের বাংলা ২য় পত্রের এমসিকিউ পরীক্ষা স্থগিত
এসএসসি পরীক্ষা শুরু কাল, ঢাকায় বৃষ্টি-যানজটের শঙ্কায় পরীক্ষার্থীরা
২ বছর আগে
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের ২ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত
ইফতার ও দোয়া মাহফিলে শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণের অভিযোগে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিব ও চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) আব্দুল আলীম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।বরখাস্ত হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- বোর্ডের সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. ওসমান গণি ও স্টেনোগ্রাফার মো. নাসির উদ্দিন।বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিব ও চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর আব্দুল আলীম বলেন, শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে বোর্ডের দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৪৭১ শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৬ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, চট্টগ্রামের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে বোর্ডের সচিব ও চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব), শাখা প্রধান, সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের উপস্থিতিতে শিষ্টাচার বহির্ভূত ও চাকরির শৃঙ্খলা পরিপন্থি আচরণের মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বোর্ডের সুনাম ও মর্যাদাহানি করা হয়েছে। যা সরকারি কর্মচারী চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণের সামিল। এ জন্য চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. ওসমান গণি ও স্টেনোগ্রাফার মো. নাসির উদ্দিনকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
আরও পড়ুন: প্রশ্ন ফাঁসের তথ্যটি সম্পূর্ণ গুজব: প্রতিমন্ত্রী
এ বছর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা না হওয়ার ইঙ্গিত
২ বছর আগে
শিক্ষা সনদপত্র হারিয়ে গেলে করণীয়
কোন কিছু হারিয়ে ফেলা বা নষ্ট করার বিষয়টি যদি অদরকারি কোন কিছুর উপর দিয়ে যায়, তবে কোন ক্ষতি নেই। কিন্তু হারিয়ে যাওয়া বা নষ্ট হওয়া বস্তুটি যদি হয় অতীব মূল্যবান, তখনই যত ঝামেলা। শিক্ষার সার্টিফিকেট প্রত্যেকের জীবনেই অনেক শ্রমসাধ্য একটি বস্তু। দুর্ঘটনাক্রমে এই মহামূল্যবান কাগজটিও অনেককে হারিয়ে কিংবা নষ্ট করে ফেলতে দেখা যায়। প্রতিটি মানুষই জীবনে ভুল থেকে শিখে। এরপরেও সে ভুল যাতে না হয় বা অসাবধানতা বশত একবার হয়ে গেলে কি করণীয় তা জেনে রাখা উচিত। তাই চলুন জেনে নিই শিক্ষার সার্টিফিকেট হারিয়ে গেলে করণীয়সমূহ।
শিক্ষার সার্টিফিকেট হারিয়ে গেলে করণীয়
থানায় জিডি (সাধারণ ডায়েরি)
সর্বপ্রথম কাজ হলো যে স্থানে হারিয়েছে তার নিকটস্থ থানায় গিয়ে রিপোর্ট করা। এ সময় জিডির জন্য কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে হবে। যেমন- হারিয়ে যাওয়া সার্টিফিকেটের প্রদানকৃত তথ্যসমূহ (যতটুকু মনে থাকে), প্রবেশ পত্র ও রেজিস্ট্রেশন নাম্বার।
জিডি লেখা শেষ হলে এর একটি কপি জিডিকারিকে দেয়া হয়। এটি পরে বিভিন্ন জায়গায় দরকার হতে পারে বিধায়, হাতে পাওয়ার সাথে সাথেই এর কয়েকটি ফটোকপি করে রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়
পত্রিকায় বিজ্ঞাপন
জিডির এক কপি সঙ্গে নিয়ে চলে যেতে হবে দেশের সবচেয়ে প্রচলিত পত্রিকা অফিসে। সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে তাদের পত্রিকায় সার্টিফিকেট হারানো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার জন্য বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে। এই তথ্যের ভিত্তিতেই বিজ্ঞপ্তিটি হুবহু প্রকাশিত হবে। তাই এ সময় যে তথ্যগুলো দেয়া উচিত, তা হলো- জিডি নাম্বার, সার্টিফিকেটে উল্লেখিত পরীক্ষার নাম, বোর্ডের নাম, পাশের সাল, যার সার্টিফিকেট হারিয়েছে তার নাম, এবং কীভাবে হারিয়েছে তার বিস্তারিত। বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশিত হলে পত্রিকা থেকে তা কেটে রাখতে হবে পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য।
শিক্ষাবোর্ড বরাবর সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন
অনলাইনে সার্টিফিকেট তোলার ফি জমা
সার্টিফিকেট আবেদনের জন্য প্রথমেই সার্টিফিকেট ফি জমা দিতে হবে। আর এর জন্য একমাত্র মাধ্যম অনলাইনে সোনালী সেবা। কোন ধরনের নগদ অর্থ, পোস্টাল অর্ডার কিংবা ট্রেজারি চালান এখন আর গৃহীত হয়না।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে সোনালী সেবায় পাওয়া যাবে ফি জমা দেয়ার ফর্ম। সেটি পূরণ করে সেভ করলে ফি জমা দেয়ার ফর্ম পাওয়া যাবে। সেটি প্রিন্ট করে সোনালী ব্যাংকের যে কোন শাখায় জমা দিলে দুটি জমা রশিদ প্রদান করা হবে- একটি ফি প্রদানকারীর অংশ, আরেকটি বোর্ডের জন্য।
আরও পড়ুন: জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ ও সময়
শিক্ষাবোর্ডে আবেদনপত্র জমা
যে শিক্ষাবোর্ডের অধীনে সার্টিফিকেট পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হয়েছিলো সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে এবার সেখানে যাবার পালা। শিক্ষাবোর্ডের তথ্যসংগ্রহ কেন্দ্রে যোগাযোগ করে সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে। অতঃপর সেখানে চাওয়া প্রতিটি তথ্য নির্ভুলভাবে প্রদান পূর্বক পূরন করতে হবে আবেদন পত্রটি।
আবেদন পত্রের সবার উপরে ইআইআইএন নাম্বারটি পাওয়া যাবে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইটের হোম পেইজের ইন্সটিটিউট ওয়েবসাইট থেকে। এছাড়া আবেদনকারির পরীক্ষা সংক্রান্ত ও ব্যক্তিগত বৃত্তান্তের পাশাপাশি সোনালি সেবা নাম্বার দিতে হয়, যেটি পাওয়া যাবে সোনালি ব্যাঙ্ক থেকে সরবরাহকৃত আবেদনকারির জমা রশিদে।
আবেদনপত্রটি নিয়মিত ও অনিয়মিত উভয় আবেদনকারীর ক্ষেত্রেই তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক সত্যায়িত হতে হবে।
আবেদনপত্রটি চূড়ান্তভাবে প্রস্তুত হয়ে গেলে শিক্ষা বোর্ডে জমা দেয়ার সময় এর সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে। সেগুলো হলো- জিডির কপি, পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিটির কর্তন করা অংশ, এবং বোর্ডের জন্য নির্ধারিত টাকা জমা দেয়ার রশিদ।
এখানে উল্লেখ্য যে, সার্টিফিকেট কোন কারণে আংশিক বা সম্পূর্ণ নষ্ট হলে জিডি বা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুন: ক্রেডিট কার্ড কীভাবে করবেন
শিক্ষা সনদ তুলতে প্রয়োজনীয় খরচ
শিক্ষাবোর্ড থেকে শিক্ষা সনদের দ্বি-নকল তোলার জন্য ফি ৫০০ টাকা। ত্রি এবং চৌ-নকলের জন্য খরচ হবে ৭০০ টাকা।
পরিশিষ্ট
শিক্ষা সনদপত্র বা সার্টিফিকেট হারিয়ে যাওয়া থেকে রেহাই পেতে সর্বোৎকৃষ্ট করণীয় হলো পূর্ব সতর্কতা অবলম্বন। সার্টিফিকেট যখন ইস্যু করা হয় তখনি উচিত অফসেট কাগজে এর বেশ কয়েকটি অনুলিপি করে রাখা। আর শিক্ষা সার্টিফিকেট সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজগুলোর জন্য এমন জায়গা বাছাই করা উচিত যেখানে কাগজগুলোর কোন ভাবে বিনষ্ট হওয়া বা হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। একটি প্রতিষ্ঠানে যেমন তার ফাইলগুলো সংরক্ষণ করার জন্য নির্দিষ্ট পরিষদ থাকে, তেমনি নিজের ঘরেও নিজের কাগজপত্রগুলো সযত্নে রাখার জন্য সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। তবেই কাগজগুলো হারিয়ে যাওয়ার পরিণামে সময় ও অর্থ অপচয় থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
আরও পড়ুন: মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স করার পদ্ধতি: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ
২ বছর আগে