হাইকমিশনার
ভিসা ফি ছাড়াই এবার পাকিস্তান যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা: হাইকমিশনার
কূটনৈতিক ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে বাংলাদেশসহ ১২৬টি দেশের নাগরিকদের ভিসা ফি ছাড়াই ভ্রমণের অনুমতি দিয়ে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে পাকিস্তান।
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠকে এ তথ্য জানান।
বৈঠকে হাইকমিশনার বলেন, দুই সপ্তাহ আগে চালু হওয়া নতুন ভিসা নীতির লক্ষ্য হচ্ছে পাকিস্তান ও অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভ্রমণ পদ্ধতি সহজীকরণ এবং পর্যটন ও ব্যবসার প্রসার ঘটানো।
তালিকার ১২৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ এই উদ্যোগ থেকে উপকৃত হবে।
এই নীতিটি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য পাকিস্তানের বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ বলেও জোর দেন মারুফ।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, কোনো ধরনের ভিসা ফি ছাড়াই ভ্রমণ ব্যবস্থা বাণিজ্য, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি করবে।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্র সচিবের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করবেন খুরশেদ আলম: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ভিসা নীতি ছাড়াও, বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় শুরু করার বিষয়েও আলোচনা হয়। যা ২০১৮ সাল থেকে স্থগিত ছিল। রাষ্ট্রদূত পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে ভ্রমণ ও ব্যবসায়িক ব্যস্ততা আরও সহজতর করার জন্য এই ফ্লাইটগুলো আবারও চালুর গুরুত্বের উপর জোর দেন।
নতুন ভিসা নীতি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নতির ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যা গত ১৫ বছর ধরে তুলনামূলকভাবে স্থবির ছিল। উভয় পক্ষই অতীতের চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে এবং আরও সহযোগিতামূলক ভবিষ্যতের দিকে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত হয়েছেন।
এ সময় ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের কাউন্সেলর কামরান ধনগালসহ দুই দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: ইউএনএইচসিআরের সহায়তা চাইলেন অধ্যাপক ইউনূস
৩ মাস আগে
মরিশাসের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হাইকমিশনার জকি আহাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ
মরিশাসে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার জকি আহাদ মরিশাস প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র ও বিদেশি যোগাযোগ মন্ত্রী, রড্রিগেস, আউটার আইল্যান্ডস এবং টেরিটোরিয়াল ইন্টিগ্রিটির মন্ত্রী প্রভীন্দ কুমার জগনাথের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে তিনি এ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী হাইকমিশনারকে তার অফিসে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান এবং উভয় পক্ষ বাংলাদেশ ও মরিশাসের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: মরিশাসে মাদক রোধবিষয়ক সম্মেলনে তথ্য প্রতিমন্ত্রী
হাইকমিশনার মরিশাসের প্রধানমন্ত্রীকে তার অফিসে উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য ধন্যবাদ জানান। সাক্ষাৎকালে উভয় পক্ষ বাংলাদেশ ও মরিশাসের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও পারস্পরিক অভিন্ন স্বার্থ সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেন।
হাইকমিশনার জকি আহাদ মরিশাসের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উষ্ণ শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। তিনি মরিশাসে আসার পর থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সহযোগিতার জন্য মরিশাস সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করতে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতাকে নতুন মাত্রায় উন্নীত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টার আশ্বাস দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী প্রভীন্দ কুমার জগনাথকে আমন্ত্রণ জানান তিনি। পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফর করবেন মরিশাস প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও আহাদ বাংলাদেশ ও মরিশাসের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরেন।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে পূর্ণ সমর্থন অব্যাহত রাখায় আহাদ মরিশাসের প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের উল্লেখযোগ্য অর্জন সম্পর্কে মরিশাস প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রীকে জানান হাইকমিশনার।
করোনা মহামারির মধ্যেও টেকসই জিডিপি প্রবৃদ্ধি, অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জন, নারীর ক্ষমতায়নসহ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্যসমূহ তিনি তুলে ধরেন।
মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সামগ্রিক সাফল্য অর্জন এবং এ অর্জনে বর্তমান সরকারের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। তারা উভয়ে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের উপর বিশেষ জোর দিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও গভীর ও জোরদার করার সম্ভাব্য সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন।
আলোচনায় তারা উভয় দেশের উচ্চ পর্যায়ের সফর, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি সফর, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, শিক্ষা ও মরিশাসে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ বিষয়ে আলোচনা সময় বাংলাদেশের হাইকমিশনার বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি কর্মী নিয়োগের ওপর জোরালো গুরুত্বারোপ করেন। মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে হাইকমিশনারকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
তিনি প্রক্রিয়াধীন সমঝোতা স্মারক ও চুক্তিসমূহ চূড়ান্তকরণে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সঙ্গে তার সরকারের ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আশ্বাস দেন।
হাইকমিশনের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) ও দূতালয় প্রধান মো. জাহাঙ্গীর আলম ও প্রথম সচিব (শ্রম) মো. আসাদুজ্জামানসহ মরিশাসের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মরিশাসের প্রেসিডেন্টের কাছে হাইকমিশনার জকি আহাদের পরিচয়পত্র পেশ
মরিশাসের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
৫ মাস আগে
মালয়েশিয়ার মাধ্যমে আসিয়ানের বাজার ধরতে পারে বাংলাদেশ: মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার
ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম বলেছেন, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অন্যতম গতিশীল অর্থনীতির দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সইয়ের মাধ্যমে বৃহত্তর আসিয়ান বাজারের কেন্দ্র হিসেবে মালয়েশিয়াকে ব্যবহার করতে পারে বাংলাদেশ।
ঢাকায় কূটনৈতিক সংবাদদাতাদের তিনি বলেন, ‘এফটিএ আপনাদের কাছে বাজারে প্রবেশের সুবিধা দেয়। আপনাদের খুব চ্যালেঞ্জিং বাজারে খুব প্রতিযোগিতামূলক হতে হবে। এফটিএ এমন একটি মাধ্যম, যা বিশেষ ব্যবস্থার সুযোগ করে দেয়।’
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া দুই আঞ্চলিক দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করার লক্ষ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সম্পাদনের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সম্মত হয়েছে।
মালয়েশিয়াকে বাংলাদেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগকারী দেশ হিসেবে বর্ণনা করে বাংলাদেশ।
হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের আরও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে ওঠার এবং মালয়েশিয়ার মাধ্যমে আসিয়ান বাজারকে বেছে নেওয়ার সময় এসেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি মালয়েশিয়ার আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিফলন হলো দু'দেশের মধ্যে বর্তমান সহযোগিতা।
হাইকমিশনার মালয়েশিয়াকে দেওয়া সব ধরনের সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সদস্যদের সঙ্গে সহযোগিতার আরও দুটি ক্ষেত্র শিক্ষা খাত ও স্বাস্থ্যসেবা (মেডিকেল ট্যুরিজম)খাত নিয়ে আলোচনা করেন হাইকমিশনার হাজনাহ।
শিক্ষা খাতের সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সাশ্রয়ী মূল্যের সঙ্গে মানসম্মত শিক্ষার পাশাপাশি বিদেশি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
হাইকমিশনার বলেন, ‘বিদেশি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কোনো সংকট নেই, নারী শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ নিরাপদ।’
আরও পড়ুন: আইসিআরসি: মানবতাকে বাঁচিয়ে রাখাই জেনেভা কনভেনশনের ৭৫ বছরের অর্জন
স্বাস্থ্যসেবার বিষয়ে হাইকমিশনার বলেন, তারা সাশ্রয়ী মূল্যে আন্তর্জাতিক মানের স্বাস্থ্যসেবা দেয়, যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় সাশ্রয়ী।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার হাসপাতালগুলোতে স্বাস্থ্যসেবার মান ও ব্যয়ের বিষয়ে সরকারের জোরালো নজরদারি রয়েছে এবং এর সুবিধা নিতে বাংলাদেশিদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।
হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ় এবং তার দেশই প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম মুসলিম দেশ।
তিনি বলেন, আমরা পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে সব মুসলিম দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখি।
হাইকমিশনার ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সফরের কথা স্মরণ করেন, যা সম্পর্কের দৃঢ় ভিত্তি।
ডিক্যাব সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এবং আলোচনা আয়োজনের জন্য হাইকমিশনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে মালয়েশিয়া বদ্ধপরিকর: হাইকমিশনার
৬ মাস আগে
বাংলাদেশি শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে মালয়েশিয়া বদ্ধপরিকর: হাইকমিশনার
বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম বলেছেন, বাংলাদেশি শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে মালয়েশিয়া সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
হাইকমিশনার অবশ্য স্বীকার করেছেন, আমাদের এখানে সিন্ডিকেট থাকতে পারে, যা বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া উভয় সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
আরও পড়ুন: জ্যামাইকা ও ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাছান মাহমুদের বৈঠক
বুধবার (২৯ মে) ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সদস্যদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
হাইকমিশনার বলেন, আগামী ৩১ মে পর্যন্ত বাংলাদেশি কর্মীরা মালয়েশিয়ায় যেতে পারবেন। ‘এটা আমাদের সরকার ঠিক করেছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এটি ঘোষণা করা হয়েছে।’
হাইকমিশনার কম খরচে বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও পর্যটন সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে তার দেশের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন।
তিনি দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে এটি হবে।’
ডিক্যাব সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এবং আলোচনা সভা আয়োজনের জন্য হাইকমিশনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আইসিআরসি: মানবতাকে বাঁচিয়ে রাখাই জেনেভা কনভেনশনের ৭৫ বছরের অর্জন
৬ মাস আগে
ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় ভারত: হাইকমিশনার
বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে ভারত সহায়তা করতে চায় বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা।
বুধবার(২৪ এপ্রিল) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান ও প্রণয় ভার্মার সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এ কথা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগে কানাডার বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে সহায়তা করবে এফআইপিএ: হাইকমিশনার
হাইকমিশনার বলেন, প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে এটি আমার প্রথম বৈঠক, বলতে পারেন সৌজন্য সাক্ষাৎ। জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। পরিবেশগত মিল থাকায় আমরা একই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হই।
তিনি বলেন, ডিজাস্টার রিজিলিয়েন্ট ইনফ্রাসট্রাকচারসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক সংস্থার সদস্য বাংলাদেশ। কাজেই এসব ক্ষেত্রে ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে।
তিনি বলেন, গতবছর দুই দেশের এই মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ও আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে।
২০২১ সালে আমরা একটি সমঝোতা স্মারকও সই করেছি। এই সমঝোতার বাস্তবায়ন নিয়েও আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে। এর মধ্যে রিমোট সেন্সিং, দুর্যোগ ব্যবস্থা কর্মসূচি, প্রশিক্ষণ ও তথ্য বিনিময়ে দুই দেশ পরস্পরকে সহায়তার বিষয় রয়েছে।
ভারতীয় হাইকমিশনার আরও বলেন, রিমোট সেন্সিং নিয়ে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে উভয়েই আগ্রহ প্রকাশ করেছি। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশকে কীভাবে সহায়তা করা যায়, তা নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে বিশেষ ও বহুমুখী সম্পর্ক সমৃদ্ধির অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারের
৭ মাস আগে
ভারতীয় রুপির মাধ্যমে বাণিজ্যে বাংলাদেশি রপ্তানি বাড়বে: হাইকমিশনার
উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং ভারতীয় রুপির মাধ্যমে বাণিজ্যের মতো নতুন পদক্ষেপ বাংলাদেশি রপ্তানি আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) তিনি বাংলাদেশের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে গোদাগাড়ীর সুলতাগঞ্জ বন্দরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ নদী যোগাযোগ রুট চালু করতে সুলতানগঞ্জ (বাংলাদেশ) থেকে মায়া (ভারত) পর্যন্ত একটি পণ্যবাহী জাহাজের যাত্রার সূচনা করেন।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের হাইকমিশনার ও রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
হাইকমিশনার ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও সংযোগের অংশ এবং তাদের সম্পর্কের সাম্প্রতিক রূপান্তরের দৃশ্যমান প্রতীক হিসেবে নতুন নৌ রুটটিকে উল্লেখ করেন।
তিনি দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার প্রকৃত সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বহুমুখী যোগাযোগের উপর গুরুত্ব দেন এবং মায়া-সুলতানগঞ্জ নদীপথ পুনরায় চালুর বিষয়টিকে একটি পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
হাইকমিশনার বলেন, এটি কেবল সীমান্তের দুই পাশের স্থানীয় অর্থনীতিকেই উপকৃত করবে না, জাতীয় অর্থনীতিতেও অবদান রাখবে এবং উপআঞ্চলিক সহযোগিতা ও সংহতি জোরদার করবে।
হাইকমিশনার আরও বলেন, ভারত আজ এশিয়ায় বাংলাদেশের বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তির (সিইপিএ) কথা উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, এর জন্য শিগগিরই আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের বৈঠক
গোদাগাড়ী সুলতানগঞ্জ বন্দর উদ্বোধনের পর বাংলাদেশের সুলতানগঞ্জ থেকে ভারতের মায়া ঘাটের উদ্দেশে একটি পণ্যবাহী জাহাজ ছেড়ে যায়। ইন্দো-বাংলাদেশ প্রটোকল রুট (আইবিপি) রুট ৫ ও ৬ এ ভারতের মায়া বন্দর থেকে বাংলাদেশের সুলতানগঞ্জ বন্দরের মধ্যে পরীক্ষামূলক পাঁচটি পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলের প্রথমটি এটি।
এই আইবিপি রুটের মাধ্যমে পণ্য পরিবহনের উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রয়েছে, যা উভয় দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথ বাস্তুতন্ত্রে নতুন গতি সঞ্চার করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান (লিটন), রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. আব্দুল ওয়াদুদ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল।
এ সময় বিআইডব্লিউটিএ ও বাংলাদেশ সরকারের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে প্রবাসীদের প্রতি হাইকমিশনার আল্লামা সিদ্দীকীর আহ্বান
১০ মাস আগে
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের হাইকমিশনার ও রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ও রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি মানতিৎস্কি।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ও রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি মানতিৎস্কি পৃথক পৃথক সাক্ষাৎ করেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, ভারত সরকারের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের একটি তালিকা দেবে বাংলাদেশ সরকার। বিশেষ করে পেঁয়াজ, চিনি, আদা-রসুন ইত্যাদি যেন জরুরি মুহূর্তে আমদানি করা সম্ভব হয়।
এটি নিশ্চিতে একটি সমঝোতা স্মারক সই করার উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। ভারত যেকোনো সংকটে বাংলাদেশের পাশে ছিল ও ভবিষ্যতে থাকবে।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের মধ্যকার আমদানি-রপ্তানি পরিসংখ্যান তুলে ধরে আহসানুল ইসলাম টিটু ভারত সরকারকে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি পণ্য আমদানি করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বিভ্রান্তিকর তথ্য যারা ছড়ায় তাদের জবাবদিহি নিশ্চিতে কাঠামো বিবেচনা করছে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বিশেষ করে ভারতের সেভেন সিস্টার্সের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করে বাংলাদেশি পণ্য আমদানি যেমন হস্তশিল্প, ইলেক্ট্রনিকস, পাটজাত ও চামড়াজাত পণ্য এবং খাদ্য পণ্য প্রবেশের সুযোগ তৈরি করার অনুরোধ জানান।
এছাড়া, সেভেন সিস্টার্সে বসবাসরত মানুষ যারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেন তাদের ঢাকা বিমানবন্দর ব্যবহার করে ভ্রমণ করতে ভারত সরকারকে অনুরোধ জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, উভয় দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য বর্ডার হাটগুলোকে আরও সক্রিয় করতে হবে। এসময় মৌলভীবাজারে একটি বর্ডার হাট উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে জানালে ভারতীয় হাইকমিশনার যৌথভাবে উদ্বোধন করতে সম্মত হন। এছাড়া নতুন করে বর্ডার হাট চালুর লক্ষ্যে সাম্ভাব্য স্থানসমূহ চিহ্নিত করতে একসঙ্গে কাজ করারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার জানান, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যেকার ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আগামী মাসে দেশটিতে একটি মেগা শো হবে যেখানে বাংলাদেশি প্রতিনিধিদের অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানান।
উভয় দেশের পণ্য বহুমূখীকরণের মাধ্যমে রপ্তানি বৃদ্ধি করতে ভারতে বেস্ট অব বাংলাদেশ প্রোডাক্ট এবং বাংলাদেশে বেস্ট অব ইন্ডিয়া প্রোডাক্ট শো আয়োজনের পরামর্শও দেন প্রণয় ভার্মা। বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
পরে, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠককালে আহসানুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ-রাশিয়ার সম্পর্ক ঐতিহাসিক। সময়ের ব্যবধানে এই সম্পর্ক নতুন মাত্রা লাভ করেছে। উভয় দেশের সম্পর্ক বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে রাশিয়া সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
রাশিয়া বাংলাদেশ থেকে আমদানির চেয়ে রপ্তানি বেশি করে থাকে উল্লেখ করে এই ব্যবধান কমানোর জন্য বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি পণ্য রাশিয়াতে আমদানির আহ্বান জানালে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ফার্মাসিউটিক্যালস, পাট ও চামড়াজাত পণ্য, সিরামিকস, খাদ্যপণ্য ইত্যাদি পণ্য আমদানি করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
উভয় দেশের মধ্যে কৌশলগত বাণিজ্যিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বাড়াতে রাশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের বিশেষ করে হস্তশিল্পের প্রদর্শনীর আয়োজন করার আহ্বান জানালে রাষ্ট্রদূত মস্কোতে প্রদর্শনী আয়োজনে সবধরনের সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেন।
আহসানুল ইসলাম টিটু বাংলাদেশ ও রাশিয়ার আমদানি-রপ্তানিতে সরাসরি বিনিময় ব্যবস্থা চালুকরণের বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি করার আহ্বান জানান।
এসময় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে রাশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা স্থাপনের আগ্রহ প্রকাশ করলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সহযোগিতার আশ্বাস দেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করা হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত
টিআইবির গবেষণা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পড়ে না: আরাফাত
১০ মাস আগে
কপ২৮-এ বিশুদ্ধ জ্বালানির বিষয়ে অগ্রগতি আনতে হবে: যুক্তরাজ্য
ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার ও ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর ম্যাট ক্যানেল বলেছেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য জলবায়ু প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। একই সঙ্গে কপ২৮-এর জন্যও তাদের বেশকিছু অভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এটি গুরুত্বপূর্ণ যে বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির লক্ষ্যমাত্রাকে সমুন্নত রাখবে কপ২৮। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে বিশুদ্ধ জ্বালানি (ক্লিন এনার্জি) ব্যবহারের ব্যাপারে অগ্রগতি করবে এবং জলবায়ু অর্থায়নের প্রতিশ্রুতিগুলোর উপর আস্থা পুনঃনির্মাণ করবে।’
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জলবায়ু আলোচনায় বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
২০২৩ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীরা একটি জলবায়ু চুক্তি সই করেন। যেখানে উভয় দেশ জলবায়ু কর্মকাণ্ডের বিষয়ে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা বাড়াতে এবং কপ২৬ ও কপ২৭-এর ফলাফল আনার জন্য একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেয়।
ঢাকায় নিযুক্ত হাইকমিশনারের বাসভবনে বিভিন্ন অংশীজন নিয়ে জলবায়ু আলোচনার আয়োজন করে ব্রিটিশ হাইকমিশন।
‘টুয়ার্ডস কপ২৮: বিল্ডিং মোমেন্টাম ফর ক্লাইমেট অ্যাকশন’-শীর্ষক আলোচনায় নীতিনির্ধারক, বিশেষজ্ঞ, বেসরকারি খাত, সুশীল সমাজ, তরুণ ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের একত্র করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল কপ-২৮ সম্মেলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে: পরিবেশমন্ত্রী
এই আলোচনার উদ্দেশ্য ছিল কপ২৮-এ যুক্তরাজ্যের অংশগ্রহণ সম্পর্কে বিভিন্ন অংশীজনের প্রত্যাশা ও মতামত বোঝা এবং বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় জলবায়ু অংশীদারিত্বকে নির্দেশনা দেওয়া।
ইভেন্টে দুটি প্যানেল আলোচনা ছিল: জলবায়ু কর্মকাণ্ডে তরুণদের ভূমিকা এবং জলবায়ু পরিবর্তনে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ। এরপর অনুষ্ঠিত হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব।
প্যানেলিস্টরা বিশেষ করে উল্লেখ করেছেন, কপ২৮ হলো জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাবগুলো এড়াতে পারস্পরিক অগ্রাধিকারের বিষয়ে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর হয়ে কথা বলার জন্য অনন্য সুযোগ।
আলোচনায় জলবায়ু কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত করতে নীতি-নির্ধারণী প্রক্রিয়ায় যুব নেতৃত্বের গুরুত্বের উপর জোর দেওয়া হয়।
প্যানেলিস্টরা জলবায়ু কর্মকাণ্ড করার সময় তরুণরা প্রায়ই যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হয় সেগুলোও উত্থাপন করেন।
বেসরকারি খাতের প্যানেল আলোচনায় সেসব প্রণোদনার কথা বলা হয়, যা বেসরকারি খাতকে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন ও প্রশমনে আরও সক্রিয় করতে পারে।
আলোচকরা বাংলাদেশের কার্বন বাজার, ডিজিটাল বিপ্লব, এনজিও-প্রাইভেট সেক্টর অংশীদারিত্ব এবং বাংলাদেশে আরএমজি সেক্টরে জাস্ট ট্রানজিশনের সুবিধাগুলো কীভাবে কাজে লাগাতে পারে তার উপরও জোর দেন।
শুক্রবার ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশন বলেছে, যুক্তরাজ্যের অগ্রাধিকার হলো কপ২৮ এমন একটি ফলাফল বয়ে আনবে, যা বিশ্বকে জলবায়ু কর্মকাণ্ডে সঠিক পথে এগিয়ে যাওয়া নিশ্চিত করবে।
যুক্তরাজ্য বলেছে, তারা অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করা এবং প্রচেষ্টা বৃদ্ধিতে উৎসাহিত করা ছাড়াও কপ২৮ বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক আলোচনা ও শীর্ষ সম্মেলনেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
আরও পড়ুন: কপ২৮: দুবাইয়ে পিটার হাসের সঙ্গে সাবের হোসেনের সাক্ষাৎ
কপ-২৮ এর আগেই জলবায়ু ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
১ বছর আগে
স্পিকারের সঙ্গে মালদ্বীপের হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন মালদ্বীপের হাইকমিশনার সিরুজিমাথ সামীর।
বুধবার সংসদ ভবনের তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, ব্যবসা-বাণিজ্য, নারীর ক্ষমতায়ন, পর্যটন খাতসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: ইউএনওপিএসের নির্বাহী পরিচালক রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ-মালদ্বীপ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ৫০ বছর পূর্তির দিকে এগিয়ে চলেছে। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুই দেশের সরকার কাজ করে চলেছে।
স্পিকার বলেন, মালদ্বীপের মতো বাংলাদেশের পর্যটন খাতও অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। এ ছাড়া দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পর্যটন খাতে সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ-মালদ্বীপ সরাসরি বিমান যোগাযোগ এই দুই দেশের আন্তঃসম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ সময় তিনি মালদ্বীপের পর্যটন খাতের প্রশংসা করেন।
মালদ্বীপের হাইকমিশনার সিরুজিমাথ সামীর বলেন, মালদ্বীপে প্রায় দেড় লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে।
এসময় তিনি নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠায় স্পিকারের বলিষ্ঠ ভূমিকার প্রশংসা করেন।
এসময় মালদ্বীপ হাইকমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি মাইশান আহমেদ এবং থার্ড সেক্রেটারি নাসির মারিয়ামসহ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কপ২৮: দুবাইয়ে পিটার হাসের সঙ্গে সাবের হোসেনের সাক্ষাৎ
তফসিল ঘোষণার বিষয়ে আলোচনা করতে ৫ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে সিইসি’র নেতৃত্বাধীন কমিশন
১ বছর আগে
তথ্যপ্রযুক্তি বাণিজ্যে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের ব্যাপক সম্ভাবনা: হাইকমিশনার
হাইকমিশনার আল্লামা সিদ্দিকী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার এম. আল্লামা সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। তা ছাড়া আউটসোর্সিংয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কও উল্লেখযোগ্য।
অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন সফটওয়্যার কোম্পানি তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে আউটসোর্সিং করতে পারবে বলে হাইকমিশনার উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশিদের গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চায় সহায়তা করবে: ব্রিটিশ হাইকমিশনার
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের আয়োজনে ‘তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
হাইকমিশনারের সভাপতিত্বে এ সেমিনারে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন সফটওয়্যার কোম্পানির প্রতিনিধিসহ তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও পেশাজীবীরা অংশগ্রহণ করেন।
এ ছাড়া এ সেমিনারে জুমপ্লাটফর্মে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানরা।
অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স (এবিবিসি), অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম (এবিবিএফ) এবং বাংলাদেশ কন্স্যুলেট জেনারেল সিডনির সহযোগিতায় আয়োজিত এ সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বেসিসের (বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস) প্রেসিডেন্ট রাসেল টি. আহমেদ।
তিনি উল্লেখ করেন, তথ্যপ্রযুক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের পঞ্চম বাণিজ্যিক অংশীদার। এ ক্ষেত্রে গত ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় রপ্তানির পরিমাণ ৭ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি অস্ট্রেলিয়ায় তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ব্লক চেইন, ইন্টারনেট অব থিংস, সাইবার সিকিউরিটি এবং ক্লাউড কমপিউটিংসহ পাঁচটি সম্ভাবনাময় রপ্তানির ক্ষেত্র উল্লেখ করেন।
অস্ট্রেলিয়ার নিউসাউথ ওয়েলসের স্টুয়ার্ট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর মনোরঞ্জন পাল বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের ১২তম বৃহত্তম মার্কেট।
সাইবার সিকিউরিটি, কোয়ান্টাম টেকনোলজি এবং আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ায় প্রচুর চাহিদা রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তা ছাড়া টেকনিক্যাল সাপোর্ট, সফটওয়্যার উন্নয়ন, অবকাঠামো ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও সেদেশে বর্তমানে চাহিদা রয়েছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের বিদায়ী সাক্ষাৎ
বাংলাদেশের অংশগ্রহণ জি-২০ আলোচনা সমৃদ্ধ করবে: ভারতীয় হাইকমিশনার
১ বছর আগে