মেরিন
অর্থনৈতিক উন্নয়নে মেরিন ক্যাডেটদের অবদান অপরিসীম: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মেরিন ক্যাডেটদের অবদান অপরিসীম বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘মেরিন ক্যাডেটরা আমাদের অর্থনীতির অন্যতম যোগানদাতা হিসেবে পরিচিত। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মেরিন ক্যাডেটদের অবদান অপরিসীম। ক্যাডেটরা দেশমাতৃকার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।’
রবিবার চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি ক্যাম্পাসে ৫৬ ব্যাচের ক্যাডেটদের 'মুজিববর্ষ গ্র্যাজুয়েশন প্যারেড' অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি ও গেইটওয়ে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরিশাল, রংপুর, পাবনা ও সিলেটে চারটি মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। সেগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সুনীল অর্থনীতির সোপান-সমুদ্রসীমা জয় হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় নারীদের ক্যাডেট হিসেবে প্রশিক্ষণসহ নারী ক্যাডেটদের প্রথম ব্যাচের ১২ জন বিএসসির ছয়টি জাহাজে কাজ করে সাহসিকতার পরিচয় দিচ্ছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে থেকে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী দু'জন শ্রেষ্ঠ ক্যাডেটকে 'রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক' ও 'বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন পদক' তুলে দেন।
রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত হলেন ক্যাডেট নাদিম আহমেদ ও বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন পদকপ্রাপ্ত হলেন ক্যাডেট রাফিদ বিন আলম।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী ও মেরিন একাডেমির কমান্ড্যান্ট নৌপ্রকৌশলী ড. সাজিদ হোসেন।
আরও পড়ুন: আহতদের চিকিৎসা সহায়তায় সরকার পাশে দাঁড়াবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উক্ত প্যারেড অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত মেরিন একাডেমি থেকে চার হাজার ৭৩১ জন প্রশিক্ষণার্থী গ্র্যাজুয়েশন করেছেন। এই বছর ৩৫৯ জন গ্র্যাজুয়েশন পেতে যাচ্ছে। একাডেমির ৫৭তম ব্যাচে ২৮০ জন ক্যাডেট বর্তমানে একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত রয়েছে।
২ বছর আগে
দেশের সমুদ্রাঞ্চলে মেরিন জেনেটিক রিসোর্সের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশের সমুদ্রাঞ্চলে গ্যাস হাইড্রেট ও মেরিন জেনেটিক রিসোর্সের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে ২০১২ এবং ২০১৪ সালের মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ সংক্রান্ত বিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে নিষ্পত্তির ফলে আমরা এখন এই অপার সম্ভাবনা কাজে লাগানোর সুযোগ পেয়েছি।
বুধবার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ড. মোমেন এসব কথা বলেন। এসময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স) রিয়াল এডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ তার মূল ভূখণ্ডের ৮১ শতাংশ পরিমাণ রাষ্ট্রীয় জলসীমা অর্জন করে। এই অর্জন দেশের মেরিন ও উপকূলীয় অঞ্চলে সকল প্রকার সমুদ্র সম্পদ আহরণ, বাণিজ্যিক জাহাজ, জ্বালানি, পর্যটন ইত্যাদি ঘিরে কর্মসংস্থান ও প্রবৃদ্ধির নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট সুনীল অর্থনীতির উন্নয়নকে বেগবান করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক, বাণিজ্যিক ও পরিবেশগত প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ পূর্বক সুনির্দিষ্ট ৯টি খাত চিহ্নিত করে এবং সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের মতামত ও সুপারিশের ভিত্তিতে ‘সুনীল অর্থনীতি উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনা’ প্রণয়ন করে যা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে এবং বর্তমানে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীনে ব্লু-ইকোনমি সেল কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
ড. মোমেন বলেন, বিগত সময়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে
‘ইইউ-বাংলাদেশ জয়েন্ট কোলাবোরেশন অন ব্লু ইকোনমি’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সুনীল অর্থনীতি উন্নয়নের সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ নিরূপণে মাঠ পর্যায়ে একটি সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়। উক্ত সমীক্ষায় পেশাজীবী, মৎস্যজীবী, উপকূলীয় জনগণ, উদ্যোক্তা, গবেষক, শিক্ষাবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সহ সকল অংশীজনদের মতামত অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং তা বিশ্লেষণপূর্বক সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনা এবং সীমাবদ্ধতা চিহ্নিত করা হয়। পাশাপাশি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মতামত এবং সুপারিশ গ্রহণ করা হয়।
এই কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে, অফশোর জ্বালানি ও সুনীল জৈবপ্রযুক্তি গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রমের আওতায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের সমুদ্রাঞ্চলে গ্যাস হাইড্রেট ও মেরিন জেনেটিক রিসোর্স বিশেষত: ‘সিউইড’-এর সম্ভাবনা, উপস্থিতি, প্রকৃতি ও মজুদ নির্ণয়ের জন্য দুটি গবেষণা কার্যক্রম যথাক্রমে যুক্তরাজ্য ও নেদারল্যান্ডসের সহায়তায় সফলভাবে সম্পন্ন করেছে।
আরও পড়ুন: কিছু দেশের অসন্তুষ্ট থাকার কারণ বের করে সমাধানের চেষ্টা করব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে