জনপ্রশাসন
শূন্য পদে নিয়োগে উদ্যোগ নেই, তথ্য চেয়ে জনপ্রশাসনের চিঠি
সরকারি চাকরিতে বিপুলসংখ্যক পদ খালি থাকলেও সে সব শূন্য পদে নিয়োগে কার্যকর উদ্যোগ নেই। এ অবস্থায় মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং অধীন দপ্তর/সংস্থাগুলোতে ৯ম থেকে ১২তম গ্রেডের নন ক্যাডার শূন্য পদে নিয়োগের তথ্য চেয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
শনিবার (১৫ মার্চ) এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব/সচিব, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের কাছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ‘সরকারি কর্মচারীদের পরিসংখ্যান, ২০২৩ অনুযায়ী ৯ম থেকে ১২তম গ্রেড পর্যন্ত সরকারের অনুমোদিত নন-ক্যাডার শূন্য পদের সংখ্যা প্রায় এক লাখ ৭২ হাজারটি। এরমধ্যে ৪৩তম থেকে ৪৭তম বিসিএস পর্যন্ত নন-ক্যাডার (৯ম-১২তম গ্রেড) ৬ হাজার ২৬৯টি পদে নিয়োগে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনে অধিযাচন পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০২৪ সালের ২ ডিসেম্বরের একটি স্মারকে সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও অধীন দপ্তর/সংস্থার শূন্যপদ পূরণে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার জন্য অনুরোধ জানানো হলেও গৃহীত পদক্ষেপ সন্তোষজনক মর্মে প্রতীয়মান হয় না।
আরও পড়ুন: বাধ্যতামূলক অবসরে ২২ ডিসি: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
‘ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণ এবং শিক্ষিত তরুণদের বেকারত্ব লাঘবে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু, বর্ণিত তথ্যমতে বিপুল সংখ্যক শূন্যপদ থাকা সত্ত্বেও তা পূরণে কার্যকর পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হচ্ছে না’ বলে জানানো হয় চিঠিতে।
এ অবস্থায় ‘ছক’ মোতাবেক আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ, অধীনস্থ দপ্তর/সংস্থার নন-ক্যাডার (৯ম-১২তম গ্রেড) শূন্য পদগুলোর তথ্য (ওয়ার্ড ফাইলসহ) পাঠানোর জন্য অনুরোধ জানায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
৭ দিন আগে
জনপ্রশাসনের দুই সচিবকে বদলি
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসাইন খানকে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সচিব) মোস্তাফিজুর রহমানকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে বদলি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এরআগে আরেকটি প্রজ্ঞাপনে সাত অতিরিক্ত সচিবকে পদোন্নতি দিয়ে সচিব করা হয়েছে। এসব সচিবদের বাণিজ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, জাতীয় সংসদ সচিবালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, সেতু বিভাগ এবং বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগে পদায়ন করা হয়েছে।
এরমধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুর রহমানকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামাল উদ্দিনকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) হয়েছেন একই বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাহেদা পারভীন। আর পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব নিয়োগ পেয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আলেয়া আক্তার।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) মো. তাজুল ইসলামকে বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব, যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের কার্যালয়ের নিবন্ধক অতিরিক্ত সচিব মো. মিজানুর রহমানকে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব করা হয়েছে।
এছাড়া ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ আব্দুর রউফকে সেতু বিভাগের নতুন সচিব করা হয়েছে।
পদোন্নতি পেয়ে সচিব হলেন সাত কর্মকর্তা
আরও পড়ুন: পদোন্নতি পেয়ে সচিব হলেন সাত কর্মকর্তা
সাত অতিরিক্ত সচিবকে পদোন্নতি দিয়ে সচিব করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারা করা হয়েছে।
এসব সচিবদের বাণিজ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, জাতীয় সংসদ সচিবালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, সেতু বিভাগ এবং বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগে পদায়ন করা হয়েছে।
এরমধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুর রহমানকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামাল উদ্দিনকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) হয়েছেন একই বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাহেদা পারভীন। আর পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব নিয়োগ পেয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আলেয়া আক্তার।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) মো. তাজুল ইসলামকে বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব, যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের কার্যালয়ের নিবন্ধক অতিরিক্ত সচিব মো. মিজানুর রহমানকে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব করা হয়েছে।
এছাড়া ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ আব্দুর রউফকে সেতু বিভাগের নতুন সচিব করা হয়েছে।
২৬ দিন আগে
জনপ্রশাসন সংস্কার নিয়ে থাকছে শতাধিক সুপারিশ: কমিশন প্রধান
জনপ্রশাসন সংস্কার নিয়ে কমিশনের প্রতিবেদনে শতাধিক সুপারিশ থাকছে এবং সেগুলো বাস্তবায়ন সম্ভব। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী এ তথ্য জানান।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: তিন বিভাগীয় কমিশনারসহ ৮ জনকে হাইকোর্টে তলব
কমিশন প্রধান বলেন, ‘আমাদের রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল গত মাসে, কিন্তু আমরা আমাদের কাজের কারণে পারিনি। কারণ, আমরা মাঠে গিয়েছি, লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় গিয়ে আমরা কথা বলেছি, অনলাইনে আমরা মতামত নিয়েছি। এগুলোর ভিত্তিতে আজকে আমরা প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে স্বাক্ষর করব। কালকে (বুধবার) দুপুর সাড়ে ১২টায় আমরা প্রধান উপদেষ্টার অফিসে যাব এবং তার কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করব। একই সঙ্গে কালকে আইন কমিশনও তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে।’
প্রতিবেদনে ১০০টির বেশি সুপারিশ থাকছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন এর বাইরে আমি কিছু জানাতে পারবো না।’
এ সময় পাশে থাকা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর সেটি হবে পাবলিক ডকুমেন্ট। ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে, সবাই জানবেন। জমা দেওয়ার পরে সবাই জানুক এতে ভুল বোঝাবুঝির অসুবিধা থাকে না।’
এরপর কমিশন প্রধানসহ সদস্যরা প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করেন। স্বাক্ষর শেষে বের হওয়ার সময় মুয়ীদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা যে সুপারিশ করেছি, সেগুলো সবই বাস্তবায়ন করা সম্ভব। অসম্ভব কিছু হলে তো আমরা সেগুলো সুপারিশ করতাম না। সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন সম্ভব হবে কিনা; সেটা তো এখন সরকার বুঝবে।’
গত ৩ অক্টোবর ৮ সদস্যের জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। এ কমিশনের প্রধান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী। পরে কমিশনের সদস্য সংখ্যা আরও তিনজন বাড়ানো হয়। জনমুখী, জবাবদিহিমূলক, দক্ষ ও নিরপেক্ষ জনপ্রশাসন ব্যবস্থা করে তুলতে এ কমিশন গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ব্যবস্থায় আস্থা ফেরাতে কাজ করছে কমিশন: ইসি সানাউল্লাহ
৯০ দিনের (৩ মাস) মধ্যে প্রস্তুত করা প্রতিবেদন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করতে বলা হয়। এরপর তিন দফা বাড়িয়ে কমিশনের মেয়াদ ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় আগেই প্রতিবেদন জমা দিচ্ছে কমিশন।
কমিশনে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- সাবেক সচিব মোহাম্মদ তারেক এবং মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান, সাবেক যুগ্ম-সচিব রিজওয়ান খায়ের, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম ফিরোজ আহমেদ, অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তা অধ্যাপক ডা. সৈয়দা শাহীনা সোবহান, নিরীক্ষা ও হিসাব ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ, শুল্ক ও আবগারি ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খোন্দকার মোহাম্মদ আমিনুর রহমান এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেহেদী হাসান।
৪৭ দিন আগে
জনপ্রশাসনে সমতা আনতে হবে: সেমিনারে বক্তারা
জনবান্ধব ও কার্যকর সেবা ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে জনপ্রশাসনের মধ্যে সমতা আনার দাবি করা হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে এক সেমিনার বক্তারা এমন কথা বলেন।
আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের উদ্যোগে ‘জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে প্রত্যাশিত সিভিল সার্ভিস’ শিরোনামে এ সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সিভিল সার্ভিস সংস্কারের মাধ্যমে জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনে করণীয় বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এতে সুসম্পর্ক ও ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠায় আন্তঃক্যাডার বৈষম্য দূর করার দাবি তোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫০ বছরে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা বিস্ময়কর: সেমিনারে বক্তারা
বক্তারা বলেন, মন্ত্রণালয়গুলোতে উপসচিব পুলে যাওয়া সংশ্লিষ্ট ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদায়ন করতে হবে। পদছাড়া পদোন্নতি হয় বন্ধ করতে হবে, নতুবা সব ক্যাডারের জন্য একই নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে।
সেমিনারে আলোচনায় অংশ নেন—লেখক ও কলামিস্ট ফিরোজ আহমেদ, প্রফেসর নাসরিন বেগম, কৃষিবিদ আহমেদ আলী চৌধুরী ইকবাল, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা জজ ড. শাহজাহান সাজু, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, এসসিবিএ সংবিধান সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মামুন মাহবুব, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহবুবুর রহমান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী সাদেকুর রহমান সানি।
বক্তারা আরও বলেন, ‘পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে, অর্থাৎ প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে স্ব-স্ব ক্যাডারের অভিজ্ঞ ও দক্ষ কর্মকর্তারা পদায়িত হবেন।’
আরও পড়ুন: পর্যটন শিল্পের বিকাশে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো জরুরি: সেমিনারে বক্তারা
সব খাতে একটি ক্যাডারের নিয়ন্ত্রণ থাকায় সার্ভিসে পেশাদারিত্ব মারাত্বকভাবে ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও অব্যবস্থাপনা সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা। এতে জনসেবা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করা হয়।
৬৪ দিন আগে
প্রশাসনে শুদ্ধি অভিযান: দলীয় কর্মকর্তাদের অপসারণ, অবহেলিতদের অগ্রাধিকার
দেশের মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনে ‘শুদ্ধি অভিযান’ চালানো হবে। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে যেসব কর্মকর্তারা গত ১৬/১৭ বছর ধরে ভালো পদায়ন পাননি, তাদের মূল্যায়ন করা হবে। সরিয়ে দেওয়া হবে রাজনৈতিক সুবিধাভোগী কর্মকর্তাদের।
জনপ্রশাসন ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ইউএনবিকে জানান, টানা ১৫ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে প্রশাসনে ব্যাপক দলীয়করণ করা হয়েছে। প্রশাসনের সব স্তরে দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ ও পদায়ন করা হয়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর প্রশাসনের বিভিন্ন স্তর থেকে তাদের সরানো হচ্ছে। এবার মাঠ প্রশাসনেও এ শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করা হবে।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এরইমধ্যে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগ বা প্রশাসনের দপ্তর ও সংস্থা প্রধানসহ বিভিন্ন স্তরের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের অপসারণ চলছে। পাশাপাশি যারা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ বা পদোন্নতি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছিল তাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ ও পদায়ন করা হচ্ছে।
এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পদোন্নতিবঞ্চিত অবস্থায় অবসরে যাওয়া পাঁচজন অতিরিক্ত সচিবকে চুক্তিতে সচিব পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, রেলপথ মন্ত্রণালয় ও রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের জন বিভাগের সচিব হিসেবে তাদের নিয়োগ দিয়ে গত শনিবার (১৭ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদেরও (ইউএনও) সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। দলীয় সুবিধাভোগী কর্মকর্তাদের অপসারণের জন্য চলছে তালিকা তৈরির কাজ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উচ্চ পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, রাজনৈতিক দলীয়করণে আওয়ামী শাসনামলে প্রশাসনে পদোন্নতি বঞ্চিত হয়েছেন শত শত কর্মকর্তা। দলীয় লোকজনকে করে ভালো ভালো জায়গায় পোস্টিং দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মাঠ প্রশাসনে সরকার অনুগত বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) পদায়ন করা হয়েছে।
দলীয় কর্মকর্তাদের সরিয়ে দিয়ে সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য কাজ চলছে। এতে করে সংস্কার ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, তাও বাস্তবায়ন সহজ হবে বলেও মনে করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
তারা আরও মনে করেন, আওয়ামী সরকারের আমলে দলীয়করণে গত ১৭ বছর প্রশাসনে যারা পদোন্নতিবঞ্চিত ছিল, বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত কর্মকর্তাদের ক্ষোভ-অসন্তোষ কমানোর জন্যই এই পদোন্নতি ও চুক্তিতে নিয়োগ বা পদায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানান, যেসব কর্মকর্তা বিএনপি-জামায়াত ঘরানার, তাদের ভালো পোস্টিং থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দা তদন্ত প্রতিবেদনে তাদের নামের সঙ্গে ‘নেগেটিভ’ উল্লেখ থাকায় বঞ্চিত করা হয়। অনেককে বছরের পর বছর ওএসডি থাকতে হয়েছে অথবা গুরুত্বহীন পদে ফেলে রাখা হয়েছে। অনেককে বাধ্যতামূলক অবসরেও পাঠানো হয়েছে। যেসব কর্মকর্তারা গত ১৭ বছর ধরে ভালো জায়গায় পোস্টিং পাননি, তাদের এখন মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের টানা ১৫ বছরের আমলে দলীয় বিবেচনায় অনেক দলবাজ কর্মকর্তাকে নিয়োগ ও পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অনেককে নিয়োগ ও পদোন্নতি বঞ্চিত করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রশাসনের সব স্তরে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করা জনমানুষের দাবি। এ দাবি পূরণে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় প্রশাসনে শুদ্ধি অভিযান চলছে। মাঠ প্রশাসনেও দ্রুতই এ অভিযান শুরু হবে। এসব অভিযানের ফলে অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সহজ হবে।’
এদিকে, সচিব বা দপ্তর প্রধান হিসেবে যারা চুক্তিতে নিয়োগ পেয়েছিলেন তাদের চুক্তিও বাতিল করা হয়েছে।
বিভিন্ন অভিযোগ থাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো. জাহাংগীর আলমকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার ১০ জন সচিব ও সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগও বাতিল করা হয়েছে। তাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল হওয়া কর্মকর্তারা হলেন- অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান মো. লোকমান হোসেন মিয়া, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম, পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, রেলপথ মন্ত্রণালয় সচিব মো. হুমায়ুন কবীর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী হোসেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী সদস্য (সচিব) মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম।
এছাড়াও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়।
জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর ও ভারত মিশনের প্রেস উইংয়ের কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের প্রথম সচিব (প্রেস) রঞ্জন সেনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগও বাতিল হয়।
পর্যায়ক্রমে চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়োগও বাতিল করা হবে বলে জানা গেছে।
এছাড়াও পদত্যাগ করেছেন অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা।
২১৬ দিন আগে
বাজেট ২০২৪-২৫: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ ৫ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা। যা গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ২১৭ কোটি টাকা বেশি।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জনপ্রশাসনে স্বচ্ছতা, সুশাসন ও গণতন্ত্র নিশ্চিত করার সরকারের নির্বাচনি অঙ্গীকারের সঙ্গে এই বরাদ্দ সামঞ্জস্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন: বিমানের নামে ভুয়া ফেসবুক পেইজ, ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
মন্ত্রী আরও বলেন, 'আমরা দারিদ্র্য ও বৈষম্য হ্রাসে সরকারি সেবা সহজলভ্য করতে এবং উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে কাজ করছি।’
সরকার নিয়ন্ত্রক ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ আমাদের সুশাসন অর্জনের কাজকে সহজ করে দিয়েছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে প্রাসঙ্গিক থাকতে চলমান সংস্কার ও উদ্ভাবনী উদ্যোগ অব্যাহত রেখে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ ফ্রেমওয়ার্ক বাস্তবায়ন করলে আমরা সুশাসনের কাঙ্ক্ষিত মাত্রা অর্জন করতে পারব।’
মন্ত্রী বলেন, সরকারি কর্মচারীদের বস্তুনিষ্ঠ কর্মসম্পাদন মূল্যায়নের সুবিধার্থে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ১৯ ধারা অনুযায়ী 'কর্ম মূল্যায়ন বিধিমালা ২০২৪'-এর খসড়া প্রণয়ন করছে।
এছাড়া 'সরকারি চাকরি (সংশোধন) আইন ২০২৩' এবং 'বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) গঠন ও ক্যাডার আদেশ ২০২৪'সহ বেশকিছু আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। সরকারি কর্মচারী পরিচালনা ব্যবস্থা (জিইএমএস) কর্মসূচি বাস্তবায়নের কাজও শুরু করেছে মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: আমরা সিরডাপের ম্যান্ডেট ও সাংগঠনিক দর্শনের উপর জোর দিতে চাই: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
যান্ত্রিকীকরণের কারণে খুব কম সময়ে সারা দেশের ধানকাটা সম্ভব হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
২৯০ দিন আগে
জনপ্রশাসন মন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের হাই কমিশনারের সাক্ষাৎ
জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকালে সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রীর নিজ দপ্তরে হাইকমিশনার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এসময় জনপ্রশাসনমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আগামী দিনে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে এফবিসিসিআই সভাপতির সাক্ষাৎ, রমজানে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির
এসময় মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করতে রূপকল্প ২০৪১, ডেল্টা প্ল্যান ২১০০, পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এই কর্মসূচিগুলোর সফল বাস্তবায়নে আমাদের দক্ষ মানবসম্পদ প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, মানবসম্পদ উন্নয়নে ভারত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে আসছে। ভবিষ্যতেও তাদের এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
এছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার সুযোগ আছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে শিল্প ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অনেক মিল রয়েছে। ফলে এসব ক্ষেত্রেও দুই দেশের আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
সাক্ষাৎকালে ভারতের হাইকমিশনার দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। এই সম্পর্ক উন্নয়নে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক।
হাইকমিশনার এ সময় শিল্প-সংস্কৃতি, অর্থনীতি, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিগত উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধির আশ্বাস দেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হক, বাংলাদেশের নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনের কাউন্সিলর পাওয়ান বাধে এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্পিকারের সঙ্গে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা সান হাইয়ানের সাক্ষাৎ
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের হাইকমিশনার ও রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
৪২০ দিন আগে
২৮ কর্মকর্তা ও ২ প্রতিষ্ঠানকে 'বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পুরস্কার' দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে ২৮ জন সরকারি কর্মকর্তা ও দুটি প্রতিষ্ঠান ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পুরস্কার-২০২৩’ গ্রহণ করেছেন।
সোমবার (৩১ জুলাই) জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ পুরস্কার প্রদান করেন।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের দক্ষতা, মননশীলতা ও উদ্ভাবনী প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ২০১৬ সাল থেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
খাদ্য মন্ত্রণালয় 'নীতি ও প্রশাসনিক পদ্ধতির সংস্কার' বিভাগে এবং ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালকে 'মানব কল্যাণে গবেষণা ও এর ব্যবহার' বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হয়।
‘সাধারণ প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার গ্রহণ করেন লক্ষ্মীপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসেন আকন্দ, লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন ডা. আহমেদ কবির, লক্ষ্মীপুরের সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) নূর-ই-আলম, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসেন এবং রায়পুর উপজেলার ইউএনও অঞ্জন দাস।
'উন্নয়ন প্রশাসন' ক্যাটাগরিতে পদক পেয়েছেন খাগড়াছড়ির সাবেক জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, খাগড়াছড়ির সাবেক এডিসি কে এম ইয়াসির আরাফাত, খাগড়াছড়ির সাবেক সহকারী কমিশনার বাসুদেব কুমার মালো এবং খাগড়াছড়ির সাবেক সহকারী কমিশনার শেখ নওশাদ হাসান।
চার কর্মকর্তা-শরীয়তপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান, শরীয়তপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক উপপরিচালক মাতলুবর রহমান, জাজিরা উপজেলার ইউএনও (শরীয়তপুর) কামরুল হাসান সোহেল এবং জাজিরা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা জামাল হোসেনকে 'অর্থনৈতিক উন্নয়ন' বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হয়।
'এনভায়রনমেন্টাল ডেভেলপমেন্ট' ক্যাটাগরিতে পাঁচজন কর্মকর্তা পুরস্কার পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন
তারা হলেন- হবিগঞ্জের সাবেক জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান, হবিগঞ্জের এডিসি (সাধারণ) মিন্টু চৌধুরী, হবিগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ তালুকদার, হবিগঞ্জের সহকারী কমিশনার নাভিদ সারোয়ার এবং হবিগঞ্জ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী দিলীপ কুমার দত্ত।
'মানবসম্পদ উন্নয়ন' বিভাগে আরও পাঁচজন কর্মকর্তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
তারা হলেন- গাইবান্ধা বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) উপপরিচালক আবদুস সবুর, গাইবান্ধা সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা তাহাজুল ইসলাম, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আবুল কামাল আজাদ, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা এনামুল হক এবং পলাশবাড়ী উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান খান।
গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. খায়রুজ্জামানকে 'দুর্যোগ ও সংকট মোকাবিলা' ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
'অপরাধ প্রতিরোধ' ক্যাটাগরিতে সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও র্যাব-১১ এর সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিটের কমান্ডার মির্জা সালাহউদ্দিন এবং 'জনসেবায় উদ্ভাবন' ক্যাটাগরিতে পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ার ইউএনও সোহাগ চন্দ্র সাহা পুরস্কার পেয়েছেন।
‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ ক্যাটাগরিতে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হক বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পুরস্কার পেয়েছেন।
এছাড়া ‘সামাজিক উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা’ ক্যাটাগরিতে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর ইউএনও সাদি উর রহিম জাদিদকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
পুরস্কার প্রাপকরা তাদের নামের শেষে 'বিপিএএ' টাইটেল ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিজন প্রাপক একটি স্বর্ণপদক (১৫ গ্রাম ওজনের) এবং একটি রাষ্ট্রীয় মনোগ্রাম সম্বলিত একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়েছে।
ব্যক্তিগত অবদানের জন্য দেওয়া হয়েছে ২ লাখ টাকা এবং দলগত অবদানের জন্য ৫ লাখ টাকা।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচএন আশেকুর রহমান এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।
প্রতি বছর ২৩ জুলাই জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস পালিত হয়।
আরও পড়ুন: কলাগাছের তন্তু থেকে তৈরি কলাবতী শাড়ি গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
ক্যান্টিনে কাজ করা ১১ বছরের রাব্বির দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী
৬০১ দিন আগে
রাজশাহীর নতুন বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ুন কবীর
রাজশাহীর নতুন বিভাগীয় কমিশনার নিয়োগ পেয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই-৩) প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর।
তাকে এ নিয়োগ দিয়ে বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
অন্যদিকে রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনারের দায়িত্ব চালিয়ে আসা জিএসএম জাফরউল্লাহকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
এর আগে গত ২ জুলাই বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার পদে রদবদল আনে সরকার।
আরও পড়ুন: জনপ্রশাসনের উপসচিব বাধ্যতামূলক অবসরে
নতুন অফিস সূচি ‘স্থায়ী নয়’: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক’ প্রদান
৬২৬ দিন আগে
আরেকটি সাজানো নির্বাচন করতে সরকার পুলিশ ও জনপ্রশাসনে রদবদল শুরু করেছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করে ভোট কারচুপির মাধ্যমে আরেকটি সাজানো নির্বাচন মঞ্চস্থ করতে পুলিশ ও জনপ্রশাসনে রদবদল শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ‘তারা (আ.লীগ) ভোট কারচুপি এবং সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে তাদের ইচ্ছানুযায়ী আরেকটি নির্বাচন করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। পুলিশে ব্যাপক রদবদল ও পদোন্নতি নিয়ে কয়েকটি পত্রিকায় প্রতিবেদন রয়েছে। তারা আগামী নির্বাচনের আগে তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী সবকিছু সাজানোর উদ্দেশ্য নিয়ে জনপ্রশাসনেও রদবদল করেছে।’
বৃহস্পতিবার এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, দেশের জনগণ আগামী দিনে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারের সব ‘নীলনকশা’ নস্যাৎ করে দেবে।
ফখরুল বলেন যে এইচএম এরশাদসহ অনেক ফ্যাসিবাদী শাসক অতীতে একই কাজ করেছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত জনরোষের মুখে তাদের ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছিল।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আপনারা (আ.লীগ)ও এত সব আয়োজন করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, কিন্তু কত দিন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন? ফেরাউন, নমরূদ, এরশাদও ক্ষমতায় বসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। জনগণ যখন জেগে ওঠে তখন কোনো কিছুই তাদের প্রতিহত করতে পারে না।’
বিএনপিপন্থী প্ল্যাটফর্ম জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফোরাম ঢাকা রিপোর্টার্সে সংবাদপত্রের ‘কালো দিবস’ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: স্যাংশনে আ.লীগ সরকারের হাঁটু কাপতে শুরু করেছে: ফখরুল
১৯৭৪ সালের ১৬ জুন তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার সরকারের অনুগত চারটি পত্রিকা ছাড়া সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়। একদল সাংবাদিক দীর্ঘদিন ধরে সংবাদপত্র বন্ধের স্মরণে দিনগুলোকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছেন।
ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চলমান আন্দোলন জোরদার করার কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রের আড়ালে একদলীয় বাকশাল শাসন কায়েম করেছে। ‘তারা আমাদের সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বাক, লেখার স্বাধীনতা এবং সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বৈশিষ্ট্য হলো ভিন্নমতকে সহ্য করতে পারে না। ‘আমাদের সংগ্রাম শুরু হয়েছে এবং এটি এক বা দুই দিনে শেষ হবে না। আমাদের সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে, কারণ আমাদের প্রতিপক্ষ এতটাই স্বৈরতান্ত্রিক যে তারা রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে মানুষকে হত্যা করতে এবং তাদের গুম করতে দ্বিধা করে না।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করে সব হারানো অধিকার ফিরিয়ে আনতে শক্তিশালী আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে অপসারণ করতে হবে।
তিনি অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে রাজনীতি থেকে সরানোর জন্য তাদের দলের প্রধান খালেদা জিয়াকে ‘মিথ্যা’ মামলায় বেআইনিভাবে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
খালেদা এখন রাজধানীর একটি হাসপাতালে জীবনযুদ্ধে লড়ছেন উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানোর অনুমতি চেয়ে তার পরিবার বারবার আবেদন করেছে, কিন্তু সরকার এখনো তাতে কর্ণপাত করেনি।
খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে বলে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বক্তব্যের নিন্দা জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের মন্তব্যের নিন্দা করার ভাষা আমাদের নেই। আমরা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এর জবাব দেবো।’
আরও পড়ুন: ফয়জুল করিমের ওপর হামলার বিষয়ে সিইসি’র মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ফখরুলের
গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন খালেদা জিয়া: ফখরুল
৬৪৭ দিন আগে